75 episodes of Mann Ki Baat: PM Modi thanks people for making the programme a success
Last year around this time, people made Janata Curfew a success: PM Modi Through efforts like clapping, beating thalis and lighting lamps, people encouraged the Corona Warriors: PM Modi
It is a matter of pride that the world's largest vaccination drive is being carried out in India: PM Modi
From education to entrepreneurship, Armed Forces to Science & Technology, the daughters of our country are leading in every sphere: PM Modi
71 Light Houses have been identified in India to promote tourism: PM Modi
Modernisation in India's agriculture sector is need of the hour: PM Modi
Urge farmers to practice bee-farming: PM Modi

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! এবারের ‘মন কি বাত’ এর জন্য যেসব চিঠিপত্র এসেছে, মন্তব্য এসেছে, যেসব ইনপুট আসে, সেগুলিতে যখন আমি চোখ বোলাচ্ছিলাম তখন দেখলাম বহু মানুষ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা স্মরণ করেছেন। মাই গভে এরিয়ান শ্রী, বেঙ্গালুরু থেকে অনুপ রাও, নয়ডা থেকে দেবেশ, ঠানে থেকে সুজিত এঁরা সবাই বলেছেন, মোদিজী, এবার "মন কি বাত" এর ৭৫ তম এপিসোড। এর জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আপনারা যে এত ভালোভাবে ‘মন কি বাত’ শুনে আসছেন এবং এর সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন তার জন্য আমি আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। এটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়, আনন্দের বিষয়। আমার তরফ থেকেও আপনাদের তো ধন্যবাদ জানাচ্ছিই, সেইসঙ্গে ‘মন কি বাত’ -এর সকল শ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি কারণ আপনাদের সাহায্য ছাড়া এই যাত্রা সম্ভবই হত না। মনে হয় যেন এই গতকালেরই কথা, যেদিন আমরা সবাই একসঙ্গে মিলে এই মতাদর্শগত যাত্রা শুরু করেছিলাম। সেদিন তেসরা অক্টোবর ২০১৪, বিজয়া দশমীর পবিত্র উৎসব ছিল। আর কি যোগাযোগ দেখুন, আজ হোলিকা দহন! "একটি প্রদীপ থেকে অন্যটি জ্বলুক এবং আমাদের দেশ আলোকিত হোক" - এই ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা এই পথে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁদের অসাধারণ কাজের সম্পর্কে জেনেছি। আপনাদেরও নিশ্চয়ই অভিজ্ঞতা হয়েছে যে আমাদের দেশের দূর-দূরান্তে, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কত অভূতপূর্ব ক্ষমতা রয়েছে। ভারত মাতার কোলে কেমন সব রত্ন লালিত পালিত হচ্ছে। এটা আমাদের নিজেদের কাছেও সমাজকে দেখার, জানার, সমাজের সামর্থ্যকে চেনার একটা সুযোগ। আমার জন্য তো এটা এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা। এই ৭৫ পর্বের সময় কালে কত কত বিষয়ের কথা উঠে এসেছে। কখনও নদীর কথা, কখনো হিমালয়ের শৃঙ্গের কথা, কখনো মরুভূমির কথা, কখনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা, আবার কখনো মানবসেবার অগণিত কাহিনীর অনুভূতি, কখনো প্রযুক্তির আবিষ্কার আবার কখনো কোন অজানা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের নতুন কিছু করে দেখানো কোন ব্যক্তির অভিজ্ঞতার কথা। আবার দেখুন, স্বচ্ছতার কথা হোক কিংবা আমাদের ঐতিহ্য রক্ষা করার আলোচনা হোক, বা শুধু এটুকুই নয়, খেলনা বানানোর কথা হোক, কি ছিল না সেখানে! কতগুলো বিষয় আমরা ছুঁয়ে গেছি তা সম্ভবত গুনে শেষ করা যাবে না। এই সময়ের মধ্যে মাঝে মাঝে আমরা মহান ব্যক্তিদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছি, তাঁদের সম্বন্ধে