জল সংরক্ষণ নিয়ে দেশব্যাপী অনেক কার্যকর প্রচেষ্টা চলছে। মিডিয়া জল সংরক্ষণের উপর বেশ কিছু উদ্ভাবনী প্রচার শুরু করেছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুন্দরী রাজ্য মেঘালয়, দেশের প্রথম রাজ্য যেটি নিজস্ব একটি জলনীতি বা ‘ওয়াটার পলিসি’ তৈরি করেছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
#MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী: জল সংরক্ষণের জন্য আমরা মেলাগুলিকে কাজে লাগাতে পারি
#MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী: এই দশটি বাচ্চা জীবনের যুদ্ধে শুধু ক্যান্সারের মতো ঘাতক রোগকেই পরাজিত করেনি, সেই সঙ্গে নিজেদের কৃতিত্বে গোটা দুনিয়ায় ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে
মহাকাশ গবেষণার দৃষ্টিকোণ থেকে ২০১৯ সালটি ভারতের জন্য খুব ভালো একটি বছর: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
‘চন্দ্রযান-২’-এর সফল উৎক্ষেপনের সেই সব ছবি দেশবাসীকে গৌরবে, শক্তিতে ও প্রসন্নতায় ভরিয়ে দিয়েছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
‘চন্দ্রযান -২’ চাঁদকে নিয়ে আমাদের ধারণাকে আরো স্পষ্ট করবে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
‘চন্দ্রযান-২’সম্পূর্ণ ভারতীয় একটি উদ্যোগ। এটি মনে প্রাণে ভারতীয়: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
আমরা আমাদের জীবনেও সাময়িক বাধার সম্মুখীন হই। কিন্তু সবসময় এটা মনে রাখবেন যে এই বাধাকে অতিক্রম করার সামর্থ্যও আমাদের ভেতরে আছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
#MannKiBaat: প্রধানমন্ত্রী মোদী স্কুল বাচ্চাদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার ঘোষণা করেছেন, সবচেয়ে বেশি স্কোর করা বিদ্যার্থীদের সেই মুহূর্তের সাক্ষী হবার সুযোগ দেবে যখন চাঁদের ওপর চন্দ্রযান অবতরণ করবে
৫ বছর আগে যে সফর শুরু হয়েছিল তা আজ সবার সহযোগিতায় স্বচ্ছতার নতুন নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
#MannKiBaat: প্রধানমন্ত্রী মোদী জম্মু-কাশ্মীরে 'ব্যাক টু ভিলেজ' প্রকল্পের প্রশংসা করেন
ব্যাক টু ভিলেজ' কর্মসূচি এবং তাতে মানুষের অংশীদারিত্ব এটাই প্রমাণ করে যে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষেরা সুশাসন পেতে আগ্রহী: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
১লা জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি তীর্থযাত্রী পবিত্র অমরনাথ গুহার দর্শন করেছেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
উত্তরাখণ্ডেও এ বছর যেদিন থেকে চার ধাম যাত্রা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে দেড় মাসের মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি তীর্থযাত্রী কেদারনাথ ধাম দর্শন করেছেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
বন্যার সংকটে থাকা সবাইকে আমি আশ্বস্ত করছি, যে কেন্দ্র, রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলে পীড়িত লোকেদের সবরকমের সাহায্য প্রদান করার কাজ অতি দ্রুত গতিতে করছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! ‘মন কি বাত’-এর জন্য সবসময় আমার তরফ থেকে এবং আপনাদের তরফ থেকে একটা প্রতীক্ষা থাকেই।এইবারওআমি দেখেছি যে প্রচুর সংখ্যক চিঠি, কমেন্টস, ফোনকল এসেছে, যার মধ্যে অনেক অনেক গল্প পেয়েছি, পরামর্শ পেয়েছি, পেয়েছি অনুপ্রেরণা।প্রত্যেকের মধ্যে অনেক কিছু করে দেখানোর, অনেক কিছু বলার অদম্য স্পৃহা অনুভব করেছি এবং সেই সবের মধ্যে প্রচুর কিছু আছে যেটাকে আমি একত্রিত করতে চাই, কিন্তু সময়সীমা বাঁধা থাকায় তা করতে পারছিনা।আমার মনে হচ্ছে যে আপনারা যেন আমার পরীক্ষা নিচ্ছেন।এতদ্‌সত্বেও, আপনাদেরই কথাকে, ‘মন কি বাত’-এর শৃঙ্খলায় গেঁথে, আবার একবার আপনাদের সঙ্গেই ভাগ করে নিতে চাই।

