প্রধানমন্ত্রীকে সেরাসপ্তাহ আন্তর্জাতিক শক্তি ও পরিবেশ নেতৃত্ব পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে
এই পুরস্কার ভারতের জনসাধারণ ও ঐতিহ্যকে উৎসর্গ করা হয়েছ
মহাত্মা গান্ধী পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একজন মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন : প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব থেকে শক্তিশালী উপায় হল আচরণগত পরিবর্তন : প্রধানমন্ত্রী
এখন সময় এসেছে যুক্তি সংগতভাবে ও বাস্তুতন্ত্রের সহায়ক ভাবনা – চিন্তা করার। এটি আমার বা আপনার বিষয় নয়, আমাদের গ্রহের ভবিষ্যতের বিষয় : প্রধানমন্ত্রী

এই ধরণের পরিচয়ের জন্য ধন্যবাদ চিকিৎসক ড্যান ইয়ারগিনকে। এখানে উপস্থিত সকল অতিথি, আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

নমস্কার!
আমি বিনয়ের সঙ্গে সেরাউইক (CERAWeek) গ্লোবাল এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছি। আমি আমার এই মহান মাতৃভূমি, ভারতীয়দের উদ্দেশে এই পুরষ্কার উৎসর্গ করছি। আমি এই পুরস্কারটি আমাদের পৃথিবীর গৌরবময় ঐতিহ্যের উদ্দেশে উৎসর্গ করছি, যা আমাদের পরিবেশের প্রতি যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে পথ দেখিয়েছে।

বন্ধুগণ,
এই পুরস্কার পরিবেশগত নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে স্বীকৃতি দেয়। নেতৃত্ব সম্পর্কে সাধারণত বলা হয় যে, কর্মের মাধ্যমে পথ দেখানোর সর্বোত্তম উপায়। কোনো সন্দেহ নেই যে, যখন পরিবেশের প্রতি যত্ন নেওয়ার প্রসঙ্গ আসে তখন ভারতীয়রাই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। বহু শতাব্দী ধরে এটাই চলে আসছে। আমাদের সংস্কৃতি, প্রকৃতি এবং বৈভব একে অপরের সঙ্গে জড়িত। আমাদের দেব, দেবীদের কথার সঙ্গে কোনো না কোনো গাছ এবং প্রাণী যুক্ত রয়েছে। এই গাছ এবং প্রাণীরা পবিত্র। আপনি যে কোনো দেশ থেকে যে কোনো ভাষার সাহিত্য বেছে নিতে পারেন। মানুষ এবং প্রকৃতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অনেক উদাহরণ পাবেন।

বন্ধুগণ,
পরিবেশগত দিক থেকে মহাত্মা গান্ধী আমাদের মধ্যে আজীবন সর্বাগ্রে রয়েছেন। তাঁর দেখানো মানবতার পথ যদি আমরা অনুসরণ করি তাহলে আজ আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তা আর হবো না। আমি আপনাদের সকলকে গুজরাটের উপকূলীয় শহর পোর বন্দরে অবস্থিত মহাত্মা গান্ধীর বাড়িতে আসার জন্য অনুরোধ করছি। তাঁর বাড়ির চারপাশে আপনি জল সংরক্ষণ সম্পর্কে খুব ভালো হাতে কলমে শিক্ষা নিতে পারবেন। এখানে প্রায় ২০০ বছর পূর্বে ভূগর্ভস্থ জলাধারগুলি নির্মিত হয়েছে। এগুলি বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