জেনেছি, যাঁরা ভারতের নির্মাণে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন। আমরা বহু বিশ্বজনীন প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেছি। সেগুলি থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার চেষ্টা করেছি। অনেক কথা আপনারা আমাকে বলেছেন, বহু ধারণা দিয়েছেন। এক দিক থেকে এই মতাদর্শগত যাত্রায় আপনারাও সঙ্গে সঙ্গে চলেছেন, যুক্ত থেকেছেন এবং নতুন কিছু না কিছু যোগও করেছেন। আমি আজ এই ৭৫ তম পর্বের সময় সবার আগে ‘মন কি বাত’-কে সফল করার জন্য, সমৃদ্ধ করার জন্য এবং এর সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য প্রত্যেক শ্রোতাকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার প্রিয় দেশবাসী, দেখুন কত বড় শুভ যোগাযোগ! আজ আমার ৭৫তম "মন কি বাত" করার দিন, আর এই মাস স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে "অমৃত মহোৎসব" শুরু হওয়ার মাস। "অমৃত মহোৎসব" ডান্ডি যাত্রার দিন থেকে শুরু হয়েছিল এবং ১৫ই অগাস্ট ২০২৩ পর্যন্ত চলবে। "অমৃত মহোৎসব" এর অনুষ্ঠান সারাদেশে নিয়মিতভাবে হচ্ছে। আলাদা আলাদা স্থানে এই অনুষ্ঠানের ছবি, তথ্য মানুষ শেয়ার করছেন। নমো অ্যাপে এমনই কিছু ছবির সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের নবীন আমায় একটা বার্তা পাঠিয়েছেন। উনি লিখেছেন যে উনি 'অমৃত মহোৎসবের' কার্যকলাপ দেখেছেন এবং ঠিক করেছেন যে নিজেও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত এরকম কমপক্ষে ১০টি জায়গায় যাবেন। ওঁর তালিকায় প্রথম নামটি ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মস্থান। নবীন লিখেছেন যে, ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী স্বতন্ত্র সৈনিকদের কাহিনী তিনি দেশের অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেবেন। ভাই নবীন, আপনার এই চিন্তা-ভাবনার জন্য আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাই।


বন্ধুরা, কোন স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইয়ের গল্প হোক, কোন জায়গার ইতিহাস হোক, দেশের কোন সাংস্কৃতিক কাহিনী হোক, ‘অমৃত মহোৎসব’ এর সময়ে আপনি সেটিকে সমগ্র দেশের সামনে তুলে ধরতে পারেন, সকল দেশবাসীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যম হতে পারেন। আপনারা দেখবেন, দেখতে দেখতে 'অমৃত মহোৎসব' এমন অনেক অনুপ্রেরণামূলক অমৃত বিন্দুতে পূর্ণ হবে, আর তারপর এমন অমৃত ধারা বইতে থাকবে, যে আমাদের ভারতের স্বাধীনতার একশ বছর পরেও তা প্রেরণা যোগাবে। দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, কিছু করার উদ্যমের জন্ম দেবে। স্বাধীনতার জন্য লড়াইতে আমাদের সৈনিকরা কতই না কষ্ট শুধু এইজন্য সহ্য করেছেন, কারণ, তাঁরা দেশের জন্য ত্যাগ এবং বলিদানকে নিজেদের কর্তব্য মনে করতেন। ওঁদের ত্যাগ এবং বলিদানের অমর কাহিনী এখন যেন আমাদের কর্তব্যের পথে প্রেরণা দান করে যেমন গীতায় ভগবান কৃষ্ণ বলেছিলেন
“নিয়তং কুরু কর্ম ত্বং কর্ম জ্যায়ো হ্যকর্মণঃ”


এই ভাবনার সঙ্গে আমরা সকলে নিজেদের প্রতিদিনের কর্তব্যকে সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব এবং স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের মানে এই যে আমরা নতুন সংকল্প গ্রহণ করব। সেই সংকল্প পূর্ণ করার জন্য মনপ্রাণ এক করে চেষ্টা করব আর সংকল্প তেমনি হবে যা সমাজের ভালোর জন্য হবে, দেশের ভালোর জন্য হবে, ভারতবর্ষের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য হবে, আর সংকল্প তেমন হবে যাতে আমার, নিজের, নিজস্ব কিছু দায়িত্ব থাকবে, আমাদের নিজেদের কর্তব্য যুক্ত থাকবে। আমার বিশ্বাস গীতার মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকার এই সুবর্ণ সুযোগ আমাদের কাছে আছে।


