আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবাইকে নমস্কার। কোটি কোটি নমস্কার। আর আমি কোটি কোটি নমস্কার এইজন্যেও বলছি যে আজ একশো কোটি টিকার ডোজের পরে দেশ নতুন উৎসাহ, নতুন শক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের টিকা কার্যক্রমের সাফল্য ভারতের সামর্থ্যকে তুলে ধরে, সম্মিলিত প্রয়াসের মন্ত্রের শক্তিকে তুলে ধরে।
বন্ধুরা, একশো কোটি টিকা ডোজের পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে খুব বড় কিন্তু এখানে ছোট-ছোট লক্ষ-লক্ষ প্রেরণাদায়ক আর গর্বে বুক ভরে দেওয়ার মত অনেক বিষয়, অনেক উদাহরণ জুড়ে আছে। অনেকে আমাকে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন যে টিকাদান শুরু হতেই কীভাবে আমার মনে বিশ্বাস জন্মেছিল যে এই অভিযান এত বড় সাফল্য পাবে! আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই কারণে হয়েছিল যে আমি আমার দেশ, আমার দেশের মানুষের সঙ্গে সম্যকভাবে পরিচিত। আমি জানতাম যে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দেশবাসীদের টিকাকরণের জন্য যে কোনো পরিশ্রম করতে কসুর করবেন না। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের নিশ্ছিদ্র পরিশ্রম আর সংকল্পর মাধ্যমে এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন, তাঁরা উদ্ভাবনের সাহায্যে নিজেদের দৃঢ়তার সঙ্গে মানবতার সেবার এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। তাঁদের কাজের অগণিত দৃষ্টান্ত রয়েছে, যার মাধ্যমে তাঁরা যাবতীয় বাধা পার করে বেশি-বেশি মানুষকে সুরক্ষা কবচ দিয়েছেন। আমরা অনেক বার খবরের কাগজে পড়েছি, বাইরেও শুনেছি যে এই কাজ করার জন্য আমাদের এই সব মানুষজন কত পরিশ্রম করেছেন। এক-একটা চমৎকার উদাহরণ রয়েছে আমাদের সামনে। আমি আজ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের শ্রোতাদের উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলার এমনই এক স্বাস্থ্যকর্মী পুনম নৌটিয়ালের সঙ্গে পরিচিত করাতে চাই। বন্ধুরা, এই বাগেশ্বর সেই উত্তরাখণ্ডের অন্তর্গত যে উত্তরাখণ্ড প্রথম ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য একশো শতাংশ পূর্ণ করেছে। উত্তরাখণ্ডের সরকারও এই কারণে অভিনন্দনের দাবীদার কারণ এই ভূখণ্ড অত্যন্ত দুর্গম, অত্যন্ত কঠিন। এভাবেই হিমাচলও এমন কঠিন পথ অতিক্রম করে একশো শতাংশ ডোজ দেওয়ার কাজ করে নিয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে পুনমজী নিজের অঞ্চলের মানুষদের টিকাকরণের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জী – পুনমজি নমস্কার।
পুনম নৌটিয়াল – স্যার, প্রণাম।
প্রধানমন্ত্রী জী – পুনমজী নিজের ব্যাপারে দেশের শ্রোতাদের বলুন।
পুনম নৌটিয়াল – স্যার, আমি পুনম নৌটিয়াল। স্যার, আমি উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলার চানী কোরালী সেন্টারে কাজ করছি স্যার। আমি একজন এ-এন-এম স্যার।
প্রধানমন্ত্রী জী – পুনমজী, এটা আমার সৌভাগ্য যে আমার বাগেশ্বর যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল, সেটা এক অর্থে তীর্থক্ষেত্র। ওখানে পুরনো মন্দির ইত্যাদিও আছে। আমি দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছি যে বহু যুগ আগে মানুষ সেখানে কীভাবে কাজ করেছে।
পুনম নৌটিয়াল – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী জী – পুনমজী আপনি কি নিজের অঞ্চলের সব ব্যক্তির টিকাকরণ করিয়ে নিয়েছেন?
পুনম নৌটিয়াল – হ্যাঁ স্যার। সবারই হয়ে গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জী – আপনাকে কোনো রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে?
পুনম নৌটিয়াল – হ্যাঁ স্যার। স্যার, এখানে যেমন একটানা বৃষ্টি হলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। স্যার, নদী পার করে গিয়েছি আমরা। আর স্যার প্রত্যেক বাড়িতে গিয়েছি, যেমন এন-এইচ-সি-ভি-সির প্রকল্পে আমরা বাড়িতে-বাড়িতে গিয়েছি। যে সব মানুষ সেন্টারে আসতে পারত না যেমন প্রবীণ মানুষ বা শারীরিকভাবে অসমর্থ মানুষ, গর্ভবতী নারী, ধাত্রী মহিলারা – এমন মানুষজন স্যার।
প্রধানমন্ত্রী জী – কিন্তু ওখানে তো পাহাড়ে বাড়িঘর সব অনেক দূরে-দূরে।
পুনম নৌটিয়াল – হ্যাঁ।
প্রধানমন্ত্রী জী – তা এক দিনে কতটা করতে পারতেন আপনারা?
