আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আজ মন কি বাতের আরও এক পর্বের মাধ্যমে আমরা একত্রিত হচ্ছি। এটা ২০২২-এর প্রথম ‘মন কি বাত’। আজ আমরা এমন বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাব যা আমাদের দেশ আর দেশবাসীর সদর্থক প্রেরণা আর সামগ্রিক প্রয়াসের সঙ্গে জড়িত। আজ আমাদের পূজনীয় বাপু মহাত্মা গান্ধীজীর পুণ্যতিথিও বটে। ৩০শে জানুয়ারির এই দিন, আমাদের বাপুর শিক্ষাকে স্মরণ করায়। এই কিছুদিন আগেই আমরা সাধারণতন্ত্র দিবসও পালন করেছি। দিল্লীর রাজপথে আমরা দেশের শৌর্য আর সামর্থ্যের যে ঝলক দেখেছি তাতে সবার মন গর্ব আর উৎসাহে ভরে উঠেছে। একটা পরিবর্তন যা আপনারা লক্ষ্য করেছেন - তা হল এখন থেকে সাধারণতন্ত্র দিবসের সমারোহ ২৩শে জানুয়ারি অর্থাৎ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী থেকে শুরু হয়েছে আর ৩০শে জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ গান্ধীজির পুণ্যতিথি অবধি চলবে। ইণ্ডিয়া গেটে নেতাজির ডিজিটাল মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে। এই বিষয়টিকে পুরো দেশ যেভাবে স্বাগত জানিয়েছে, দেশের প্রত্যেক কোণে যেমন আনন্দের ঢেউ উঠেছে, প্রত্যেক দেশবাসী যেভাবে নিজের অনুভব ব্যক্ত করেছে তা আমরা কখনই ভুলতে পারি না।
বন্ধুরা, আজাদির অমৃত মহোৎসবে দেশ এইসব প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজের রাষ্ট্রীয় প্রতীক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে। আমরা দেখলাম যে ইণ্ডিয়া গেটের কাছে অমর জওয়ান জ্যোতি আর পাশেই ন্যশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখাকে এক করে দেওয়া হল। এই মর্মস্পর্শী অনুষ্ঠান উপলক্ষে কত না দেশবাসী আর শহীদের পরিবারের চোখ অশ্রুসিক্ত হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর থেকে শহীদ হওয়া দেশের প্রত্যেক বীরের নাম খোদিত হয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে। সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কিছু সমরকর্মী আমাকে চিঠি লিখে বলেছেন যে – ‘শহীদদের স্মৃতির সামনে প্রজ্জ্বলিত অমর জওয়ান জ্যোতি শহীদদের অমরত্বের প্রতীক’। সত্যিই, অমর জওয়ান জ্যোতির মতই অমর আমাদের শহীদরা, ওঁদের প্রেরণা আর ওঁদের অবদানও অমর। আমি আপনাদের সবাইকে বলব, যখনই সুযোগ পাবেন তখনই ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে অবশ্যই যাবেন। নিজের পরিবার আর সন্তানদেরও অবশ্যই নিয়ে যাবেন। এখানে আপনি এক ভিন্ন শক্তি আর প্রেরণার অনুভব লাভ করবেন।
বন্ধুরা, অমৃত মহোৎসবের এই সব অনুষ্ঠানের মাঝে দেশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও প্রদান করা হয়েছে। একটি হল, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার’। এই পুরস্কার সেই সব শিশুরা পেল, যারা অল্প বয়সেই সাহসী আর প্রেরণাদায়ক কাজ করেছে। এই সব শিশুদের ব্যাপারে আমাদের সবার নিজেদের বাড়িতে জানানো উচিত। এতে আমাদের সন্তানরাও প্রেরণা পাবে আর তাদের ভেতরে দেশের নাম উজ্জ্বল করার উৎসাহ তৈরি হবে। দেশে সম্প্রতি পদ্ম সম্মানও ঘোষণা করা হয়েছে। পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে এমন অনেক নাম আছে যাঁদের সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। এঁরা আমাদের দেশের আনসাঙ হিরোজ তথা অনামী বীর , যাঁরা সাধারণ পরিস্থিতির মধ্যেও অসাধারণ কাজ করেছেন। যেমন উত্তরাখণ্ডের বাসন্তী দেবীজী-কে পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। বাসন্তী দেবী নিজের গোটা জীবন সংগ্রামের মধ্যে কাটিয়েছেন। অল্প বয়সেই তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়, আর তিনি একটি আশ্রমে থাকতে শুরু করেন। এখানে