Published By : Admin |
January 1, 2022 | 12:30 IST
Share
More than Rs 20,000 crore to more than 10 crore beneficiary farmer families transferred
PM also releases equity grant of more than Rs. 14 crore to about 351 FPOs; to benefit more than 1.24 lakhs farmers
“FPOs are playing a stellar role in giving a collective shape to the increasing strength of our small farmers”
“Confidence of the country’s farmer is the key strength of the country”
“We need to embark upon a new journey taking inspiration from the achievements of the 2021”
“Devoting to the nation with the spirit of 'Nation First', is becoming the sentiment of every Indian today. That is why, today there is unity in our efforts and in our resolutions. Today there is consistency in our policies and farsightedness in our decisions.”
“PM Kisan Samman Nidhi is a big support for India’s farmers. If we include today’s transfer, more than 1.80 lakh crore rupees have been transferred directly to the accounts of the farmers”
তৃণমূল স্তরে কৃষকদের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখতে এবং এই সংকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি’ (পিএম-কিষান) প্রকল্পে আওতাভুক্ত আর্থিক সুবিধাভোগীদের দশম কিস্তির টাকা প্রদানের সূচনা করেছেন। এতে প্রায় ১০ কোটিও বেশি সুবিধাভোগী কৃষক পরিবার ২০ হাজার কোটি টাকা পাবেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৩৫১টি কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলির জন্য ১৪ কোটি টাকারও বেশি ইক্যুইটি অনুদানের সূচনা করেছেন। এতে ১.২৪ লক্ষেরও বেশি কৃষক উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, উপরাজ্যপাল, একাধিক রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী ও বহু কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরাখণ্ডের কৃষি উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের জৈব চাষের ক্ষেত্রে পছন্দের বিষয় এবং জৈব পণ্যের শংসাপত্রের উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি সংস্থাগুলির জৈব পণ্যের বাজারজাতকরণের বিষয়েও কথা বলেন। কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছে যে, তারা কীভাবে জৈব সারের ব্যবস্থা করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় প্রাকৃতিক ও জৈব চাষাবাদকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
|
পাঞ্জাবের কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে বার্তালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের উৎপাদিত ফসলের অবশিষ্টাংশ আগুনে না পুড়িয়ে ভিন্ন উপায় সম্পর্কে অবহিত করেন। সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে উন্নতমানের বীজ এবং সরকারী সংস্থার সাহায্যের কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের ‘পারালি’ পদ্ধতিতে চাষের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা সর্বত্র ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান।
রাজস্থানের কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে মধু তৈরির বিষয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, এনএএফইডি-এর সহায়তায় কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলির উপকৃত হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলি কৃষকদের সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে এই সংস্থার তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা সংস্থার সদস্যদের বীজ, জৈব সার, বিভিন্ন উদ্যানজাত দ্রব্য দিয়ে সাহায্য করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে কৃষকদের সাহায্য করার কথাও প্রধানমন্ত্রীকে জানান। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতায় সংস্থার সদস্যরা ই-ন্যাম সুবিধার কথাও প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের কৃষকদের আস্থাই দেশের মূল শক্তি।
