Let us make ‘vocal for local’ our New Year resolution: PM
Mann Ki Baat: PM Modi pays rich tributes to Sikh Gurus for their valour and sacrifice
Matter of pride that number of leopards have increased in the country: PM
The ‘can do approach’ and ‘will do spirit’ of India’s youth is inspiring: PM
GI tag recognition for Kashmir’s Kesar is making it popular brand on global map: PM
As long as there is curiosity, one is inspired to learn: PM Eliminating single use plastic should also be one of the resolution of 2021: PM

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আজ, সাতাশে ডিসেম্বর। আর মাত্র চারদিন বাদেই ২০২১ আরম্ভ হতে চলেছে। আজকের ‘মন কী বাত’, এক অর্থে ২০২০ র শেষ ‘মন কী বাত’। এর পরের ‘মন কী বাত’, ২০২১-এ হবে। বন্ধুরা, আমার সামনে আপনাদের পাঠানো অসংখ্য চিঠি রয়েছে। মাই গভ এ আপনারা যে সমস্ত প্রস্তাব পাঠান, সেগুলোও আমার সামনে রয়েছে। বহু মানুষ ফোন করে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। বেশীরভাগ বক্তব্যেই এই বছরের অভিজ্ঞতা, তাঁদের উপলব্ধি এবং ২০২১ এ তাঁদের সঙ্কল্পের কথা রয়েছে। কোলহাপুর থেকে অঞ্জলীজি লিখেছেন নতুন বছরে আমরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাই, অভিনন্দন জানাই। এবার আমরা একটা নতুন কাজ করি আমাদের দেশকেও শুভেচ্ছা জানাই, অভিনন্দন জানাই। অঞ্জলীজি, সত্যি খুব ভাল ভাবনা। আমাদের দেশ ২০২১শে সাফল্যের নতুন শিখর স্পর্শ করুক, দুনিয়ায় ভারতের পরিচিতি আরও গৌরবমণ্ডিত হোক, এর চেয়ে বেশী আমরা আর কী চাইতে পারি।

বন্ধুরা, নমো অ্যাপে মুম্বাই এর অভিষেকজি একটি মেশেজ পোস্ট করেছেন, লিখেছেন ২০২০ যা যা আমাদের দেখালো, যা যা শেখালো, তা কোনোদিন কেউ ভাবেনি। করোনা সংক্রান্ত আরও অনেক কথা উনি লিখেছেন। এই সমস্ত চিঠি ও বার্তাগুলীতে একটা ‘কমন’ বিষয় আমার নজরে এসেছে যেটা আপনাদের সঙ্গে আমি ভাগ করে নিতে চাই। অধিকাংশ চিঠিপত্রে লোকে দেশের সামর্থ্য, দেশবাসীর সামগ্রিক শক্তির প্রশংসা করেছেন। যেভাবে জনতা কারফিউর মত অভিনব প্রয়াস গোটা বিশ্বের জন্য প্রেরণাদায়ক হয়ে ছিল, যেভাবে থালা-হাত-তালি বাজিয়ে আমাদের দেশবাসী করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়েছিল, ঐক্যবদ্ধতা দেখিয়েছিল, অনেকেই এই বিষয়গুলিকে মনে রেখেছেন।

বন্ধুরা, দেশের আপামর জনসাধারণ এই পরিবর্তনকে অনুভব করেছেন। আমি দেশে আশার এক অদ্ভুত প্রবাহ অনুভব করেছি। অনেক বাধা বিপত্তি এসেছে, বহু বিপদ এসেছে। করোনার কারণে দুনিয়ায় সরবরাহ শৃঙ্খল নিয়ে অনেক সমস্যা তৈরি হয় কিন্তু আমরা এই সব বাধা থেকে নতুন শিক্ষা লাভ করেছি। দেশ এক নতুন ক্ষমতার উদ্ভব হয়েছে। তাকে এককথায় বলা যেতে পারে ‘আত্মনির্ভরতা’।

