Fit India movement has proved its influence and relevance in this corona period in spite of the restrictions: PM
Fitness Ki Dose, Aadha Ghanta Roz: PM Modi
Staying fit is not as difficult a task as some think. With a little discipline and a little hard work you can always be healthy: PM

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বয়সোপযোগী ফিটনেস সংক্রান্ত নিয়মের সূচনা করেছেন। আজ তিনি ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের প্রথম বার্ষিকীতে অংশগ্রহণ করেন। শ্রী মোদী বিভিন্ন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ফিটনেস বিশেষজ্ঞ এবং অন্যদের সঙ্গে ফিট ইন্ডিয়া ডায়ালগ অনুষ্ঠানে মতবিনিময় করেছেন। ভার্চ্যুয়ালি এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানটিতে মুক্ত পরিবেশে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতা এবং ফিট থাকার কৌশল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভাগ করে নেন।  
প্যারা অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক বিজয়ী, জ্যাভলিন থ্রোয়ার দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়ঃ- 
 
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব প্যারা অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ভারতের সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য শ্রী দেবেন্দ্রর প্রশংসা করেছেন। দেবেন্দ্র কিভাবে তাঁর সমস্যাগুলিকে মোকাবিলা করে একজন বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াবিদ হয়ে উঠেছেন, তিনি সে বিষয়ে জানতে চান। 
 
দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার পর যখন তাঁর একটি হাত হারিয়েছিলেন, সেই সময়ের কঠিন পরিস্থিতির কথা জানান। তাঁর মা তাঁকে অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুর মতো বেড়ে ওঠা এবং ফিট থাকার বিষয়ে উৎসাহ দিতেন।  
 
প্রধানমন্ত্রীর অপর একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে কিভাবে তিনি তাঁর কাঁধে চোট পাওয়ার সমস্যাটিকে মোকাবিলা করেছেন । এক সময়ে তিনি খেলাধূলা থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছিলেন – এরকম অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একজনকে তাঁর মানসিক এবং শারীরিক সমস্যাগুলিকে অতিক্রম করতে হবে বলে তিনি জানান। 
 
শ্রী ঝাঝারিয়া  যখন আঘাত পেয়েছিলেন, সেই সময় ফিট থাকার জন্য কি কি করতেন, তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, কয়েকটি ব্যায়াম  তিনি এই অনুষ্ঠানে দেখিয়েছেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী এই প্যারা অলিম্পিক স্বর্ণ পদক বিজয়ীর এ ধরনের অনুপ্রেরণাদায়ক কাজের প্রশংসা করেছেন এবং তাঁর মা নিজের ৮০ বছর বয়সে যেভাবে  নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন, শ্রী মোদী সেই জন্য  তাঁর মাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 
 
ফুটবলার আফসান আশিকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়ঃ- 
 
জম্মু ও কাশ্মীরের এই গোলকিপার জানিয়েছেন, প্রত্যেক মহিলার নিজেকে ফিট রাখা উচিৎ। তিনি একাধারে মায়ের ভূমিকা পালন করেন,  অন্যদিকে, পরিবারের কাজেও নিয়োজিত থাকেন। তিনি জানিয়েছেন, মহেন্দ্র সিং ধোনির শান্তভাবে কাজ করার ধারায় তিনি অনুপ্রাণিত হন। প্রতিদিন সকালে তিনি ধ্যান করে নিজেকে শান্ত ও সমাহিত রাখেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, জম্মু ও কাশ্মীরের জনসাধারণ প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও কিভাবে নিজেদের ফিট রাখেন? আফসান জানান, তাঁরা পাহাড়ে উঠে তাঁদের ফিটনেস – এর মাত্রাকে বাড়ান। তিনি আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের জন সাধারণ যেহেতু অনেক উঁচুতে থাকেন, তাই তাঁদের ফুসফুসের ক্ষমতা বেশি। বিভিন্ন শারীরিক পরিশ্রম সত্ত্বেও তাঁদের কোনও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হয় না। 
 