পুনম নৌটিয়াল – স্যার কিলোমিটারের হিসাবে – কখনও দশ কিলোমিটার কখনও আট কিলোমিটার।
প্রধানমন্ত্রী জী – যাই হোক, এই যে তরাই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষজন তাঁরা বুঝতে পারবেন না, যে আট-দশ কিলোমিটার বলতে কতটা বোঝায়। আমি জানি যে পাহাড়ের আট-দশ কিলোমিটারের অর্থ গোটা দিন চলে যাওয়া।
পুনম নৌটিয়াল – হ্যাঁ।
প্রধানমন্ত্রী জী – কিন্তু এক দিনেই যেহেতু এটা খুব পরিশ্রমের কাজ আর টিকারকরণের যাবতীয় জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যেতে হয়। আপনার সঙ্গে কোনো সহায়ক থাকত কি?
পুনম নৌটিয়াল – হ্যাঁ স্যার, টিম মেম্বার, আমরা স্যার পাঁচ জন থাকতাম !
প্রধানমন্ত্রী জী – হ্যাঁ।
পুনম নটিয়াল - এদের মধ্যে একজন ডাক্তার, একজন এনএম, একজন ফারমাসিস্ট। একজন আশা মেম্বার আর অন্যজন ডাটা এনট্রি অপারেটার।
প্রধানমন্ত্রী জি - আচ্ছা এই যে ডাটা এনট্রির কাজ, ওখানে নেটওয়ার্ক পেয়ে যান, না বাগেশ্বর এসে করতেন?
পুনম নটিয়াল - স্যার, কোথাও কোথাও পাওয়া যেত নেটওয়ার্ক, নাহলে বাগেশ্বর ফেরত এসে করতাম।
প্রধানমন্ত্রী জি - আচ্ছা। আমাকে বলা হয়েছে পুনমজি, যে আপনি নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে গিয়ে অনেক লোকের টীকাকরন করিয়েছেন। এই ভাবনা কি করে আপনার মাথায় এল, এই কাজ কি করে করলেন?
পুনম নটিয়াল- আমরা সকলে, আমাদের পুরো টিম, এই সংকল্প গ্রহণ করেছিলাম যে কোনো একজন ব্যক্তিও যেন বাদ না পড়ে। আমাদের দেশ থেকে এই করোনা রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল করতে হবে। আমি আর একজন আশাকর্মী গ্রাম পিছু বকেয়া তালিকা তৈরী করি। সেই অনুযায়ী যারা সেন্টারে আসেন, তাদের সেখানেই টীকা দিই। যারা বাকি থেকে যান, তাদের এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টীকা দিই।
প্রধানমন্ত্রী জি - আচ্ছা লোকেদের বোঝাতে হতো?
পুনম নৌটিয়াল - হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী জি - টিকা নেওয়ার জন্য লোকজনের কি আগ্রহ আছে?
পুনম নটিয়াল - হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ, এখন তো লোকেরা বুঝে গেছে, প্রথম প্রথম আমাদের খুব অসুবিধা হত। তখন আমাদের অনেক বোঝাতে হত লোকজনদের, এই টীকা সুরক্ষিত এবং কার্যকরী। আমরা নিজেরাও টীকা নিয়েছি, আমাদের স্টাফেরাও সকলে টীকা নিয়েছে এবং সুস্থ আছে, বহাল তবিয়তে সকলে আপনাদের সামনে আছি।
প্রধানমন্ত্রী জি - কোথাও টীকা লাগানোর পর কোন রকম অভিযোগ এসেছে কি? পরে।
পুনম নটিয়াল- না, না স্যার, এরকম কিছু হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী জি – কিছু হয় নি?
পুনম নৌটিয়াল - না স্যার।
প্রধানমন্ত্রী জি - সকলে সন্তুষ্ট ?
পুনম নৌটিয়াল - হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী জি – সব ঠিক হয়ে গেছে ?
পুনম নটিয়াল - হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী জি- আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন এবং খুব ভালো কাজ করেছেন। এই পুরো এলাকা কত দুর্গম আমি জানি। পায়ে হেটে যেতে হয়। একবার একটা পাহাড় চড়া আবার নামা, আবার পরের পাহাড় চড়া, ঘর গুলোও দূরে দূরে। তা সত্ত্বেও আপনারা সকলে এত ভাল কাজ করেছেন।
পুনম নটিয়াল- ধন্যবাদ স্যার, আমার সৌভাগ্য আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারলাম।
আপনার মত লাখো স্বাস্থ্য কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই ভারত ১০০ কোটি টীকাকরণ সম্পূর্ণ করতে পেরেছে। আজ আমি শুধু আপনাদেরই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি না, সেই সকল ভারতবাসীকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা 'সকলের টিকা, বিনামূল্যে টিকা' এই অভিযানকে এতখানি সফল করেছেন। আপনাকে আপনার পরিবারকে আমার অনেক অনেক শুভকামনা।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা জানেন আগামী রবিবার, ৩১শে অক্টোবর, সর্দার প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী। 'মন কি বাত' -এর প্রতিটি শ্রোতা এবং আমার পক্ষ থেকে, আমি লৌহ মানবকে প্রণাম জানাই। বন্ধুরা, ৩১শে অক্টোবর, আমরা 'জাতীয় ঐক্য দিবস' হিসেবে উদযাপন করি। এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব যে আমরা এমন কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হই যার মাধ্যমে ঐক্যের বার্তা ছড়ানো যায়। