আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। ‘মন কি বাত’ অর্থাৎ আপনাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার এক শুভ সুযোগ। আর যখন নিজের পরিবারের মানুষদের সঙ্গে মিলিত হই, তখন সেটা কত আনন্দের, কত তৃপ্তির। ‘মন কি বাত’এর মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আমার এমনই অনুভব হয়, আর আজ তো আমাদের একসঙ্গে পথ চলার এক’শো আটতম পর্ব। আমাদের এখানে ১০৮ সংখ্যাটির গুরুত্ব, এর পবিত্রতা, এক গভীর অধ্যয়নের বিষয়। মালায় একশো আটটি পুঁতি, ১০৮ বার জপ, ১০৮টি পুণ্য ক্ষেত্র, মন্দিরে ১০৮টি সিঁড়ির ধাপ, ১০৮টি ঘন্টা, ১০৮ এই অঙ্কটি অসীম আস্থার সঙ্গে যুক্ত। এই কারণে ‘মন কি বাত’এর একশো আটতম পর্ব আমার জন্য আরও বিশিষ্ট হয়ে উঠেছে। এই একশো আটটি পর্বে জনগণের অংশগ্রহণের কত উদাহরণ প্রত্যক্ষ করেছি আমি, সেখান থেকে প্রেরণা পেয়েছি। এখন এই পর্যায়ে পৌঁছনোর পর আমাদের নতুন এক শুভারম্ভ করতে হবে, নতুন উদ্যমের সঙ্গে এবং দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্কল্প গ্রহণ করতে হবে। আর এটা কত সুখকর সংযোগ যে আগামীকালের সূর্যোদয়, ২০২৪-এর প্রথম সূর্যোদয় হবে – ২০২৪ সালে প্রবেশ ঘটে যাবে আমাদের। আপনাদের সবাইকে ২০২৪ সালের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
বন্ধুরা, ‘মন কি বাত’ শুনে অনেক মানুষ আমাকে চিঠি লিখে নিজেদের স্মরণীয় মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছেন। এটা এক’শো চল্লিশ কোটি ভারতীয়দের শক্তি, যে এই বছর আমাদের দেশ, বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। এই বছরে ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’ পাশ হয়েছে যার প্রতীক্ষা ছিল বহু বছর ধরে। ভারত পঞ্চম সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হওয়ায় অনেক মানুষ চিঠি লিখে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। অনেক মানুষ আমাকে জি-টুয়েন্টি সামিটের সাফল্য মনে করিয়ে দিয়েছেন। বন্ধুরা, আজ ভারতের প্রত্যেকটি কোণ বিকশিত ভারতের চিন্তায়, আত্মনির্ভতার ভাবনায় আত্মবিশ্বাসে ভরপুর রয়েছেন, আবিষ্ট রয়েছেন। ২০২৪-এ আমাদের এই চিন্তা আর অভিঘাত বজায় রাখতে হবে। দীপাবলীতে রেকর্ড বিপণন এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে প্রত্যেক ভারতীয় ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মন্ত্রকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বন্ধুরা, আজও বহু মানুষ চন্দ্রযান-থ্রি-এর সাফল্য নিয়ে বার্তা পাঠিয়ে চলেছেন আমাকে। আমার বিশ্বাস যে আমার মত আপনারাও আমাদের বৈজ্ঞানিক, বিশেষ করে মহিলা বৈজ্ঞানিকদের নিয়ে গর্ব অনুভব করেন।
বন্ধুরা, এবার নাটু-নাটু অস্কার পাওয়ায় গোটা দেশ খুশিতে নেচে উঠেছে। ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারারস’-এর সাফল্যের কথা শুনে কে খুশি হয়নি! এর মাধ্যমে সারা বিশ্ব ভারতের সৃষ্টিশীলতাকে প্রত্যক্ষ করেছে আর প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের গভীর যোগকে বুঝেছে। এই বছর খেলাধুলোতেও আমাদের অ্যাথলীটরা দুরন্ত প্রদর্শন করেছে। এশীয়ান গেমসে আমাদের খেলোয়াড়রা এক’শো সাতটি আর এশিয়ান প্যারা-গেমসে এক’শো এগারোটি পদক জিতেছে। ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতীয় খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রদর্শনের মাধ্যমে সবার হৃদয় জয় করে নিয়েছে। অনূর্ধ্ব উনিশ T-20 ক্রিকেট বিশ্বকাপে আমাদের মহিলা ক্রিকেট দলের জয় অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক। অনেক খেলায় খেলোয়াড়দের সাফল্য দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। এবার ২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে যার জন্য গোটা দেশ আমাদের খেলোয়াড়দের উৎসাহ বাড়াচ্ছে।
বন্ধুরা, যখনই আমরা মিলেমিশে প্রচেষ্টা করেছি, আমাদের দেশের বিকাশ যাত্রায় তা যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আমরা ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ এবং ‘মেরি মাটি মেরা দেশ’-এর মতো সফল অভিযানের অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। এতে কোটি কোটি মানুষের অংশগ্রহণের সাক্ষী আমরা সবাই। ৭০ হাজার অমৃত সরোবর নির্মাণও আমাদের সম্মিলিত উপলব্ধী।