গোলকিপার হিসাবে মানসিকভাবে তৎপর থাকা এবং শারীরিকভাবে নমনীয় থাকার প্রয়োজনীতার কথা আফসান জানিয়েছেন। 

 

অভিনেতা, মডেল মিলিন্দ সুমনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়ঃ- 
 
মিলিন্দ সুমনকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া মিলিন্দ’ বলে সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মেক ইন  ইন্ডিয়া’-র একজন সক্রিয় সমর্থক হলেন মিলিন্দ সুমন। ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের ফলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে, তাঁরা এখন নিজেদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন বলে মিলিন্দ সুমন উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর মার ফিটনেস- এর কথা উল্লেখ করেন। সুমন জানান, আগে গ্রামের লোকেরা ৪০-৫০ কিলোমিটার হেঁটে জল নিয়ে আসতেন, আর এভাবেই তাঁরা ফিট থাকতেন। কিন্তু, বর্তমান যুগে শহরে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আমাদের জীবনযাত্রা অলস হয়ে যাচ্ছে,  এই কারণে আমরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।  
 
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফিটনেস – এর কোনও বয়স থাকে না এবং মিলিন্দ সুমনের মা ৮১ বছর বয়সেও পুশ-আপ এর মতো নানারকম শারীরিক কসরত করায় তিনি তাঁর প্রশংসা করেন।  
 
মিলিন্দ সুমন বলেন, প্রত্যেকেই নিজেকে সুস্থ ও ফিট রাখতে পারেন, তার জন্য শুধুমাত্র আত্মপ্রত্যয় এবং জেদের প্রয়োজন। মিলিন্দ,  প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, কিভাবে তিনি সমালোচনার মোকাবিলা করেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে এবং দায়িত্ব সহকারে প্রত্যেকের জন্য সেবার মানসিকতা থাকলে কখনও ক্লান্তি আসে না। তিনি বলেছেন, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ভাবনাচিন্তা তৈরি হয়। কিন্তু প্রত্যেকের নিজের সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করা উচিৎ, অন্যের সঙ্গে নয়।  
 
পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়ঃ-
 
রুজুতা দিবাকর অতীতের খাদ্যাভাসকে ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ডাল, ভাত এবং ঘি খাওয়ার কথা তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, আমরা যদি স্থানীয় স্তরে উৎপাদিত পণ্যগুলি খাই, আমাদের কৃষকরা ও স্থানীয় অর্থনীতি তাতে উপকৃত হবে। ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মনোভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
 
এই প্রসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলেছেন, যেখানে মানুষ কিভাবে ঘি তৈরি করতে হয়, তা শিখছেন এবং হলুদ – দুধের উপকারিতা উপলব্ধি করতে পারছেন।  
 
আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় – এর ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ বলে শ্রী দিবাকর জানিয়েছেন। প্রত্যেকটি অঞ্চলের নিজস্ব খাদ্যাভাস রয়েছে এবং বাড়ির খাবার সবচেয়ে ভালো। আমরা যদি প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াকরণজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করি এবং বাড়িতে তৈরি খাবার বেশি খাই – তা হলে আমরা অনেক উপকার পাবো। 
 
স্বামী শিবাধ্যানাম সরস্বতীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়ঃ- 
 
স্বামী শিবাধ্যানাম সরস্বতী জানিয়েছেন, সর্বজনহিতায় সর্বজনসুখায় মন্ত্রে তিনি অনুপ্রাণিত। তাঁর গুরুরা কিভাবে যোগাভ্যাসের প্রয়োজনীয়তার প্রসার ঘটিয়েছেন, সে বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, প্রাচীন যুগে গুরুকূলের গুরু-শিষ্য পরম্পরায় একজন ছাত্রের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হ’ত।  
 
যোগকে তিনি শুধু ব্যায়াম বলে উল্লেখ করেননি, বরং এটিকে জীবনের একটি ধারা বলে বর্ণনা করেছেন। গুরুকূলের সময় থেকে যোগাভ্যাস করা হ’ত। 
 
পরিবর্তিত জীবনধারায় যোগাভ্যাসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেছেন। 

 