আমার প্রিয় দেশবাসী, গতবছর এই মার্চ মাসই ছিল, দেশ প্রথমবার জনতা কারফিউ শব্দটি শুনেছিল। কিন্তু এই মহান দেশের মহান দেশবাসীর মহাশক্তির অনুভব দেখুন, জনতা কারফিউ পুরো বিশ্বের জন্য এক আশ্চর্য ঘটনার নিদর্শন রাখল। অনুশাসনের এক অভূতপূর্ব উদাহরণ ছিল এটা, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই একটা বিষয়ে অবশ্যই অহংকার করবে। একইভাবে উল্লেখ্য আমাদের করোনা যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানানো, আদর প্রকাশ, থালা বাজানো, তালি দেওয়া, প্রদীপ জ্বালানো। আপনাদের কোনো ধারনাই নেই এটা করোনা যোদ্ধাদের মনকে কিভাবে স্পর্শ করেছিল, আর এটাই তো কারণ, যে সারা বছর ওঁরা ক্লান্ত না হয়ে, একটুও না থেমে লড়ে গেছেন। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জীবন বাঁচানোর জন্য মন প্রাণ এক করে পরিশ্রম করেছেন। গতবছর এই সময়ে প্রশ্ন ছিল যে করোনার টীকা কবে আসবে। বন্ধুরা, আমাদের সকলের জন্য এটা গর্বের বিষয় যে আজ ভারত পৃথিবীর সবথেকে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। টিকাকরণ কর্মসূচির বিষয়ে আমায় ভুবনেশ্বরের পুষ্পা শুক্লাজি লিখেছেন। ওঁর বক্তব্য, বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের মধ্যে টিকা নিয়ে যে আগ্রহ দেখা গেছে, আমি যেন 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে সেই বিষয়ে কথা বলি। বন্ধুরা এটা সঠিক যে, দেশের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে আমরা এমন সব খবর শুনতে পাচ্ছি, এমন ছবি দেখতে পাচ্ছি, যে আমাদের মনকে তা স্পর্শ করছে। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের ১০৯ বছরের বৃদ্ধা মা রাম দুলেয়াজি টিকা নিয়েছেন, এমনি দিল্লিতেও ১০৭ বছরের কেবল কৃষ্ণ জি টিকার ডোজ নিয়েছেন। হায়দ্রাবাদের ১০০ বছরের জয় চৌধুরী জিও টিকা নিয়েছেন এবং সকলের কাছে টিকা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আমি ফেসবুক- টুইটারেও দেখছি, যে লোকজন নিজেদের বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের টিকা নেওয়ার পরে তাঁদের ছবি আপলোড করছেন। কেরলের একজন যুবক আনন্দন নায়ার তো এই বিষয়টির একটি নতুন নাম দিয়েছেন, ‘ভ্যাকসিন সেবা’। এই একইধরনের বার্তা দিল্লি থেকে শিবানী, হিমাচল থেকে হিমাংশু, এবং অন্য অনেক যুবক-যুবতীরাও পাঠিয়েছেন। আমি সকল শ্রোতা বন্ধুদের এইধরনের চিন্তা ভাবনার জন্য প্রশংসা করছি। এই সব কিছুর মধ্যেও করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের মন্ত্রটাও অবশ্যই মনে রাখতে হবে 'ওষুধও খাবো, নিয়মও মেনে চলবো’। আর শুধু আমিই বলে যাবো তা কিন্তু নয়। আমাদের বাঁচতেও হবে, বলতেও হবে, জানাতেও হবে বাকি লোকেদের, যে 'ওষুধও খাবো, নিয়মও মেনে চলবো’। এরজন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে।


আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি আজ ইন্দোরবাসী সৌম্যাজিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে চাই, তিনি একটি বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং এই বিষয়টা সম্পর্কে 'মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বলতে বলেছেন। বিষয়টা হল, ভারতবর্ষের ক্রিকেটার মিতালী রাজজির নতুন রেকর্ড। মিতালীজি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি দশ হাজার রান করেছেন। ওঁর এই সাফল্যে অনেক অনেক অভিনন্দন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে উনিই একমাত্র মহিলা খেলোয়াড় যিনি সাত হাজার রান করেছেন। মহিলা ক্রিকেট খেলায় ওঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। দুই দশকেরও বেশি কেরিয়ারে, মিতালী রাজজি হাজারো-লক্ষ মানুষকে প্রেরণা দিয়েছেন। ওঁর কঠোর পরিশ্রম এবং সাফল্যের কাহিনী শুধুমাত্র মহিলা ক্রিকেটারদের নয় পুরুষ ক্রিকেটারদের জন্যও অনুপ্রেরণা।