বন্ধুরা, আমি সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি, যে দেশ Innovation-কে গুরুত্ব দেয় না তার উন্নয়ন থেমে যায়। ভারতের Innovation Hub-এ পরিণত হওয়া এই সত্যের প্রতীক যে আমরা থামতে রাজি নই। ২০১৫ সালে আমরা গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে ৮১তম স্থানে ছিলাম – আজ আমাদের র্যাঙ্ক ৪০। এই বছর, ভারতে দায়ের করা পেটেন্টের সংখ্যা বেশি ছিল, যার মধ্যে প্রায় ৬০% Domestic Funds থেকে ছিল। এবার কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের সর্বোচ্চ সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। আপনি যদি এই উপলব্ধিগুলির একটি তালিকা তৈরি করতে শুরু করেন তবে এটি কখনই সম্পূর্ণ হবে না। ভারতের সম্ভাবনা যে কতটা প্রভাবশালী এটা তার একটা আভাস মাত্র - দেশের এই সাফল্যগুলি থেকে, দেশের মানুষের এই উপলব্ধিগুলি থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে, গর্ব করতে হবে, নতুন সংকল্প নিতে হবে। আবারও, আমি আপনাদের সবাইকে ২০২৪ সালের শুভেচ্ছা জানাই।
আমার পরিবারবর্গ, আমরা এই মুহূর্তে ভারত সম্পর্কে সর্বত্র যে আশা এবং উদ্দীপনা নিয়ে আলোচনা করলাম - এই আশা এবং প্রত্যাশাটি খুবই ভাল। ভারত যখন বিকশিত হবে, তখন সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে যুবসমাজ। তবে যুবসমাজ এর থেকে তখনই লাভবান হবে যখন তারা ফিট হবে। আজকাল আমরা দেখছি যে লাইফস্টাইল সম্পর্কিত রোগগুলি সম্পর্কে কতটা আলোচনা হয়, এটি আমাদের সকলের জন্য বিশেষ করে যুবসমাজের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। এই ‘মন-কি বাত’-এর জন্য আমি আপনাদের সকলকে ফিট ইন্ডিয়া সম্পর্কিত ইনপুট পাঠাতে অনুরোধ করেছিলাম। আপনারা যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তা আমাকে খুবই উৎসাহিত করেছে। অনেক সংখ্যক স্টার্টআপও আমাকে “নমো অ্যাপে” তাদের পরামর্শ পাঠিয়েছে, তারা তাদের বিভিন্ন অনন্য প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছে।
বন্ধুরা, ভারতের প্রচেষ্টার কারণে, ২০২৩ সালকে International Year of Millets হিসাবে পালন করা সম্ভব হয়েছিল। এর ফলে এই ক্ষেত্রে কাজ করা স্টার্টআপগুলি বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে লখনউ থেকে শুরু হওয়া ‘কিরোজ ফুডস’, প্রয়াগরাজের ‘গ্র্যান্ড-মা মিলেটস’ এবং ‘নিউট্রাসিউটিক্যাল রিচ অর্গানিক ইন্ডিয়া’-এর মতো অনেক স্টার্ট-আপ। Alpino Health Foods, Arboreal এবং Keeros Food-এর সঙ্গে যুক্ত যুবসমাজ স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প সম্পর্কে নতুন নতুন উদ্ভাবন করছে। বেঙ্গালুরুর আন-বক্স হেলথের সঙ্গে যুক্ত যুবসমাজ এটাও জানিয়েছে যে কিভাবে তারা মানুষকে তাদের পছন্দের Diet বেছে নিতে সাহায্য করছে। Physical Health-এর প্রতি আগ্রহ যেভাবে বাড়ছে, তার ফলে এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কোচ ও প্রশিক্ষকের চাহিদাও বাড়ছে। "JOGO টেকনোলজিস" এর মতো স্টার্টআপগুলি এই চাহিদা মেটাতে সাহায্য করছে৷
বন্ধুরা, আজ শারীরিক স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে, তবে এর সঙ্গেই সম্পর্কিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল মানসিক স্বাস্থ্য। আমি জেনে খুবই আনন্দিত যে মুম্বাই-ভিত্তিক স্টার্টআপ যেমন Infi Heal এবং Your Dost, মানসিক স্বাস্থ্য এবং well being-এর উন্নতির জন্য কাজ করছে। শুধু তাই নয়, আজ Artificial Intelligence-এর মতো Technology-এর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। বন্ধুরা, আমি এখানে শুধুমাত্র কয়েকটি স্টার্টআপেরই নাম নিতে পারি কারণ তালিকাটি অনেক দীর্ঘ। আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করব ফিট ইন্ডিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য innovative Health care Startups সম্পর্কে আমাকে অবশ্যই লিখতে থাকুন। আমি আপনার সঙ্গে শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করতে চাই ।
