আমার প্রিয় দেশবাসীগণ,
এক রাষ্ট্রের হিসাবে,এক পরিবারভুক্ত বলে আপনারা , আমরা , গোটা দেশএক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এমন এক ব্যবস্থা,যে কারণে জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখে আমাদের ভাইবোনেরা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকতোযা তাদের বিকাশে বিরাট বাধা ছিল,
তা এখন দূর হয়ে গেছে।
যা সর্দার প্যাটেলের স্বপ্ন ছিল,যা বাবা সাহেব আম্বেদকরের ছিল , ডক্টর শ্যামাপ্রসাদমুখার্জির ছিল,অটলজী আর কোটি কোটি দেশভক্তের ছিল,আজ তা সম্পূর্ণ হয়েছে।জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখে এক নতুন যুগের সূত্রপাত হয়েছে।
এখন দেশের সব নাগরিকের অধিকারও সমান হয়েছে,দায়িত্বও সমান হয়েছে।আমি জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকে,লাদাখের জনগণকে আর প্রত্যেক দেশবাসীকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সাথীরা,
সমাজ জীবনের কিছু কথাসময়ের সঙ্গে এমনভাবে মিলে-মিশে যায়যে অনেক সময় সেই বিষয়গুলি স্থায়ী বলে মেনে নিতে হয়। এমন ভাবনা এসে যায় যে,কিছুই বদলাবে না,এমনই চলতে থাকবে ।৩৭০ ধারা নিয়েও এমনই ভাবনা ছিল।যার ফলে জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখে আমাদের ভাইবোনেদের,আমাদের সন্তানদের যে ক্ষতি হচ্ছিল, সেগুলি নিয়ে আলোচনাই হতো না।সমস্যার বিষয় হল, আপনি যদি কারও সঙ্গে আলোচনা করেন,তো কেউ এটা বলতে পারবেন না যে ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের জীবনে কি উপকার হয়েছে।
ভাই ও বোনেরা,
৩৭০ আর ৩৫-এ ধারা,জম্মু-কাশ্মীরকেবিচ্ছিন্নতাবাদ-সন্ত্রাসবাদ-পরিবারতন্ত্র আর ব্যবস্থাতে বড় আকারে প্রভাব ফেলে এমন দুর্নীতি ছাড়া আর কিছুই দেয়নি।এই দুটি ধারাকে দেশের বিরুদ্ধে, কিছু মানুষের ভাবনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি হাতিয়ার হিসাবে পাকিস্তান ব্যবহার করছিল।
এই কারণে গত তিন দশকে আনুমানিক,৪২ হাজার নির্দোষ মানুষকে তাদের প্রাণ দিতে হয়েছে,জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখের বিকাশ সেই গতিতে হতে পারেনি, যা তাদের অধিকার ছিল। এখন ব্যবস্থায় এই খামতি দূর হওয়ায় জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখের মানুষের বর্তমান অবস্থা ভাল হবে,তাদের ভবিষ্যতও সুরক্ষিত থাকবে।
সাথীরা,
আমাদের দেশে যে কোনও সরকারই হোক,সে সংসদে আইন বানিয়েদেশের ভালর জন্য কাজ করে থাকে।যে কোনো দলেরই সরকার হোক,যে কোনও জোটেরই সরকার হোক,এই কাজ নিরন্তর চলতে থাকে। আইন তৈরির সময় প্রচুর তর্ক হতে থাকে,চিন্তা ও মননশীলতা চলতে থাকে,তার প্রয়োজনীয়তা,তার প্রভাব নিয়ে গুরুতর যুক্তির অবতারণা হয়।এই প্রক্রিয়া পার হয়ে যে আইন তৈরি হয়,তা গোটা দেশের মানুষের উপকারই করে।কিন্তু কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না যে, সংসদ এত বেশী সংখ্যায় আইন বানায়, কিন্তু দেশের একটি অংশে তা কার্যকর হতেই পারে না।
এমনকি,আগের যে সরকারগুলি,একটি আইন তৈরি করে প্রশংসা পেতো,তারাও এই দাবি করতে পারবে না যে, তাদের বানানো আইনজম্মু-কাশ্মীরেও কার্যকর হবে।
যে আইন দেশের সমগ্র জনগণের জন্য বানানো হয়,তার লাভ থেকে,জম্মু-কাশ্মীরেরদেড় কোটির বেশিমানুষ বঞ্চিত থেকে যেতেন ।ভাবুনতো, দেশের অন্য রাজ্যে শিশুদের শিক্ষার অধিকার আছে,কিন্তুজম্মু-কাশ্মীরের বাচ্চারা তার থেকে বঞ্চিত ছিল।
দেশের অন্যান্য রাজ্যে কন্যাসন্তানরা যে সব অধিকার পায়,সেই সব অধিকার জম্মু-কাশ্মীরের কন্যারা পেতেন না।দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে সাফাই কর্মীদের জন্য সাফাই কর্মচারী আইন চালু আছে,কিন্তু, জম্মু-কাশ্মীরের সাফাই কর্মচারীরা তার থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