আপনাদের নিশ্চই স্মরণে আছে যে গতবার আমি প্রেমচাঁদজির গল্পের একটি বইয়ের কথা আলোচনা করেছিলাম এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, কেউ যদি কোনো বই পড়েন তাহলে সেই বই সম্পর্কে কিছু কথা NarendraModiApp-এর মাধ্যমে সবার সঙ্গে ভাগ করে নেবেন।আমি দেখেছি যে প্রচুর সংখ্যক লোক, বিবিধ প্রকারের বই সম্পর্কে তথ্য সেখানে ভাগ করেছেন।আমার ভালো লাগলো দেখে যে লোকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নতুন উদ্ভাবন, ইতিহাস, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, আত্মজীবনীর মতো বেশ কিছু বিষয়েলেখা বই নিয়ে আলোচনা করেছেন।কিছু লোক তো আমাকে এই পরামর্শও দিয়েছেন যে আমি আরও কিছু বই নিয়ে কথা বলি।ঠিক আছে, আমি নিশ্চয়ই আরও কিছু বই নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো।কিন্তু একটি কথা আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে এখন আমি খুব বেশি বই পড়ার সময় পাইনা।অবশ্য এই গোটা প্রক্রিয়ায় আমার একটা লাভও হয়েছে।আপনারা যে সব বইয়ের কথা উল্লেখ করে লিখে পাঠিয়েছেন সেই সব বই সম্পর্কে জানার একটা সুযোগ আমি পাচ্ছি।কিন্তু আমার মনে হয় যে বিগত এক মাসের এই অভিজ্ঞতাকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।চলুন না আমরা NarendraModiApp-এ পাকাপাকিভাবে, একটা বুক’স কর্নার তৈরিকরি।যখনই কেউ নতুন কোনো বই পড়বেন সেই বিষয়ে সেখানে লিখবেন, আলোচনা করবেন এবং আপনারা এই বুক’স কর্নারের একটা ভালো নামও বাতলে দেবেন।আমি চাই এই বুক’স কর্নার, পাঠক এবং লেখকদের জন্য একটা সক্রিয় মঞ্চ হয়ে উঠুক।আপনারা পড়তে থাকুন, লিখতে থাকুন এবং ‘মন কি বাত’-এর সমস্ত শ্রোতাদের সঙ্গে সেগুলো ভাগ করতে থাকুন।

বন্ধুগণ, আমার মনে হচ্ছে যে ‘মন কি বাত’-এ, ‘জল সংরক্ষণ’ — এই বিষয়টিকে আগে আমি ছুঁয়ে গেছিলাম, কিন্তু আজ হয়তো অনুভব করছি যে আমার বলার আগেই এই জল সংরক্ষণ বিষয়টি আপনাদের হৃদয়কে ছুঁয়ে যাওয়ার মতোই বিষয় ছিল, সাধারণ মানুষের পছন্দেরবিষয় ছিল।আমি অনুভব করছি যে সম্প্রতি এই জলের বিষয়টি আপামর দেশবাসীর মনকে নাড়া দিয়েছে।জল সংরক্ষণ নিয়ে দেশব্যাপী অনেক কার্যকর প্রচেষ্টা চলছে।মানুষ নানারকম প্রথাগতপদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য ভাগ করে নিচ্ছেন।Mediaজল সংরক্ষণের উপর বেশ কিছু উদ্ভাবনী প্রচার শুরু করেছে।সরকার হোক কিংবা NGO— যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কিছু না কিছু করছেই।সমষ্টিগত শক্তি দেখে মন ভরে যাচ্ছে, খুবই সন্তুষ্ট আমি।যেমন ঝাড়খণ্ডে, রাঁচির থেকে একটু দূরে, ওরমানঝি ব্লকের আরাকেরম গ্রামে, গ্রামবাসীরা জল সংরক্ষণের যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সবার জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে।গ্রামবাসীরা পাহাড় থেকে ঝর্ণার জলকে একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত করতে সাহায্য করেছেন, তাও আবার বিশুদ্ধ দেশি পদ্ধতিতে।এর ফলে কেবল ভূমি ক্ষয় এবং ফসল নষ্ট হওয়াকে আটকানো যাচ্ছে তাই নয়, ক্ষেতগুলিও জল পাচ্ছে।গ্রামবাসীদের এই শ্রমদান গোটা গ্রামের জন্য জীবনদান হয়ে উঠেছে।আপনারা সবাই জেনে খুশি হবেন যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুন্দরী রাজ্য মেঘালয়, দেশের প্রথম রাজ্য যেটি নিজস্ব একটি জলনীতি বা ‘ওয়াটার পলিসি’তৈরিকরেছে।আমি সেখানকার সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