এই প্রথম message-টি সদগুরু জগ্গি বাসুদেবজীর।
তিনি fitness, বিশেষত, fitness of the mind, অর্থাৎ মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
** অডিও **
“মন কি বাতের” এই পর্বে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে পারাটা আমার সৌভাগ্য। মানসিক রোগ এবং আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সরাসরি সম্পর্কিত। আমদের স্নায়ুতন্ত্র কতটা সজাগ, সচল এবং ঝামেলা মুক্ত থাকবে তা নির্ধারণ করে আমরা নিজেদের ভেতরে কতটা আনন্দ অনুভব করছি তার ওপর। আমরা যাকে বলি শান্তি, প্রেম, আনন্দ, যন্ত্রণা, বিষণ্নতা, উচ্ছ্বাস সবগুলোরই একটি Chemical Neurological ভিত্তি রয়েছে। ফার্মাকোলজি মূলত বাইরে থেকে chemicals যোগ করে শরীরের মধ্যে Chemical imbalance ঠিক করার চেষ্টা করে। মানসিক রোগগুলি এইভাবেই সামাল দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে বাইরে থেকে ক্যামিক্যাল গ্রহণ করা প্রয়োজন তখনই যখন কেউ গুরুতর পরিস্থিতিতে রয়েছে। শরীরের অভ্যন্তরে মনের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বা সুষম রাসায়নিক ব্যবস্থার জন্য, শান্তি, আনন্দ, সুখের উপযোগী রাসায়নিক ব্যবস্থার জন্য কাজ করা, প্রত্যেকের জীবনের, একটা সমাজের সাংস্কৃতিক চর্যার, বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দেশের এবং সামগ্রিকভাবে মানবতার অঙ্গ করে তুলতে হবে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা বুঝি যে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য, আমাদের মনের ভারসাম্য একটি Fragile Privilege – এগুলোকে রক্ষা করতে হবে, লালন করতে হবে আমাদের। এই লক্ষ্যে যোগ পদ্ধতিতে নানা স্তরের ক্রিয়ার সংস্থান আছে। আত্তীকরণ করার এমন পদ্ধতি আছে, যা নিজেদের রসায়নে ভারসাম্য আনতে, এবং নিজেদের স্নায়ুব্যবস্থায় বিশেষ একটা প্রশান্তি আনতে, সাধারণ ক্রিয়া হিসাবে অভ্যাস করতে পারে মানুষ। অন্তরের সুস্থতা আনার প্রযুক্তি যোগবিজ্ঞান হিসাবে পরিচিত। আসুন এটার চর্চা করি।
সাধারণত সদগুরুজি এরকম উত্তম উপায়ে নিজের কথাকে সামনে রাখার জন্যই পরিচিত।
আসুন, এবার আমরা জনপ্রিয় ক্রিকেট খেলোয়াড় হরমনপ্রীত কৌর জির কথা শুনি।
** অডিও **
নমস্কার। আমি আমার দেশবাসীকে “মন কি বাত” এর মাধ্যমে কিছু বলতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জির ফিট ইন্ডিয়ার প্রয়াস, আমায় নিজের fitness মন্ত্র আপনাদের সকলের সঙ্গে share করার জন্য উৎসাহিত করেছে। আপনাদের সবাইকে আমার প্রথম suggestion এটাই যে 'one cannot out-train a bad diet' . অর্থাৎ আপনারা কি খান আর কখন খান এই ব্যাপারে আপনাদের অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদী জি সবাইকে বাজরা খাবার জন্য encourage করেছেন। যা immunity বাড়ায় আর টেকসই কৃষিতে সাহায্য করবে এবং বাজরা হজম করাও সহজ। Regular exercise এবং ৭ঘণ্টার সম্পূর্ণ ঘুম শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় আর ফিট থাকতেও সাহায্য করে। এর জন্য অনেক discipline এবং consistency-এরও দরকার। যখন আপনি এর ফল লাভ করতে শুরু করবেন তখন আপনি নিজেই প্রত্যেকদিন এক্সারসাইজ করা শুরু করে দেবেন। আমায় আপনাদের সবার সঙ্গে কথা বলার এবং নিজের ফিটনেস মন্ত্র share করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজিকে অনেক ধন্যবাদ।
হরমনপ্রীতজির মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের কথা, নিশ্চিতরূপে আপনাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।
আসুন, গ্র্যান্ডমাস্টার Viswanathan Anand জির কথা শুনি। আমরা সবাই জানি যে ওঁর খেলা ' দাবা ' এর জন্য মেন্টাল ফিটনেস কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
** অডিও **
নমস্কার। আমি Viswanathan Anand। আপনারা আমায় chess খেলতে দেখেছেন এবং প্রায়ই আমায় জিজ্ঞেস করা হয় আমার ফিটনেস রুটিন সম্বন্ধে। এখন দাবায় প্রচুর পরিমাণে একাগ্রতা ও ধৈর্যের দরকার, তাই আমি নিজেকে ফিট এবং কর্মতৎপর রাখার জন্য এগুলি করি। আমি যোগাভ্যাস করি সপ্তাহে দু’বার, cardio করি সপ্তাহে দু’বার। আমি flexibility, stretching, weight training এর উপর focus করি এবং প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একদিন ছুটি নেবার চেষ্টা করি।