থেকে তিনি নদী বাঁচানোর জন্য লড়াই করেন আর পরিবেশ বাঁচাতে অসাধারণ অবদান রাখেন। তিনি মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্যও অনেক কাজ করেছেন। এভাবেই মণিপুরের সাতাত্তর বর্ষীয় লৌরেম্বম বীণো দেবী বহু দশক ধরে মণিপুরের লিবা টেক্সটাইল আর্টের সংরক্ষণ করছেন। তাঁকেও পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের অর্জুন সিং পদ্ম সম্মান পেয়েছেন বৈগা আদিবাসী নৃত্যকলাকে পরিচিত করানোর জন্য। পদ্ম সম্মান প্রাপক আর এক ব্যক্তি হলেন শ্রীমান অমাই মহালিঙ্গা নাইক। ইনি একজন কৃষক এবং কর্ণাটকের অধিবাসী। তাঁকে কেউ কেউ টানেল ম্যানও বলেন। ইনি চাষের ক্ষেত্রে এমন সব উদ্ভাবন করেছেন যা দেখে যে কেউ বিস্মিত হবেন। তাঁর প্রচেষ্টার অনেক বড় সুবিধা ছোট কৃষকরা পেয়েছেন। এমন আরও অনেক আনসাঙ হিরোজ রয়েছেন, দেশের জন্য অবদানের কারণে যাঁদের সম্মানিত করা হয়েছে। আপনারা অবশ্যই এঁদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। জীবনে অনেক কিছু শেখার রয়েছে এঁদের কাছ থেকে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে আপনারা সবাই আমাকে প্রচুর চিঠি আর বার্তা পাঠান, অনেক সুপারিশও পাঠান। এই ধারাবাহিকতার মধ্যেই এমন কিছু ঘটেছে যা আমার জন্য অবিস্মরণীয়। এক কোটিরও বেশি শিশু নিজের ‘মন কি বাত’ পোস্ট কার্ডের মাধ্যমে আমাকে লিখে পাঠিয়েছে। এই এক কোটি পোস্ট কার্ড দেশের আলাদা-আলাদা অংশ থেকে এসেছে, বিদেশ থেকেও এসেছে। সময় বার করে এরই মধ্য থেকে আমি অনেক পোস্টকার্ড পড়ার চেষ্টা করেছি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মের চিন্তাভাবনা যে কত ব্যাপক এবং বিস্তৃত, তা এই পোস্টকার্ডের মধ্যে ধরা পড়ে। আমি 'মন কি বাত' এর শ্রোতাদের জন্য বেশ কিছু পোস্ট কার্ড বাছাই করে রেখেছি যা আমি আপনাদের জানাতে চাই। যেমন এটি আসামের গুয়াহাটির ঋদ্ধিমা স্বর্গিয়ারির পোস্টকার্ড। ঋদ্ধিমা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। সে লিখেছে যে সে স্বাধীনতার শতবর্ষে এমন এক ভারত দেখতে চায় যা বিশ্বের মধ্যে স্বচ্ছতম, সন্ত্রাসবাদ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত, ১০০% শিক্ষিত দেশ, দুর্ঘটনামুক্ত দেশ, এবং স্থিতিশীল প্রযুক্তির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। ঋদ্ধিমা, আমাদের মেয়েরা যা ভাবে, দেশের জন্য যে স্বপ্ন দেখে তা পূর্ণ হবেই। যখন সকলের প্রচেষ্টা যুক্ত হবে, আপনাদের মত তরুণ প্রজন্ম সেই লক্ষ্যে কাজ করবে, তখন আপনার ভারত সেরকম ভাবেই গড়ে উঠবে, ঠিক যেমন আপনি চান। একটি পোস্ট কার্ড আমি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের নব্যা ভার্মার কাছ থেকে পেয়েছি। নব্যা লিখেছেন -তার স্বপ্ন ২০৪৭ সালে এমন এক ভারত যেখানে প্রত্যেকে সসম্মানে জীবন ধারণ করতে পারেন, যেখানে কৃষকরা সমৃদ্ধ এবং কোন দুর্নীতি নেই। নব্যা দেশের জন্য আপনার স্বপ্ন খুবই প্রশংসনীয়। দেশও সেই দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আপনি দুর্নীতিমুক্ত ভারতের কথা বলেছেন। দুর্নীতি দেশকে ঘুণের মত ফাঁপা করে দেয়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব কেন? আমাদের সকল দেশবাসীকে, আজকের তরুণ প্রজন্মকে একযোগে এই কাজ করতে হবে, দ্রুত করতে হবে এবং এর জন্য আমাদের কর্তব্যকে প্রাধান্য দেওয়া খুবই জরুরি; এটাই কর্তব্যবোধ। যেখানে কর্তব্য সর্বাগ্রে, সেখানে দুর্নীতির কোনো স্থান নেই।
বন্ধুরা, আমার সামনে আরো একটি পোস্ট কার্ড রয়েছে চেন্নাইয়ের মোহাম্মদ ইব্রাহিমের। ইব্রাহিম ২০৪৭ সালে ভারতকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় শক্তি হিসেবে দেখতে চান। তিনি চান চাঁদে ভারতের নিজস্ব গবেষণা কেন্দ্র তৈরি হোক এবং ভারত মঙ্গলে মানুষের বসতি স্থাপনের কাজ শুরু করুক। একই সঙ্গে, পৃথিবীকে দূষণমুক্ত করতে ভারতকেও বড় ভূমিকায় দেখতে চান ইব্রাহিম। ইব্রাহিম, আপনাদের মতো তরুণ যে দেশে রয়েছে, সেই দেশের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।