তামিলনাড়ুর কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলি এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতায় নাবার্ডের সহায়তার কথা তুলে ধরেন। তারা আরও ভালো ফসলের দাম পাওয়ার জন্য কৃষক উৎপাদক সংস্থা গঠন এবং সম্পূর্ণরূপে মহিলা পরিচালিত কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলির ভূমিকা প্রসঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পাশাপাশি সংস্থার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে আরও জানান যে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়ার কারণে এখন জোয়ার-বাজরা উৎপাদন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নারী শক্তির সাফল্যে তাদের অদম্য ইচ্ছা শক্তির কথাও তুলে ধরেন। তিনি কৃষকদের জোয়ার-বাজরা চাষের সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান।
গুজরাটের কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলি প্রাকৃতিক চাষ এবং কীভাবে গরু-ভিত্তিক কৃষিকাজ মাটির ওপর চাপ ও খরচ কমাতে পারে সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মাতা বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পদপিষ্টের ঘটনায় হতাহতের প্রতি সমবেদনা জানান। শ্রী মোদী আরও জানান যে, আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থার বিষয়ে উপ-রাজ্যপাল শ্রী মনোজ সিনহার সঙ্গে কথা বলেছেন।
|
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা নতুন বছরে পদার্পণ করেছি। বিগত বছরের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই কঠিন সময়ে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই, টিকাদান এবং দুর্বল অংশের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও স্মরণ করেন। অসহায় শ্রেণীর জন্য রেশন সরবরাহ করতে সরকার ২ লক্ষ ৬০ কোটি হাজার টাকা ব্যয় করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার চিকিৎসা পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তিনি চিকিৎসা পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর জন্য নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো, নতুন মেডিকেল কলেজ, সুস্থতা কেন্দ্র নির্মাণ, আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন এবং আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের মতো একাধিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ও সবকা প্রয়াস’-এর মন্ত্র নিয়ে দেশ এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, অনেকেই দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, দেশ গড়েছেন। শ্রী মোদী জানান, আগেও তাঁরা এ ধরণের কাজ করেছেন। কিন্তু এখন তাঁরা এই কাজে স্বীকৃতি পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবছর আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করছি। দেশের সংকল্পের একটি নতুন যাত্রা শুরু করার এটিই সময়। নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে”। সম্মিলিত প্রচেষ্টা শক্তি সম্পর্কে বিশদে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, “যখন ১৩০ কোটি ভারতীয় একটি পদক্ষেপ নেয়, তখন এটি কেবল একটি পদক্ষেপ নয়, এটি ১৩০ কোটি পদক্ষেপ মাত্রার সমান”।
অর্থনীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, অনেক প্যারামিটারে ভারতীয় অর্থনীতি প্রাক-কোভিড দিনগুলির চেয়ে ভালো ইঙ্গিত দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, “আজ আমাদের অর্থনীতি বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের বেশি। ভারতে রেকর্ড বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার রেকর্ড মাত্রায় রয়েছে। পণ্য ও পরিষেবা কর সংগ্রহ বিগত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। আমরা রপ্তানি ক্ষেত্রে বিশেষ করে কৃষিতে নতুন রেকর্ড গড়েছি”। তিনি বলেন, ২০২১ সালে ইউপিআই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ৭০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে। দেশে এখন ৫০ হাজারেরও বেশি স্টার্ট-আপ কাজ করছে। এর মধ্যে গত ৬ মাসে ১০ হাজারের বেশি স্টার্ট-আপ কাজ শুরু করেছে।
|
২০২১ সালকে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শক্তিশালী করার বছর বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। কাশী বিশ্বনাথ ধাম এবং কেদারনাথ ধামের সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়ন, আদি শঙ্করাচার্যের সমাধি সংস্কার, দেবী অন্নপূর্ণার চুরি যাওয়া মূর্তি উদ্ধার, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ এবং ধোলাভিরা ও দুর্গাপুজো উৎসব বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পাওয়ার মতো উদ্যোগগুলি দেশকে শক্তিশালী করেছে বলে জানান তিনি। শ্রী মোদী বলেন, এতে পর্যটন ও তীর্থযাত্রার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