এই সব কিছুই দাবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছয়-সাত ঘন্টা তীব্র মানসিক পরিশ্রম করার মত স্ট্যামিনা আপনার থাকতে হবে। পাশাপাশি আরামদায়কভাবে বসার মত নমনীয়তা থাকা প্রয়োজন। দাবা খেলা মানে কোন একটি সমস্যায় মনঃসংযোগ করা, সে ক্ষেত্রে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা, শান্ত, স্থির থাকতে সাহায্য করে। “মন কি বাত”-এর সকল শ্রোতার প্রতি আমার ফিটনেস টিপস্ হল, প্রশান্ত থাকা এবং সামনে যে কাজ রয়েছে তাতে শান্ত ভাবে মনঃসংযোগ করা। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বোত্তম ফিটনেস টিপ হচ্ছে রাতে ভালো করে ঘুমনো। রাতে চার-পাঁচ ঘণ্টা ঘুমনোর অভ্যাস করবেন না। আমার মতে ন্যূনতম সাত বা আট ঘন্টার ঘুম আবশ্যক। কাজেই আমাদের যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে রাতের ভালো ঘুমের জন্য, কারণ তখনই পরের দিনটা আপনারা প্রশান্ত মনে কাটাতে পারবেন, আবেগ প্রবণ হয়ে কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না এবং আপনাদের আবেগকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তাই আমার কাছে ঘুমই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিটনেস টিপ।
আসুন এবার অক্ষয় কুমার জির কথা শুনি।
** অডিও **
নমস্কার, আমি অক্ষয় কুমার। সবার প্রথমে আমি আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীজিকে অনেক ধন্যবাদ জানাই যে তাঁর "মন কি বাতে" আমিও আমার মনের কথা আপনাদের শোনানোর একটা ছোট্ট সুযোগ পেলাম। আপনারা তো জানেন যে আমি ফিটনেস্-এর জন্য যতটা প্যাশনেট তার থেকেও অনেক বেশি প্যাশনেট প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করে ফিট থাকার ব্যাপারে। ফ্যান্সি জিমের থেকেও আমি বেশি পছন্দ করি বাইরে সাঁতার কাটা, ব্যাডমিন্টন খেলা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা, মুগুরের সাহায্যে ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া করা। যেমন আমার মনে হয় শুদ্ধ ঘি যদি সঠিক মাত্রায় খাওয়া যায় তাহলে তা আমাদের জন্য উপকারী। কিন্তু আমি দেখি অনেক ইয়াং ছেলে মেয়ে মোটা হয়ে যাবেন এই আশঙ্কায় ঘি খান না। আমাদের ফিটনেসের জন্য কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ সেটা বুঝে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আপনারা ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে নিজেদের লাইফস্টাইল বদলান, কোন ফিল্মস্টারের বডি দেখে নয়। অভিনেতাদের স্ক্রিনে যেমন দেখতে লাগে, তেমনটা তারা বাস্তবে অনেক সময়ই হন না। অনেক ধরনের ফিল্টার, স্পেশাল এফেক্ট ব্যবহার করা হয়, আর আমরা সেগুলি দেখে নিজেদের শরীরে বদল আনার জন্য ভুল শর্টকাট ব্যবহার করা শুরু করে দিই। আজকাল এত এত মানুষ স্টেরয়েড নিয়ে সিক্স প্যাক, এইট প্যাকের জন্য ছুটছেন। এই ধরনের শর্টকাটে শরীর ওপর ওপর ফুলে যায় কিন্তু ভেতরে ফাঁপা, অপুষ্টই রয়ে যায়। আপনারা মনে রাখবেন যে শর্টকাট ক্যান কাট ইয়োর লাইফ শর্ট, অর্থাৎ শর্টকাট আপনাদের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। আপনাদের শর্টকাট নয়, প্রয়োজন লং লাস্টিং ফিটনেস।
বন্ধুরা fitness একরকমের সাধনা। Instant coffee বা দু’মিনিটের noodles নয়। নতুন বছরে নিজের কাছে শপথ নাও, no chemicals, no shortcut; শরীর চর্চা, যোগাভ্যাস, ভালো খাবার, ঠিক সময় ঘুমানো, সামান্য meditation আর তার সঙ্গে সবচেয়ে জরুরি, তোমায় যেমন'ই দেখতে হোক সেটাই আনন্দের সঙ্গে accept করো। আজকে থেকে filter ওয়ালা লাইফ নয়, fitter life নিয়ে বাঁচো। Take care! জয় মহাকাল।
এই সেক্টরে আরো অনেক Start-ups আছে, এজন্য আমি ভাবলাম একজন যুব Start-up founder-এর সঙ্গেও আলোচনা করা যাক, যিনি এই জায়গায় খুব ভালো কাজ করছেন।