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে সম্প্রতি গুজরাট পুলিশ কচ্ছের লাখপত দুর্গ থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি পর্যন্ত বাইক র্যালি বের করেছে। একতা দিবস উদযাপনে ত্রিপুরা থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি পর্যন্ত বাইক rally করছে ত্রিপুরা পুলিশের কর্মীরা। অর্থাৎ, পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত দেশকে সংযুক্ত করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর-এর পুলিশ কর্মীরা উরি থেকে পাঠানকোট পর্যন্ত একই রকম বাইক rally করে দেশের ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আমি এই সব জওয়ানদের স্যালুট জানাই। আমি জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার অনেক বোনের সম্পর্কেও জানতে পেরেছি। এই বোনেরা কাশ্মীরে সেনা ও সরকারি অফিস-এর জন্য তেরঙ্গা পতাকা সেলাই করছেন। এই কাজটি দেশপ্রেমে পরিপূর্ণ। আমি এই বোনেদের এই মনোভাব-এর প্রশংসা করি। আপনাদেরও অবশ্যই ভারতের ঐক্যের জন্য, ভারতের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য কিছু না কিছু করা উচিত। দেখবেন আপনারা মনে কতটা তৃপ্তি পান। বন্ধুরা, সর্দার সাহেব বলতেন যে - “আমরা আমাদের সমবেত উদ্যোগের মাধ্যমেই দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে আমরা নিত্য নতুন দুর্যোগের ফাঁদে নিজেরাই পড়ে যাবো। অর্থাৎ জাতীয় ঐক্য থাকলে উচ্চতার শিখরে পৌঁছনো যায়, উন্নতি করা যায় । আমরা সর্দার প্যাটেলজির জীবন থেকে, তাঁর চিন্তাধারা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সম্প্রতি সর্দার সাহেবের উপর একটি সচিত্র জীবনী প্রকাশ করেছে। আমি চাই আমাদের সমস্ত তরুণ বন্ধুরা এটি অবশ্যই পড়েন। এটি আকর্ষণীয় উপায়ে আপনাকে সর্দার সাহেব সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেবে।
প্রিয় দেশবাসী, জীবন ধারাবাহিক অগ্রগতি চায়, উন্নয়ন চায়, উচ্চতা অতিক্রম করতে চায়। বিজ্ঞানের যতই অগ্রগতি হোক, অগ্রগতির গতি যতই দ্রুত হোক, বাড়ি যতই বড় হোক, তবুও জীবন অসম্পূর্ণ মনে হয়। কিন্তু, জীবনের সঙ্গে যখন গান-বাজনা, শিল্প, নৃত্য-নাট্য, সাহিত্য যুক্ত হয়, তখন তার ঔজ্বল্য ও প্রাণশক্তি বহুগুণ বেড়ে যায়। জীবনকে অর্থপূর্ণ হতে হলে, এই সবগুলি সমানভাবে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই বলা হয় যে এই সমস্ত পদ্ধতি, আমাদের জীবনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে, আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করে। মানুষের অন্তরাত্মার বিকাশে, আমাদের আত্মার যাত্রাপথ তৈরিতে, সঙ্গীত এবং বিভিন্ন শিল্পের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে এবং তাদের একটি দুর্দান্ত শক্তি রয়েছে। সময় তাদের বাঁধতে পারে না, সীমানা আটকাতে পারে না, তাদের মত বা অমতের বেড়াজালে আবদ্ধ করা যায়না । অমৃত মহোৎসবকেও আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি, গান-বাজনার রঙে ভরিয়ে দিতে হবে। অমৃত মহোৎসবে গান-সংগীত-শিল্পের এই শক্তি সম্পর্কিত অনেক পরামর্শও পাচ্ছি আপনাদের কাছ থেকে। এই পরামর্শ আমার কাছে খুবই মূল্যবান। আমি এগুলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি ভাবনাচিন্তা করার জন্য। আমি আনন্দিত যে মন্ত্রণালয় এত অল্প সময়ের মধ্যে এই পরামর্শগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তার উপর কাজ করেছে। এই পরামর্শগুলির মধ্যে একটি হলো দেশাত্মবোধক গান সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা! স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশাত্মবোধক গান, বিভিন্ন ভাষায়, উপভাষা সমগ্র দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এখন অমৃতকালে, আমাদের তরুণরা এই ধরনের দেশাত্মবোধক গান লিখে এই অনুষ্ঠানকে আরও আকর্ষণীয় করতে পারে। এসব দেশাত্মবোধক গান মাতৃভাষায় হতে পারে, জাতীয় ভাষায় হতে পারে, ইংরেজিতেও লেখা যেতে পারে। কিন্তু এটা অত্যন্ত প্রয়োজন যে এই রচনা যাতে নতুন ভারতের নতুন চিন্তাধারার হয়, দেশের বর্তমান সাফল্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য দেশের প্রতি সংকল্পকে ব্যক্ত করে। সংস্কৃতি দপ্তর তার মহকুমা স্তর থেকে রাষ্ট্রীয় স্তর পর্যন্ত সকলকেই এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছে।
বন্ধুরা, 'মন কি বাত'-এর এমনই একজন শ্রোতা উপদেশ দিয়েছেন যে 'অমৃত মহোৎসব'কে রঙ্গোলি শিল্পের সঙ্গেও যুক্ত করা উচিত। আমাদের এখানে এই রঙ্গোলির মাধ্যমে উৎসবে রঙ ছড়িয়ে দেবার সংস্কৃতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। রঙ্গোলিতে দেশের বৈচিত্রের দেখা মেলে। আলাদা আলাদা রাজ্যে, বিভিন্ন নামে, আলাদা আলাদা বিষয়ে রঙ্গোলি তৈরি করা হয়। এইজন্যে সংস্কৃতি দপ্তর এই বিষয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চলেছে। আপনারা কল্পনা করুন, যখন স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রঙ্গোলি তৈরি হবে, মানুষ নিজের দরজায়, দেওয়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামে উৎসর্গীকৃত সেনানীদের ছবি আঁকবে, স্বাধীনতার কোন ঘটনা রং-এর মাধ্যমে প্রদর্শন করবে, তখন অমৃত মহোৎসবও আরো রঙিন হয়ে উঠবে।
বন্ধুরা, আমাদের এখানে ঘুমপাড়ানি গান শোনানোর প্রথাও রয়েছে। ঘুমপাড়ানি গানের মাধ্যমে ছোট বাচ্চাদের সংস্কার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়, আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের পরিচয় করানো হয়। ঘুম পাড়ানি গানেরও নিজের অনন্যতা রয়েছে। তাহলে, আসুন না আমরা এই অমৃতকালে এই শিল্পকে পুনর্জীবিত করি, আর দেশপ্রেমের ভাবনার সঙ্গে যুক্ত ঘুমপাড়ানি গান লিখি। কবিতা, গান কিছু-না-কিছু অবশ্যই লিখি যা খুব সহজেই প্রত্যেক ঘরে মায়েরা নিজেদের ছোট বাচ্চাদের শোনাতে পারে। এই ঘুমপাড়ানি গানে আধুনিক ভারতের প্রসঙ্গ থাকুক, একুশ শতকের ভারতের স্বপ্নের কথা থাকুক। আপনাদের, সকল শ্রোতার উপদেশের পরে সংস্কৃতি দপ্তর এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বন্ধুরা, এই তিনটি প্রতিযোগিতা ৩১শে অক্টোবর, সর্দার সাহেবের জন্মবার্ষিকী থেকে শুরু হতে চলেছে। আগামী দিনে সংস্কৃতি দপ্তর এই প্রতিযোগিতার বিষয়ে সমস্ত রকম তথ্য আপনাদের জানাবে। এইসব তথ্য মন্ত্রকের ওয়েব সাইটেও থাকবে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেওয়া হবে। আমি চাই যে আপনারা সকলেই এর সঙ্গে যুক্ত হন। আমাদের যুবকযুবতি বন্ধুরা অবশ্যই এতে নিজেদের শিল্পকলার, নিজেদের প্রতিভার প্রদর্শন করবেন। এতে আপনার অঞ্চলের শিল্প এবং সংস্কৃতিও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছবে, আপনার গল্প পুরো দেশ শুনবে।
প্রিয় দেশবাসী, এই সময় আমরা অমৃত মহোৎসব এর মাধ্যমে দেশের বীর সন্তান সন্ততিদের, সেই মহান পূণ্যাত্মাদের স্মরণ করছি। পরের মাসে, ১৫ই নভেম্বর আমাদের দেশের এমনই এক মহাপুরুষ, বীর যোদ্ধা, ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্ম জয়ন্তী আসছে। ভগবান বিরসা মুন্ডাকে 'ধরতি আবা'ও বলা হয়। আপনারা কি জানেন এর মানে কি? এর অর্থ হলো ধরিত্রীর পিতা। ভগবান বিরসা মুন্ডা যেভাবে নিজের সংস্কৃতি, নিজের জঙ্গল, নিজের জমি রক্ষা করার জন্য লড়াই করেছেন, এটা কোন 'ধরতি আবা'ই করতে পারে। উনি আমাদের নিজের সংস্কৃতি আর শেকড়ের প্রতি গর্ব অনুভব করতে শিখিয়েছেন। বিদেশি শাসকেরা কতবার হুমকির মাধ্যমে ওঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু উনি আদিবাসী সংস্কৃতিকে কখনো ছাড়েননি। প্রকৃতি এবং বায়ুমন্ডল কে যদি আমাদের ভালবাসতে শিখতে হয় তাহলে সেখানেও ধরতি আবা ভগবান বিরসা মুন্ডা আমাদের বিশাল বড় প্রেরণা হতে পারেন। উনি বিদেশী শাসনের এমন নীতির পুরোদমে বিরোধিতা করেছিলেন যা প্রকৃতির ক্ষতি করে। দরিদ্র এবং সঙ্কটে থাকা মানুষের সাহায্য করার ক্ষেত্রেও ভগবান বিরসা মুন্ডা সবসময় এগিয়ে থাকতেন। সমাজের সমস্ত দুর্নীতি দূর করতে তিনি সমাজকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। উল্গুলান আন্দোলনের সময় ওঁর নেতৃত্বকে কে ভুলতে পারে? এই আন্দোলন ইংরেজদের কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এর পরেই ইংরেজরা ভগবান বিরসা মুন্ডাকে ধরার জন্য বিরাট পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকার তাঁর ওপর জেলে এত অত্যাচার করে যে মাত্র ২৫ বছর বয়েসেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। কিন্তু শুধু তাঁর দেহই আমাদের ছেড়ে গেছে। মানুষের হৃদয়ে ভগবান বিরসা মুন্ডার স্থান চিরকালের জন্য থেকে গেছে। মানুষের কাছে তাঁর জীবন একটি বিশাল প্রেরণা শক্তি হিসেবে বিরাজ করে। আজও তাঁর সাহস ও বীরত্বের কাহিনী ও লোকগীতি ভারতের মধ্যভাগে ভীষণ জনপ্রিয়। আমি ধরতি আবা বিরসা মুন্ডা কে আমার প্রণাম জানাই এবং যুবসম্প্রদায়কে বলি তাঁর ব্যাপারে আরও পড়াশোনা করতে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অবদান সম্বন্ধে আপনারা যত জানবেন তত গৌরব অনুভব করবেন ।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ ২৪শে অক্টোবর ইউএন ডে অর্থাৎ রাষ্ট্রসংঘ দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনেই রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম দিন থেকেই ভারত রাষ্ট্রসংঘের অংশ হিসাবে থেকেছে। আপনারা কি জানেন যে স্বাধীনতার আগেই অর্থাৎ ১৯৪৫এই ভারত সম্মিলিত রাষ্ট্রসংঘের সনদে সই করে? রাষ্ট্রসংঘের ক্ষেত্রে আরেকটি বিশেষ ব্যাপার হচ্ছে এর শক্তি ও প্রভাব বাড়াতে ভারতীয় নারী শক্তির বিশাল অবদান রয়েছে। ১৯৪৭-৪৮এ যখন ইউএন হিউমান রাইটসের ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন তৈরি হচ্ছিল তখন তাতে লেখা ছিল “ অল মেন আর ক্রিয়েটেড ইক্যুয়াল”। কিন্তু ভারতের একজন ডেলিগেট এতে আপত্তি জানান এবং তারপর ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশনে লেখা হয় “অল হিউম্যান বিয়িংস আর ক্রিয়েটেড ইক্যুয়াল”. এই কথাটি ভারতের বহু পুরনো লিঙ্গ সাম্যের ঐতিহ্যর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। আপনারা কি জানেন ভারতের সেই ডেলিগেটের নাম শ্রীমতি হান্সা মেহতা যার জন্য এই পরিবর্তনটি সম্ভব হয়েছিল? ঐ সময়েই ভারতের আরেক ডেলিগেট শ্রীমতি লক্ষ্মী মেনন লিঙ্গ সাম্যের বিষয়ে বলিষ্ঠ ভাবে নিজের বক্তব্য রাখেন। শুধু তাই নয়, ১৯৫৩তে শ্রীমতি বিজয়লক্ষী পন্ডিত ইউএন জেনারেল এসেম্বলির প্রথম মহিলা সভাপতি হন।