দেশের অন্য রাজ্যে দলিতদের উপর অত্যাচার রুখতে কঠোর আইন কার্যকর আছে,কিন্তুজম্মু-কাশ্মীরে এমন ছিল না।দেশের অন্য রাজ্যে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য মাইনোরিটি অ্যাক্ট কার্যকর আছে, কিন্তুজম্মু-কাশ্মীরে এমন ছিল না।দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য, ন্যুনতম মজুরি আইন Minimum Wages Act
চালু আছে,কিন্তুজম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত শ্রমিকরা এটা শুধু কাগজে কলমেই পেতেন।
দেশের অন্যান্য রাজ্যে ভোটে লড়ার সময় তফশিলী উপজাতির ভাইবোনেরা সংরক্ষণের সুবিধা পেতেন,কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে এমনটা ছিল না।
সাথীরা,
এখন ৩৭০ আর ৩৫-এ ধারা আর ইতিহাসের বিষয় হয়ে যাওয়ার পর, এগুলির নেতিবাচক প্রভাব থেকে জম্মু-কাশ্মীর দ্রুত বেরিয়ে আসবে, এটা আমার নিশ্চিত বিশ্বাস।
ভাই ও বোনেরা,
নতুন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের সেটা প্রাথমিকতা থাকবে যে, রাজ্যের কর্মচারীরা, জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশরা, অন্য কেন্দ্র–শাসিত প্রদেশের কর্মচারী আর সেখানকার পুলিশের সমান সুবিধা পাবেন।এখন কেন্দ্র শাসিত প্রদেশগুলিতে, অনেক এমন সুবিধা আছে, যেমনএলটিসি, হাউজ রেন্ট এলাউন্স ,শিশুদেরশিক্ষার জন্য এডুকেশন এলাউন্স , স্বাস্থ্য প্রকল্পর মতো অনেক সুবিধা দেওয়া হয়, যার অধিকাংশই জম্মু-কাশ্মীরের কর্মচারীরা পান না।এমন সুবিধাগুলিকে পর্যালোচনা করিয়ে, দ্রুত জম্মু-কাশ্মীরের কর্মচারীদের আর সেখানকার পুলিশদের এই সুবিধাগুলি দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।
সাথীরা, খব তাড়াতাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের আর লাদাখের সমস্ত কেন্দ্রীয় আর রাজ্যের খালি পদ পূরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।তাতে স্থানীয় তরুণরা রোজগার করার পর্যাপ্ত সুযোগ পাবেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের পাব্লিক সেক্টর ইউনিটগুলিতে আর প্রাইভেট সেক্টরের বড় কোম্পানিগুলিকে রোজগারের নতুন সুযোগ করে দেওয়ার জন্যউৎসাহিত করা হবে।
এগুলি ছাড়াসেনা ও আধাসেনা বাহিনী দ্বারাস্থানীয় যুবকদের ভর্তির জন্য র্যালির আয়োজন করা হবে।সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপ যোজনাকে প্রসারিত করা হবে যাতে, আরও বেশি বেশি ছাত্রছাত্রী এর থেকে লাভ পেতে পারেন। জম্মু-কাশ্মীরে রাজস্ব ঘাটতি অনেক বেশি।কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চিত করবে, কীভাবে এরপ্রভাব কম করা যায়।
ভাই ও বোনেরা,
কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ ধারা হটানোর সঙ্গে সঙ্গেই, এখনও কিছু সময়ের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন বজায় রাখার সিদ্ধান্ত অনেক ভেবেচিন্তেই নিয়েছে।এর পিছনের কারণ বোঝাও আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।যখন সেখানে গভর্নরের শাসন ছিল, জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসন, সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যুক্ত ছিল।এই কারণে গত কয়েক মাসে ওখানে সুপ্রশাসন গুড গভর্ন্যান্সআর বিকাশ বা ডেভেলপমেন্ট-এর ভাল প্রভাব মাটির কাছাকাছি স্তরে দেখা যাচ্ছে।যে সব প্রকল্প আগে শুধুই কাগজেই রয়ে গিয়েছে,এখন সেগুলিকে কার্যকর করা যাচ্ছে। দশকের পর দশক আটকে থাকা প্রকল্পে গতি এসেছে।আমরা জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনে এক নতুন কর্মসংস্কৃতি আনার,পারদর্শিতা আনার চেষ্টা করেছি।তারই ফলাফল হল, আইআইটি, আইআইএম, এমস, যাবতীয় সেচ প্রকল্প হোক,বিদ্যুৎ প্রকল্প হোক,