বন্ধুরা, দিল্লীবাসী অভিনব ব্যানার্জী আমাকে নিজের যে অভিজ্ঞতার কথা লিখে পাঠিয়েছেন, তা আমার খুবই চমকপ্রদ লেগেছে। অভিনবজিকে নিজের আত্মীয় পরিজনের বাচ্চাদের উপহার দেওয়ার জন্য কিছু খেলনা কিনতে হত, তাই তিনি দিল্লীর ঝন্ডেবালান বাজারে গিয়েছিলেন।আপনারা অনেকে হয়ত জানেন, দিল্লীর এই বাজার সাইকেল এবং খেলনার জন্য বিখ্যাত। আগে ওখানে দামী খেলনা মানেই ছিল আমদানী করা খেলনা। এমনকী সস্তা খেলনাও বাইরে থেকে আসত। কিন্তু, অভিনবজি আমাকে চিঠিতে জানিয়েছেন যে এখন ওখানকার অনেক দোকানদার ক্রেতাদের এই বলে খেলনা বিক্রি করছেন যে ভাল খেলনা মানে ভারতে তৈরি, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ খেলনা। ক্রেতাদের মধ্যেও ইন্ডিয়া মেড খেলনারই চাহিদা দেখা যাচ্ছে। মানুষের চিন্তা ভাবনার যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে এ হল তার জাজ্বল্যমান উদাহরণ। দেশবাসীর চিন্তাধারায় বিরাট পরিবর্তন এসেছে, তাও মাত্র এক বছরে। এই পরিবর্তনের হিসেব কষা সহজ নয়। অর্থনীতিবিদরাও নিজেদের মাপদন্ডে এর ওজন করতে পারবেন না।

বন্ধুরা, আমাকে বিশাখাপত্তনম থেকে ভেঙ্কট মুরলীপ্রসাদ যা লিখে পাঠিয়েছেন, তাতে এক সম্পূর্ণ অন্য ধারণা পেলাম। ভেঙ্কটজি লিখেছেন, আমি আপনাকে টোয়েণ্টী, টোয়েণ্টীওয়ান এর জন্য, দু হাজার একুশের জন্য আমার আমার এবিসি অ্যাটাচ করে পাঠালাম। আমি বুঝতে পারিনি, এবিসি মানে উনি কি বলতে চাইছেন। আমি দেখি ভেঙ্কটজি তার চিঠির সাথে একটি চার্টও অ্যাটাচ করে পাঠিয়েছেন। আমি চার্টটা দেখে বুঝতে পারি এবিসি মানে আত্মনির্ভর ভারত চার্ট। এটি খুবই চমকপ্রদ ব্যাপার। ভেঙ্কটজী সেই সমস্ত জিনিসের লিস্ট তৈরি করেছেন যা উনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে ইলেকট্রনিকস, স্টেশনারী, সেলফ কেয়ার আইটেম ইত্যাদি আরও অনেক জিনিস আছে। ভেঙ্কটজী বলেছেন আমরা নিজেদের অজান্তেই বহু বিদেশী দ্রব্য ব্যবহার করি যার ভারতীয় বিকল্প খুব সহজেই পাওয়া যায়। এখন উনি অঙ্গীকার করেছেন যে উনি শুধুমাত্র সেই পণ্যই ব্যবহার করবেন যার সঙ্গে আমাদের দেশবাসীর পরিশ্রম এবং ঘাম জড়িয়ে আছে।