বন্ধুগণ, এটা বেশ মজার বিষয়, এই মার্চ মাসেই যখন আমরা আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস পালন করছিলাম, সেইসময়ই অনেক মহিলা খেলোয়াড়, মেডেল পেয়েছেন এবং রেকর্ডস গড়েছেন। দিল্লিতে আয়োজিত আইএসএসএফ ওয়ার্ল্ড কাপে, শুটিং এ ভারত শীর্ষ স্থানে ছিল। স্বর্ণপদক প্রাপ্তি সংখ্যাতেও, ভারত নজির স্থাপন করেছে। এটা ভারতের মহিলা এবং পুরুষ শুটার্সদের উল্লেখযোগ্য প্রদর্শনের জন্যই সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যেই, পি বি সিন্ধু জি, বিডব্লুএফ সুইস ওপেন সুপার ৩০০ টুর্নামেন্টে রৌপ্য পদক জিতেছেন। এখন, শিক্ষা থেকে শুরু করে শিল্পোদ্যো্গ, সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে বিজ্ঞান- প্রযুক্তিতেও, সব জায়গায় দেশের মেয়েরা নিজেদের আলাদা পরিচয় তৈরি করছে। আমি বিশেষভাবে খুশি এই কথা ভেবে যে মেয়েরা খেলাধুলাতেও নিজেদের স্থান তৈরি করছে। পেশাগত জীবিকা হিসাবে খেলাধুলাও একটি পছন্দের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছুদিন আগেই হয়ে যাওয়া ম্যারিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের কথা আপনাদের সবার মনে আছে তো? এই শীর্ষ সম্মেলনে আমি কি বলেছিলাম, আপনাদের কি মনে আছে? স্বাভাবিক, যে এতো অনুষ্ঠান হতে থাকে, এত কথা হতে থাকে, সব কথা কি করে মনে থাকবে? আর এত মনোযোগ দেওয়া কি করে সম্ভব? খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু, আমার খুব ভালো লেগেছে, যে আমার একটি অনুরোধকে গুরু প্রসাদজি খুব উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমি এই শীর্ষ সম্মেলনে , দেশের লাইট হাউস কমপ্লেক্সের আশেপাশে পর্যটনের সুবিধা উন্নত করার কথা বলেছিলাম। গুরু প্রসাদজি ২০১৯ সালে তামিলনাড়ুর দুটি লাইট হাউস- চেন্নাই লাইট হাউস এবং মহবালিপুরম লাইট হাউস ঘোরার অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন। উনি বেশ মজার ঘটনা বলেছেন যা শুনলে, মন কি বাত অনুষ্ঠানের শ্রোতা বন্ধুরাও অবাক হয়ে যাবেন। যেমন চেন্নাই লাইট হাউস, এটা বিশ্বের অন্যতম লাইট হাউস, যেখানে এলিভেটর আছে। শুধু তাই নয়, এটা একমাত্র লাইট হাউস যা শহরের সীমার মধ্যেই অবস্হিত। এর মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সোলার প্যানেলও রয়েছে। গুরুপ্রসাদজি লাইট হাউসের হেরিটেজ মিউজিয়াম সম্পর্কেও বলেছেন যা স্মুদ্র যাত্রার ইতিহাসকে তুলে ধরে। মিউজিয়ামে তেলে জ্বালানো বড় বড় বাতি, কেরোসিনের বাতি, পেট্রোলিয়াম ভেপার এবং পুরনো দিনের ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক বাতি প্রদর্শিত হয়। ভারতের সবচেয়ে পুরনো লাইট হাউস - মহাবালিপুরাম লাইট হাউস সম্পর্কেও গুরুপ্রসাদজি বিস্তারিত বিবরণ লিখেছেন। ওঁর মতে এই লাইটহাউসের ঠিক পাশেই কয়েকশো বছর আগে পল্লব রাজা মহেন্দ্র বর্মন-প্রথম "উল্কনেস্বরা" মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।