২০২১ সাল মাতৃ-শক্তির জন্যও একটি আত্মবিশ্বাসের বছর। জাতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাডেমিতে মেয়েদের জন্য দরজা খুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সৈনিক স্কুল খোলা হয়েছে। মেয়েদের বিয়ের বয়স ছেলেদের সমান ২১ বছর করা হয়েছে। ভারতীয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরাও ২০২১ সালে দেশের জন্য সম্মান এনে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামোতে অভূতপূর্ব বিনিয়োগ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়ে ভারত ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এখন ভারত হাইড্রোজেন মিশনে কাজ করছে এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, পিএম গতি শক্তি জাতীয় মহাপরিকল্পনা দেশের পরিকাঠামো নির্মাণে গতি এনেছে। শ্রী মোদী জানান, “মেক ইন ইন্ডিয়াকে নতুন মাত্রা প্রদান করে দেশ কম্পিউটারে চিপ উৎপাদন, সেমিকন্ডাক্টরের মতো নতুন ক্ষেত্রে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে”।
প্রধানমন্ত্রী ভারতের ‘জনগণ প্রথম’-এই চেতনা সম্পর্কে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আজ প্রতিটি ভারতীয়ের মধ্যে এই চেতনা অনুভূত হচ্ছে। শ্রী মোদী জানান, “সেকারণেই আজ আমাদের প্রচেষ্টা এবং সংকল্প ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সিদ্ধিলাভের জন্য অধৈর্য্য হয়ে উঠেছে। আজ আমাদের নীতিতে ধারাবাহিকতা এবং আমাদের সিদ্ধান্তের দূরদৃষ্টি রয়েছে”।
প্রধানমন্ত্রী জানান যে, পিএম কিষান সম্মান নিধি দেশের কৃষকদের জন্য একটি বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, এদিনের অনুষ্ঠানের পর ১.৮০ লক্ষ কোটিরও বেশি অর্থ কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা হবে।
|
শ্রী মোদী জানান, কৃষি উৎপাদক সংস্থাগুলির মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকরা সম্মিলিত শক্তি অনুভব করছে। তিনি ছোট কৃষকদের জন্য কৃষি উৎপাদক সংস্থার ৫টি সুবিধা তুলে ধরেন। এই সুবিধাগুলি হলো দর কষাকষির ক্ষমতা, দামের হার, উদ্ভাবন, ঝুঁকি মোকাবিলা এবং বাজারের অবস্থার সঙ্গে মানানসই ব্যবস্থাগ্রহণ। কৃষি উৎপাদক সংস্থাগুলির সুবিধার কথা মাথায় রেখে সরকার প্রতিটি স্তরে তাদের সাহায্য করছে। এই সংস্থাগুলি ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাহায্য পাচ্ছে। এর ফলস্বরূপ, সারা দেশে কৃষি উৎপাদক সংস্থাগুলি জৈব চাষ, তৈল বীজ, মধু বাজারে নিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমাদের কৃষকেরা ‘এক জেলা এক পণ্য’ এর মতো প্রকল্পগুলি থেকে উপকৃত হচ্ছেন এবং তাদের জন্য দেশ ও বিশ্বব্যাপী বাজার উন্মুক্ত হচ্ছে”। তিনি বলেন যে, ১১ হাজার কোটি টাকা বাজেটের জাতীয় ভোজ্য তেল মিশনের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ভোজ্য তেল আমদানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি ক্ষেত্রে অর্জিত মাইলফলকের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন ৩০০ মিলিয়ন টন ছুঁয়েছে। একইভাবে উদ্যানপালন ও ফুলের উৎপাদন ৩৩০ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। গত ৬-৭ বছরে দুধের উৎপাদন প্রায় ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। তিনি বলেন, প্রায় ৬০ লক্ষ হেক্টর জমিকে ক্ষুদ্র সেচের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী ফসলবীমা যোজনা’র আওতায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৭ বছরে ইথানল উৎপাদন ৪০ কোটি লিটার থেকে ৩৪০ কোটি লিটারে উন্নীত হয়েছে। বায়োগ্যাসের প্রচারে গোবর্ধন প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। গরুর গোবরের মূল্য থাকলে, তা আর কৃষকদের বোঝা হবে না বলে তিনি জানান। শ্রী মোদী বলেন, সরকার কামধেনু কমিশন মিশন প্রতিষ্টা করেছে এবং দুগ্ধ ক্ষেত্রে পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও একবার প্রাকৃতিক চাষের প্রসারের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, রাসায়নিকমুক্ত চাষ মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় একটি প্রধান উপায়। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শ্রী মোদী প্রতিটি কৃষককে প্রাকৃতিক চাষের প্রক্রিয়া ও উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন হতে আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা প্রয়োগ এবং স্বচ্ছতার মতো আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