হরিয়ানায়, এমনফসলউৎপাদনেপ্রাধান্যদেওয়াহচ্ছেযেখানেকমজলেরপ্রয়োজনহয়এবংকৃষকদেরলোকসানওহয়না।আমিহরিয়ানাসরকারেরবিশেষপ্রশংসাকরতেচাইকারণতারাকৃষকদেরসঙ্গেআলোচনাকরে, তাদেরবুঝিয়ে, প্রথাগতকৃষিপদ্ধতিথেকেবেরিয়েএসেকমজললাগেএমনফসলউৎপাদনকরতেউৎসাহদিয়েছেন।এখন তো উৎসবের সময় এসে গেছে। এসব সময়ে অনেক মেলাও বসে। জল সংরক্ষণের জন্য আমরা এই মেলাগুলিকে কাজে লাগাতে পারি। সমাজের সব শ্রেণীর লোকজন এই মেলায় আসেন। জল বাঁচানোর খবর আমরা এখানেই প্রদর্শনীর আয়োজন করে, নাটক করে খুব চমৎকার ভাবে পৌঁছে দিতে পারি। উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে জল সংরক্ষণের ব্যবস্থাও হয়ে যাবে।

বন্ধুগণ, জীবনে কিছু কিছু বিষয় আমাদের উৎসাহিত করে, বিশেষত শিশুদের উপলব্ধি, তাদের কৃতিত্ব আমাদের যেন নতুন জীবনীশক্তি যোগায়। এইজন্যেই আজ কয়েকটি বাচ্চার কথা আপনাদের শোনাতে ইচ্ছে করছে। এরা হল নিধি বাইপটু, মনীশ যোশী, দেবাংশী রাওয়াত, তনুষ জৈন, হার্শ দেওধারকার,অনন্ত তেওয়ারি,প্রীতি নাগ, অথর্ব দেশমুখ,অরণ্যতেশ গাঙ্গুলি এবং হৃতিক অলা-মন্দা।

এদের সম্বন্ধে আমি যা বলবো, তাতে আপনাদেরও গর্ব হবে, আপনাদের মধ্যেও এক তেজ সঞ্চারিত হবে। আমরা সবাই জানি, ‘ক্যান্সার’ এমন একটি শব্দ যাকে পুরো দুনিয়া ভয় পায়। এমন মনে হয় মৃত্যু দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এই দশটি বাচ্চা জীবনের যুদ্ধে শুধু ক্যান্সারের মতো ঘাতক রোগকেই পরাজিত করেনি, সেই সঙ্গে নিজেদের কৃতিত্বে গোটা দুনিয়ায় ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে। খেলাধূলার ক্ষেত্রে আমরা প্রায়ই দেখি যে একজন খেলোয়াড় টুর্নামেন্ট জেতার পর বা পদক পাওয়ার পরই চ্যাম্পিয়ন হন, কিন্তু এ এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা, যেখানে এরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে — এবং তাও আবার জীবন যুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন।

এই মাসেই মস্কোয় World Children’s Winners Games–এর আয়োজন হয়েছিল। এটি একটি অনন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যাতে ‘ইয়ং ক্যানসার সারভাইভারস্‌’ অর্থাৎ যে সব ছোটরা নিজেদের জীবনে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে জিতে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, একমাত্র তারাই অংশ নিতে পারে। এতে শ্যুটিং, দাবা, সাঁতার, দৌড়, ফুটবল, টেবিল টেনিসের মত খেলার আয়োজন করা হয়। আমাদের দেশের এই দশ কৃতী চ্যাম্পিয়ন এই টুর্নামেন্টে পদক জিতেছে। এদের মধ্যে কয়েকজন তো আবার একাধিক খেলায় পদক জিতেছে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমার বিশ্বাস, আকাশ পেরিয়ে সুদূর অন্তরীক্ষে ভারতের সাফল্যেও আপনারা নিশ্চয়ই গর্বিত হয়েছেন — ‘চন্দ্রযান ২’।

রাজস্থানের যোধপুর থেকে সঞ্জীব হরিপুরা, কলকাতা থেকে মহেন্দ্র কুমার দাগা, তেলেঙ্গানা থেকে পি. অরবিন্দ রাও-এর মত অনেকেই সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’ এবং ‘মাই গভ’-এ এই বিষয়ে লিখেছেন এবং ‘চন্দ্রযান-২’-এর বিষয়ে আলোচনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আসলে মহাকাশ গবেষণার দৃষ্টিকোণ থেকে ২০১৯ সালটি ভারতের জন্য খুব ভালো একটি বছর। আমাদের বৈজ্ঞানিকরা মার্চ মাসে ‘A-Sat’ উৎক্ষেপণ করেছিলেন এবং তারপর এই