বন্ধুরা, "মন কি বাত"-এর সময়, আমি পর্যটনের বিভিন্ন দিক গুলি নিয়ে বহুবার কথা বলেছি, কিন্তু এই লাইটহাউস, ট্যুরিজমের প্রেক্ষাপটে অবশ্যই অনন্য। সুন্দর গঠনের জন্য লাইট হাউস বরাবরই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পর্যটন কে উৎসাহ দিতে ভারতেও ৭১ টি লাইট হাউস চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সমস্ত লাইট হাউজ এর মধ্যে তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যাদুঘর, অ্যাম্পফি থিয়েটার, মুক্তমঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া , শিশু উদ্যান,পরিবেশ বান্ধব কটেজ এবং মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হবে। অবশ্য, লাইট হাউসের প্রসঙ্গ যখন উঠলোই তখন আমি এক অনন্য লাইট হাউসের সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চাই। এই লাইটহাউস গুজরাটের সুরেন্দ্রনগর জেলায় জিনঝুয়াড়ায় রয়েছে। জানেন এই লাইট হাউসের বিশেষত্ব কি? বিশেষত্বের কারণ, যেখানে এই লাইট হাউস রয়েছে, সেখান থেকে সমুদ্রতীর প্রায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে। আপনি এই গ্রামের মধ্যে বেশ কিছু প্রস্তরখণ্ড পাবেন, যা জানায় যে এই স্থানে একসময় একটি ব্যস্ত বন্দর ছিল। অর্থাৎ বহুকাল আগে সমুদ্র সৈকত জিনঝুয়াড়া পর্যন্ত ছিল। সমুদ্রের ঢেউএর পতন, উত্থান, পশ্চাদপসরণ, পুনরাগমন, এতদূর পর্যন্ত চলে যাওয়া, এও তার এক রূপ। ১০ বছর আগে এই মাসেই জাপানে এসেছিল এক ভয়ংকর সুনামি। এই সুনামিতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। এমনই এক সুনামি ভারতে ২০০৪ সালে এসেছিল। সুনামির সময় আমরা লাইট হাউসে কর্মরত, আমাদের ১৪ জন কর্মচারীকে হারিয়েছি, যাঁরা আন্দামান নিকোবার আর তামিলনাডুর লাইট হাউসে ডিউটি করছিলেন। অত্যন্ত পরিশ্রমী আমাদের এই লাইট হাউজের কর্মীদের আমার গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই এবং তাদের কাজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করি।


প্রিয় দেশবাসী, জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে নতুনত্ব, আধুনিকতা আবশ্যক, অন্যথায় সেসব কখনও কখনও আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিকতা এই সময়ের প্রয়োজন। অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমাদের অনেক সময় চলে গেছে। কৃষি ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে, কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে, প্রচলিত কৃষির পাশাপাশি নতুন বিকল্পগুলিকে, নতুন নতুন উদ্ভাবনকে গ্রহণ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। শ্বেত বিপ্লবের সময় দেশ এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এখন মৌমাছি পালন-ও এমনই একটি বিকল্প হিসেবে উঠে হয়েছে। মৌমাছি পালন দেশে মধু বিপ্লব বা সুইট রিভলিউশনের ভিত্তি হয়ে উঠছে। বহুসংখ্যক কৃষক এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, উদ্ভাবন করছেন। যেমন পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের একটি গ্রাম গুরদুম। এত উঁচু পাহাড়ে, নানান ভৌগলিক সমস্যা সত্বেও এখানকার মানুষ মৌচাষের কাজ শুরু করেছেন, আর এখন, এই জায়গায় তৈরি মধুর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এতে কৃষকদেরও আয় বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার প্রাকৃতিক জৈব মধু সারা দেশে ও বিদেশে পছন্দ করা হয়। এমনই একটি ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা আমার গুজরাতেও আছে। গুজরাতের বনাসকান্থায় ২০১৬ সালে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে আমি লোকেদের বললাম এখানে এত সম্ভাবনা রয়েছে, কেন বনসকান্থা আর আমাদের এখানকার কৃষকরা মিলে স্যুইট রিভোলিউশনের একটি নতুন অধ্যায় তৈরি করবে না। আপনারা জেনে খুশী হবেন যে, এই কম সময়ে বনসকান্থা মধু উৎপাদনের একটি প্রধান কেন্দ্র তৈরি হয়ে উঠেছে। আজ বনসকান্থার কৃষকেরা মধু থেকে বার্ষিক লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন। হরিয়ানার যমুনা নগরেও এরকমই একটি উদাহরণ রয়েছে। যমুনা নগরে কৃষকেরা মৌচাষ করে বছরে কয়েক শো টন মধু উৎপাদন করে নিজেদের আয় বৃদ্ধি করছেন। কৃষকদের এই পরিশ্রমের ফলস্বরূপ দেশে মধু উৎপাদন ক্রমশঃ বাড়ছে,যা বছরে প্রায় সোয়া লাখ টনে গিয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে থেকে প্রচুর মাত্রায় মধু বিদেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে। বন্ধুরা, মৌমাছি প্রতিপালনে শুধু মধু থেকেই আয় হয় তা নয়, এমন কি মৌচাকের মোমও আয়ের এক প্রধান মাধ্যম। ওষুধ তৈরি শিল্প, খাদ্য শিল্প, বস্ত্র ও প্রসাধন সামগ্রী শিল্প౼ সর্বত্র মৌচাকের মোমের চাহিদা রয়েছে। আপাতত আমাদের দেশে মৌচাকের মোম আমদানি করা হয়। কিন্তু আমাদের কৃষকেরা পরিস্থিতি দ্রুত বদলে ফেলছেন, যা একদিক দিয়ে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে সাহায্য করছে। আজ তো সারা বিশ্ব আয়ূর্বেদ ও প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যসম্মত পণ্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এর জন্য মধুর চাহিদা তীব্র গতিতে বাড়ছে। আমি চাই দেশের বেশির ভাগ কৃষকেরা চাষের পাশাপাশি মৌচাকের মোমের সঙ্গেও যুক্ত হোন। এতে কৃষকদের আয় ও বাড়বে আর জীবনের মাধুর্যও বৃদ্ধি পাবে।


আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছু দিন আগেই ওয়ার্ল্ড স্প্যারো ডে পালন করা হোল।স্প্যারো অর্থাৎ চড়ুই পাখি। কোথাও একে চকলী বলে, কোথাও চিমনী, কোথাও ঘান চিরিকা বলা হয়। আগে আমাদের ঘরের পাঁচিলে আশেপাশের গাছে চড়ুইয়ের কিচির মিচির শোনা যেত, কিন্তু এখন লোকে চড়ুইকে এই বলে মনে করে যে, শেষ বহু বছর আগে চড়ুই পাখি দেখেছিলাম। আজ আমাদের একে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হচ্ছে। আমার বেনারসের এক বন্ধু ইন্দ্রপাল সিং বত্রা জী এমন একটি কাজ করেছেন যা আমি ‘মন কি বাত’ র শ্রোতাদের অবশ্যই বলতে চাই। বত্রা জী নিজের বাড়িটাকেই চড়ুইপাখির থাকবার জায়গা বানিয়ে দিয়েছেন। ইনি নিজের ঘরে কাঠ দিয়ে এমন বাসা বানিয়ে দিয়েছেন যাতে চড়ুই সহজেই থাকতে পারে। আজ বেনারসের অনেক বাড়িই এই অভিযানে যুক্ত হচ্ছে। এতে বাড়িতে একটা অদ্ভুত প্রাকৃতিক পরিবেশও তৈরি হচ্ছে। আমি চাই যে যেভাবে পারে প্রকৃতি, পরিবেশ, প্রাণী, পাখি যার জন্যই হোক, কম বেশি চেষ্টা সবাই করুক। যেমন এক বন্ধু বিজয় কুমার কাবী জী। বিজয় জী ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ায় থাকেন। কেন্দ্রাপাড়া সমুদ্রতটে অবস্থিত, এই জন্য এই জেলার কিছু গ্রাম এমন আছে যেখানে সমুদ্রের উঁচু ঢেউ আর ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ থাকে। এতে বহুবার অনেক ক্ষতিও হয়েছে। বিজয়জী অনুভব করলেন যে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে যদি কেউ রুখতে পারে তাহলে সেটা প্রকৃতিই পারে। তারপর আর কি- বিজয় জী বড়াকোট গ্রাম থেকে নিজের মিশন শুরু করলেন। উনি ১২ বছর! বন্ধুরা ১২ বছর পরিশ্রম করে গ্রামের বাইরে সমুদ্রের দিকে ২৫ একরের ম্যানগ্রোভ জঙ্গল দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। আজ এই জঙ্গল এই গ্রামকে রক্ষা করছে। এরকম কাজ ওড়িশার পারাদীপ জেলার একজন ইঞ্জিনিয়র অমরেশ সামন্তও করেছেন। অমরেশ জী ছোটো ছোটো জঙ্গল লাগিয়েছেন যাতে আজ অনেক গ্রাম রক্ষা পাচ্ছে। বন্ধুরা, এই ধরণের কাজে যদি আমরা সমাজকেও সঙ্গে নিই তাহলে বৃহৎ ফল পাওয়া যায়। যেমন তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে বাসের কনডাক্টার মরিমুথু যোগনাথন জী। যোগনাথন জী নিজের বাসে যাত্রীদের যখন টিকিট দেন, তার সঙ্গে বিনামূল্যে একটা গাছের চারাও দেন। এভাবেই যোগনাথন জী অজস্র বৃক্ষরোপণে সাহায্য করেছেন। যোগনাথন জী নিজের বেতনের একটা বড় অংশ এই কাজে ব্যয় করেন। এখন এটা শোনার পর এমন কে আছেন যে মরিমুথু যোগনাথন জীর প্রশংসা করবেন না। প্রেরনামূলক কাজের জন্য ওঁর এই চেষ্টা কে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।