** অডিও **
নমস্কার, আমার নাম রিশভ মালহোত্রা, আমি বেঙ্গালুরুতে থাকি। “মন-কি-বাতে” ফিটনেস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে জেনে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে। আমি নিজে fitness-এর জগতে belong করি, আর বেঙ্গালুরুতে আমাদের একটা Start-up আছে, যার নাম 'তাগড়া রহো'। আমাদের এই Start-up তৈরি করা হয়েছে ভারতের ঐতিহ্যময় ব্যায়ামকে সামনে আনার জন্যে। ভারতের পরম্পরাগত শরীর চর্চায় একটা ভারি অদ্ভুত কসরত আছে যার নাম 'গদা-ব্যায়াম'; আর আমাদের পুরো focus থাকে গদা এবং মুগুর'এর ব্যায়ামের ওপর। লোকে জেনে অবাক হয় যে গদা নিয়ে সমস্ত training আপনি কি করে করেন! আমি এটুকুই বলতে চাইবো যে গদা ব্যায়াম হাজার হাজার বছরের পুরনো কসরত, আর এটা হাজার হাজার বছর ধরেই ভারতে চলে আসছে। আপনারা এটা ছোট বড় নানা আখড়ায় নিশ্চই দেখেছেন, আর আমাদের start-up এর মাধ্যমে আমরা এটাকে আধুনিক form-এ ফিরিয়ে এনেছি। সারা দেশ থেকে আমরা অনেক ভালোবাসা পেয়েছি, খুব ভালো response পেয়েছি। “মন কি বাতের” মধ্যে দিয়ে আমি এটুকু বলতে চাই যে এটা ছাড়াও ভারতে এমন অনেক পুরনো শরীর চর্চার কৌশল রয়েছে, Health আর fitness এর সঙ্গে যুক্ত নিয়মকানুন আছে, যা আমাদের আপন করে নেয়া উচিত, এবং সারা দুনিয়ায় সেটা শেখানো উচিত। আমি fitness জগতের লোক, তাই আপনাদের একটা personal tip দিতে চাই। গদা ব্যায়ামের মধ্যে দিয়ে আপনি আপনার শক্তি, শারীরিক ক্ষমতা, posture এবং breathing'কে ঠিক করে নিতে পারবেন, তাই গদা ব্যায়ামকে জীবনের অঙ্গ করে নিন ও একে এগিয়ে নিয়ে যান। জয় হিন্দ।
বন্ধুরা, প্রত্যেকে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন কিন্তু সবার একটাই মন্ত্র -- Healthy থাকুন, fit থাকুন। ২০২৪-এর শুরুর মূহুর্তে আপনার কাছে নিজের fitness-এর চেয়ে বড় সংকল্প আর কি হতে পারে!
আমার পরিবারবর্গ, কিছুদিন আগে কাশীতে একটা এক্সপেরিমেন্ট হয়েছিল যার কথা আমি “মন কী বাতের” শ্রোতাদের অবশ্যই বলতে চাই। আপনারা জানেন যে কাশী তামিল সঙ্গমম্-এ অংশগ্রহণ করতে তামিলনাড়ু থেকে হাজার-হাজার মানুষ কাশী পৌঁছেছিলেন। ওঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্যে আমি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ. আই. টুল ভাষিণীর সর্বসমক্ষে প্রথম ব্যবহার করি। আমি মঞ্চ থেকে হিন্দিতে সম্বোধন করছিলাম কিন্তু এ. আই. টুল ভাষিণীর জন্য ওখানে উপস্থিত তামিলনাড়ুর ব্যক্তিরা সেই সম্বোধনই ঠিক সেই সময়েই তামিল ভাষায় শুনতে পাচ্ছিলেন।
কাশী তামিল সঙ্গমম্-এ উপস্থিত মানুষজনকে প্রযুক্তির এই ব্যবহারের পরে বেশ উৎসাহিত লাগছিল। ওই দিন দূর নেই যেদিন কোন একটি ভাষায় সম্বোধন করা হবে এবং জনতা real time-এ সেই ভাষণ নিজের ভাষায় শুনতে পাবে। এটা ফিল্মের ক্ষেত্রেও দেখা যাবে যখন সাধারণ মানুষ সিনেমা হলে এ আই-এর সাহায্যে real time translation শুনতে পাবে। আপনারা আন্দাজ করতে পারছেন যে যখন এই technology আমাদের স্কুলে, আমাদের হাসপাতালে, আমাদের আদালতে ব্যাপক রুপে ব্যবহৃত হবে তখন কী বিশাল পরিবর্তন আসবে। আমি আজকের যুব প্রজন্মের কাছে অনুরোধ করব যে real time translation-এর সঙ্গে যুক্ত AI tools-গুলিকে তারা যেন আরও explore করে এবং ১০০% full proof বানায়।
বন্ধুরা, এই পরিবর্তনশীল সময়ে আমাদের নিজেদের ভাষাগুলিকে বাঁচাতেও হবে এবং তাদের বৃদ্ধিসাধনও করতে হবে। এখন আমি আপনাদের ঝাড়খন্ডের একটি আদিবাসী গ্রামের কথা বলতে চাই। এই গ্রাম তাদের বাচ্চাদের নিজেদের মাতৃভাষায় শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে। গড়বা জেলার মংলো গ্রামে বাচ্চাদের কুড়ুখ ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই স্কুলের নাম কার্তিক ওরাঁও আদিবাসী কুড়ুখ স্কুল। এই স্কুলে ৩০০ আদিবাসী বাচ্চা পড়ে। কুড়ূখ ভাষা, ওরাঁও আদিবাসী জনজাতির মাতৃভাষা। কুড়ুখ ভাষার নিজস্ব লিপিও আছে যা তোলং সিকি নামে পরিচিত। এই ভাষাটি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল যাকে বাঁচানোর জন্য এই জনজাতি নিজেদের ভাষায় বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ ওরাঁও বলেন যে আদিবাসী বাচ্চাদের ইংরেজি ভাষা নিয়ে সমস্যা হত, তাই তিনি গ্রামের বাচ্চাদের নিজেদের মাতৃভাষায় পড়ানো শুরু করেন। ওঁর এই প্রচেষ্টায় আরও