প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান (পিএম-জনমন) প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ পিএমএওয়াই(জি)-র সুবিধাভোগীকে প্রথম কিস্তির অর্থ প্রদান করেছেন। এই উপলক্ষে পিএম-জনমন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বামীর সঙ্গে চাষাবাদের কাজে যুক্ত ছত্তিশগড়ের যশপুর জেলার বাসিন্দা শ্রীমতী মানকুনওয়াড়ি বাঈ প্রধানমন্ত্রীকে জানান, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি ডোনা পট্টল তৈরির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে পিএম-জনমন-এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে প্রচার চালাচ্ছেন। শ্রীমতী মানকুনওয়াড়ি প্রধানমন্ত্রীকে আরও জানান, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। সেইসঙ্গে তিনি পাকা বাড়ি, জল, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কথাও উল্লেখ করেন। আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে বিনা খরচে তাঁর স্বামীর চিকিৎসা এবং তাঁর কন্যার চিকিৎসার জন্য ৩০ হাজার টাকা প্রাপ্তির কথাও জানান মানকুনওয়াড়িদেবী। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন ২৫ দিনে যে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, তা গত ৭৫ বছরে হয়নি।” খেলাধূলার ব্যাপারে তরুণীদের উৎসাহ সম্পর্কে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, সাম্প্রতিককালে ক্রীড়াক্ষেত্রে যে সব পুরস্কার এসেছে, তার বেশিরভাগই এনেছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের অ্যাথলিটরা। প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী মানকুনওয়াড়িদেবীকে বলেন, “আপনি শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের সুবিধাই নেননি, সেইসঙ্গে আপনার সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজও করেছেন।”
আয়ুষ্মান কার্ড, রেশন কার্ড, পিএম কিষাণ নিধি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের একজন হলেন, মধ্যপ্রদেশের শিবপুরীর বাসিন্দা, তিন সন্তানের মা শ্রীমতী ললিতা আদিবাসী। তাঁর কন্যা ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। বৃত্তি, স্কুলের পোশাক এবং বইয়ের পাশাপাশি সে লাডলি লক্ষ্মী প্রকল্পেরও সুবিধাভোগী। তাঁর ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। সেও বৃত্তি এবং অন্যান্য সুবিধা পেয়ে থাকে। তাঁর কনিষ্ঠ ছেলে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে পড়াশোনা করে। তিনি শীতলা মাইয়া স্বয়ম সহায়তা সামুহ নামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। পাকা বাড়ির প্রথম কিস্তি পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁকে অভিনন্দন জানান। জনমন অভিযানে ১০০টি অতিরিক্ত আয়ুষ্মান কার্ড দেওয়া হয়েছে। ললিতাদেবীর গ্রামের প্রতিটি বাড়িকে উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। আদিবাসী ও গ্রামাঞ্চলের মহিলাদের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তাঁর গুণাবলীর জন্য ললিতাদেবীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল স্তরে পিএম-জনমন প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পিম্প্রি-র একলব্য মডেল আবাসিক স্কুলের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া ভারতী নারায়ণ রন মহারাষ্ট্রের নাসিকের বাসিন্দা। হিন্দি ভাষায় তার বিশেষ পারদর্শিতা প্রধানমন্ত্রীকে মুগ্ধ করেছে। বিদ্যালয়ে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী তার কাছে জানতে চান। প্রধানমন্ত্রীকে ভারতী জানায়, সে আইএএস অফিসার হতে চায় এবং তার প্রেরণার উৎস হল তার বড় ভাই, যিনি আশ্রম স্কুলের একজন শিক্ষক। ভারতীর দাদা শ্রী পানদুরাঙ্গা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তিনি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত একলব্য মডেল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং নাসিক থেকে স্নাতক হয়েছেন। তিনি আরও জানান, অন্য শিশুদেরও একলব্য মডেল স্কুলে পড়াশোনা করার জন্য উৎসাহিত করে চলেছেন। শ্রী পানদুরাঙ্গা আরও জানান, পিএম-জনমন প্রকল্পের আওতায় আজ প্রথম কিস্তির ৯০ হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করা হবে। একলব্য স্কুলের অংশীদার হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে আর্জি জানান।
তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উত্তরায়ণ, মকর সংক্রান্তি, পোঙ্গল এবং বিহুর কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশজুড়ে এখন উৎসবের আবহ চলছে। তিনি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান এই উৎসব পর্বকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একদিকে অযোধ্যা জুড়ে দীপাবলি উদযাপিত হচ্ছে, অন্যদিকে অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের ১ লক্ষ মানুষও দীপাবলি উদযাপন করছেন।” এ প্রসঙ্গে পাকা বাড়ি নির্মাণে আদিবাসীদের অ্যাকাউন্টে টাকা হস্তান্তরের কথাও উল্লেখ করেন শ্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এ বছর এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা নিজেদের বাড়িতেই দীপাবলি উদযাপন করবেন। অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের অংশীদার হতে পেরে তিনি কৃতজ্ঞ।