আমার প্রিয় দেশবাসী, ওয়েস্ট থেকে ওয়েলথ অর্থাৎ জঞ্জাল থেকে সম্পদ তৈরির ব্যাপারে আমরা সবাই দেখেওছি, শুনেওছি, আর আমরা সবাইকে বলিও। সেরকমই কিছু জঞ্জালকে মূল্যবান পণ্যে পরিবর্তনের কাজও শুরু হয়েছে। এরকমই একটি উদাহরণ কেরেলার কোচির সেন্ট টেরেসা কলেজের। আমার মনে আছে ২০১৭ তে আমি একবার এই কলেজ ক্যাম্পাসে বুক রিডিং সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। এই কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পূনর্ব্যবহারযোগ্য খেলনা তৈরি করছেন, তাও আবার খুবই সৃজনশীল ভাবে। এই ছাত্রছাত্রীরা পুরোনো কাপড়, ফেলে দেওয়া কাঠের টুকরো, ব্যাগ ও বাক্স ব্যবহার করে খেলনা বানানোর কাজ করছেন। কেউ পাজল বানাচ্ছেন, তো কেউ গাড়ি আর ট্রেন বানাচ্ছেন। এখানে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা হয় যাতে খেলনা সুরক্ষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুবান্ধবও হয়। আর এই পুরো প্রয়াসের আরো একটা ভাল দিক হলো এই খেলনাগুলো অঙ্গনওয়ারী শিশুদের খেলার জন্য দেওয়া হয়, আজ যখন ভারতবর্ষ খেলনার উৎপাদনে অনেক অগ্রগতি ঘটাচ্ছে তখন বর্জ বা নষ্ট জিনিসকে ব্যবহার্য বস্তুতে রূপান্তর করার এই অভিযান নিশ্চিতভাবেই একটি অভিনব প্রয়াস। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় এক প্রফেসর শ্রীনিবাস পদকান্ডালা। তিনি প্রচুর আকর্ষণীয় কাজ করে চলেছেন। অটোমোবাইলের মেটাল স্ক্র্যাপ দিয়ে ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন, তার তৈরি বিশাল ভাস্কর্য সার্বজনীন পার্কে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে সেই ভাস্কর্য শিল্প দর্শন করছেন। ইলেকট্রনিকন্স এবং অটোমোবাইলের পরিত্যাজ্য ধাতব বস্তু দিয়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই সৃষ্টির মধ্যে অভিনবত্ব আছে। তাই আমি আরো একবার কোচি এবং বিজয়ওয়াড়ার সৃষ্টিশীল এই মানুষদের প্রশংসা করছি। সেই সঙ্গে আমি এও প্রত্যাশা করি যে আগামী দিনে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ এগিয়ে এসে এমন প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হবেন।


আমার প্রিয় দেশবাসী, যখন কোন ভারতবাসী পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে যান তখন তিনি গর্ব করে বলতে পারেন যে তিনি একজন ভারতীয়। আমাদের যোগসাধনা, আয়ুর্বেদ, দর্শন, থেকে শুরু করে কি নেই ? সব আছে আমাদের কাছে। যা নিয়ে আমরা গর্বিত হই, গর্বের কথা বলি, সেই সঙ্গে আমাদের স্থানীয় বা আঞ্চলিক ভাষা, পরিচয়, পোশাক, খাদ্য, পানীয়, এসব নিয়েও আমরা গর্ব করি, আমরা নতুনের প্রত্যাশী আর এটাই তো জীবন। কিন্তু সেইসঙ্গে আমরা পুরনোকেও হারাতে চাইনা। প্রচুর পরিশ্রমের সঙ্গে আমাদের নিজেদের চারপাশে বিদ্যমান অপার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আজ এই কাজ আসামবাসী শিকারি টিসসো জী নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছেন। কার্বি আঙ্গলং জেলার শিকারি টিসসো জী বিগত কুড়ি বছর ধরে কার্বি ভাষার ডকুমেন্টেশন এর কাজ করে চলেছেন। কোন এক সময় কোন এক যুগে কার্বি ছিল আদিবাসী ভাই-বোনেদের ভাষা। আজ তা মূল ধারা থেকে অদৃশ্য হতে চলেছে। শ্রীমান শিকারি টিসসো জী মনস্থির করেছিলেন তাদের ভাষার নিজস্বতাকে বাঁচাবেন। তাই আজ তার এই উদ্যোগের ফলেই কার্বি ভাষার তথ্যাদি যথেষ্ট পরিমাণে নথিভূক্ত হয়েছে। তার এই প্রচেষ্টার ফলেই তিনি নানা স্থানে প্রশংসা পেয়েছেন এবং পুরস্কৃত হয়েছেন। ‘মন কি বাত অনুষ্ঠান’ এর মাধ্যমে শ্রীমান শিকারি টিসসো জী কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, কোণায় কোণায় হয়তো এই ধরনের আরো অনেক সাধক আছেন, যাঁরা কোন একটি কাজ নিয়ে নিমগ্ন আছেন। আমি তাঁদের সবাইকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।