বন্ধুরা, আমরা এমন এক ভূমির সন্তান যারা বিশ্বাস করে, প্রার্থনা করেঃ
‘ওম দয়ৌঃ শান্তি শান্তিরন্তরিক্ষ
পৃথ্বী শান্তিরাপ শান্তিঃ শান্তিরোশধয়ঃ
বনস্তপ্তয়ঃ শান্তি শান্তিব্রহ্মঃদেবা শান্তির্বিশ্বেঃ
সর্বশান্তিঃ শান্তিরেবঃ শান্তিঃ সা মা শান্তিরেধিঃ
ওম শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ’
ভারত সবসময়ই বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করেছে। আমরা গর্বিত যে ১৯৫০এর দশক থেকে ভারত সম্মিলিত রাষ্ট্র শান্তি মিশনের অংশ হিসেবে কাজ করছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও শ্রমিক সংক্রান্ত বিষয়েও ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়াও যোগ এবং আয়ুশকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে ভারত হু অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। মার্চ ২০২১-এ হু ঘোষণা করেছিল ভারতে পরম্পরাগত চিকিৎসার একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র তৈরি হবে।
বন্ধুরা, রাষ্ট্রসংঘের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে আজ আমার অটলজির কথাও মনে পড়ছে। ১৯৭৭এ উনি রাষ্ট্রসংঘে হিন্দিতে ভাষণ দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। আজ আমি ‘মন কি বাত’ এর শ্রোতাদের অটলজির সেই ভাষণের একটি অংশ শোনাতে চাই। আসুন শুনি অটলজির সেই শক্তিশালী কন্ঠঃ
“এখানে আমি রাষ্ট্রের শাসন এবং মাহাত্ম্যের ব্যপারে ভাবছি না। সাধারণ মানুষের প্রতিষ্ঠা এবং প্রগতি আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত আমাদের সবার সাফল্য এবং ব্যর্থতা কেবলমাত্র একটি মাপকাঠিতে বিচার করা উচিত। আমরা কি সমগ্র মানব সমাজ, অর্থাৎ সমস্ত নর-নারী এবং শিশুর ন্যায় ও গরিমা দেওয়ার প্রতি যত্নশীল?
বন্ধুরা, অটলজির এই বাণী আমাদের আজও ঠিক দিশা দেখাতে সাহায্য করে। এই পৃথিবীকে আরও ভাল এবং সুরক্ষিত একটি প্ল্যানেট বানাতে ভারতের চেষ্টা সারা পৃথিবীর জন্য একটি বড় প্রেরণা।
আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছুদিন আগে, অর্থাৎ ২১শে অক্টোবর আমরা পুলিশ স্মৃতি দিবস উদযাপন করেছি। যে সকল পুলিশকর্মী দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন এই দিনে আমরা তাঁদের বিশেষ রূপে স্মরণ করি। আমি আজ সেই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের আত্মীয়স্বজনদেরও স্মরণ করতে চাইব। পরিবারের ত্যাগ ও সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের মতন কঠিন সেবায় কাজ করা খুব মুশকিল। পুলিশ সেবার ব্যাপারে আরেকটা কথা মন কি বাতের শ্রোতাদের জানাতে চাই। একসময় মনে করা হত পুলিশ বা সেনাবাহিনীর কাজ কেবলমাত্র পুরুষরা করতে পারে। আজ কিন্তু সেই চিন্তাধারা বদলে গেছে। ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিসংখ্যান আমাদের জানাচ্ছে বিগত কয়েক বছরে মহিলা পুলিশকর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে, ডবল হয়ে গেছে। ২০১৪তে যেখানে তাঁদের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫ হাজারের কাছাকাছি ছিল, সেখানে ২০২০ তে প্রায় দুগুণের বেশি বাড়ার পর সেই সংখ্যা এখন ২ লক্ষ ১৫ হাজারে পৌঁছে গেছে। এমন কী কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতেও বিগত ৭ বছরে মহিলাদের সংখ্যা প্রায় দিগুণ হয়ে গেছে। আর আমি কেবল পরিসংখ্যানের কথাই বলছি না, এখন দেশের মেয়েরা কঠিন থেকে কঠিনতর ডিউটিও সম্পূর্ণ সাহসিকতার সঙ্গে ও শক্তি দিয়ে করছেন। উদাহরণস্বরুপ, বহু মেয়ে এখন যেসব ট্রেনিং সবচেয়ে কঠিন মনে করে হয়, তার মধ্যে অন্যতম স্পেশালাইজড জাঙ্গল ওয়য়ারফেয়ার কম্যান্ডোর প্রশিক্ষণও নিচ্ছে। এঁরা আমাদের কোবরা ব্যাটেলিয়ানের অংশ হবে।