বন্ধুরা, আমার সামনে আরো একটি চিঠি রয়েছে। পাঠিয়েছে মধ্যপ্রদেশের রায়সেন থেকে সরস্বতী বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ভাবনা। প্রথমেই আমি ভাবনাকে বলব যে আপনি যেভাবে ভারতের পতাকা এঁকে পোস্ট কার্ড সাজিয়েছেন তা আমার খুব ভালো লেগেছে। বিপ্লবী শিরীষ কুমার সম্পর্কে লিখেছেন ভাবনা।
বন্ধুরা, আমি গোয়ার লরেন্সিয়া পেরেরার পোস্টকার্ডও পেয়েছি। তিনি দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। তার চিঠিরও বিষয় - স্বাধীনতার না জানা নায়ক। আমি তর্জমা করে আপনাদের বলছি। তিনি লিখেছেন - "ভিকাজি কামা ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত সাহসী নারীদের মধ্যে অন্যতম। মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য তিনি দেশে-বিদেশে বহু প্রচার অভিযান চালিয়েছেন। অনেক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। অবশ্যই ভিকাজি কামা ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম বীরাঙ্গনা। ১৯৬০ সালে, তিনি জার্মানিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এই পতাকা ডিজাইনে যে ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেছিলেন, তিনি শ্রী শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মা। শ্রী শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মাজি ১৯৩০ সালে জেনেভায় দেহত্যাগ করেন। তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল, ভারতের স্বাধীনতার পর তাঁর অস্থি ভারতে আনা হোক। যদিও ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরপরই তাঁর অস্থি ভারতে ফিরিয়ে আনা উচিত ছিল, কিন্তু সে কাজ হয়নি। হয়তো পরমাত্মা চেয়েছিলেন এই কাজ আমি করি এবং আমিও সেই কাজ করার সৌভাগ্য লাভ করেছি। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, ২০০৩ সালে তাঁর অস্থি ভারতে আনা হয়েছিল। শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মাজির জন্মস্থান, কচ্ছের মান্ডভিতে, তাঁর স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধও তৈরি করা হয়েছে।
বন্ধুরা, ভারতের স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের উৎসাহ শুধু আমাদের দেশেই সীমাবদ্ধ নেই। আমি ভারতের মিত্র-দেশ ক্রোয়েশিয়া থেকেও ৭৫টি পোস্টকার্ড পেয়েছি। ক্রোয়েশিয়ার জাগ্রেবের স্কুল অফ অ্যাপ্লাইড আর্টস অ্যান্ড ডিজাইনের শিক্ষার্থীরা এই ৭৫টি কার্ড ভারতের জনসাধারণের উদ্দেশে পাঠিয়েছেন এবং অমৃত মহোৎসবের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। সকল দেশবাসীর পক্ষ থেকে আমি ক্রোয়েশিয়া এবং তার জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানাই।
আমার প্রিয় দেশবাসী, চিরকালই ভারত জ্ঞান ও শিক্ষার তপভূমি। 'শিক্ষা'কে আমরা বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখিনি; বরং তাকে জীবনের সামগ্রিক অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখেছি। আমাদের দেশের প্রণম্য ও মহান ব্যক্তিদের সঙ্গেও শিক্ষার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পন্ডিত মদনমোহন মালব্যজি যেমন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ঠিক তেমনই মহাত্মা গান্ধী "গুজরাট বিদ্যাপীঠ" প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। গুজরাটের 'আনন্দ'-এ 'বল্লভ বিদ্যানগর' বলে একটা ভারী সুন্দর জায়গা আছে। সর্দার প্যাটেলের ইচ্ছায়, 'ভাই কাকা' ও 'ভিকা ভাই' নামে তার দুই সহযোগী সেখানে তরুণদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছিলেন। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শান্তিনিকেতনের প্রতিষ্ঠা করেন। মহারাজা গায়কোয়াড়-ও প্রবল শিক্ষানুরাগীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছিলেন এবং ডক্টর অম্বেদকর ও শ্রী অরবিন্দ সহ বহু প্রণম্য ব্যক্তিকে উচ্চশিক্ষার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এই মহান ব্যক্তিদের তালিকায় আরও একটি নাম হলো রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং জী । রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং জি, একটা কারিগরি স্কুল তৈরীর জন্য নিজের বাড়ি দান করেছিলেন। তিনি আলীগড় এবং মথুরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরীর জন্য অনেক আর্থিক সাহায্যও করেছিলেন। কিছুদিন আগে, তাঁর নামে আলীগড়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আমি আনন্দিত কারণ শিক্ষার আলো প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সেই প্রাণবন্ত ভাবনা ভারতে আজও রয়ে গেছে। আপনারা কি জানেন এই চিন্তাধারার সবচেয়ে সুন্দর দিকটি কী? তা হলো, শিক্ষার বিষয়ে এই সচেতনতা সমাজের প্রতিটি স্তরেই দেখা যাচ্ছে। তামিলনাড়ুর, তিরুপ্পুর জেলার উদুমলপেট ব্লকের বাসিন্দা তায়ম্মল-জী'র উদাহরণ ভীষণ-ই উৎসাহিত করার মত। তায়ম্মল-জী'র নিজের কোন জমিজমা নেই। বহু বছর ধরে তার পরিবার ডাবের জল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আর্থিক অবস্থা ভালো না হলেও, তায়ম্মল-জী' তার ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার জন্য কোন প্রচেষ্টার ত্রুটি রাখেনি। তাঁর সন্তানেরা চিন্নবীরমপট্টী পঞ্চায়েত ইউনিয়ন মিডিল স্কুলে পড়তো। এমনই একদিন স্কুলে অভিভাবকদের সঙ্গে মিটিং-এর সময় কথা ওঠে, স্কুলের অবস্থা ও শ্রেণীকক্ষগুলোর সংশোধন প্রয়োজন, স্কুলের পরিকাঠামো ঠিক করা প্রয়োজন। তায়ম্মল-জী'ও সেই মিটিং-এ ছিলেন। তিনি সবকিছু শোনেন। সেই বৈঠকের আলোচনা একটা সময় অর্থাভাবের কারণে আটকে যায়। তারপর তায়ম্মলজী যা করেন তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। যে তায়ম্মলজী ডাবের জল বিক্রি করে সামান্য পুঁজি জমা করেছিলেন, সেই মানুষটিই 'এক লক্ষ' টাকা স্কুলের জন্য দান করেন। সত্যিই, এমন কাজ করার জন্য অনেক বড় হৃদয়ের প্রয়োজন, সেবা করার মতো মানসিকতার প্রয়োজন। তায়ম্মলজীর কথায় এখন স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়, কিন্তু পরিকাঠামো ভালো হলে উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পর্যন্ত পড়ানো শুরু হবে। শিক্ষাকে নিয়ে আমাদের দেশের ঠিক এই চিন্তাধারার বিষয়টিই আমি আলোচনা করছিলাম। আইআইটি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীর ঠিক এরকমই একটি দান সম্পর্কে আমি জানতে পেরেছি। আইআইটি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র জয় চৌধুরী আইআইটি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাউন্ডেশনকে এক মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা দান করেছেন।