আমার প্রিয় দেশবাসী, যেকোনো নতুন সূচনা অর্থাৎ নিউ বিগিনিং সব সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। নূতন সূচনা কথাটির অর্থ হলো নতুন সম্ভাবনা বা নতুন প্রচেষ্টা। আর নতুন প্রচেষ্টার অর্থ নতুন শক্তি, নতুন উদ্যমতা। এই কারণে আলাদা আলাদা রাজ্য এবং ক্ষেত্রে বিভিন্নতায় পরিপূর্ণ আমাদের সংস্কৃতির যেকোনো সূচনাকে উৎসবের অঙ্গ হিসেবে পালন করার পরম্পরা লক্ষ্য করা যায়। আর বিশেষ করে এই সময়টা নতুন সূচনা আর নতুন উৎসবের আগমনের সময়। হোলিও তো বসন্তের উৎসব হিসেবে মেনে চলার এক পরম্পরা। যে সময়ে আমরা রং নিয়ে হোলি পালন করি, সেই সময় বসন্ত আমাদের চারপাশে নতুন রং ছড়াতে থাকে। এই সময়কালে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং প্রকৃতি সজীব হয়ে ওঠে। আমাদের দেশের আলাদা আলাদা স্থানে খুব শীঘ্রই নতুন বছর উদযাপন করা হবে। তা সে উগাদি হোক বা পুথুন্ডি, গুড়ি পড়বা, কিম্বা বিহু, নবরেহ হোক বা পয়লা বৈশাখ বা বৈশাখী। সমগ্রদেশ উৎসাহ, উদ্দীপনা আর নতুন প্রত্যাশার রঙে স্নাত হয়ে উঠবে। এই সময়ে কেরালাও খুব সুন্দর উৎসব ‘বিশু’ উদযাপন করে থাকে। এর পরে দ্রুত চৈত্র নবরাত্রি পার্বণও চলে আসবে। চৈত্র মাসের নবম দিনে আমাদের এখানে রামনবমী পর্ব উদযাপিত হয়। এই পরবকে ভগবান রামের জন্মোৎসবের সঙ্গেই ন্যায় আর পরাক্রমের এক নতুন যুগের সূচনা রূপে মান্যতা দেওয়া হয়। এই সময়ে চতুর্দিকে ধুমধামের সঙ্গেই ভক্তিভাবে পরিপূর্ণ এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যা মানুষকে আরো কাছে টেনে নেয়। সবাইকে পরিবার এবং সমাজের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করে তোলে। নিজেদের সম্পর্কগুলোকে মজবুত করে। তাই এই পর্ব উপলক্ষে আমি দেশবাসীকে শুভকামনা জানাচ্ছি। বন্ধুরা, চৌঠা এপ্রিল দেশ ইস্টার উদযাপন করবে। যিশুখ্রিস্টের পুনর্জীবনের উৎসব রূপে ইস্টার পালন করা হয়ে থাকে। প্রতীকী হিসেবে ইস্টার জীবনের নতুন সূচনার সঙ্গেই জড়িত। ইস্টার আশার পুনর্জীবনের প্রতীক। এই পবিত্র ও পুণ্য তিথিতে আমি শুধুমাত্র ভারতেরই নয়, সাড়া বিশ্বের খ্রীশ্চান ভাই বোনেদের শুভেচ্ছা জানাই। আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ ‘মন কি বাত’ এ আমরা অমৃত মহোৎসব আর দেশের জন্য আমাদের কর্তব্যের কথা বললাম। আমরা অন্যান্য পরব এবং উৎসবের বিষয় নিয়ে চর্চা করলাম। এরই মাঝে আরো একটি পর্ব আসতে চলেছে যা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার আর কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দেয়। তা হল ১৪ই এপ্রিল ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকর এর জন্মজয়ন্তী। এইবার ‘অমৃত মহোৎসব’এ তো এই উপলক্ষটি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি বাবা সাহেবের এই জন্মজয়ন্তীকে আমরা নিশ্চিত ভাবেই স্মরণীয় করে তুলবো। আমাদের কর্তব্যের সংকল্প নিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবো। এই বিশ্বাসের সঙ্গেই আপনাদের সবাইকে আরো একবার পরব ও উৎসবের শুভকামনা জানাচ্ছি। আপনারা সবাই খুশি থাকুন, সুস্থ থাকুন, আর খুব উৎসাহ উদ্দীপনায় মেতে উঠুন। এই কামনা করে আরো একবার মনে করিয়ে দিচ্ছি ‘দাবাই ভি কড়াই ভি’ । অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।