বন্ধুরা, এর পাশাপাশি উনি আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন যা আমার ভীষণ চমকপ্রদ মনে হয়েছে। উনি লিখেছেন যে আমরা আত্মনির্ভর ভারতের সমর্থন করছি কিন্তু আমাদের উৎপাদকদের জন্যও স্পষ্ট নির্দেশ থাকা উচিৎ যে পণ্যের গুণমান নিয়ে কোন রকম আপোষ যেন না করা হয়। কথাটা একদম ঠিক। জিরো এফেক্ট, জিরো ডীফেক্ট এই ভাবনা নিয়ে কাজ করার সময় এসে গেছে। আমি দেশের উৎপাদক ও প্রথম সারির শিল্প সংস্থাগুলিকে অনুরোধ জানাই এই কথা মাথায় রাখতে। দেশের মানুষ এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভোকাল ফর লোকাল এই ভাবনা আজ ঘরে ঘরে গুঞ্জরিত হচ্ছে। এই সময়, আমাদের সুনিশ্চিত করার সময় যে আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিশ্বমানের হোক। যেটা বিশ্বে সবথেকে ভাল, সেটাই আমরা ভারতে তৈরি করতে পারি। এর জন্য আমাদের উদ্যমী সাথীদের এগিয়ে আসতে হবে। স্টার্টআপদেরও এগিয়ে আসতে হবে। আবারও একবার আমি ভেঙ্কটজিকে ওঁর অসাধারণ প্রয়াসের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বন্ধুরা, আমাদের এই ভাবনাকে জারি রাখতে হবে, বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং এর প্রসার ঘটাতে হবে। আমি আগেও বলেছি আরো একবার দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করছি আপনারাও একটি সূচি তৈরি করুন। সারাদিন আমরা যে যে দ্রব্য কাজের জন্য ব্যবহার করি সেই সব জিনিস বিবেচনা করুন এবং দেখুন অজান্তে কোন কোন বিদেশে তৈরি হওয়া দ্রব্য আমাদের জীবনে প্রবেশ করেছে। এক হিসেবে আমরা এর দাস হয়ে পড়েছি। তাদের ভারতে তৈরি হওয়া বিকল্পের সন্ধান করুন এবং এই সিদ্ধান্ত নিন যে ভবিষ্যতে ভারতে তৈরি ভারতবাসীর পরিশ্রমে, ঘামে তৈরি দ্রব্যই আমরা ব্যবহার করব। আপনারা প্রতিবছর নতুন বছরের রেসোলিউশনস নিয়ে থাকেন। এবার একটি রেজলিউশন নিজের দেশের জন্যও অবশ্যই নিতে হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের দেশে, আততায়ীদের থেকে, অত্যাচারীদের থেকে দেশের হাজার হাজার বছরের প্রাচীন সংস্কৃতি, সভ্যতা, আমাদের রীতি-রেওয়াজকে রক্ষা করতে যাঁরা বিরাট আত্মবলিদান দিয়েছেন আজ তাঁদেরও স্মরণ করার দিন। আজকের দিনে গুরু গোবিন্দজীর পুত্রদ্বয় সাহিবজাদে জোরাবর সিং এবং ফতেহ সিংকে প্রাচীরে জীবন্ত সমাধি দেওয়া হয়েছিল। অত্যাচারী চেয়েছিল যে সাহিবজাদারা যেন নিজেদের বিশ্বাস ছেড়ে দেয়, মহান গুরু পরম্পরা শিক্ষা ছেড়ে দেয়। কিন্তু আমাদের সাহিবজাদারা এত কম বয়সেও আশ্চর্য সাহস দেখিয়েছিলেন, ইচ্ছাশক্তি দেখিয়েছিলেন। প্রাচীরে সমাধিস্থ করার সময় পাথর গায়ে লাগছিল, প্রাচীর উঁচু হচ্ছিল, মৃত্যু এগিয়ে আসছিল কিন্তু তবুও তাঁরা নিজেদের অবস্থানে অটল ছিলেন। আজকের দিনেই গুরু গোবিন্দ সিং এর মা – মাতা গুজরীও শহীদ হয়েছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে শ্রী গুরু তেগবাহাদুরজীর শহীদত্ব বরণের দিনও ছিল। এখানে দিল্লিতে গুরুদ্বার রকাবগঞ্জ গিয়ে গুরু তেগ বাহাদুরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করার, সেখানে মাথা ঠেকানোর সুযোগ আমার হয়েছে। এই মাসেই শ্রীগুরু গোবিন্দ সিং এর দ্বারা অনুপ্রাণিত বহু মানুষ মাটিতে শুয়ে থাকেন। মানুষ শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং এর পরিবারের সদস্যদের বরণ করা শহীদ হওয়াকে অত্যন্ত আবেগঘন ভাবে স্মরণ করেন।