বন্ধুরা, আজকাল আমরা এয়ারপোর্ট, মেট্রো স্টেশন কিম্বা কোন সরকারি দপ্তরে গেলে দেখতে পাই সিআইএসএফের-এর সাহসী মহিলারা এসব সংবেদনশীল জায়গা রক্ষা করছেন। এর ইতিবাচক প্রভাব পুলিশ ফোর্সের পাশাপাশি আমাদের সমাজের মনোবলেও পড়ছে। মহিলা সুরক্ষাকর্মীর উপস্থিতিতে মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে একটা সহজ বিশ্বাস জন্মায়। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা এঁদের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত মনে করেন। মহিলাদের সংবেদনশীলতার জন্যও মানুষ তাঁদের ওপর বেশি ভরসা করেন। আমাদের এই মহিলা পুলিশকর্মীরা দেশের লক্ষ-লক্ষ মেয়েদের জন্য আদর্শ স্থানীয় হচ্ছেন। মহিলা পুলিশকর্মীদের অনুরোধ করব তাঁরা যেন তাঁদের এলাকার স্কুলগুলি খুললে সেখানে যান, সেখানকার ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই কথোপকথনের মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্ম এক নতুন দিশা খুঁজে পাবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে পুলিশের ওপর মানুষের বিশ্বাস আরও বাড়বে। আমি আশা করি ভবিষ্যতে আরো বেশি সংখ্যায় মহিলারা পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করবেন, আমাদের দেশের নতুন যুগকে নেতৃত্ব করবেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার যে দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে, তা নিয়ে প্রায়শই "মন কি বাত" এর শ্রোতারা তাদের চিন্তা ভাবনা আমাকে লিখে পাঠান। আজ আমি এমনই একটি বিষয়ের আলোচনা আপনাদের সঙ্গে করতে চাই যা আমাদের দেশ, বিশেষত আমাদের তরুণ প্রজন্ম, এমনকি ছোট ছোট বাচ্চাদের কল্পনাতেও জাঁকিয়ে বসেছে। সে বিষয়টি হলো ড্রোন, ড্রোন টেকনোলজি। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যখনই ড্রোনের কথা উঠত, তখন মানুষের মনে প্রথম ভাবনা কি আসত? আসত সেনা, অস্ত্র বা যুদ্ধের ভাবনা। কিন্তু আজ আমাদের এখানে কোন বিয়ের আসর বা অন্য কোন অনুষ্ঠান হলে আমরা ড্রোনের সাহায্যে ফটো ও ভিডিও তুলে থাকি। কিন্তু ড্রোনের কার্যকারিতা, তার ক্ষমতা শুধু এটুকুতেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারত পৃথিবীর সেই প্রথম দেশগুলির অন্যতম, যারা ড্রোনের সাহায্যে নিজেদের গ্রামে জমির ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি করছে। ভারত পরিবহণের ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার বহুল ও ব্যাপক ভাবে করছে। তা গ্রামে চাষবাস হোক বা বাড়িতে জিনিসপত্রের ডেলিভারি। আপৎকালীন সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হোক কিংবা আইন ব্যবস্থার তত্ত্বাবধান। বেশি সময় বাকি নেই যখন আমরা দেখব যে ড্রোন আমাদের এই সব প্রয়োজনের জন্য ব্যবহার হবে। এর মধ্যে বেশিরভাগ কাজ তো শুরুও হয়ে গেছে। যেমন কিছুদিন আগে গুজরাতের ভাবনগরে ড্রোনের মাধ্যমে ক্ষেতে ন্যানো-ইউরিয়া ছড়ানো হল। কোভিড টিকা অভিযানেও ড্রোন নিজের ভূমিকা পালন করছে। তার একটি চিত্র আমরা মণিপুরে দেখতে পেয়েছি। সেখানে একটি দ্বীপে ড্রোনের মাধ্যমে টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তেলেঙ্গানাও ড্রোনের মাধ্যমে টিকা পৌঁছে দেবার জন্য ট্রায়াল সম্পূর্ণ করেছে। শুধু তাই নয়, এখন পরিকাঠামো সংক্রান্ত বড় বড় প্রকল্পর তত্ত্বাবধানের জন্যও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি এমন একজন কম বয়সি ছাত্রের বিষয়েও পড়েছি যিনি নিজের ড্রোনের সাহায্যে মৎস্যজীবীদের জীবন রক্ষার কাজ করেছেন।
বন্ধুরা, আগে এই ক্ষেত্রে এত নিয়ম কানুন ও প্রতিবন্ধকতা ছিল যে ড্রোনের প্রকৃত ক্ষমতার ব্যবহারই সম্ভব ছিল না। যে প্রযুক্তিকে সুযোগের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিৎ ছিল তাকে সংকটের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়েছিল। যদি আপনার কোন কাজের জন্য ড্রোন ওড়ানোর প্রয়োজন হত তাহলে লাইসেন্স এবং পারমিশনের এত ঝঞ্ঝাট হত যে মানুষ ড্রোনের নাম শুনেই পিছিয়ে যেতেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই মানসিকতাকে পরিবর্তন করে নতুন প্রকল্পকে গ্রহণ করার। তাই এই বছর ২৫ শে অগাস্ট দেশ এক নতুন ড্রোন নীতি নিয়ে এসেছে। এই নীতি ড্রোনের সঙ্গে যুক্ত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলির কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। এতে এখন প্রচুর ফর্মের চক্করেও পড়তে হবে না, আগের মত অত মাশুল ও দিতে হবে না। আমার আপনাদের বলতে আনন্দ হচ্ছে যে নতুন ড্রোননীতি আসার পরে অনেক ড্রোন স্টার্টআপে বিদেশি এবং দেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করেছে। অনেক কোম্পানি উৎপাদন কেন্দ্র ও তৈরি করছেন।