বন্ধুগণ,
জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় আজ বড় সমস্যা। এই দুটি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার দুটি উপায় আছে। এগুলি হলো নীতি, আইন, বিধি এবং নির্দেশ। এগুলির নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমি আপনাদের সঙ্গে কয়েকটি উদাহরণ ভাগ করে নিতে পারি : ভারতে জীবাশ্ম নয় এমন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা এখন ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ‘ভারত - ৬’ কার্বন নির্গমন সংক্রান্ত নিয়ম বিধি চালু করেছি। এই বিধি ইউরো – ৬ জ্বালানি নীতির সমান। ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের ক্ষমতা ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এলএনজি-কে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। আমরা সম্প্রতি একটি জাতীয় হাইড্রোজেন মিশনের সূচনা করেছি। হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এই মিশন চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি ‘পিএম কুসুম’ নামে একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এটি সৌর শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রে একটি ন্যায় সংগত এবং বিকেন্দ্রীভূত মডেল বিষয়ে প্রচার চালাবে। তবে, নীতি, আইন, বিধি এবং নির্দেশের বাইরেও কিছু বিষয় রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী উপায় হলো আচরণগত পরিবর্তন। আপনারা অনেকেই শুনে থাকবেন একটি বিখ্যাত গল্পের কথা। একটি ছোট শিশুকে ছেঁড়া বিশ্বের মানচিত্র দেওয়া হয়।। কখনই এটি জোড়া যাবে না ভেবে শিশুটিকে যুক্ত করতে বলা হয়। কিন্তু শিশুটি সফল হয়। শিশুটি কিভাবে এটি করেছিল তা জানতে চাইলে উত্তরে শিশুটি জানায় ওই বিশ্ব মানচিত্রের পেছনেই একটি ব্যক্তির চিত্র ছিল। সে ওই লোকটির চিত্র একত্রিত করেছে, সে কারণে বিশ্বের মানচিত্র একত্রিত হয়ে গেছে। এই গল্পটি থেকে একটি বার্তাই পরিস্কার হয় – আসুন আমরা নিজেদেরকে ঠিক করি। তবেই বিশ্ব আরও উন্নতি লাভ করবে।

বন্ধুগণ,
আচরণ পরিবর্তনের এই চেতনা আমাদের ঐতিহ্যগত অভ্যাসের একটি অঙ্গ। যা আমাদের সহানুভূতির সঙ্গে ব্যবহার বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করে। নির্বোধের সংস্কৃতি আমাদের নীতির অংশ নয়। আমাদের কৃষি কাজের পদ্ধতি বা আমাদের খাদ্যাভ্যাসগুলি লক্ষ্য করুন। আমাদের গতিশীলতার ধরণগুলি বা শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলি দেখুন। আমি আমাদের কৃষকদের জন্য গর্বিত। তারা নিয়মিত সেচের আধুনিক কৌশল ব্যবহার করে চলেছেন। মাটির স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস করার বিষয়ে ক্রমাগত সচেতনতার বার্তা ছড়িয়েছেন। আজ বিশ্ব সুস্থতা এবং সু-স্বাস্থ্যের দিকে মনোনিবেশ করেছে। স্বাস্থ্যকর এবং জৈব খাদ্যের জন্য ক্রমশই চাহিদা বাড়ছে। ভারত মশলা, আয়ুর্বেদ পণ্য এবং আরও অনেক কিছুর মাধ্যমে এই বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনে চালনা শক্তি হতে পারে। একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব ক্ষেত্রে গতি প্রদান করতে পারে। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে ভারতে আমরা ২৭টি শহরে মেট্রো সংযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কাজ করেছি।