বন্ধুরা, আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহু মানুষ আছেন, যারা অন্যের সহায়তা করে সমাজের প্রতি তাদের কর্তব্য পালন করছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই ধরনের প্রচেষ্টা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে আমাদের বিভিন্ন আইআইটি'তে প্রায়শই -ই দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও এই ধরনের অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণের কমতি নেই। এই ধরনের প্রচেষ্টা যাতে আরো বাড়ে সেজন্য গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের দেশে বিদ্যাঞ্জলি অভিযানও শুরু হয়েছে। এর উদ্দেশ্য আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নিজস্ব অঞ্চলের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশজুড়ে স্কুল শিক্ষার গুণগত মান ভালো করা। বিদ্যাঞ্জলি সমষ্টিগত অংশীদারিত্ব এবং মালিকানার মনস্তত্ত্বকে প্রসারিত করছে। নিজের স্কুল কলেজের সঙ্গে সব সময় যুক্ত থাকা, নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী সেখানে কিছু অবদান রাখা ইত্যাদি, এ হল এমন একটি বিষয় যার আনন্দ এবং পরিতৃপ্তি একমাত্র অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়েই লাভ করা যায়।
আমার প্রিয় দেশবাসী, প্রকৃতি প্রেম ও জীবের প্রতি সহানুভূতি আমাদের সংস্কৃতি এবং সহজাত অভ্যেস। আমাদের সেই সংস্কারেরই এক ঝলক সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল, যখন মধ্যপ্রদেশের পাঞ্চ ব্যাঘ্র প্রকল্পে এক বাঘিনী পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেয়। এই বাঘিনীটিকে লোকে কলার ওয়ালি বাঘিনী বলতো। বন বিভাগ এর নাম দিয়েছিল T-15। এই বাঘিনীর মৃত্যু মানুষকে এতটা আবেগপ্রবণ করেছিল যেন তাদের কোন স্বজন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তারা প্রথামাফিক বাঘিনীর শেষকৃত্য করেছেন, তাকে পূর্ণ সম্মান ও ভালোবাসার সঙ্গে চিরবিদায় জানিয়েছেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনারাও নিশ্চয়ই দেখেছেন। প্রকৃতি ও জীবজন্তুর প্রতি আমাদের, ভারতবাসীর এই ভালোবাসা সারা দুনিয়ায় অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। কলারওয়ালি বাঘিনী জীবদ্দশায় ২৯টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল ও ২৫টিকে লালন পালন করে বড়ও করেছিল। আমরা এই T-15 এর জীবনকেও উদযাপিত করেছি, আবার দুনিয়া ছেড়ে যাওয়ার সময়ও তাকে আবেগপূর্ণ শেষ বিদায় জানিয়েছি। এটাই তো ভারতবাসীর মহৎ বৈশিষ্ট্য। আমরা সকল জীবজন্তুর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করে নিই। এমনই একটি দৃশ্য এবছর সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডেও আমরা দেখতে পেয়েছি। এই প্যারেডে রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীর চার্জার ঘোড়া বিরাট শেষ বারের মতো অংশগ্রহণ করেছে। বিরাট ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপতি ভবনে এসেছিল এবং প্রতিটি সাধারণতন্ত্র দিবসে কমান্ড্যান্ট চার্জার হিসেবে কুচকাওয়াজকে নেতৃত্ব দিত। যখন কোন বিদেশী রাষ্ট্রনায়ককে রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাগত জানানো হতো তখনো সে নিজের দায়িত্ব পালন করত। এবছর আর্মি ডে-র দিন বিরাটকে সেনাপ্রধান সিওএএস কমেন্ডেশন কার্ডও দিয়েছেন। বিরাটের এই বিরাট সেবা ও অবদান দেখে ওর অবসরের পর ততটাই আড়ম্বরের সঙ্গে তাকে বিদায় জানানো হয়েছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, যখন একনিষ্ঠ হয়ে চেষ্টা করা হয়, সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা হয় তখন তার ফলও পাওয়া যায়। এর এক উত্তম উদাহরণ সামনে এসেছে, অসম থেকে। অসমের নাম বললেই সেখানকার চা বাগান আর বহু সংখ্যক জাতীয় উদ্যানের কথা মনে পড়ে। তার সঙ্গে একশৃঙ্গ গন্ডার অর্থাৎ ওয়ান হর্ন রাইনোর ছবিও আমাদের মনে ভেসে ওঠে। আপনারা সবাই জানেন যে একশৃঙ্গ গন্ডার সর্বদাই অসমীয়া সংস্কৃতির অংশ হয়ে রয়েছে। ভারতরত্ন ভূপেন হাজারিকাজির বিখ্যাত গান প্রত্যেকের কানেই গুঞ্জরিত হয়েছে নিশ্চয়ই ।