এই শহীদত্ব সম্পূর্ণ মানবতাকে, দেশকে নতুন শিক্ষা দিয়েছে। এই আত্মত্যাগ আমাদের সভ্যতা কে সুরক্ষিত রাখার মহান দায়িত্ব পালন করেছেন আমরা সবাই এর কাছে ঋণী। একবার আবারও শ্রীগুরু তেগ বাহাদুরজি, মাতা গুজরীজি, গুরু গোবিন্দ সিংহজি এবং চার সাহিবজাদাদের আত্মোতসর্গকে আমি প্রণাম জানাই। এভাবেই বহু আত্মত্যাগ ভারতের আজকের স্বরূপকে বাঁচিয়ে রেখেছে, সচল রেখেছে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, এবার আমি এমন একটি কথা বলতে চলেছি যাতে আপনাদের আনন্দও হবে এবং গর্বও হবে। ভারতে লেপার্ডের সংখ্যা ২০১৪ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ তে দেশে লেপার্ড এর সংখ্যা প্রায় ৭৯০০ ছিল। ২০১৯ এ তাদের সংখ্যা বেড়ে ১২৮৫২ হয়েছে। এটা সেই লেপার্ড যাদের সম্বন্ধে জিম করবেট বলেছিলেন "যেসব মানুষ লেপার্ডকে প্রকৃতিতে স্বচ্ছন্দ রূপে চলাফেরা করতে দেখেননি তাঁরা তাদের সৌন্দর্য কল্পনাও করতে পারবেন না। তাদের রংয়ের আকর্ষণীয়তা এবং চলনের মোহময়তা সম্পর্কে ধারণা করতে পারবেন না।" দেশের অধিকাংশ রাজ্যে বিশেষ করে মধ্যভরতে লেপার্ডদের সংখ্যা বেড়েছে। লেপার্ডদের সর্বাধিক বসতিপূর্ণ রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র সবার ওপরে রয়েছে। এটি একটি বড় প্রাপ্তি। লেপার্ড সারা দুনিয়ায় বহু বছর ধরেই বিপদের মোকাবিলা করে আসছে। পৃথিবীজুড়ে ওদের থাকার জায়গা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এমন সময় ভারত লেপার্ডের সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি করে সারা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই এও জানেন যে গত কয়েক বছরে ভারতে সিংহের সংখ্যা বেড়েছে বাঘেদের সংখ্যাও বৃদ্ধি হয়েছে তার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বনাঞ্চলও বৃদ্ধি পেয়েছে। তার কারণ এই যে শুধু সরকারই নয় বরং বহু মানুষ, সুশীল সমাজ, অনেক সংস্থা আমাদের গাছপালা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে যুক্ত হয়েছে। তারা সবাই অভিনন্দনের দাবিদার।

বন্ধুরা, আমি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে এক হৃদয়স্পর্শী প্রয়াসের কথা পড়েছি। আপনারাও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি দেখে থাকবেন। আমরা সবাই মানুষদের জন্য হুইলচেয়ার দেখেছি কিন্তু কোয়েম্বাটুরের একটি মেয়ে গায়ত্রী নিজের বাবার সঙ্গে একটি অসুস্থ কুকুরের জন্য হুইল চেয়ার তৈরি করে দিয়েছে। এই সংবেদনশীলতা অনুপ্রেরণা যোগাবে, আর এটা তখনই হওয়া সম্ভব যখন মানুষের মন প্রতিটি জীবের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে।

জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লী ও অন্যান্য কিছু শহরে ভয়ংকর ঠান্ডায় বেওয়ারিশ পশুদের দেখাশোনার জন্য কিছু মানুষ নানান ব্যবস্থা করছেন। তাঁরা এই পশুদের খাওয়াদাওয়া, এমনকি সোয়েটার আর বিছানার ব্যবস্থাও রাখছেন। এমনও কিছু মানুষ আছেন যাঁরা আবার প্রত্যেকদিন কয়েক শো বেওয়ারিশ পশুর খাওয়ার আয়োজন করে চলেছেন। এ ধরনের প্রয়াস অবশ্যই প্রশংসনীয়। এমনই আরেক রকম মহৎ প্রচেষ্টা চলছে উত্তর প্রদেশের কোশাম্বীতে। জেল বন্দীরা গরুদের ঠান্ডা থেকে বাঁচানোর জন্য পুরনো, ছেঁড়া কম্বল দিয়ে কভার তৈরি করছেন। কোশাম্বী ও আশেপাশের জেলার জেলবন্দীদের তৈরি কম্বল জড়ো করে এক সঙ্গে সেলাই করে গোশালায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোশাম্বীর জেলবন্দীরা প্রতি সপ্তাহে অনেক কভার তৈরি করছেন। আসুন অন্যদের দেখাশোনা করার এই দরদী প্রচেষ্টাকে আমরাও উৎসাহিত করি। বাস্তবে এটা এমন একটা সৎকাজ যা সমাজের সংবেদনশীলতা জোরদার করে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, এখন আমার সামনে যে চিঠিটা রয়েছে তাতে দুটো বড়ো ফটো রয়েছে। একটা মন্দিরের ফটো, একটা আগের আরেকটা বর্তমানের। এই ফটো দুটোর সঙ্গে যে চিঠি রয়েছে তাতে এমন একটা যুবগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে যারা নিজেদের যুব ব্রিগেড বলে। আসলে এই যুব ব্রিগেড কর্ণাটকের শ্রীরঙ্গপট্টনের কাছে বীরভদ্র স্বামী নামের একটা প্রাচীন শিব মন্দিরের ভোল পাল্টে দিয়েছেন। মন্দিরের চারপাশ ঘাস আগাছার ঝোপঝাড় হয়ে গিয়েছিল পথচারীরা বাইরে থেকে মন্দির আছে বলে বুঝতেও পারতেন না। একদিন কয়েকজন পর্যটক এই ভুলে যাওয়া মন্দিরের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। যুব ব্রিগেড সেই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় দেখে চুপচাপ না থেকে মন্দিরটির পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ওঁরা মন্দিরের চারপাশের বাড়তে থাকা ঘাস আগাছা ঝোপঝাড় কেটে সাফ করে দিলেন। যেখানে যতোটা মেরামত করার প্রয়োজন ছিল তাও করলেন। ভালো উদ্যোগ দেখে স্থানীয় লোকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। কেউ সিমেন্টের যোগান দিলেন কেউ বা রং দিলেন। যে যেমন পারলেন সাহায্য করলেন। এই সব যুবকেরা বিভিন্ন প্রফেশনে রয়েছেন। উইকএন্ডের অবসরের সময়ে মন্দিরের কাজ করেছেন। ওঁরা মন্দিরের দরজার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের কানেক্সনের ব্যবস্থা করে ফেলেছিলেন। এই ভাবে মন্দিরের পুরনো বৈভব ফিরিয়ে আনতে পারলেন। মানসিক দৃঢ়তা ও স্বপ্ন এ দুইয়ের সাহায্যে মানুষ যে কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। যখনই আমি ভারতের তরুণদের দেখি আনন্দিত হই আশ্বস্ত হই, আনন্দিত ও আশ্বস্ত হই কারণ এ দেশের যুবসমাজের সব কিছু পারার চেষ্টা আছে আর করবার মানসিকতাও রয়েছে। ওদের কাছে কোনো বাধাই বাধা নয়। কোনো কিছুই ওঁদের আয়ত্ত্বের বাইরে নয়। আমি তামিলনাড়ুর এক শিক্ষকের কথা পড়েছি। তাঁর নাম হেমলতা এন কে, তিনি বিডডুপুরমের এক স্কুলে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ভাষা তামিল পড়ান। কোভিড ১৯ অতিমারি স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর অধ্যাপনায় কোনো বিঘ্ন ঘটাতে পারেনি। হ্যাঁ! ওঁর সামনে প্রতিবন্ধকতা নিশ্চয়ই ছিলো কিন্তু তিনি একটা উদ্ভাবনী উপায় বের করেছেন। কোর্সের ৫৩ টা চ্যাপটার রেকর্ড করে এনিমেটেড ভিডিও বানিয়ে পেন ড্রাইভে ভরে ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে দিয়েছেন। এতে তাঁর ছাত্রছাত্রীদের অনেক সুবিধে হয়েছে, অধ্যায়গুলো তারা ভিস্যুয়ালি বুঝে নিতে পেরেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেছেন। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পড়াশোনা অনেক মনোগ্রাহী হয়েছে। দেশব্যাপী করোনার এই সময়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা নানান নতুন উপায় উদ্ভাবন করেছেন, পাঠক্রমের বিষয়বস্তু ক্রিয়েটিভলি তৈরি করেছেন, অন লাইন পড়াশোনার যুগে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমি সমস্ত টিচারদের অনুরোধ করছি সেই সব কোর্স ম্যাটেরিয়াল শিক্ষা মন্ত্রকের দীক্ষা পোর্টালে অবশ্যই আপলোড করুন। দূর দূরান্তের ছাত্রছাত্রীরা এর ফলে অনেক বেশি উপকৃত হবে।