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী আর বিমানবাহিনী, ভারতীয় ড্রোন কোম্পানিকে ৫০০ কোটি টাকারও বেশির অর্ডার দিয়েছে। আর এটা তো সবে মাত্র আরম্ভ। আমাদের এখানেই থামলে হবে না। আমাদের ড্রোন প্রযুক্তিতে অগ্রণী দেশ হতে হবে। এর জন্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আমি দেশের যুবকদের বলবো যে আপনারা ড্রোন নীতির ফলে তৈরি হওয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করার ব্যাপারে নিশ্চয়ই ভাবুন, এগিয়ে আসুন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ইউ পি’র মেরঠ থেকে ‘মন কি বাত’ এর এক শ্রোতা শ্রীমতী প্রভা শুক্লাজি আমায় স্বচ্ছতা বিষয়ে একটি পত্র পাঠিয়েছেন। উনি লিখেছেন যে "ভারতে উৎসবের সময় আমরা সবাই স্বচ্ছতাকে উদযাপন করি। সেরকমই যদি আমরা স্বচ্ছতাকে রোজকার অভ্যেস বানিয়ে নিই তাহলে পুরো দেশ স্বচ্ছ হয়ে উঠবে।" আমার প্রভাজীর এই কথাটি খুবই পছন্দ হয়েছে। সত্যিই যেখানে সাফ সাফাই আছে, সেখানে স্বাস্থ্য আছে, যেখানে স্বাস্থ্য আছে, সেখানে সামর্থ্য আছে আর যেখানে সামর্থ্য আছে, সেখানে আছে সমৃদ্ধি। এই জন্যই তো দেশে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের উপর এত বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
বন্ধুরা, আমার রাঁচি সংলগ্ন এক গ্রাম সপারোম নয়া সরায়, সম্বন্ধে জানতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। এই গ্রামে একটি জলাশয় ছিল, কিন্তু গ্রামবাসীরা এই জলাশয়টিকে উন্মুক্ত শৌচালয় হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সময় যখন সবার ঘরে শৌচালয় তৈরি হয়ে গেল, তখন গ্রামের মানুষেরা ভাবলেন যে গ্রামকে স্বচ্ছ বাননোর পাশাপাশি সুন্দরও বানানো যাক। আর তারপরেই সবাই মিলে জলাশয়ের পাশে পার্ক বানিয়ে দেন। আজ ওই স্থান মানুষের জন্য, শিশুদের জন্য একটি সার্বজনীন স্থান হয়ে গেছে। এতে পুরো গ্রামের জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন এসেছে। আমি আপনাদের ছত্তিশগড় এর দেউর গ্রামের মহিলাদের সম্বন্ধেও বলতে চাই। এখানকার মহিলারা একটি স্বয়ং সহায়তা সংস্থা পরিচালনা করেন আর মিলেমিশে গ্রামের চৌমাথা রাস্তা আর মন্দির পরিষ্কার করে থাকেন।
বন্ধুরা, ইউপির গাজিয়াবাদের রামবীর তনওয়ার জি কে মানুষ 'পন্ড ম্যান' নামে চেনেন। রাম বীর জি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার পরে চাকরি করছিলেন। কিন্তু ওঁর মনে স্বচ্ছতার কিরণ এতটাই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল যে তিনি চাকরি ছেড়ে জলাশয় পরিষ্কার করতে লেগে যান।রাম বীর জি এখনো অবধি বহু জলাশয় পরিষ্কার করে পুনর্জীবিত করে তুলেছেন।
বন্ধুরা, স্বচ্ছতার প্রচেষ্টা তখনই পুরোপুরি সফল হয় যখন প্রত্যেক নাগরিক স্বচ্ছতাকে নিজের দায়িত্ব ভাবে।এখন দীপাবলিতে আমরা সবাই নিজেদের ঘর পরিষ্কার করার কাজে শামিল হতে যাচ্ছি। কিন্তু এই সময়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের ঘরের সঙ্গে আমাদের আশপাশও যেন পরিষ্কার থাকে। এরকম যেন না হয় যে আমরা নিজেদের ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে ঘরের আবর্জনা ঘরের বাইরে, আমাদের রাস্তায় পৌঁছে দিই। আর হ্যাঁ, আমি যখন স্বচ্ছতার কথা বলি তখন দয়া করে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক থেকে মুক্তির কথাও আমাদের ভুললে চলবে না। তাহলে আসুন, আমরা সংকল্প নিই যে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের উৎসাহে আমরা ভাটা পড়তে দেবো না। আমরা সবাই মিলে নিজেদের দেশকে সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছ বানাবো আর স্বচ্ছ রাখবো।
আমার প্রিয় দেশবাসী, অক্টোবরের পুরো মাসটাই উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে থাকে এবং আর কিছুদিন পরে দীপাবলি তো আসছেই। দীপাবলি তারপর গোবর্ধন পূজা আর তারপর ভাইফোঁটা এই তিনটি উৎসব তো হবেই হবে। এই সময়ে ছট পূজাও হবে। নভেম্বরে গুরু নানক দেবজীর জয়ন্তীও আছে। এতগুলো উৎসব একসঙ্গে থাকলে তার প্রস্তুতিও অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। আপনারা সবাই এখন থেকেই কেনাকাটার প্ল্যান করতে শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু আপনাদের মনে করিয়ে দিই, কেনাকাটা মানে 'ভোক্যাল ফর লোক্যাল। আপনারা স্থানীয় সামগ্রী কিনলে আপনাদের উৎসবও আলোকিত হবে আর কোনো গরিব ভাই বোন, কোনো কারিগর, কোনো তন্তুবায়ের ঘরেও আলো জ্বলবে। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আমরা সবাই মিলে যে প্রচার করতে শুরু করেছি এবারের উৎসবে তা আরো মজবুত হবে। আপনারা নিজেদের এলাকার স্থানীয় পণ্য কিনুন, তার সম্বন্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করুন। নিজের আশেপাশের লোকদেরও বলুন। আগামী মাসে আমাদের আবার দেখা হবে আর এভাবেই অনেক বিষয়ে আমরা চর্চা করব। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার।