বন্ধুরা, এই গানের অর্থ অত্যন্ত সুসংগত। এই গানে বলা হয়েছে, কাজিরাঙ্গার ঘন সবুজ পরিবেশ, হাতি আর বাঘের বাসস্থান, একশৃঙ্গ গন্ডারের পৃথিবী দেখো, পাখিদের মধুর কলকাকলি শোনো। অসমের বিশ্ব বিখ্যাত হাতে বোনা মুগা এবং এন্ডির পোশাকেও গন্ডারের আকৃতি দেখা যায়। অসমীয়া সংস্কৃতিতে যে গন্ডারের এত বড় মহিমা, তাকেও সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ২০১৩ সালে ৩৭টি ও ২০১৪ তে ৩২ টি গন্ডারকে চোরাশিকারিরা হত্যা করেছিল। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে গত ৭ বছর ধরে অসম সরকার বিশেষ প্রয়াসের মাধ্যমে গন্ডার শিকারের বিরুদ্ধে এক বিরাট বড় অভিযান চালিয়ে গিয়েছেন। গত ২২শে সেপ্টেম্বর “বিশ্ব গন্ডার দিবস” উপলক্ষে চোরা শিকারিদের থেকে উদ্ধার হওয়া ২৪০০টিরও বেশি শিং জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটি চোরা শিকারিদের প্রতি এক কঠোর বার্তা ছিল। এমন বিভিন্ন প্রয়াসের ফলে এখন অসমে গন্ডার শিকারের ঘটনা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। যেখানে ২০১৩ তে ৩৭ টি গন্ডার মারা গিয়েছিল, সেখানে ২০২০-তে দুটি এবং ২০২১এ মাত্র একটি গন্ডার শিকারের ঘটনা সামনে এসেছে। আমি গন্ডার রক্ষার জন্য অসমবাসীর সংকল্পের প্রশংসা করছি।
বন্ধুরা, ভারতীয় সংস্কৃতির বহুবিধ রং ও আধ্যাত্মিক শক্তি সবসময়ই সারা পৃথিবীর মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। যদি আমি আপনাদের বলি যে ভারতীয় সংস্কৃতি আমেরিকা, কানাডা, দুবাই, সিঙ্গাপুর, পশ্চিম ইউরোপ এবং জাপানে খুবই জনপ্রিয়, তাহলে একথা আপনাদের খুবই সামান্য মনে হবে। আপনারা খুব একটা বিচলিত হবেন না। কিন্তু যদি আমি এটা বলি যে লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকাতেও ভারতীয় সংস্কৃতির আকর্ষণ প্রবল তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই একবার ভেবে দেখবেন। মেক্সিকোতে খাদির ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার কথাই হোক কিংবা ব্রাজিলে ভারতীয় পরম্পরাকে জনপ্রিয় করার প্রয়াস - "মন কি বাত" এ এই বিষয়গুলি নিয়ে আমরা আগে আলোচনা করেছি। আজ আমি আপনাদের আর্জেন্টিনায় উড্ডীয়মান ভারতীয় সংস্কৃতির ধ্বজার বিষয়ে বলব। আর্জেন্টিনায় আমাদের সংস্কৃতি খুবই জনপ্রিয়। ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনায় যাওয়ার সময় আমি যোগের কার্যক্রম - "যোগা ফর পিস্" এ অংশগ্রহণ করেছিলাম। আর্জেন্টিনায় একটি সংস্থা আছে "হস্তিনাপুর ফাউন্ডেশন"। আপনারা শুনে আশ্চর্য হচ্ছেন না, কোথায় আর্জেন্টিনা আর সেখানেও হস্তিনাপুর ফাউন্ডেশন! এই ফাউন্ডেশন আর্জেন্টিনায় ভারতীয় বৈদিক পরম্পরা প্রসারের সঙ্গে যুক্ত। ৪০ বছর আগে এক ম্যাডাম, প্রফেসর এডা অ্যালব্রেখট এটি স্থাপন করেন। আজ প্রফেসর এডা অ্যালব্রেখট এর বয়স ৯০ হতে চলেছে।
ভারতের সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ কিভাবে হয় তাও খুব মজাদার। যখন ওঁর বয়স ১৮, তখন প্রথমবার ভারতীয় সংস্কৃতির শক্তির সঙ্গে ওঁর পরিচয় হয়। উনি ভারতে দীর্ঘ সময় কাটান। ভগবত গীতা, উপনিষদ সম্বন্ধে গভীরে পড়াশোনা করেন। আজ হস্তিনাপুর ফাউন্ডেশনে ৪০ হাজারেরও বেশি সদস্য আর আর্জেন্টিনা ও অন্য লাতিন আমেরিকার দেশে এর প্রায় ৩০ টি শাখা রয়েছে। হস্তিনাপুর ফাউন্ডেশন স্প্যানিশ ভাষায় একশোরও বেশি বৈদিক ও দার্শনিক গ্রন্থ প্রকাশ করেছে। এদের আশ্রমও খুবই মনোগ্রাহী। আশ্রমে বারোটি মন্দির তৈরী করানো হয়েছে যেখানে ওদের দেবদেবীদের মূর্তি আছে। এই সবকিছুর কেন্দ্রে আছে এমন এক মন্দির যা অদ্বৈতবাদী ধ্যানের জন্য বানানো হয়েছে।