অথবা অ্যান্টি করাপশন ব্যুরোএই সবেরই কাজে গতি বেড়েছে।এসব ছাড়া এখানে কানেক্টিভিটির সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পই হোক,সড়ক বা নতুন রেল লাইনের কাজই হোক,এয়ারপোর্টের আধুনিকীকরণই হোক,সমস্ত কাজই দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সাথীরা,
আমাদের দেশের গণতন্ত্র এতটাই শক্তিশালী।কিন্তু আপনারা এটা জেনে চমকে যাবেন যে, জম্মু-কাশ্মীর দশকের পর দশক ধরে,হাজার হাজার এমন ভাইবোনেরা বসবাস করেন,যাদের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল, কিন্তুতাঁরা বিধানসভা আর স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না।তাঁরা হলেন, যারা ১৯৪৭-এ দেশভাগের পর পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন। এদের প্রতি এই অন্যায় কি এভাবেই চলতে থাকবে।
সাথীরা,
জম্মু-কাশ্মীরে আমাদের ভাইবোনেদের আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আরও স্পষ্ট করতে চাই।আপনাদের জনপ্রতিনিধি আপনাদের দ্বারাই নির্বাচিত হবেন, আপনাদের মধ্যে থেকেই আসবেন।যেভাবে আগে বিধায়ক হতেন, তেমনি বিধায়ক ভবিষ্যতেও হবেন।যেমন আগে মন্ত্রীপরিষদ হতো, তেমনই ভবিষ্যতেও হবে। আগে যেমন আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী হতেন, তেমনই ভবিষ্যতেও আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
সাথীরা, আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে এই নতুন ব্যবস্থার দ্বারা আমরা সবাই মিলে সন্ত্রাসবাদ-বিচ্ছিন্নতাবাদ থেকে জম্মু-কাশ্মীরকে মুক্ত করতে পারব।যখন এই ভূস্বর্গ, আমাদের জম্মু-কাশ্মীর আরেকবার উন্নয়নের নতুন নতুন উচ্চতা অতিক্রম করে গোটা বিশ্বকে আকর্ষণ করতে শুরু করবে, নাগরিকদের জীবনে সহজ জীবনযাপনের হার বৃদ্ধি পাবে, নাগরিকদের যে অধিকার পাওয়া উচিত, তা পেতে কোনও অসুবিধা হবে না। শাসন প্রশাসনের সমস্ত ব্যবস্থা জনহিতকর কাজগুলিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেবে। তাহলে আমার মনে হয় না যে, কেন্দ্রশাসিত প্রদেশের ব্যবস্থা দীর্ঘকাল বজায় রাখার প্রয়োজন হবে।
ভাই ও বোনেরা, আমরা সবাই চাই যে, আগামী দিনে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন হোক, নতুন সরকার হোক, মুখ্যমন্ত্রী হোন।আমি জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকে ভরসা দিচ্ছি যে, আপনারা অত্যন্ত সততার সঙ্গে, সম্পূর্ণ স্বচ্ছ পরিবেশে নিজস্ব প্রতিনিধি নির্বাচন করা সুযোগ পাবেন।
যেমন বিগত দিনগুলিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করানো হয়েছে, তেমনভাবেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভারও নির্বাচন হবে।আমি রাজ্যের গভর্নরকে এটাও অনুরোধ করবো যে, ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল গঠনের কাজ, যা বিগত দুই-তিন দশক ধরে স্থগিত রয়েছে, সেগুলি সম্পূর্ণ করার কাজও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করা হোক।
সাথীরা,
এটা আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা যে, চার-পাঁচ মাস আগে জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, তাঁরা খুব ভাল কাজ করছেন।কয়েক মাস আগে আমি যখন শ্রীনগর গিয়েছিলাম, তখন সেখানে আমার তাদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল।যখন তাঁরা দিল্লিতে এসেছিলেন, তখন আমার ঘরে আমি তাদের সঙ্গে অনেক সময় নিয়ে কথা বলেছিলাম।পঞ্চায়েতের এই সাথীদের জন্যই জম্মু-কাশ্মীরে গত দিনগুলিতে গ্রামস্তরে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে কাজ হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার কাজ হোক বা রাজ্যকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্মবিহীন করে তোলা, এতে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের অনেক বড় ভূমিকা ছিল।
আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস যে এখন ৩৭০ ধারা অপসারণের পর, যখন এই পঞ্চায়েত সদস্যরা নতুন ব্যবস্থায় কাজ করার সুযোগ পাবেন, তাঁরা দারুণ কাজ করবেন।আমার পূর্ণ বিশ্বাস যে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ বিচ্ছিন্নতাবাদকে পরাস্ত করে নতুন আশা নিয়ে যাবেন।আমার পূর্ণ বিশ্বাস যে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ সুপ্রশাসন এবং স্বচ্ছ শাসনের আবহে, নতুন উৎসাহ নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যগুলি অর্জন করবেন।
সাথীরা,
কয়েক দশকের পরিবারতন্ত্র জম্মু-কাশ্মীরে আমার তরুণদের নেতৃত্বের সুযোগই দেয়নি।
এখন আমার এই তরুণরা জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেবেন আর নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।আমি জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের তরুণদের,সেখানকার ভাইবোনেদের বিশেষ অনুরোধ জানাবো যে, নিজেদের এলাকার বিকাশের নেতৃত্ব নিজেরাই দিন।
সাথীরা,
জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্যটন গন্তব্য হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে।তারজন্য যে পরিবেশ দরকার, শাসন প্রশাসনে যে পরিবর্তন চাই, তা করা হচ্ছে কিন্তু আমার এতে প্রত্যেক দেশবাসীর সঙ্গ চাই।একটা সময় ছিল, যখন বলিউডের ফিল্মের শুটিংয়ের জন্য কাশ্মীরকে পছন্দ করা হতো। সেই সময় এমন সিনেমা কমই তৈরি হয়েছে, যার শুটিং কাশ্মীরে হয়নি।এখন জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, শুধু দেশ নয়, সারা পৃথিবীর লোকেরাই এখানে ফিল্মের শুটিং করতে আসবেন।প্রত্যেক ফিল্ম তার সঙ্গেই কাশ্মীরের জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগও নিয়ে আসবে।
আমি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, তেলুগু এবং তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, এবং তারসঙ্গে যুক্ত সবাইকে অনুরোধ করবো, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে বিনিয়োগ সম্পর্কে, ফিল্মের শুটিং থেকে শুরু করে প্রেক্ষাগৃহ এবং অন্যান্য পরিকাঠামো স্থাপন সম্পর্কে অবশ্যই ভাববেন।
যারা প্রযুক্তিবিশ্বের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা প্রশাসনে থাকুন কিংবা প্রাইভেট সেক্টরে, তাঁদের আমার অনুরোধ যে, আপনাদের নীতিতে, আপনাদের সিদ্ধান্তে, এই বিষয়কে অগ্রাধিকার দেবেন যে, জম্মু-কাশ্মীরে কিভাবে প্রযুক্তিকে আরও বিস্তৃত করা যায়।
সেখানে ডিজিটাল কমিউনিকেশন যত শক্তিশালী হয়ে উঠবে, ততই সেখানে বিপিওসেন্টার, কমন সার্ভিস সেন্টার বৃদ্ধি পাবে, ততই জম্মু-কাশ্মীরে আমাদের ভাইবোনেদের জীবন সহজ হবে, তাঁদের জীবিকা এবং রুটিরুজি অর্জনের সুযোগ বাড়বে।
সাথীরা,
সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের সেই তরুণদেরও সাহায্য করবে, যারা খেলার দুনিয়ায় এগিয়ে যেতে চান। নতুন স্পোর্টস আকাদেমি, নতুন স্পোর্টস স্টেডিয়াম, সায়েন্টিফিক এনভায়রনমেন্টে ট্রেনিং, বিশ্বে তাঁদের ট্যালেন্ট প্রকাশে সাহায্য করবে।
সাথীরা,জম্মু-কাশ্মীরের কেসরের রঙ হোক বা কাশ্মীরি কফির স্বাদ, আপেলের মিষ্টতা কিংবা খোবানির সরসতা, কাশ্মিরী শাল কিংবা কলাকৃতি, লাদাখের জৈব ফসল হোক বা হার্বাল মেডিসিন এর প্রসার বিশ্ব জুড়ে করার প্রয়োজনীয়তা আছে।আমি আপনাদের একটা উদাহরণ দিচ্ছি।
লাদাখে সোলো নামে একটি চারাগাছ পাওয়া যায়। অভিজ্ঞদের বলেন যে, এই চারাগাছ হাই অল্টিচিউড-এ বসবাসকারীদের জন্য, বরফের পাহাড়ে মোতায়েন নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য সঞ্জীবনীর কাজ করে।
কম অক্সিজেন আছে এমন জায়গায় শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ঠিক রাখার জন্য এর অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে |
ভাবুন তো, এমন অদ্ভুত একটা জিনিস গোটা দুনিয়ায় বিক্রি হওয়া দরকার নয় কি? কোন ভারতীয়ই বা চাইবেন না!
