“জয় হিন্দ মন্ত্র সকলকে অনুপ্রাণিত করে”
“যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় আমার কাছে সব সময়ই আকর্ষণীয় একটি বিষয়”
“জাতীয় স্তরে বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং পরিকল্পনার সঙ্গে যুব সম্প্রদায়ের সেতুবন্ধ ঘটায় এনসিসি ও এনএসএস”
“ ‘বিকশিত ভারত’-এর সবথেকে বেশি সুফল পাবেন আপনারা আর তাই বিকশিত ভারত গড়তে আপনাদের দায়বদ্ধতা সবথেকে বেশি”;
“ভারতের সাফল্যে সারা বিশ্ব নিজের ভবিষ্যৎ প্রত্যক্ষ করে”
“দেশের লক্ষ্য পূরণের সঙ্গে আপনাদের লক্ষ্য পূরণ যখন যুক্ত হয় তখন সাফল্যের মাত্রা অনেক বৃদ্ধি পায়। সারা বিশ্ব আপনাদের সাফল্যকে ভারতের সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করে”
“আপনারা তরুণ, এই সময় আপনারা আপনাদের ভবিষ্যৎ গঠন করবেন। নতুন ভাবনা এবং নতুন মান নির্ধারণের কারিগর হবেন আপনারা। নতুন ভারতের পথ প্রদর্শক আপনারা”
তিনি বলেন, এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অনুকরণে পোশাক পরে বহু শিশু এসেছিল। “জয় হিন্দ মন্ত্র সকলকে অনুপ্রাণিত করে।”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এনসিসি ক্যাডেট এবং এনএসএস স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশে আজ ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অনুকরণে পোশাক পরে বহু শিশু এসেছিল। “জয় হিন্দ মন্ত্র সকলকে অনুপ্রাণিত করে।”

বিগত কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেশের যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর মতবিনিময়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাসখানেক আগে ‘বীর বাল দিবস’ উদযাপনের সময় দেশজুড়ে বীর সাহেবজাদাদের শৌর্য ও সাহসের স্মৃতিচারণ করা হয়। কর্ণাটকে জাতীয় যুব উৎসবের সময় অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর মতবিনিময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরপ্রদেশে খেল মহাকুম্ভে তরুণ ক্রীড়াবিদ, সংসদে এবং তাঁর বাসভবনে ‘বাল পুরস্কার’ প্রাপকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ২৭ জানুয়ারি ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানের কথাটিও উল্লেখ করেন, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করবেন।

দেশের যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলাপচারিতার গুরুত্বের দুটি বিষয় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রথমত, যুব সম্প্রদায়ের শক্তি, নতুন নতুন ভাবনাচিন্তা এবং কাজের আগ্রহের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করেন। দ্বিতীয় যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন সেটি হল, “অমৃতকালের এই সময়ে আপনারা স্বপ্ন পূরণের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং ‘বিকশিত ভারত’-এর সবথেকে বেশি সুফল পাবেন আপনারা আর তাই বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে আপনাদের দায়বদ্ধতা সবথেকে বেশি।”

শ্রী মোদী বলেন, জনজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। এই প্রসঙ্গে তিনি ‘পরাক্রম দিবস’ সহ আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে আয়োজিত অন্যান্য অনুষ্ঠানে যুব সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণকে দেশের প্রতি তাদের ভাবনা এবং একনিষ্ঠভাবে কাজ করার মানসিকতার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।