বন্ধুরা আসুন আমরা ঝাড়খন্ডের কোরওয়া জনজাতির হীরামনজি-র বিষয়ে কথা বলি। হীরামনজি গঢ়ওয়া জেলার সিংজো গ্রামে থাকেন। আপনারা জানলে অবাক হবেন কোরওয়া জনজাতির জনসংখ্যা খুব বেশি হলে ছ’ হাজার এবং তারা শহর থেকে দূরে পাহাড়ে জঙ্গলে বসবাস করে। হীরামনজি নিজের জনজাতির সংস্কৃতি ও জাতিসত্ত্বা সংরক্ষণের জন্য এক অনন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ১২ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিলুপ্ত প্রায় কোরওয়া ভাষার শব্দকোষ তৈরি করেছেন। তিনি এই শব্দকোষে ঘরগেরস্থালির চালু শব্দ থেকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ব্যবহৃত কোরওয়া ভাষার অনেক শব্দ শব্দার্থসহ সংগ্রহ করেছেন। কোরওয়া জনজাতির জন্য হীরামনজি যা করে দেখিয়েছেন তা সারা দেশের জন্য এক অনবদ্য দৃষ্টান্ত।

আমার প্রিয় দেশবাসী আমরা জানি আকবরের রাজসভায় এক বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন আবুল ফজল। উনি একবার কাশ্মীর ভ্রমণের পর বলেছিলেন কাশ্মীরের সৌন্দর্য এতো অনুপম যে খিটখিটে কি বদরাগী লোকও খুশিতে ভরে উঠবেন।

আসলে উনি কাশ্মীরের কেশর চাষের কথা বলছিলেন। কেশর, যুগ যুগ ধরে কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত। কাশ্মীরি কেশর প্রধানত পুলওয়ামা, বাড়গাম এবং কিশ্তওয়াড়ের মতো জায়গায় চাষ হয়। এই বছর মে মাসে, কাশ্মীরি কেশরকে‌ জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ অর্থাৎ জি.আই ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা কাশ্মীরি কেশরকে একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছি। কাশ্মীরি কেশর সমগ্র বিশ্বে এমন এক মশলা হিসেবে বিখ্যাত যার নানা রকম ঔষধি গুনাগুন আছে। এটি অত্যন্ত সুগন্ধযুক্ত, এর রং গাঢ় হয় এবং এর তন্তুগুলো লম্বা এবং মোটা হয়, যা এর ঔষধিগুণ বৃদ্ধি করে। এটা জম্মু এবং কাশ্মীরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। গুণাবলীর বিচারে কাশ্মীরের কেশর খুবই অনন্য এবং অন্যান্য দেশের কেশরের থেকে একেবারেই আলাদা। কাশ্মীরী কেশর এই জিআই ট্যাগ স্বীকৃতির মাধ্যমে আলাদা পরিচিতি লাভ করেছে। আপনারা এটা জেনে খুশি হবেন যে কাশ্মীরি কেশর জিআই ট্যাগ সার্টিফিকেট পাওয়ার পর এটিকে দুবাইয়ের একটি সুপার মার্কেটে লঞ্চ করা হয়েছে। এখন এর রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে, যা আত্মনির্ভর ভারত গঠনে আমাদের প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালী করবে। এতে কেশর চাষীদের বিশেষ লাভ হবে। পুলওয়ামায় ত্রালের শার এলাকায় বসবাসকারী আব্দুল মজিদ ওয়ানীর কথাই ধরা যাক। উনি নিজের জিআই ট্যাগযুক্ত কেশরকে ন্যাশনাল স্যাফরন মিশনের সাহায্যে পম্পোরের ট্রেডিং সেন্টারে ই-ট্রেডিং-এর মাধ্যমে বিক্রি করছেন। এঁর মতোই অনেকে কাশ্মীরে এই কাজ করছেন। এরপর যখন আপনি কেশর কেনার কথা চিন্তা করবেন, কাশ্মীরী কেশর কেনার কথাই ভাববেন। কাশ্মীরি মানুষদের অন্তরের উষ্ণতা এমনই যে ওখানকার কেশরের স্বাদই আলাদা।