চন্দ্রযান-২। নির্বাচনের তালেগোলে সেই সময়ে ‘A-Sat’-এর মত এতো বড় আর গুরুত্বপূর্ণ খবরটি নিয়ে বেশি চর্চা করা সম্ভব হয়নি। মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে ‘A-Sat’ মিসাইল ৩০০ কিলোমিটার দূরের স্যাটেলাইটকে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছিল। ভারত হল পৃথিবীর চতুর্থ দেশ যারা এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে সাফল্য অর্জন করল। সম্প্রতি গত ২২-শে জুলাই পুরো দেশ সগর্বে দেখেছে কীভাবে শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-২ অন্তরীক্ষ অভিমুখে রওনা দিয়েছে। ‘চন্দ্রযান-২’-এর সফল উৎক্ষেপনের সেই সব ছবি দেশবাসীকে গৌরবে, শক্তিতে ও প্রসন্নতায় ভরিয়ে দিয়েছে।

‘চন্দ্রযান-২’অনেক অর্থে একটি বিশেষ ধরনের মিশন। ‘চন্দ্রযান -২’চাঁদকে নিয়ে আমাদের ধারণাকে আরো স্পষ্ট করবে’।চাঁদ সম্পর্কে সবিস্তারে জানলেও আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে চন্দ্রযান-২ থেকে সবচেয়ে বড় কোন দুটি শিক্ষণীয় তত্ত্ব আমরা জানতে পেরেছি তাহলে আমি বলবো তা হলো – বিশ্বাস আর নির্ভীকতা।আমাদের উচিত নিজেদের প্রতিভা আর ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস রাখা।আপনারা জেনে খুশি হবেন যে ‘চন্দ্রযান-২’সম্পূর্ণ ভারতীয় একটি উদ্যোগ।এটি মনে প্রাণে ভারতীয়। এটি সম্পূর্ণ রূপে একটি স্বদেশী মিশন। এই মিশনটি আবার এই কথাটি প্রমাণকরলো যে নবদিগন্ত উন্মোচনে, উদ্ভাবনী শক্তিতে আমাদের বৈজ্ঞানিকরা সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বিশ্বস্তরের।

দ্বিতীয় শিক্ষণীয় কথা হলো : কোনো ব্যবধান, কোনো অন্তরায়ই বাধার নয়, ঘাবড়াবার কারণ নয়। যেভাবে আমাদের বৈজ্ঞানিকেরা রেকর্ড সময়ে, দিন রাতকে এক করে সব প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলিকে ঠিক করে চন্দ্রযান-২ কে লঞ্চ করলেনতা অভূতপর্ব।বৈজ্ঞানিকদের এই মহান তপস্যাকে সারা দুনিয়া দেখলো।এতে আমাদের সবার গর্ব হওয়া উচিত।বাধা সত্ত্বেও চন্দ্রযান-২’-এর পৌঁছনোর সময় অপরিবর্তিত রেখে বৈজ্ঞানিকরা এর সফল উৎক্ষেপণ করলেনএটা অনেকের কাছে আশ্চর্যের বিষয়।আমরা আমাদের জীবনেও এইরকম temporary setbackঅর্থাৎ সাময়িক বাধার সম্মুখীন হই।কিন্তু সবসময় এটা মনে রাখবেন যে এই বাধাকে অতিক্রম করার সামর্থ্যও আমাদের ভেতরে আছে।

আমারদৃঢ় বিশ্বাস যে এই ‘চন্দ্রযান-২’অভিযান দেশের যুবদের বিজ্ঞান আর নতুনত্ব উদ্ভাবনের দিকে প্রেরণা যোগাবে।এটি চূড়ান্ত সত্য যে বিজ্ঞানই উন্নয়নের পথ। আমরা এখন অধীর আগ্রহে সেপ্টেম্বর মাসের প্রতীক্ষায় আছি যখন চাঁদের জমিতে দুটি lander—বিক্রম আর রোভার অবতরণ করবে।

আজ আমি ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে আমার দেশের বিদ্যার্থী বন্ধুদের, আমার যুব বন্ধুদের এক চিত্তাকর্ষক প্রতিযোগিতা,মানে একটা competitionএর ব্যাপারে কিছু জানাতে চাই আর দেশের যুবক-যুবতীদের আমন্ত্রণ জানাতে চাই একটি কুইজ কম্পিটিশনে।মহাকাশ আর অন্তরীক্ষকে ঘিরে জিজ্ঞাস্য, ভারতের মহাকাশ অভিযান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এই প্রশ্নোত্তরের মুখ্য বিষয়—যেমন ধরুন রকেট লঞ্চ করতে গেলে কি কি করতে হবে, একটি উপগ্রহকে কি করে কক্ষপথে পাঠানো হয় অথবা এই স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ থেকে আমরা কি কি জানতে পারি, A-Satকি ..এইরকম অনেক কথা।এর সম্পূর্ণ বিবরণ MyGovওয়েবসাইট-এ পয়লা অগাস্ট দেওয়া হবে |