আর বন্ধুগণ, আমি তো মাত্র একটার নাম বলেছি | এরকম অসংখ্য গাছপালা, হারবাল প্রোডাক্ট জম্মু ও কাশ্মির এবং লাদাখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে | সেগুলি পরিচিত হবে|সেগুলি বিক্রি হলে সেখানকার মানুষ, সেখানকার কৃষক এতে বিশাল লাভের মুখ দেখবেন | এজন্য আমি দেশের উদ্যোগীদের, এক্সপোর্ট বা রপ্তানির সঙ্গে যুক্তদের, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ,ফুড প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে যারা আছেন, তাদের আহ্বান জানাবো যে, আপনারা জম্মু ও কাশ্মির এবং লাদাখের স্থানীয় প্রডাক্টকে গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে এগিয়ে আসুন |
বন্ধুগণ,
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, ইউনিয়ন টেরিটরি হয়ে যাওয়ার পর লাদাখের মানুষের বিকাশ ভারত সরকারের স্বাভাবিক দায়িত্বের মধ্যে এসে যাচ্ছে |স্থানীয় জন প্রতিনিধি, লাদাখ ও কারগিলের ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সাহায্যে ভারত সরকার যাবতীয় বিকাশ প্রকল্পের সুবিধে সেখানে আরও দ্রুত পৌঁছে দেবে |
লাদাখে আধ্যাত্মিক পর্যটন,স্পিরিচুয়াল ট্যুরিজম, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম এবং ইকো ট্যুরিজমের সবচেয়ে বড় ঠিকানা হয়ে ওঠার সক্ষমতা আছে | সোলার পাওয়ার জেনারেশন সৌর শক্তি সঞ্চারনেরও অনেক বড় কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে লাদাখ | এখন সেখানকার সামর্থ্যের দিকগুলিকে উপযুক্ত মাত্রায় কাজে লাগানো হবে | কোনরকম ভেদাভেদ ছাড়াই বিকাশের জন্য নতুন অবকাশ তৈরী হবে |এখন লাদাখের নবীন যুবকদের উদ্ভাবনী উদ্দীপনা ইনোভেটিভ স্পিরিটকে উৎসাহ যোগানো হবে,তারা উচ্চ শিক্ষার জন্য আরও ভালো প্রতিষ্ঠান পাবেন, সেখানকার মানুষ আরও ভালো হাসপাতাল পাবেন, পরিকাঠামোগত আধুনিকীকরণ আরও দ্রুত হারে হবে |
বন্ধুগণ,
গণতন্ত্রে এটাও খুব স্বাভাবিক যে, কেউ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে থাকবেন, কেউ এর বিপক্ষে থাকবেন | আমি সেই বিরোধীতার সঙ্গে তাঁদের আপত্তিকেও সম্মান জানাই | এনিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার তার জবাব দিচ্ছে | সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কেন না, এটা আমাদের গণতান্ত্রিক দয়িত্বও বটে | কিন্তু আমি তাঁদের আহ্বান জানাচ্ছি, তাঁরা যেন দেশের মঙ্গলকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের জায়গায় রেখেই আচরণ করেন এবং জম্মু-কাশ্মির-লাদাখকে নতুন দিশা দেখাতে সরকারের প্রয়াসে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন | সংসদে কে অভিমত জানিয়েছেন, কে জানাননি, কে সমর্থন করেছেন, কে করেননি তা থেকে এগিয়ে গিয়ে জম্মু-কাশ্মির-লাদাখের মঙ্গলের জন্য সম্মিলিতভাবে, একজোট হয়ে কাজ করতে হবে |
আমি প্রত্যেক দেশবাসীকে এটাও বলতে চাই যে, জম্মু-কাশ্মির এবং লাদাখের মানুষের চিন্তা, আমাদের সবার চিন্তা, ১৩০ কোটি দেশবাসীর চিন্তা| তাঁদের সুখ-দুঃখ ও সমস্যা থেকে আমরা আলাদা নই |
৩৭০ ধারা থেকে মুক্তি এক সত্যতা | কিন্তু এটাও সত্য যে, এই সময় ইতিহাসের গতিধারায় গৃহিত পদক্ষপের ফলে যে হয়রানি হচ্ছে ,তার মোকাবিলাও সেখানকার মানুষকেই করতে হচ্ছে | মাত্র কয়েকজন হাতে গোনা লোক , যারা পরিস্থিতি বিগড়ে দিতে চায়, ধৈর্যের সঙ্গে আমাদের সেখানকার ভাই-বোনেরাই তাদের জবাব দিচ্ছেন | আমাদের এটা ভুললেও চলবে না, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত যোগানো পাকিস্তানী চক্রান্তের বিরুদ্ধে জম্মু-কাশ্মীরের দেশপ্রেমিক জনগণই বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন | ভারতীয় সংবিধানের প্রতি আস্থাশীল এই সমস্ত ভাই-বোনেদেরও স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে | আমাদের তাঁদের সবার জন্য গর্ব হয় |
আমি আজ জম্মু-কাশ্মীরের এই সমস্ত বন্ধুদের এই ভরসা দিচ্ছি যে, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে | তাঁদের হয়রানিও কমে আসতে থাকবে |
বন্ধুগণ, ঈদের শুভেচ্ছাময় উৎসব খুব নিকটেই | আমি ঈদের জন্য আমার তরফ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি |
সরকার খেয়াল রাখছে যে, জম্মু-কাশ্মীরে ঈদ পালনে লোকেদের যেন কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়। আমাদের যে সাথীরা জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে থাকে, এবং ঈদে নিজেদের ঘরে ফিরতে চান, তাদেরও সরকার যথাসম্ভব সহায়তা দিচ্ছে।