বন্ধুরা, এরকম শ’য়ে শ’য়ে উদাহরণ এটাই বলে যে আমাদের সংস্কৃতি শুধু আমাদের জন্যই নয় বরং সমগ্র পৃথিবীর জন্য একটি অমূল্য ঐতিহ্য। সারা দুনিয়ার লোক এই ব্যাপারে জানতে চায়, বুঝতে চায়, উপলব্ধি করতে চায়। আমাদেরও পুরো দায়িত্বে নিয়ে নিজেদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে নিজেদের জীবনের অংশ বানাতে হবে, জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি এখন আপনাদের, বিশেষ করে তরুণদের একটি প্রশ্ন করতে চাই। আচ্ছা ভাবুনতো আপনি একবারে কতগুলি পুশ-আপ করতে পারেন। আমি এখন আপনাদের যা বলতে চলেছি, তা নিশ্চিত রূপে আপনাদের অবাক করে দেবে। মণিপুরে ২৪ বছরের যুবক থোউনাওজম নিরঞ্জায় সিং ১ মিনিটে ১০৯টি পুশ-আপের রেকর্ড গড়েছেন। নিরঞ্জয় সিং এর জন্য রেকর্ড ভাঙ্গা কোনো নতুন ব্যাপার নয়। এর আগেও তিনি এক মিনিটে এক হাতের সাহায্যে সবচেয়ে বেশি নাকল্ পুশ-আপ-এর রেকর্ড গড়েছেন। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস যে, নিরঞ্জয় সিং-কে দেখে আপনারা অনুপ্রাণিত হবেন আর শারীরিক ফিটনেসকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ করে তুলবেন।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সঙ্গে লাদাখের একটি এমন তথ্য ভাগ করে নিতে চাই, যার সম্পর্কে শুনে আপনার নিশ্চয়ই গর্ববোধ হবে। লাদাখ তাড়াতাড়িই একটি চমৎকার ওপেন সিন্থেটিক ট্র্যাক আর অ্যাস্ট্রো টার্ফ ফুটবল স্টেডিয়াম উপহার পেতে চলেছে। এই স্টেডিয়াম ১০ হাজার ফিট এরও বেশি উচ্চতায় তৈরি হচ্ছে। আর তার নির্মাণ খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এটি লাদাখের সবথেকে বড় ওপেন স্টেডিয়াম হবে যেখানে ৩০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসতে পারবেন। লাদাখের এই আধুনিক ফুটবল স্টেডিয়ামে একটি ৮ লেন যুক্ত সিন্থেটিক ট্র্যাকও হবে। এছাড়াও এখানে ১০০০ শয্যার একটি হোস্টেলও তৈরি হবে। আপনাদের এটা জেনেও ভালো লাগবে যে এই স্টেডিয়ামকে ফুটবলের সব থেকে বড় সংস্থা ফিফা শংসায়িত করেছে। যখনই ক্রীড়াজগতে এরকম কোন বড় পরিকাঠামো তৈরি হয় তখন তা দেশের তরুণদের জন্য সুযোগ নিয়ে আসে। তার সঙ্গে যেখানে এই ব্যবস্থা হয় সেখানে দেশের মানুষের যাতায়াতও লেগে থাকে। পর্যটন উৎসাহিত হয় আর রোজগারের অনেক সুযোগ তৈরি হয়। এই স্টেডিয়ামের জন্য লাদাখের অনেক যুবক লাভবান হবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’ এ এইবারও আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছি। আরো একটি বিষয় আছে, যা এই সময় সবারই মনে আছে আর তা হলো করোনা। করোনার নতুন ওয়েভকে ভারত অনেক সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করছে, আর গর্বের বিষয় হলো যে এখনো অবধি প্রায় সাড়ে চার কোটি কিশোর-কিশোরীও করোনা টিকার ডোজ নিয়ে নিয়েছে। এর অর্থ এই যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যেই টিকা নিয়ে নিয়েছেন। এতে শুধুমাত্র আমাদের যুব সম্প্রদায় রক্ষা পাবে তাই নয়, তাদের পড়াশোনাও চালিয়ে যেতে পারবে। আরেকটি ভালো কথা এই যে কুড়ি দিনের মধ্যে এক কোটি মানুষ সতর্কতামূলক ডোজ ও নিয়ে নিয়েছেন। আমাদের দেশের টিকার ওপর দেশবাসীর আস্থা আমাদের অনেক বড় শক্তির কারণ। এখন তো করোনা সংক্রমনের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে; যেটা একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। মানুষ সুরক্ষিত থাকুক, দেশের আর্থিক গতিবিধির দ্রুততা বজায় থাকুক, এটা প্রত্যেক দেশবাসীরই কামনা। আর আপনারা তো জানেনই যে “মন কি বাত”-এ কিছু কথা না বলে আমি থাকতেই পারিনা। যেরকম স্বচ্ছতা অভিযান কে আমাদের ভুললে চলবেনা, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযানে আমাদের আরও গতি আনতে হবে, ভোকাল ফর লোকাল এর মন্ত্র হলো আমাদের দায়িত্ব, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের জন্য মনে প্রাণে আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। আমাদের সবার প্রচেষ্টায় দেশ বিকাশের নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। এই কামনার সঙ্গে আজ আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