আমি আমার যুব বন্ধুদের অনুরোধ করবো যে তারা যেন এই কুইজ কম্পেটিশনে অংশ নেন আর এটিকে আরওমনোগ্রাহী আর স্মরণীয় করে তোলেন।আমি সব স্কুলগুলিকে, অভিভাবকদের, উৎসাহী শিক্ষক আর আচার্য্যদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ করবো যে নিজেদের স্কুলকে বিজয়ী করতে তাঁরা যেন যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।সব ছাত্রদের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উৎসাহিত করুন আর সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ব্যাপারটি এই যে প্রতিটি রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি স্কোর করা বিদ্যার্থীদের ভারত সরকার নিজের খরচে শ্রীহরিকোটায় নিয়ে যাবে আর সেপ্টেম্বর মাসে সেই মুহূর্তেরসাক্ষী হবার সুযোগ দেবে যখন চাঁদের ওপর চন্দ্রযান অবতরণ করবে।সেই বিজয়ী, সেই কৃতীছাত্রদের জীবনে এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হবে – কিন্তু তার জন্যে আপনাদের এই Quiz Competition এ অংশ নিতে হবে, সবচেয়ে বেশি নম্বর পেতে হবে।আপনাকে বিজয়ী হতে হবে।

বন্ধুরা, আমার এই উপদেশ আপনাদের নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে, কারণ এটা একটা মজাদার বিনোদনের উপায় — তাই না? আর তাই আমরা যেন Quiz-এ অংশগ্রহণ করতে না ভুলি এবং আমাদের বন্ধুদেরও যতটা সম্ভব অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা একটি বিষয় লক্ষ্য করে থাকবেন, আমাদের ‘মন কি বাত’ ‘স্বচ্ছতা অভিযান’কে বিভিন্ন সময় গতি প্রদান করেছে। স্বচ্ছতার জন্য যে সব প্রচেষ্টা চলছে, তা ‘মন কি বাত’-কে সবসময় প্রেরণা দিয়েছে। ৫ বছর আগে যে সফর শুরু হয়েছিল তা আজ সবার সহযোগিতায় স্বচ্ছতার নতুন নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এটা ঠিক যে, স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে আমরা এখনও আদর্শ অবস্থা অর্জন করতে পারি নি, কিন্তু যেভাবে ‘খোলা জায়গায় শৌচকর্ম’ বিরোধী অভিযান থেকে সার্বজনিক স্থানগুলিতে স্বচ্ছতা অভিযান সাফল্য পেয়েছে, সেটা ১৩০ কোটি দেশবাসীর ইচ্ছাশক্তির ফল। কিন্তু এটুকুতেই আমরা থেমে যাব না। এই আন্দোলন এখন ‘স্বচ্ছতা’ থেকে ‘সৌন্দর্য’-এর দিকে পা বাড়িয়েছে। কিছুদিন আগে আমি মিডিয়াতে শ্রী যোগেশ সাইনি আর ওঁর টিমের একটি খবর দেখছিলাম। যোগেশ সাইনি একজন ইঞ্জিনিয়র যিনি ভারত মাতাকে সেবা করার উদ্দেশ্যে তিনি আমেরিকার চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি কিছুদিন আগে দিল্লিকে শুধু ‘স্বচ্ছ’ই নয়, ‘সুন্দর’ করে তোলারও দায়িত্ব নেন। উনি নিজের টিমের সঙ্গে লোদী গার্ডেনের আস্তাকুঁড় থেকে সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করেন। ‘স্ট্রিট আর্ট’-এর মাধ্যমে দিল্লির বহু এলাকাকে খুব সুন্দর চিত্র দিয়ে সাজিয়ে তুলতে থাকেন। ওভারব্রিজ আর স্কুলের দেওয়াল থেকে শুরু করে ঝুপড়ি-বস্তিগুলোকে যখন উনি সুন্দর করে তুললেন, তখন আরও অনেকেই এগিয়ে আসতে লাগলেন এবং এই ভাবে কাজটি এগোতে লাগল। আপনাদের মনে থাকবে, কুম্ভ মেলার সময়ে ‘স্ট্রিট পেইন্টিং’ দিয়ে কীভাবে প্রয়াগরাজকে সাজানো হয়েছিল। আমি জানতে পারলাম যোগেশ সাইনি আর ওঁর টিম এই কাজেও অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছিল। রঙ আর রেখায় কোনও শব্দ হয়ত হয় না, কিন্তু এদের সাহায্যে তৈরি ছবিতে যে রামধনু ফুটে ওঠে, তার প্রভাব হাজার হাজার শব্দের চেয়েও বেশি অর্থবহ হয়। ‘স্বচ্ছতা অভিযান’-এর মধ্যেও আমরা এই সৌন্দর্য অবলোকন করে থাকি। আমাদের জীবনে ‘Waste to Wealth’ — আবর্জনা থেকে সম্পদ বানানোর প্রচেষ্টা তৈরি হোক, এটা খুব জরুরি। অর্থাৎ, আমাদের আবর্জনা থেকে সোনা বানানোর লক্ষ্যে এগোতে হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছুদিন আগে ‘মাই গভ’ পোর্টালে আমি একটি চিত্তাকর্ষক মন্তব্য পড়ি। মন্তব্যটি জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলা নিবাসী ভাই মহম্মদ আসলাম-এর ছিল।