সাথীরা, আজ এই সুযোগে, আমি জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন আমাদের সুরক্ষা বাহিনীর সাথীদেরও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত সব লোকেদের, রাজ্যের কর্মচারী আর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, যেভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন, তা অনেক প্রশংসার যোগ্য।আপনাদের এই পরিশ্রম আমার বিশ্বাস আরও বাড়িয়েছে, পরিবর্তন হতে পারে।
ভাই ও বোনেরা, জম্মু-কাশ্মীর আমাদের দেশের মুকুট। আমরা গর্ব করি। একে রক্ষার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের অনেক বীর, অনেক ছেলেমেয়ে বলিদান দিয়েছেন। নিজেদের জীবন বাজি রেখেছেন।
পুঞ্চ জেলার মৌলবী গোলাম দীন, যিনি ৬৫-র যুদ্ধে পাকিস্তানী অনুপ্রবেশের বিষয়ে ভারতীয় সেনাদের বলেছিলেন, তাঁকে অশোকচক্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।লাদাখের কর্নেল সনম ওয়াঞ্চুক, যিনি কারগিলের যুদ্ধে শত্রুদের ভুলুণ্ঠিত করেছিলেন, তাঁকে মহাবীর চক্র দেওয়া হয়েছিল। রাজৌরির রুকসানা কৌসর, যিনি এক বড়মাপের সন্ত্রাসবাদীকে মেরে ফেলেছিলেন, তাঁকে কীর্তিচক্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল।পুঞ্চের শহিদ ঔরঙ্গজেব, যাকে গত বছর সন্ত্রাসবাদীরা হত্যা করেছিল, তাঁর দুই ভাই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের সেবা করছেন।এমন বীর পুত্রকন্যাদের তালিকা অনেক লম্বা।সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াইতে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অনেক জওয়ান আর অফিসার শহিদ হয়েছেন।
দেশের অন্য ভুখন্ড থেকেও হাজার হাজার মানুষকে আমরা হারিয়েছি।এঁদের সবার স্বপ্ন ছিল একটি শান্ত, নিরাপদ, সমৃদ্ধ জম্মু-কাশ্মীর গড়ে তোলা। তাঁদের স্বপ্ন আমাদের সবাইকে মিলে বাস্তবায়িত করতে হবে।
সাথীরা,
এই সিদ্ধান্ত,জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখের সাথে গোটা ভারতের আর্থিক উন্নতিতে সহযোগিতা দেবে।যখন বিশ্বের এই গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ডে শান্তি আর সমৃদ্ধি আসবে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বশান্তির প্রয়াসকে শক্তি দেবে। আমি জম্মু-কাশ্মীরের আমাদের ভাইবোনদের, লাদাখে আমাদের ভাইবোনদের আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন, আমরা সবাই মিলে বিশ্বকে দেখিয়ে দিই যে, এখানকার লোকেদের ক্ষমতা কত বেশি, এখানকার লোকেদের মনোবল, তাঁদের প্রতিজ্ঞা কত বেশি।
আসুন আমরা সবাই মিলে, নতুন ভারতের সাথে সাথে এখন নতুন জম্মু-কাশ্মীর আর নতুন লাদাখেরও নির্মাণ করি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ,
জয় হিন্দ।
एक राष्ट्र के तौर पर, एक परिवार के तौर पर, आपने, हमने, पूरे देश ने एक ऐतिहासिक फैसला लिया है।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
एक ऐसी व्यवस्था, जिसकी वजह से जम्मू-कश्मीर और लद्दाख के हमारे भाई-बहन अनेक अधिकारों से वंचित थे, जो उनके विकास में बड़ी बाधा थी, वो अब दूर हो गई है: PM
जो सपना सरदार पटेल का था, बाबा साहेब अंबेडकर का था, डॉक्टर श्यामा प्रसाद मुखर्जी का था, अटल जी और करोड़ों देशभक्तों का था, वो अब पूरा हुआ है: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
समाज जीवन में कुछ बातें, समय के साथ इतनी घुल-मिल जाती हैं कि कई बार उन चीजों को स्थाई मान लिया जाता है। ये भाव आ जाता है कि, कुछ बदलेगा नहीं, ऐसे ही चलेगा: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
अनुच्छेद 370 के साथ भी ऐसा ही भाव था। उससे जम्मू-कश्मीर और लद्दाख के हमारे भाई-बहनों की जो हानि हो रही थी, उसकी चर्चा ही नहीं होती थी। हैरानी की बात ये है कि किसी से भी बात करें, तो कोई ये भी नहीं बता पाता था कि अनुच्छेद 370 से जम्मू-कश्मीर के लोगों के जीवन में क्या लाभ हुआ: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
हमारे देश में कोई भी सरकार हो, वो संसद में कानून बनाकर, देश की भलाई के लिए काम करती है।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
किसी भी दल की सरकार हो, किसी भी गठबंधन की सरकार हो, ये कार्य निरंतर चलता रहता है।
कानून बनाते समय काफी बहस होती है, चिंतन-मनन होता है, उसकी आवश्यकता को लेकर गंभीर पक्ष रखे जाते हैं: PM
इस प्रक्रिया से गुजरकर जो कानून बनता है,
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
वो पूरे देश के लोगों का भला करता है।