আমার প্রিয় দেশবাসী, এই দু'দিন আগেই গীতা জয়ন্তী ছিল। গীতা আমাদের জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অনুপ্রেরণা দেয়। কিন্তু আপনারা কখনো ভেবেছেন, গীতা এমন আশ্চর্য গ্রন্থ কেন? কারণ এটি স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই বাণী। কিন্তু গীতার অনন্যতা এটাও যে, এই গ্রন্থ কিছু জানার ইচ্ছে দিয়ে শুরু হয়। প্রশ্নের মাধ্যমে শুরু হয়। অর্জুন ঈশ্বরকে প্রশ্ন করেছিলেন, জানতে চেয়েছিলেন, তাই গীতার জ্ঞান এই বিশ্ব-সংসারে ছড়িয়ে পড়ে। গীতার মতোই আমাদের সংস্কৃতিতে যত তত্ত্ব-জ্ঞান আছে, সবই কৌতুহল থেকে শুরু হয়েছে। বেদান্তের প্রথম মন্ত্রই তো "অথাতো ব্রহম জিজ্ঞাসা' অর্থাৎ এস আমরা ব্রহ্মের বিষয়ে জানতে চাই। তাই তো আমাদের এখানে ব্রহ্মের খোঁজ করার কথা বলা হয়। কৌতূহলের শক্তি এমনই হয়। কৌতূহল আপনাকে অনবরত নতুন কিছুর জন্য প্রেরণা দেয়। ছোটবেলায় আমরা শিখতে পারি তার কারণ আমাদের অন্তরে জিজ্ঞাসা থাকে। অর্থাৎ যতদিন কৌতুহল আছে, ততদিনই জীবন। যতদিন জিজ্ঞাসা আছে, ততদিন নতুন কিছু শেখার প্রচেষ্টা চলতে থাকে। কোনো বয়স বা পরিস্থিতি একে প্রভাবিত করতে পারে না। কৌতূহলের শক্তির এমনই এক সন্ধান আমি পেয়েছি, তামিলনাড়ুর এক বৃদ্ধ শ্রী টি শ্রীনিবাসাচার্য স্বামীর মাধ্যমে। শ্রী টি. শ্রীনিবাসাচার্য স্বামীর বয়স ৯২ বছর। উনি এই বয়সেও কম্পিউটারে নিজের বই লিখছেন, তাও নিজে টাইপ করে। আপনারা হয়তো ভাবছেন, বই লেখা ঠিক আছে, কিন্তু শ্রীনিবাসাচার্যজির সময়কালে তো কম্পিউটার ছিলই না। তাহলে উনি কম্পিউটার ব্যবহার কবে শিখলেন? এটা ঠিকই যে ওঁর কলেজের সময়ে কম্পিউটার ছিল না। কিন্তু ওঁর মনে ঔৎসুক্য এবং আত্মবিশ্বাস এখনো সেই মাত্রায় আছে যতটা নিজের যুবক অবস্থায় ছিল। আসলে শ্রীনিবাসাচার্য স্বামী সংস্কৃত এবং তামিল বিষয়ে পন্ডিত। তিনি এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৬ টি আধ্যাত্মিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। কিন্তু কম্পিউটার আসার পরে উনি বুঝতে পেরেছিলেন যে বই লেখার এবং ছাপানোর ধরন বদলে গেছে, তাই উনি ৮৬ বছর বয়সে, কম্পিউটার শিখেছেন, নিজের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো শিখেছেন। এখন উনি নিজের বই লেখা শেষ করছেন।