In the last few days, our nation has marked Republic Day.
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
We also witnessed a special programme on the 23rd, which was the Jayanti of Netaji Bose. #MannKiBaat pic.twitter.com/ALuGrXMQVL
Remembering those who sacrificed their lives for our nation. #MannKiBaat pic.twitter.com/DJgoBgYode
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
This is also a month in which various awards have been conferred. The life journeys of the various awardees inspire every Indian. #MannKiBaat pic.twitter.com/cBZMp1XwzL
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
Each and every Padma awardee has made rich contributions to our nation and society. #MannKiBaat pic.twitter.com/fzEzTIBR1r
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
As a part of Azadi Ka Amrit Mahotsav, PM @narendramodi has received over a crore post cards from youngsters.
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
These youngsters have shared their views on how India must be also also remembered our great freedom fighters. #MannKiBaat pic.twitter.com/QNLi0DUE8i
Among the postcards received, a group of students from Croatia also wrote to PM @narendramodi. #MannKiBaat @India_Croatia pic.twitter.com/zHkCmQDp4o
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
Look back at our history and we will see so many individuals who have been associated with education. They have founded several institutions.
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
We are also seeing Indians across all walks of life contribute resources so that others can get the joys of education. #MannKiBaat pic.twitter.com/E0srXXueO5
A glimpse of how India respects flora and fauna can be seen from a recent happening in Madhya Pradesh. #MannKiBaat pic.twitter.com/eSfuzj8UqE
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
Yet another reason why Republic Day this year was memorable. #MannKiBaat pic.twitter.com/5Z5s0EoTZY
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
PM @narendramodi congratulates the people of Assam for showing the way when it comes to animal conservation through collective efforts. #MannKiBaat pic.twitter.com/OwTbgYr0S1
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
This effort in Argentina, aimed at popularising Indian culture, will make you very happy. #MannKiBaat pic.twitter.com/KTIqi4TJbg
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
From Manipur to Ladakh, sports is widely popular.
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
Let us keep this momentum and encourage a culture of fitness. #MannKiBaat pic.twitter.com/zn1NfyvWsI
PM @narendramodi once again emphasised on taking all possible COVID-19 precautions and urged all those eligible to get vaccinated.
— PMO India (@PMOIndia) January 30, 2022
It is important to defeat COVID and ensure economic progress. #MannKiBaat pic.twitter.com/UkR7VfzkgV