বিরাট কোহলির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়ঃ- 
 
প্রধানমন্ত্রী বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর ফিটনেস – এর রুটিনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিরাট বলেছেন, মানসিক শক্তির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। 
 
প্রধানমন্ত্রী যখন বিরাটের কাছে জানতে চান, দিল্লির বিখ্যাত ছোলে-বাটোরা খাওয়া তিনি কিভাবে ছেড়েছেন, উত্তরে বিরাট জানান,  ঘরে তৈরি সাধারণ রান্না,  নিয়মানুবর্তী খাদ্যাভাসকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। আর এর সাহায্যেই ফিটনেস – এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
 
শ্রী মোদী জানতে চান, বিরাট কিভাবে ক্যালোরি মেপে খাওয়া-দাওয়া করেন। উত্তরে বিরাট জানিয়েছেন, খাবার হজম করার জন্য শরীরকে সময় দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ইয়ো ইয়ো টেস্টের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ফিটনেস – এর সংস্কৃতিকে ফিরে আনার কথা উল্লেখ করেছেন। শ্রী মোদী যখন জানতে চান, বিরাট কেন ক্লান্তি অনুভব করেন না – উত্তরে শ্রী কোহলি বলেছেন, ভালো ঘুম, খাবার এবং ফিটনেস – এর মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে শরীর চাঙ্গা হয়ে যায়। 
 
শিক্ষাবিদ মুকুল কানিতকরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়ঃ- 
 
মুকুল কানিতকর জানিয়েছেন, ফিটনেস শুধুমাত্র শরীরের জন্যই প্রযোজ্য নয়, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যের জন্যও তা সমান গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতার ওপর তিনি জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সূর্য নমস্কারের বিষয়ে প্রচার চালানোয় তিনি তাঁর প্রশংসা করেছেন। শ্রীমদ্ভগবদগীতাকে তিনি দু’জন ফিট মানুষের মধ্যে আলোচনা বলে উল্লেখ করেছেন।  
 
২০২০-র জাতীয় শিক্ষা নীতিতে ফিটনেস-কে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করায় শ্রী কানিতকর প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। এর ফলে, ফিট ইন্ডিয়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রত্যেকে অনুপ্রাণিত হবেন। তিনি বলেছেন, ফিটনেস হল ভাবনা, বুদ্ধি এবং চিন্তার সমন্বয়। 
 
প্রধানমন্ত্রীর সমাপ্তি সূচক বক্তব্যঃ- 
 
প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে বলেছেন, প্রতিটি বয়সের উপযোগী ফিটনেস – এর বিষয়ে ফিট ইন্ডিয়া ডায়ালগ জোর দিয়েছে। এর ফলে, বিভিন্ন উপায়ের ফিটনেস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। 
 
শ্রী মোদী বলেছেন, দেশ ,  ফিটনেস – এর ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট শুরু হওয়ার পর স্বাস্থ্য ও ফিটনেস – এর বিষয়ে সচেতনতা দিন দিন বাড়ছে। যোগ, ব্যায়াম, হাঁটাচলা, দৌড়ানো, খাদ্যাভাস, স্বাস্থ্যকর জীবনশৈলী আমাদের ভাবনাচিন্তার মধ্যে জায়গা করে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট করোনার এই সময়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ সত্ত্বেও তার প্রাসঙ্গিকতা উপলব্ধি করিয়েছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ বিশ্ব জুড়ে ফিটনেস – এর বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা হয়েছে। খাদ্যাভাস, শারীরিক তৎপরতা এবং স্বাস্থ্যের ওপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুরুত্ব দিয়েছে। তারা শারীরিক কর্মতৎপরতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে। আজ অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেক দেশ ফিটনেস – এর বিষয়ে নতুন লক্ষ্য ধার্য করেছে এবং তারা এই বিষয়ে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে এ বিষয়ে বহু দেশে ব্যাপক প্রচার চলছে। আর তাই, আরও বেশি সংখ্যক নাগরিক তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যায়ামকে যুক্ত করেছেন। 

 

Click here to read PM's speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।