তিনি লিখেছেন — ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানটি শুনতে ভালো লাগে। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমি নিজের রাজ্য জম্মু-কাশ্মীরে Community Mobilisation Programme ‘Back to Village’–এর আয়োজনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। এই অনুষ্ঠানটি জুন মাসে আয়োজন করা হয়েছিল। আমার মনে হয় এই অনুষ্ঠানটি প্রত্যেক তিন মাস অন্তর আয়োজন করা উচিত। এর সঙ্গে, অনুষ্ঠানটির online monitoring-এর আয়োজন করা উচিত। আমার মনে হয়, এটা প্রথম এমন একটি অনুষ্ঠান যেখানে, জনগণ সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পেরেছিল।

ভাই মুহাম্মদ আসলামজি আমাকে যে বার্তা পাঠিয়েছেন, সেটি পড়ার পরে, “Back to Village” প্রকল্প সম্বন্ধে আমার জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। তাই আমি এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে পড়লাম, এবং তখন আমার মনে হলো যে এটি সারা দেশকে জানানো দরকার।কাশ্মীরের মানুষ দেশের উন্নতির মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে কতখানি আগ্রহী তা এই প্রকল্পের কথা থেকে বোঝা যায়। এই কার্যক্রমে, প্রথমে উচ্চ পদাধিকারীরা গ্রামে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে দেখা করেন।যে সমস্ত কর্মচারীরা আগে কখনো গ্রামবাসীদের দেখেননি, তারা নিজেরাই তাদের দরজায় কড়ানাড়লেন।উদ্দেশ্য, প্রগতির পথে যে সমস্ত বাধা ও সমস্যা আছে, সেগুলোকে দূর করা।রাজ্যের প্রায় সাড়ে চার হাজার গ্রাম-পঞ্চায়েতে সপ্তাহব্যাপী এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারি পদাধিকারীরা গ্রামের মানুষদের বিভিন্ন সরকারি যোজনা ও প্রকল্পের তথ্য বিস্তারিতভাবে জানালেন।তাঁরাও জেনে নিলেন যে, গ্রামবাসীরা আদৌ সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা।কীভাবে পঞ্চায়েতগুলিকে আরও শক্তিশালী বানানো যেতে পারে? তাদের আয় কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে? সরকারি পরিষেবা গ্রামের সাধারণ মানুষেরজীবনে কি প্রভাব ফেলতে পারছে? এই সবকিছুই ছিল “Back to Village” প্রকল্পের উদ্দেশ্য।গ্রামবাসীরাও এই সুযোগে নিজেদের সমস্যাগুলির কথা খুলে বলতে পারলেন।সাক্ষরতার হার, লিঙ্গানুপাত, স্বাস্থ্য, পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা, জল সংরক্ষণ,বিদ্যুৎ, পানীয় জল, মেয়েদের শিক্ষা, বয়স্কদের দেখভাল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বন্ধুগণ, এই কার্যক্রম কেবলমাত্র কোনো নথিপত্র তৈরির উদ্দেশ্যে করা হয়নি।আর তাই, সরকারের তরফে যারা গ্রামে গিয়েছিলেন, তাঁরা সেদিনই ফিরে গেলেন না, বরং, দুদিন এবং এক রাত তারা পঞ্চায়েতেই কাটালেন।এর ফলে তাঁরা গ্রামে থাকার সুযোগ পেলেন।চেষ্টা করলেন, প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করার, প্রত্যেক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করার। কার্যক্রমটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্দেশ্যে আরও কিছু কিছু জিনিস এতে যোগ করা হয়েছিল।“খেলো ইন্ডিয়া”যোজনার অন্তর্গত বাচ্চাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।এই অনুষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছিল খেলাধুলোর সরঞ্জাম,‘মনরেগা’প্রকল্পের কাজ পাওয়ার কার্ড এবং তপশিলিজাতি ও উপজাতিদের শংসাপত্র।অর্থনৈতিক সাক্ষরতা শিবির খোলা হয়েছিল।কৃষি, উদ্যানপালন প্রভৃতি সরকারি দপ্তরের তরফে স্টল দেওয়া হয়েছিল।সেখানে বিভিন্ন সরকারি যোজনাগুলি সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচার চালানো হয়।এইভাবে এই আয়োজন যেন একটি বিকাশ উৎসবে পরিণত হয়েছিল।এটা ছিল জন অংশীদারিত্বের উৎসব, জন জাগরণের উৎসবও বটে।কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ এই বিকাশ উৎসবে মন খুলে শামিল হয়েছিলেন।আনন্দের কথা এই যে, অত্যন্ত দূর দূরান্তের গ্রামেও, “Back to Village” কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।সরকারি কর্মচারী ও পদাধিকারীরা সেজন্য দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা, একদিন বা দেড়দিনের পদব্রজে অতিক্রম করেন।যে সমস্ত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি প্রায়ই সীমান্তপারের গোলাগুলি বিনিময় দেখে অভ্যস্ত, সেইসব গ্রামগুলিতেও আধিকারিকেরাপৌঁছে গেছেন।শুধু তাই নয়, সোপিয়ান, পুলওয়ামা, কুলগাম এবং অনন্তনাগ জেলার অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকাগুলোতেও সরকারি পদাধিকারীরা নির্ভয়ে গেছেন।কোনো কোনো অফিসার গ্রামবাসীদের তরফে দেওয়া উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে এতটাই অভিভূত হয়েছিলেন যে তাঁরা দুদিনেরওবেশি সময় সেই গ্রামে রয়ে যান।এইসব এলাকায় গ্রামসভারউদ্যোগে প্রচুর মানুষের অংশগ্রহণ এবং নিজেদের উন্নতির জন্য যোজনা তৈরিতে অংশীদারিত্ব সত্যিই খুব আনন্দের বিষয়।নব উদ্যমে এবং নতুন সংকল্পের এ এক চমকপ্রদ ফলাফল।এমন ধরনের কর্মসূচি এবং তাতে মানুষের অংশীদারিত্ব এটাই প্রমাণকরে যে আমাদের কাশ্মীরেরভাই-বোনেরা সুশাসনপেতে আগ্রহী।প্রগতির শক্তি যে সবসময় বোমা-বন্দুকের শক্তির চেয়ে বেশি এ-কথার প্রমাণ মেলে এইভাবে।যে সমস্ত ব্যক্তি উন্নয়নের রাস্তায় ঘৃণার কাঁটা ছড়াতে চান এবং প্রগতিকে আটকাতে চান, তারা যে কখনোই নিজেদের ঘৃণ্য অভিসন্ধিতে সফল হবে না একথা আজ দিনের আলোর মত স্পষ্ট।