বন্ধুগণ,
বৃহত্তর প্রেক্ষিতে আচরণ পরিবর্তনের জন্য আমাদের এমন সমাধানের পথ প্রস্তাব করতে হবে যা উদ্ভাবনী, সাশ্রয়ী এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমি একটা উদাহরণ দিচ্ছি, ভারতীয়রা এমন এক মাত্রায় এলইডি বাল্ব জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা আগে কখনো দেখা যায়নি। ২০২১ সালের পয়লা মার্চ পর্যন্ত দেশে ৩৭ মিলিয়ন এলইডি বাল্ব ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে অর্থ এবং শক্তি দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। এমনকি প্রতি বছর ৩৮ মিলিয়ন টনেরও বেশি কার্বনডাই অক্সাইড নিঃসরণ কম হচ্ছে। ভারতে ‘গিভ ইট আপ মুভমেন্ট’-এর আরও একটি উদাহরণ রয়েছে। দরিদ্র মানুষের সুবিধার্থে সাধারণ মানুষদের এলপিজি গ্যাসের ভর্তুকি ত্যাগ করার জন্য একটি সাধারণ অনুরোধ রয়েছে। ভারতে একাধিক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তাদের ভর্তুকি ত্যাগ করেছেন। এটি লক্ষ লক্ষ পরিবারকে ধোঁয়াহীন রান্নাঘর দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৪ সালে সারা দেশে যেখানে ৫০ শতাংশ মানুষ এলপিজি-র আওতাভুক্ত ছিলেন আজ তা বেড়ে ৯৯.৬ শতাংশ হয়েছে। মহিলারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন। আজকাল আরও একটি ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। সম্পদের অপচয় হলে ভারতে গুঞ্জন তৈরি হচ্ছে। আমাদের নাগরিকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুনর্ব্যবহার যোগ্য অনন্য মডেল নিয়ে আসছেন। এটি বৃত্তাকার অর্থনীতিতে উৎসাহ যোগাবে। সাশ্রয়ী পরিবহণ উদ্যোগ ক্ষেত্রে সুস্থায়ী বিকল্পের আওতায় আমাদের দেশে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন মেট্রিকটন জৈব গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যে ৫,০০০টি কম্প্রেসড জৈব গ্যাসের কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এটি পরিবেশ এবং মানুষের ক্ষমতায়ণে সাহায্য করবে।

বন্ধুগণ,
ভারতে ইথানলের ক্রমশ গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০২৫ সালের মধ্যে পেট্রোলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রন করা হবে। আগে এই লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সাল পর্যন্ত নেওয়া হয়েছিল।

বন্ধুগণ,
আপনাদের সকলকে জানাতে পেরে খুব অনন্দিত হব যে গত ৭ বছরে ভারতে বনভূমি অঞ্চল উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সিংহ, বাঘ, চিতাবাঘ এবং জলে পাখির সংখ্যা বেড়েছে। এগুলি ইতিবাচক আচরণগত পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই পরিবর্তনগুলি আমাদের আশ্বস্ত করে যে ভারত ২০৩০ সালের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার আগে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যগুলি সফলভাবে অর্জন করবে।

বন্ধুগণ,
পরিবেশগত রূপান্তরের জন্য সমমনোভাবাপন্ন দেশগুলির সঙ্গে ভারত একযোগে কাজ করতে চায়। আন্তর্জাতিক সৌর জোটের প্রাথমিক সাফল্য প্রমাণ করেছে যে আরও উন্নত পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালানোর ক্ষেত্রে ভারতের কতটা গুরুত্ব রয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা এধরণের প্রয়াস চালিয়ে যাবো। এটি মহাত্মা গান্ধীর বিশ্বস্ততা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশ্বস্ততার মূল বিষয় হলো সমষ্টি, দায়িত্ব এবং সমবেদনা। বিশ্বস্ততার অর্থ হলো সম্পদকে দায়িত্বের সঙ্গে ব্যবহার করা। মহাত্মা গান্ধী ঠিক বলেছিলেন : আমি উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলছি “আমরা প্রকৃতির উপহারগুলি আমাদের ইচ্ছে মতো ব্যবহার করতে পারি, তেমনই প্রকৃতির বইয়ে নাম ও অ্যাকাউন্টগুলিও সর্বদা সম্পদের মতো হয়”। প্রকৃতির একটি সাধারণ ব্যালান্সশিট রয়েছে, অ্যাকাউন্টে যা পাওয়া যায় তা ব্যবহার বা খরচ করা যায়। তবে এটির অবশ্য যথাযথভাবে বিতরণ করা উচিত। কারণ যদি আমরা অতিরিক্ত সম্পদ ব্যবহার করি তবে তা অন্য কারোর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। একইভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত এই কথাই বলে আসছে।

বন্ধুগণ,
যৌক্তিক উপায়ে এখন পরিবেশ নিয়ে  চিন্তা করার সময় এসেছে। এটি আমার বা আপনার বিষয় নয়। এটি আমাদের পৃথিবীর ভবিষ্যতের বিষয়। আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে ঋণী। আমি এই পুরষ্কারের জন্য ফের আরও একবার আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

নমস্কার।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।