मेरा सौभाग्य है मुझे बागेश्वर आने का अवसर मिला था वो एक प्रकार से तीर्थ क्षेत्र रहा है वहाँ पुरातन मंदिर वगैरह भी, मैं बहुत प्रभावित हुआ था सदियों पहले कैसे लोगों ने काम किया होगा: PM @narendramodi during #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
India salutes our healthcare workers. #MannKiBaat pic.twitter.com/WE6AavUBjv
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
अगले रविवार, 31 अक्तूबर को, सरदार पटेल जी की जन्म जयंती है |
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
‘मन की बात’ के हर श्रोता की तरफ से, और मेरी तरफ से, मैं, लौहपुरुष को नमन करता हूँ : PM @narendramodi #MannKiBaat
हम सभी का दायित्व है कि हम एकता का संदेश देने वाली किसी-ना-किसी गतिविधि से जरुर जुड़ें: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
Remembering the wise words of Sardar Patel. #MannKiBaat pic.twitter.com/Ls4xlP7TcL
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
To further national unity and integration, several people have written to PM @narendramodi to start innovative competitions.
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
That is being highlighted by PM Modi. #MannKiBaat
https://t.co/UTnCfqjuXq
Next month, India will mark the Jayanti of Bhagwan Birsa Munda.
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
His life taught us several things such as:
Being proud about one's own culture.
Caring for the environment.
Fighting injustice. #MannKiBaat pic.twitter.com/mx65hA9nQY
Today, we mark @UN Day.
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
We recall India's efforts for world peace and global wellness. #MannKiBaat pic.twitter.com/uYepnUp7VB
India has always worked for world peace.
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
This is seen in our contribution to the UN Peacekeeping forces.
India is also working to make Yoga and traditional methods of wellness more popular. #MannKiBaat pic.twitter.com/882BqdEmex
India will play a key role in making our planet a better place. #MannKiBaat pic.twitter.com/dlJaeLMV6E
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
PM @narendramodi highlights the contribution of police personnel.
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
He also shares an interesting data point from the @BPRDIndia which highlights the increasing participation of women in the police forces. pic.twitter.com/vgSTOPgupv
One of the things that is capturing people's imagination is the usage of drones in India.
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
Youngsters and the world of start-ups is very interested in this. subject. #MannKiBaat pic.twitter.com/Rsa0Wh2A0d
The drone sector was filled with too many restrictions and regulations.
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
This has changed in the recent times.
The new drone policy is already showing great results. #MannKiBaat pic.twitter.com/raHNyupSL2
स्वच्छता के प्रयास तभी पूरी तरह सफल होते हैं जब हर नागरिक स्वच्छता को अपनी जिम्मेदारी समझे | अभी दीपावली पर हम सब अपनी घर की साफ़ सफाई में तो जुटने ही वाले हैं | लेकिन इस दौरान हमें ध्यान रखना है कि हमारे घर के साथ हमारा आस-पड़ोस भी साफ़ रहे : PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
मैं जब स्वच्छता की बात करता हूँ तब कृपा कर के Single Use Plastic से मुक्ति की बात हमें कभी भी भूलना नहीं है | तो आइये, हम संकल्प लें कि स्वच्छ भारत अभियान के उत्साह को कम नहीं होने देंगे | हम सब मिलकर अपने देश को पूरी तरह स्वच्छ बनाएँगे और स्वच्छ रखेंगे: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
इतने त्योहार एक साथ होते हैं तो उनकी तैयारियाँ भी काफी पहले से शुरू हो जाती हैं | आप सब भी अभी से खरीदारी का plan करने लगे होंगे, लेकिन आपको याद है न, खरीदारी मतलब ‘Vocal For Local’ : PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021
आप local खरीदेंगे तो आपका त्योहार भी रोशन होगा और किसी गरीब भाई-बहन, किसी कारीगर, किसी बुनकर के घर में भी रोशनी आएगी | मुझे पूरा भरोसा है जो मुहिम हम सबने मिलकर शुरू की है, इस बार त्योहारों में और भी मजबूत होगी : PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2021