लेकिन कोई कल्पना नहीं कर सकता कि संसद इतनी बड़ी संख्या में कानून बनाए और वो देश के एक हिस्से में लागू ही नहीं हों: PM
देश के अन्य राज्यों में सफाई कर्मचारियों के लिए सफाई कर्मचारी एक्ट लागू है,
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
लेकिन जम्मू-कश्मीर के सफाई कर्मचारी इससे वंचित थे।
देश के अन्य राज्यों में दलितों पर अत्याचार रोकने के लिए सख्त कानून लागू है,
लेकिन जम्मू-कश्मीर में ऐसा नहीं था: PM
देश के अन्य राज्यों में अल्पसंख्यकों के हितों के संरक्षण के लिए माइनॉरिटी एक्ट लागू है, लेकिन जम्मू-कश्मीर में ऐसा नहीं था।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
देश के अन्य राज्यों में श्रमिकों के हितों की रक्षा के लिए Minimum Wages Act लागू है, लेकिन जम्मू-कश्मीर में ये सिर्फ कागजों पर ही मिलता था: PM
नई व्यवस्था में केंद्र सरकार की ये प्राथमिकता रहेगी कि राज्य के कर्मचारियों को, जम्मू-कश्मीर पुलिस को, दूसरे केंद्र शासित प्रदेश के कर्मचारियों और वहां की पुलिस के बराबर सुविधाएं मिलें: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
जल्द ही जम्मू-कश्मीर और लद्दाख में केंद्रीय और राज्य के रिक्त पदों को भरने की प्रक्रिया शुरू की जाएगी। इससे स्थानीय नौजवानों को रोजगार के अवसर उपलब्ध होंगे।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
केंद्र की पब्लिक सेक्टर यूनिट्स और प्राइवेट सेक्टर की कंपनियों को भी रोजगार उपलब्ध कराने के लिए प्रोत्साहित किया जाएगा: PM
हमने जम्मू-कश्मीर प्रशासन में एक नई कार्यसंस्कृति लाने, पारदर्शिता लाने का प्रयास किया है।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
इसी का नतीजा है कि IIT, IIM, एम्स, हों, तमाम इरिगेशन प्रोजेक्ट्स हो,
पावर प्रोजेक्ट्स हों, या फिर एंटी करप्शन ब्यूरो, इन सबके काम में तेजी आई है: PM
आप ये जानकर चौंक जाएंगे कि जम्मू-कश्मीर में दशकों से, हजारों की संख्या में ऐसे भाई-बहन रहते हैं, जिन्हें लोकसभा के चुनाव में तो वोट डालने का अधिकार था, लेकिन वो विधानसभा और स्थानीय निकाय के चुनाव में मतदान नहीं कर सकते थे: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
ये वो लोग हैं जो बंटवारे के बाद पाकिस्तान से भारत आए थे।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
क्या इन लोगों के साथ अन्याय ऐसे ही चलता रहता?: PM
हम सभी चाहते हैं कि आने वाले समय में जम्मू-कश्मीर विधानसभा के चुनाव हों,
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
नई सरकार बने, मुख्यमंत्री बनें।
मैं जम्मू-कश्मीर के लोगों को भरोसा देता हूं कि आपको बहुत ईमानदारी के साथ,
पूरे पारदर्शी वातावरण में अपने प्रतिनिधि चुनने का अवसर मिलेगा: PM
जैसे पंचायत के चुनाव पारदर्शिता के साथ संपन्न कराए गए, वैसे ही
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
विधानसभा के भी चुनाव होंगे।
मैं राज्य के गवर्नर से ये भी आग्रह करूंगा कि ब्लॉक डवलपमेंट काउंसिल का गठन, जो पिछले दो-तीन दशकों से लंबित है, उसे पूरा करने का काम भी जल्द से जल्द किया जाए: PM
मुझे पूरा विश्वास है कि अब अनुच्छेद 370 हटने के बाद, जब इन पंचायत सदस्यों को नई व्यवस्था में काम करने का मौका मिलेगा तो वो कमाल कर देंगे।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
मुझे पूरा विश्वास है कि जम्मू-कश्मीर की जनता अलगाववाद को परास्त करके नई आशाओं के साथ आगे बढ़ेगी: PM
मुझे पूरा विश्वास है कि जम्मू-कश्मीर की जनता, Good Governance और पारदर्शिता के वातावरण में, नए उत्साह के साथ अपने लक्ष्यों को प्राप्त करेगी: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
दशकों के परिवारवाद ने जम्मू-कश्मीर के युवाओं को नेतृत्व का अवसर ही नहीं दिया।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
अब मेरे युवा, जम्मू-कश्मीर के विकास का नेतृत्व करेंगे और उसे नई ऊंचाई पर ले जाएंगे।
मैं नौजवानों, वहां की बहनों-बेटियों से आग्रह करूंगा कि अपने क्षेत्र के विकास की कमान खुद संभालिए: PM
जम्मू-कश्मीर के केसर का रंग हो या कहवा का स्वाद,
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
सेब का मीठापन हो या खुबानी का रसीलापन,
कश्मीरी शॉल हो या फिर कलाकृतियां,
लद्दाख के ऑर्गैनिक प्रॉडक्ट्स हों या हर्बल मेडिसिन,
इसका प्रसार दुनियाभर में किए जाने का जरूरत है: PM