ভাল ফল পাওয়া শুরু হওয়ার পর বাকি গ্রামবাসীরাও ওঁর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান। নিজেদের ভাষায় পড়াশোনা করার কারণে বাচ্চাদের শেখার গতিও বেড়ে যায়। আমাদের দেশে বহু বাচ্চা ভাষাগত সমস্যার জন্য পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিত। এই ধরণের অসুবিধেগুলি দূর করতে নতুন রাষ্ট্রীয় শিক্ষা নীতি থেকেও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের প্রচেষ্টা এই যে, ভাষা - কোন বাচ্চার শিক্ষা ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে যেন না বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
বন্ধুরা, যুগে যুগে আমাদের ভারতভূমিকে ভারতের গুণী কন্যারা গৌরবান্বিত করেছে। সাবিত্রী বাঈ ফুলেজী এবং রানী বেলু নাচিয়ারজী দেশের এমনই দুই মহান কন্যা। তাঁদের ব্যক্তিত্ব এমনই প্রকাশ স্তম্ভের মত, যে সর্ব যুগে নারী শক্তিদের এগিয়ে চলার রাস্তা দেখায়। আজ থেকে আর কয়েকদিন পরেই, তেসরা জানুয়ারি আমরা এঁদের জন্মজয়ন্তী পালন করবো। সাবিত্রীবাঈ ফুলেজীর নাম স্মরণে আসতেই শিক্ষা এবং সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে তাঁর যোগদানের কথাই মনে আসে। তিনি বরাবর মহিলা এবং বঞ্চিতদের শিক্ষার জন্যে সোচ্চার ছিলেন। তিনি সমসময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন এবং সেই সময়ের ভুল প্রথার বিরুদ্ধে মুখর ছিলেন। শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজের সশক্তিকরণ সম্ভব, এই ছিল তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস। মহাত্মা ফুলেজীর সঙ্গে তিনি মেয়েদের জন্যে বেশ কয়েকটি স্কুল নির্মাণ করেছিলেন। তাঁর কবিতাগুলি মানুষকে সচেতনতার এবং আত্মবিশ্বাসে ভরিয়ে তুলতো। মানুষ একে অপরকে সাহায্য করবে এবং প্রকৃতির প্রতিও দায়িত্বশীল হবে, এমনটাই আশা করতেন তিনি মানুষের কাছে। তিনি কতটা দয়ালু ছিলেন, তা শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা অসম্ভব। মহারাষ্ট্রে যখন আকাল এসেছিল, তখন সাবিত্রী বাঈ এবং মহাত্মাফুলেজী তাঁদের দরজা সাহায্যপ্রার্থীদের জন্যে খুলে দিয়েছিলেন। সামাজিক ন্যায়ের ক্ষেত্রে এমন উদাহরণ কমই দেখতে পাওয়া যায়। যখন সেখানে প্লেগের ভয় দেখা দিল, সেসময়ে তাঁরা মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করলেন। এর ফলে তাঁরা নিজেরাও প্লেগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মানবতার প্রতি উতসর্গীকৃৎ তাঁদের জীবন আমাদের আজও প্রাণিত করে।
বন্ধুরা, বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন যাঁরা, সেই মহান ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রানী বেলু নাচিয়ার-ও একটি নাম। আমার তামিলনাড়ুর ভাই বোনেরা আজও তাঁকে বীরা মঙ্গাই অর্থাৎ বীর নারী নামেই স্মরণ করে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে সাহসীকতার সঙ্গে লড়াই করে রানী বেলু নাচিয়ারজী যে পরাক্রম দেখিয়েছেন, তা আমাদের প্রেরণা যোগায়। ইংরেজরা শিবগঙ্গা সাম্রাজ্যে হামলা করে সেখানকার রাজা, তাঁর স্বামীকে হত্যা করে। রানীজী এবং তাঁর কন্যা কোনক্রমে সেখান থেকে পলায়ন করেন। তিনি সংগঠন গড়ে তুলতে এবং মুরুদু ব্রাদার্স অর্থাৎ নিজের কমান্ডারদের সঙ্গে সেনাবাহিনী তৈরি করতে কয়েক বছর অতিবাহিত করেন। তিনি সম্পূর্ন প্রস্তুতির সঙ্গে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন এবং সাহসিকতা ও সংকল্প শক্তির সঙ্গে লড়াই করেন। রানী বেলু নাচিয়ারের নাম তাঁদের মধ্যে আসে, যাঁরা সম্পূর্ন মহিলাদের নিয়ে সেনাদের গ্রুপ তৈরী করেছিলেন। আমি এই দুই বীরাঙ্গনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