মাতা শবরীকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাতা শবরী ছাড়া শ্রীরামের কাহিনী সম্ভব ছিল না।” রাজপুত্র রামের পুরুষোত্তম রামে রূপান্তরিত হওয়ার পিছনে মাতা শবরীর ব্যাপক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, গত ১০ বছরে ৪ কোটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “মোদী তাঁদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে, যাঁদের দিকে কেউ কখনও নজর দেয়নি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএম-জনমন প্রকল্পের লক্ষ্য হল, আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিটি সদস্যের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। তিনি জানান, দু’মাসের মধ্যে পিএম-জনমন-এর প্রচার ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছে, যা অন্যদের কাছে স্বপ্নের মতো। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হবে, কেননা সরকার পিএম-জনমন প্রকল্পে ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ তখনই উন্নতি করতে পারে যখন সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা পৌঁছয়। শ্রী মোদী জানান, দেশের প্রায় ১৯০টি জেলায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। এ প্রসঙ্গে সরকারের দু’মাসের মধ্যে ৮০ হাজারের বেশি আয়ুষ্মান কার্ড বন্টনের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে অত্যন্ত পিছিয়ে থাকা আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৩০ হাজার কৃষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের ৪০ হাজার সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকা বাড়ি তৈরির জন্য প্রত্যেক আদিবাসী পরিবারকে ২.৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে, সেইসঙ্গে তাঁরা বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ, নলবাহিত জল ও শৌচাগারের সুবিধা পাবেন। শুরুতে ১ লক্ষ সুবিধাভোগীকে এর আওতায় আনা হলেও, পরবর্তীকালে প্রত্যেক সুবিধাপ্রাপকের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
খাদ্যের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সরকারের ১ হাজারটি কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে টিকা, প্রশিক্ষণ প্রভৃতির মতো সুযোগ-সুবিধা মিলবে। আদিবাসী তরুণদের জন্য হস্টেল তৈরির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
শ্রী মোদী বলেন, ‘মোদী কী গ্যারান্টি’ যান দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে এবং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করা হচ্ছে। ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’য় দু’মাসে ৪০ লক্ষের বেশি মানুষের সিকল সেল অ্যানিমিয়া রোগের পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আদিবাসীদের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ পাঁচগুণ বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, ১০ বছর আগে একলব্য মডেল স্কুলের সংখ্যা ছিল ৯০, এখন তা ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আদিবাসী অঞ্চলগুলিতে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদের আশ্চর্য দূরদৃষ্টি রয়েছে। সরকার আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও মর্যাদা রক্ষায় কীভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন এবং বুঝতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী স্বাধীনতা যোদ্ধাদের স্মরণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১০টি বড় সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হচ্ছে।
सरकार की योजनाएं अति पिछड़े जनजातीय भाई-बहन तक पहुंचें, यही पीएम जनमन महाअभियान का उद्देश्य है। pic.twitter.com/D74fKrrFMl
— PMO India (@PMOIndia) January 15, 2024
हमारे देश का विकास तभी हो सकता है जब समाज में कोई छूटे नहीं, हर किसी तक सरकार की योजनाओं का लाभ पहुंचे। pic.twitter.com/ieLPEgIUNR
— PMO India (@PMOIndia) January 15, 2024
आज देश में वो सरकार है जो सबसे पहले गरीबों के बारे में सोचती है। pic.twitter.com/Wv0lnKnEI2
— PMO India (@PMOIndia) January 15, 2024
केंद्र सरकार जो आकांक्षी जिला प्रोग्राम चला रही है उसका सबसे बड़ा लाभ हमारे आदिवासी भाई-बहनों को ही मिला है। pic.twitter.com/P0iYymkqgm
— PMO India (@PMOIndia) January 15, 2024
विकसित भारत संकल्प यात्रा के दौरान भी सिकल सेल की जांच की जा रही है। pic.twitter.com/2OVmfBlDzu
— PMO India (@PMOIndia) January 15, 2024
आज आदिवासी समाज देख और समझ रहा है कि कैसे हमारी सरकार जनजातीय संस्कृति और उनके सम्मान के लिए काम कर रही है: PM @narendramodi pic.twitter.com/oilNc52Fat
— PMO India (@PMOIndia) January 15, 2024