Union Territory बन जाने के बाद अब लद्दाख के लोगों का विकास, भारत सरकार की विशेष जिम्मेदारी है।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
स्थानीय प्रतिनिधियों, लद्दाख और कारगिल की डवलपमेंट काउंसिल्स के सहयोग से केंद्र सरकार, विकास की तमाम योजनाओं का लाभ अब और तेजी से पहुंचाएगी: PM
लद्दाख में स्पीरिचुअल टूरिज्म, एडवेंचर टूरिज्म औरइकोटूरिज्म का सबसे बड़ा केंद्र बनने की क्षमता है।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
सोलर पावर जनरेशन का भी लद्दाख बहुत बड़ा केंद्र बन सकता है।
अब वहां के सामर्थ्य का उचित इस्तेमाल होगा और बिना भेदभाव विकास के लिए नए अवसर बनेंगे: PM
अब लद्दाख के नौजवानों की इनोवेटिव स्पिरिट को बढ़ावा मिलेगा, उन्हें अच्छी शिक्षा के लिए बेहतर संस्थान मिलेंगे, वहां के लोगों को अच्छे अस्पताल मिलेंगे,
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
इंफ्रास्ट्रक्चर का और तेजी से आधुनिकीकरण होगा: PM
लोकतंत्र में ये भी बहुत स्वाभाविक है कि कुछ लोग इस फैसले के पक्ष में हैं और कुछ को इस पर मतभेद है।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
मैं उनके मतभेद का भी सम्मान करता हूं और उनकी आपत्तियों का भी।
इस पर जो बहस हो रही है, उसका केंद्र सरकार जवाब भी दे रही है।
ये हमारा लोकतांत्रिक दायित्व है: PM
लेकिन मेरा उनसे आग्रह है कि वो देशहित को सर्वोपरि रखते हुए व्यवहार करें और जम्मू-कश्मीर-लद्दाख को नई दिशा देने में सरकार की मदद करें।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
संसद में किसने मतदान किया, किसने नहीं किया, इससे आगे बढ़कर अब हमें
जम्मू-कश्मीर-लद्दाख के हित में मिलकर, एकजुट होकर काम करना है: PM
मैं हर देशवासी को ये भी कहना चाहता हूं कि जम्मू-कश्मीर और लद्दाख के लोगों की चिंता, हम सबकी चिंता है, उनके सुख-दुःख, उनकी तकलीफ से हम अलग नहीं हैं: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
अनुच्छेद 370 से मुक्ति एक सच्चाई है,
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
लेकिन सच्चाई ये भी है कि इस समय ऐहतियात के तौर पर उठाए गए कदमों की वजह से जो परेशानी हो रही है, उसका मुकाबला भी वही लोग कर रहे हैं।
कुछ मुट्ठी भर लोग जो वहां हालात बिगाड़ना चाहते हैं,
उन्हें जवाब भी वहां के स्थानीय लोग दे रहे हैं: PM
हमें ये भी नहीं भूलना चाहिए कि आतंकवाद और अलगाववाद को बढ़ावा देने की पाकिस्तानी साजिशों के विरोध में जम्मू-कश्मीर के ही देशभक्त लोग डटकर खड़े हुए हैं: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
जम्मू-कश्मीर के साथियों को भरोसा देता हूं कि धीरे-धीरे हालात सामान्य हो जाएंगे और उनकी परेशानी भी कम होती चली जाएगी।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
ईद का मुबारक त्योहार भी नजदीक ही है।
ईद के लिए मेरी ओर से सभी को बहुत-बहुत शुभकामनाएं: PM
सरकार इस बात का ध्यान रख रही है कि जम्मू-कश्मीर में ईद मनाने में लोगों को कोई परेशानी न हो।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
हमारे जो साथी जम्मू-कश्मीर से बाहर रहते हैं और ईद पर अपने घर वापस जाना चाहते हैं, उनको भी सरकार हर संभव मदद कर रही है: PM
जम्मू-कश्मीर के लोगों की सुरक्षा में तैनात सुरक्षाबलों के साथियों का आभार व्यक्त करता हूं।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
प्रशासन से जुड़े लोग, राज्य के कर्मचारी और जम्मू-कश्मीर पुलिस जिस तरह से स्थितियों को सँभाल रही है वो प्रशंसनीय है
आपके इस परिश्रम ने मेरा ये विश्वास और बढ़ाया है कि बदलाव हो सकता है: PM
ये फैसला जम्मू-कश्मीर और लद्दाख के साथ ही पूरे भारत की आर्थिक प्रगति में सहयोग करेगा।
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
जब दुनिया के इस महत्वपूर्ण भूभाग में शांति और खुशहाली आएगी, तो स्वभाविक रूप से विश्व शांति के प्रयासों को मजबूती मिलेगी: PM
मैं जम्मू-कश्मीर के अपने भाइयों और बहनों से,
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019
लद्दाख के अपने भाइयों और बहनों से आह्वान करता हूं।
आइए, हम सब मिलकर दुनिया को दिखा दें कि इस क्षेत्र के लोगों का सामर्थ्य कितना ज्यादा है, यहां के लोगों का हौसला, उनका जज्बा कितना ज्यादा है: PM
आइए, हम सब मिलकर, नए भारत के साथ अब नए जम्मू-कश्मीर और नए लद्दाख का भी निर्माण करें: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 8, 2019