আমার প্রিয় দেশবাসী, জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে সম্মানিত শ্রীমান দত্তাত্রেয় রামচন্দ্র বেন্দ্রে তাঁর একটি কবিতায় শ্রাবণমাসের রূপ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, “হোডিগে মাডিগে আগ্যেদলগ্না, আদ্রাগ ভূমি মগ্না”, অর্থাৎ, বর্ষার ছন্দ এবং বারিধারার বন্ধন অনবদ্য।সেই সৌন্দর্য দর্শন করে পৃথিবী মগ্ন।

সমগ্র ভারতে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ভাষার লোকেরা শ্রাবণ মাস নিজেদের মতো করে পালন করেন। এই ঋতুতে যখনই আমাদের আশেপাশে নজর যায়, মনে হয় যেন বসুন্ধরা সবুজ চাদর গায়ে দিয়েছে। চারদিকে এক নতুন শক্তির উদ্গমন হতে থাকে। এই পবিত্র মাসে অনেক তীর্থযাত্রী কাঁবড় যাত্রা আর অমরনাথ যাত্রা করেন, আবার কিছু লোক উপবাস করেন এবং জন্মাষ্টমী ও নাগপঞ্চমীর মতো উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন। এই সময়েই ভাই-বোনের ভালোবাসার উৎসব রাখীবন্ধনও পালন করা হয়। শ্রাবণ মাসের কথা যখন হচ্ছে, আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন এবারের অমরনাথ যাত্রায় গত চার বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি তীর্থযাত্রী অংশগ্রহণ করেছেন। ১লা জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি তীর্থযাত্রী পবিত্র অমরনাথ গুহার দর্শন করেছেন। ২০১৫ তে ৬০ দিন ধরে চলা এই যাত্রায় যত তীর্থযাত্রী অংশগ্রহণ করেছিলেন তার থেকেও বেশি তীর্থযাত্রী মাত্র ২৮ দিনে এবার সামিল হয়েছেন।