আমার পরিবারবর্গ, গুজরাটে ডায়রার একটা রীতি আছে। সারারাত হাজারো মানুষ ডায়রাতে জড়ো হয়ে বিনোদনের মধ্যে দিয়ে জ্ঞান অর্জন করে। এই ডায়রাতে লোকসংগীত, লোকসাহিত্য এবং হাস্যরসের ত্রিসঙ্গম সবার মনকে আনন্দে ভরিয়ে দেয়। এই ডায়রার একজন প্রসিদ্ধ শিল্পী হলেন ভাই জগদীশ ত্রিবেদীজী। ভাই জগদীশ ত্রিবেদীজী প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কৌতুক শিল্পী হিসাবে তাঁর প্রভাব প্রতিষ্ঠা করেছেন। সম্প্রতি আমি ভাই জগদীশ ত্রিবেদীজীর কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি এবং এঁর সঙ্গে তিনি তাঁর একটি বইও পাঠিয়েছেন। বইটির নাম হল – Social Audit of Social Service । এই বইটি খুবই অনন্য। এই বইটিতে হিসেব নিকেষ রয়েছে, এই বইটি একধরণের Balance Sheet। গত ৬ বছরে ভাই জগদীশ ত্রিবেদীজী কোন কোন অনুষ্ঠান থেকে কত আয় করেছেন এবং কোথায় কোথায় খরচা করেছেন তার সম্পূর্ণ লিখিত হিসাব বইটিতে রয়েছে। এই Balance Sheet, এই জন্য অনন্য কারণ উনি ওঁর সম্পূর্ণ আয়, এক এক টাকা সমাজের জন্য, School, Hospital, Library, বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের সঙ্গে যুক্ত সংস্থায়, সমাজসেবার কাজে খরচ করেছেন - এই পুরো ৬ বছরের হিসাব রয়েছে। যেমন বইটির এক জায়গায় লেখা আছে, ২০২২ সালে তিনি তাঁর অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ২ কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ ঊনআশি হাজার ছয়শ চুয়াত্তর টাকা আয় করেছেন। আর এই ২ কোটি পঁয়ত্রিশ লাখ ঊনআশি হাজার ছয়শ চুয়াত্তর টাকা তিনি খরচ করেছেন School, Hospital, Library তে। এক পয়সাও নিজের কাছে রাখেননি। আসলে এর পিছনেও একটা মজার ঘটনা আছে। এমনটা হয়েছিল যে একবার ভাই জগদীশ ত্রিবেদীজী বলেছিলেন যে তিনি ২০১৭ সালে যখন তাঁর ৫০ বছর বয়স হবে, তারপরে তিনি তাঁর অনুষ্ঠান থেকে অর্জিত আয় ঘরে নেবেন না, বরং সমাজে ব্যয় করবেন। ২০১৭ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত, তিনি প্রায় পৌনে ন’কোটি টাকা আলাদা আলাদা সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয় করেছেন। একজন হাস্য কৌতুক শিল্পী, তাঁর কথা দিয়ে, সবাইকে হাসতে বাধ্য করেন। কিন্তু তিনি যে নিজের ভিতর কতটা সংবেদনশীলতাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তা ভাই জগদীশ ত্রিবেদীজীর জীবন থেকে স্পষ্ট। জানলে অবাক হবেন যে তাঁর PHD-র তিনটি ডিগ্রিও রয়েছে। তিনি ৭৫টি বই লিখেছেন, যার মধ্যে অনেকগুলি বই যথাযথ সম্মানও পেয়েছে। তিনি তাঁর সামাজিক কাজের জন্য অনেক পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন। আমি ভাই জগদীশ ত্রিবেদীজীকে তাঁর সামাজিক কাজের জন্য অনেক শুভকামনা জানাই।
আমার পরিবারবর্গ, অযোধ্যায় রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে সারা দেশে উৎসাহ ও উত্তেজনার সঞ্চার হয়েছে। দেশবাসী নিজেদের ভাবনা বিভিন্ন ভাবে ব্যক্ত করছেন। আপনারা দেখে থাকবেন বিগত কিছুদিন ধরে শ্রীরাম ও অযোধ্যাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গান ও ভজনের রচনা করা হয়েছে। বহু মানুষ নতুন কবিতাও লিখছেন। এদের মধ্যে যেমন অনেক অভিজ্ঞ শিল্পীরা রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন তরুণ শিল্পীবৃন্দ যাদের সৃষ্টি করা ভজন মন কেড়ে নিচ্ছে। এগুলির মধ্যে কিছু গান ও ভজন আমিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছি। মনে হচ্ছে যেন অতলনীয় শৈলীর মাধ্যমে কলাজগৎ এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সহযোগী হচ্ছে। আমার মনে একটি কথা আসছে যে আমরা কি এই সমস্ত রচনা গুলিকে একটি common hashtag-এর মাধ্যমে শেয়ার করতে পারি? আমার আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ যে #Shri Ram bhajan দিয়ে আপনারা নিজেদের রচনা সোশ্যাল মেডিয়াতে share করুন। এই সংকলনটি ভাবনার এবং ভক্তির এমন একটি প্রবাহ সৃষ্টি করবে যার স্পর্শে সবাই রাম-ময় হয়ে উঠবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী। “মন কি বাতে” আজ এটুকুই। ২০২৪ কেবলমাত্র কিছু ঘন্টার অপেক্ষায়। ভারতবর্ষের উপলব্ধি, প্রত্যেক ভারতবাসীর উপলব্ধি। পঞ্চপ্রাণকে মাথায় রেখে ভারতের উন্নয়নের জন্য আমাদের ক্রমাগত কাজ করতে হবে। আমরা যে কাজই করি না কেন, যে সিদ্ধান্তই নিই না কেন আমাদের সর্বোপরি উদ্দেশ্য এটাই হওয়া উচিত যে এতে আমাদের দেশ কি পাবে, দেশের কি লাভ হবে? রাষ্ট্র প্রথম - Nation First... এটাই একমাত্র মন্ত্র! এর থেকে বড় কোনো মন্ত্র নেই। এই মন্ত্রের অনুপালন করে আমরা ভারতীয়রা আমাদের দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাব, আত্মনির্ভর করে তুলবো। আপনারা সকলে ২০২৪-এ সাফল্যের নতুন শিখর জয় করুন, সকলে সুস্থ থাকুন, fit থাকুন আর খুব আনন্দে থাকুন - আমি এই প্রার্থনাই করি। ২০২৪ এ আমরা আবারো দেশের মানুষের নতুন উপলব্ধি নিয়ে চর্চা করব। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