বন্ধুরা, শ্রী টি শ্রীনিবাসাচার্য স্বামীজির জীবন এটারই প্রত্যক্ষ প্রমাণ যে, যতদিন না জীবনে কৌতূহলের মৃত্যু হয়, শেখার ইচ্ছেরা মরে না যায়, ততদিন জীবন উদ্দীপনায় ভরা থাকে। এই জন্য আমাদের কখনো এটা ভাবা উচিৎ নয় যে আমরা পিছিয়ে পড়লাম বা কিছু বাদ চলে গেল। আমিও যদি এটা শিখতে পারতাম! আমাদের এটাও ভাবা উচিত নয় যে আমরা শিখতে পারবো না, বা এগিয়ে যেতে পারবোনা।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এখন আমরা কৌতূহল থেকে নতুন কিছু শেখা এবং করার কথা বলছিলাম। নতুন বছরের নতুন সংকল্পের কথা বলছিলাম। কিন্তু কিছু লোক এমনও হয় যারা অনবরত কিছু-না-কিছু নতুন করতে থাকে, নতুন নতুন সংকল্প পূরণ করতে থাকে। আপনিও নিজের জীবনে অনুভব করে থাকবেন, যখন আমরা সমাজের জন্য কিছু করি তখন অনেক কিছু করার উৎসাহ সমাজ নিজেই আমাদের জুগিয়ে দেয়। সামান্য প্রেরণাতে অনেক বড় কাজও সম্পন্ন হয়ে যায়। এমনই একজন যুবক শ্রীমান প্রদীপ সাঙওয়ান। গুরুগ্রাম-এর প্রদীপ সাঙওয়ান ২০১৬ থেকে হিলিং হিমালয়ের নামে অভিযান চালাচ্ছেন । তিনি নিজের টীম আর স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে হিমালয়ের আলাদা আলাদা এলাকায় যান,আর ভ্রমণকারীরা সেখানে যেসব প্লাস্টিক ও অন্যান্য আবর্জনা ফেলে রেখে যায় সেসব পরিষ্কার করেন। প্রদীপজি এখনো পর্যন্ত হিমালয়ের আলাদা আলাদা টুরিস্ট লোকেশন থেকে টনটন প্লাস্টিক পরিষ্কার করে ফেলেছেন। এমনই কর্ণাটকের এক তরুণ দম্পতি আছেন অনুদীপ আর মিনুষা। অনুদীপ আর মিনুষা দুজনে গত নভেম্বর মাসে বিয়ে করেছেন।বিয়ের পর অনেক তরুণ-তরুণীরা ঘুরতে যান, কিন্তু এঁরা দুজনে অন্যরকম কিছু করে দেখালেন। এঁরা প্রায়শই দেখতেন কি লোকেরা বাড়ীর বাইরে বেড়াতে তো যান, কিন্তু যেখানে যান সেখানে প্রচুর আবর্জনা ফেলে রেখে আসেন। কর্ণাটকের সোমেশ্বর সৈকতেরও একই অবস্থা। অনুদীপ আর মিনুষা ঠিক করলেন যে লোকেরা সোমেশ্বর সৈকতে যে সব আবর্জনা ফেলে গেছে সেগুলো সব পরিষ্কার করবেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনই বিবাহের পর প্রথম এটাই সংকল্প নিলেন। দুজনে মিলে সমুদ্রের তীরের বেশিরভাগ আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেললেন। অনুদীপ নিজের সংকল্পের ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করলেন। তারপর আর কি, তাদের এমন দুর্দান্ত ভাবনায় প্রভাবিত হয়ে বহু তরুণ তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হলেন। আপনারা জেনে অবাক হয়ে যাবেন এই সব লোকজন মিলে সোমেশ্বর সৈকত থেকে ৮০০ কিলোরও বেশী আবর্জনা পরিস্কার করে দিয়েছেন। বন্ধুরা, এই প্রচেষ্টার মধ্যে, আমাদের এটাও ভাবতে হবে যে এই সমস্ত আবর্জনা এই সমুদ্রের তীরে, পাহাড়ে পৌঁছায় কিভাবে? প্রকৃতপক্ষে আমাদের মধ্যে কিছু লোক আবর্জনা সেখানে ফেলে আসে। আমাদের প্রদীপ আর অনুদীপ-মিনুষার মতো সাফাই অভিযান চালানো উচিত। কিন্তু তারও আগে আমাদের এই সংকল্প নিতে হবে, যে আমরা আবর্জনা ছড়াবো না। প্রকৃতপক্ষে 'স্বচ্ছ ভারত' অভিযানের ও তো এটাই প্রথম সংকল্প। হ্যাঁ, আরেকটা কথা আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। করোনার কারণে এই বছর ততটা আলোচনা করা হয়ে ওঠেনি। আমাদের দেশকে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক থেকে মুক্ত করতেই হবে। এটা ২০২১ সালের সংকল্প গুলোর মধ্যে একটা। অবশেষে, আমি আপনাদের নতুন বছরের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি। আপনি নিজে সুস্থ থাকুন, আর আপনার পরিবারকেও সুস্থ রাখুন। আগামী বছর জানুয়ারিতে নতুন বিষয়ে 'মনকি বাত' হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s organic food products export reaches $448 Mn, set to surpass last year’s figures

Media Coverage

India’s organic food products export reaches $448 Mn, set to surpass last year’s figures
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister lauds the passing of amendments proposed to Oilfields (Regulation and Development) Act 1948
December 03, 2024

The Prime Minister Shri Narendra Modi lauded the passing of amendments proposed to Oilfields (Regulation and Development) Act 1948 in Rajya Sabha today. He remarked that it was an important legislation which will boost energy security and also contribute to a prosperous India.

Responding to a post on X by Union Minister Shri Hardeep Singh Puri, Shri Modi wrote:

“This is an important legislation which will boost energy security and also contribute to a prosperous India.”