অমরনাথ যাত্রার সফলতার জন্য, আমি বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরের লোকেদের ও তাঁদের অতিথিপরায়ণতারও প্রশংসা করতে চাই। যাঁরা যাত্রা সেরে ফিরে এসেছেন, তাঁরা ওই রাজ্যের লোকেদের আদর যত্ন ও আতিথেয়তার উষ্ণ স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।এই সমস্ত বিষয় ভবিষ্যতে পর্যটনের উন্নতিতে সাহায্য করবে। আমাকে বলা হয়েছে উত্তরাখণ্ডেও এ বছর যেদিন থেকে চার ধাম যাত্রা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে দেড় মাসের মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি তীর্থযাত্রী কেদারনাথ ধাম দর্শন করেছেন। ২০১৩-তে বিশাল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর, প্রথম বার এত রেকর্ড সংখ্যায় তীর্থযাত্রী ওখানে পৌঁছেছেন।

আমার আপনাদের সবার প্রতি অনুরোধ, দেশের ওই সব অঞ্চলে আপনি অবশ্যই যান, যেখানকার সৌন্দর্য্য, বর্ষার সময় দেখতে চমৎকার লাগে। নিজের দেশের এই সৌন্দর্য্যকে দেখতে আর নিজের দেশের মানুষের আবেগকে বুঝতে, পর্যটন এবংতীর্থযাত্রা, মনে হয় এর থেকে বড় কোনো শিক্ষক হতে পারে না।

আমার আপনাদের সবার প্রতি শুভকামনা রইল যে, শ্রাবণের এই সুন্দর আর সজীব মাস আপনাদের সবার মধ্যে নতুন শক্তি, নতুন আশা এবং নতুন উদ্যমের সঞ্চার করুক। একই ভাবে অগাস্ট মাস ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের স্মৃতি বয়ে নিয়ে আসে। আমি চাই আপনারা ১৫-ই আগস্টের জন্য কিছু বিশেষ প্রস্তুতি নিন। স্বাধীনতার এই উৎসব পালনের জন্য এক নতুন পদ্ধতি খুঁজুন। আরও বেশি লোক অংশগ্রহণ করুক। ১৫-ইআগস্ট কি করে জনগণের উৎসব হতে পারে? এই চিন্তা আপনি নিশ্চয়ই করবেন। অন্য দিকে এটা সেই সময়, যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক জায়গায় দেশবাসী বন্যার কবলে পড়েছেন। বন্যার ফলে কত রকমের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়। বন্যার সংকটে থাকা সবাইকে আমি আশ্বস্ত করছি, যে কেন্দ্র, রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলে পীড়িত লোকেদের সবরকমের সাহায্য প্রদান করার কাজ অতি দ্রুত গতিতে করছে। আমরা যখন টিভি দেখি, একদিকে বর্ষাতে চার দিকে বন্যা, জল থই থই, ট্রাফিক জ্যাম। বর্ষার অন্য এক ছবি— যেখানে আনন্দ করছে আমাদের কৃষক, পাখির কলতান, ঝরনা বয়ে যাচ্ছে, সবুজের চাদর গায়ে বসুন্ধরা— এসব দেখতে আপনাকে পরিবারের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে পড়তে হবে। বৃষ্টি, সতেজতা আর খুশি অর্থাৎ Freshnessআর happiness দুটোকে এক সঙ্গেনিয়ে আসে।আমার কামনা – এই বর্ষা আপনাদের সবাইকে নিরন্তর খুশিতে ভরে দিক।আপনারা সবাই সুস্থ থাকুন।

আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’—কোথা থেকে শুরু করি, কোথায় থামি—বড় কঠিন কাজ মনে হয়, কিন্তু, সবশেষে সময়ের একটা সীমাথাকে।এক মাস অপেক্ষার পর আবার আসবো। আবার কথা হবে। সারা মাস ধরে আপনারা আমাকে অনেক কিছু কথা জানাতে থাকুন।আমি পরবর্তী ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সেগুলোকে সামিল করতে চেষ্টা করবো।আর আমার যুবা বন্ধুদের বলতে চাই quiz competition-এর সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। শ্রীহরিকোটা যাওয়ার যে সুযোগ এসেছে সেটা কোনো ভাবেই ছাড়বেন না।

আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ! নমস্কার!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
2024: A Landmark Year for India’s Defence Sector

Media Coverage

2024: A Landmark Year for India’s Defence Sector
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Governor of Maharashtra meets PM Modi
December 27, 2024

The Governor of Maharashtra, Shri C. P. Radhakrishnan, met Prime Minister Shri Narendra Modi today.

The Prime Minister’s Office handle posted on X:

“Governor of Maharashtra, Shri C. P. Radhakrishnan, met PM @narendramodi.”