In 108 episodes of #MannKiBaat, we have seen many examples of public participation and derived inspiration from them. pic.twitter.com/wwVkj6Gvoj
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
India is brimming with self-confidence, imbued with the spirit of a developed India; the spirit of self-reliance. We have to maintain the same spirit and momentum in 2024 as well. #MannKiBaat pic.twitter.com/kFpfGkuAct
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
India becoming an 'innovation hub' is a symbol of the fact that we are not going to stop. #MannKiBaat pic.twitter.com/Dm1yeasu4X
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
For this #MannKiBaat episode, PM @narendramodi had requested citizens to share inputs related to Fit India. Numerous StartUps have also shared their suggestions on the NaMo App, highlighting several unique efforts. pic.twitter.com/ms0pqpWpmp
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
A wonderful message from @SadhguruJV on the significance of mental health. #MannKiBaat pic.twitter.com/ZmqoPZEJj9
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
Indian Women's Cricket Team Captain @ImHarmanpreet has a special message on importance of having a proper diet and regular exercise. #MannKiBaat pic.twitter.com/YrooxjqQvo
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
Indian chess grandmaster @vishy64theking shares an important fitness tip for everyone. #MannKiBaat pic.twitter.com/NNyfJHom1O
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
"Don't live a filter life, live a fitter life"... @akshaykumar's inspiring message on fitness. He calls for focusing on physical fitness as well as overall well-being. #MannKiBaat pic.twitter.com/krNcVnLtSl
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
Here is what fitness enthusiast Rishabh Malhotra has to say about staying fit ad active. #MannKiBaat pic.twitter.com/U1BhQyGNGD
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
During the Kashi-Tamil Sangamam event, an Artificial Intelligence tool, Bhashini, was employed for the first time.
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
Through this innovative tool, the audience from Tamil Nadu could simultaneously listen to Tamil version of the PM's speech delivered in Hindi. #MannKiBaat pic.twitter.com/U596U02lGF
A unique initiative from Jharkhand to provide education to children in their mother tongue. #MannKiBaat pic.twitter.com/kX6rloPHC8
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
Savitribai Phule Ji always raised her voice strongly for the education of women and the underprivileged. #MannKiBaat pic.twitter.com/sxmIC1XbWL
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
Rani Velu Nachiyar is one among the many great personalities of the country who fought against foreign rule. #MannKiBaat pic.twitter.com/RcZ0euGk6y
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023
In Gujarat, the tradition of Dairo involves thousands of people gathering to partake in a unique blend of folk music, folk literature and humor. #MannKiBaat pic.twitter.com/lL468vpaZr
— PMO India (@PMOIndia) December 31, 2023