করোনা মহামারীর সময়কালে এনসিসি এবং এনএসএস স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলির কাজকর্মকে সর্বদাই উৎসাহিত করে। দেশের সীমান্ত এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে যুব সম্প্রদায়কে প্রস্তুত করতে সরকারের বিশেষ কর্মসূচির কথা তিনি উল্লেখ করেন। দেশজুড়ে বহু জেলায় এ ধরনের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে যেখানে সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী এবং বিমানবাহিনী বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করছে। এর ফলে দেশের যুব সম্প্রদায় ভবিষ্যতের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে যেমন প্রস্তুত থাকবেন, পাশাপাশি প্রয়োজনের সময় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার মানসিকতা তাদের মধ্যে গড়ে উঠবে। দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলিতে উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। “সীমান্ত অঞ্চলের যুব সম্প্রদায়কে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে। তাদের পরিবারের লোকেরা যাতে আবারও গ্রামে ফিরে আসেন তার জন্য আরও ভালো কাজের সুযোগ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী (এনসিসি)-র সদস্যদের বলেন, তাঁদের সাফল্য ও বাবা-মা এবং পরিবারের প্রতি ভূমিকা আসলে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা প্রয়াস’-এর প্রতিফলন। “দেশের লক্ষ্য পূরণের সঙ্গে আপনাদের লক্ষ্য পূরণ যখন যুক্ত হয় তখন সাফল্যের মাত্রা অনেক বৃদ্ধি পায়। সারা বিশ্ব আপনাদের সাফল্যকে ভারতের সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করে।” ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম, হোমি জাহাঙ্গির ভাবা এবং ডঃ সি ভি রমনের মতো বৈজ্ঞানিক ও মেজর ধ্যানচাঁদের মতো ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের উদাহরণ তুলে ধরেন শ্রী মোদী। তিনি বলেছেন, ভারতের সাফল্য হিসেবেই এইসব ব্যক্তিত্বদের সাফল্যগুলিকে বিবেচনা করা হয়। “ভারতের সাফল্যে সারা বিশ্ব নিজের ভবিষ্যৎ প্রত্যক্ষ করে।” ‘সবকা প্রয়াস’ ভাবনার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন মানবজাতির উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ঐতিহাসিক সাফল্য নির্ধারিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সময়কালের কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেন। এগুলি দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে অভূতপূর্ব নানা সুযোগ নিয়ে এসেছে। তিনি ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর মতো নতুন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। দেশ বর্তমানে কৃত্রিম মেধা, মেশিন লার্নিং ও অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে রয়েছে। এখন খেলাধূলার জগতেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। “আপনাদের সকলকে এইসব কর্মসূচিতে যোগ দিতে হবে। নতুন নতুন বিভিন্ন সম্ভাবনাকে খুঁজে বের করে সেগুলি থেকে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে হবে।”

দেশের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে সেগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। দেশজুড়ে পরিবর্তন সম্পর্কে যুব সম্প্রদায়কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলতে থাকা কর্মসূচিগুলিকে সফল করে তুলতে তিনি সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। ‘স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি’র কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের সকল যুবক-যুবতীর এই কর্মসূচিতে সামিল হওয়া প্রয়োজন। নিজের এলাকা, গ্রাম এবং শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অমৃত মহোৎসবে যুবক-যুবতীদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ওপর রচিত অন্তত একটি পুস্তক পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কবিতা ও গল্প লেখা এবং ব্লগ তৈরির মতো সৃজনশীল উদ্যোগে সকলকে সামিল হতে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। বিদ্যালয়গুলিতে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা প্রয়োজন। নিজ নিজ জেলায় যে অমৃত সরোবরের সংস্কার করা হয়েছে সেখানে বনসৃজন এবং সরোবরগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য শ্রী মোদী যুব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি তাদের ‘ফিট ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং বাড়িতে প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে যোগাভ্যাস গড়ে তোলার কথা বলেন। ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্মেলনের বিষয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি গর্ববোধ করা এবং দাসত্বের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি যুব সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ঐতিহ্যশালী স্থানগুলিতে তাদের ভ্রমণ করা উচিৎ। “আপনারা তরুণ, এই সময় আপনারা আপনাদের ভবিষ্যৎ গঠন করবেন। নতুন ভাবনা এবং নতুন মান নির্ধারণের কারিগর হবেন আপনারা। নতুন ভারতের পথ প্রদর্শক আপনারা।”

অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর, আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী অজয় ভাট, শ্রীমতী রেণুকা সিং সারুতা এবং শ্রী নিশীথ প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to attend Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 22, 2024
PM to interact with prominent leaders from the Christian community including Cardinals and Bishops
First such instance that a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India

Prime Minister Shri Narendra Modi will attend the Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) at the CBCI Centre premises, New Delhi at 6:30 PM on 23rd December.

Prime Minister will interact with key leaders from the Christian community, including Cardinals, Bishops and prominent lay leaders of the Church.

This is the first time a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India.

Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) was established in 1944 and is the body which works closest with all the Catholics across India.