केंद्र सरकार, जम्मू-कश्मीर प्रशासन के लगातार संपर्क में है। मेरी लेफ्टिनेंट गवर्नर @manojsinha_ जी से भी बात हुई है।
राहत के काम का, घायलों के उपचार का पूरा ध्यान रखा जा रहा है: PM @narendramodi
Prime Minister Narendra Modi has consistently emphasized the importance of farmers' welfare in India. Through initiatives like the PM-KISAN scheme, soil health cards, and increased MSP for crops, the government aims to enhance agricultural productivity and support the livelihoods of millions of farmers. #FarmersFirst #ModiWithFarmers #AgriculturalReforms
Today, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM Modi in TV9 Summit
March 28, 2025
Share
Today, the world's eyes are on India: PM
India's youth is rapidly becoming skilled and driving innovation forward: PM
"India First" has become the mantra of India's foreign policy: PM
Today, India is not just participating in the world order but also contributing to shaping and securing the future: PM
India has given Priority to humanity over monopoly: PM
Today, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM
श्रीमान रामेश्वर गारु जी, रामू जी, बरुन दास जी, TV9 की पूरी टीम, मैं आपके नेटवर्क के सभी दर्शकों का, यहां उपस्थित सभी महानुभावों का अभिनंदन करता हूं, इस समिट के लिए बधाई देता हूं।
TV9 नेटवर्क का विशाल रीजनल ऑडियंस है। और अब तो TV9 का एक ग्लोबल ऑडियंस भी तैयार हो रहा है। इस समिट में अनेक देशों से इंडियन डायस्पोरा के लोग विशेष तौर पर लाइव जुड़े हुए हैं। कई देशों के लोगों को मैं यहां से देख भी रहा हूं, वे लोग वहां से वेव कर रहे हैं, हो सकता है, मैं सभी को शुभकामनाएं देता हूं। मैं यहां नीचे स्क्रीन पर हिंदुस्तान के अनेक शहरों में बैठे हुए सब दर्शकों को भी उतने ही उत्साह, उमंग से देख रहा हूं, मेरी तरफ से उनका भी स्वागत है।
साथियों,
आज विश्व की दृष्टि भारत पर है, हमारे देश पर है। दुनिया में आप किसी भी देश में जाएं, वहां के लोग भारत को लेकर एक नई जिज्ञासा से भरे हुए हैं। आखिर ऐसा क्या हुआ कि जो देश 70 साल में ग्यारहवें नंबर की इकोनॉमी बना, वो महज 7-8 साल में पांचवे नंबर की इकोनॉमी बन गया? अभी IMF के नए आंकड़े सामने आए हैं। वो आंकड़े कहते हैं कि भारत, दुनिया की एकमात्र मेजर इकोनॉमी है, जिसने 10 वर्षों में अपने GDP को डबल किया है। बीते दशक में भारत ने दो लाख करोड़ डॉलर, अपनी इकोनॉमी में जोड़े हैं। GDP का डबल होना सिर्फ आंकड़ों का बदलना मात्र नहीं है। इसका impact देखिए, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं, और ये 25 करोड़ लोग एक नियो मिडिल क्लास का हिस्सा बने हैं। ये नियो मिडिल क्लास, एक प्रकार से नई ज़िंदगी शुरु कर रहा है। ये नए सपनों के साथ आगे बढ़ रहा है, हमारी इकोनॉमी में कंट्रीब्यूट कर रहा है, और उसको वाइब्रेंट बना रहा है। आज दुनिया की सबसे बड़ी युवा आबादी हमारे भारत में है। ये युवा, तेज़ी से स्किल्ड हो रहा है, इनोवेशन को गति दे रहा है। और इन सबके बीच, भारत की फॉरेन पॉलिसी का मंत्र बन गया है- India First, एक जमाने में भारत की पॉलिसी थी, सबसे समान रूप से दूरी बनाकर चलो, Equi-Distance की पॉलिसी, आज के भारत की पॉलिसी है, सबके समान रूप से करीब होकर चलो, Equi-Closeness की पॉलिसी। दुनिया के देश भारत की ओपिनियन को, भारत के इनोवेशन को, भारत के एफर्ट्स को, जैसा महत्व आज दे रहे हैं, वैसा पहले कभी नहीं हुआ। आज दुनिया की नजर भारत पर है, आज दुनिया जानना चाहती है, What India Thinks Today.
|
साथियों,
भारत आज, वर्ल्ड ऑर्डर में सिर्फ पार्टिसिपेट ही नहीं कर रहा, बल्कि फ्यूचर को शेप और सेक्योर करने में योगदान दे रहा है। दुनिया ने ये कोरोना काल में अच्छे से अनुभव किया है। दुनिया को लगता था कि हर भारतीय तक वैक्सीन पहुंचने में ही, कई-कई साल लग जाएंगे। लेकिन भारत ने हर आशंका को गलत साबित किया। हमने अपनी वैक्सीन बनाई, हमने अपने नागरिकों का तेज़ी से वैक्सीनेशन कराया, और दुनिया के 150 से अधिक देशों तक दवाएं और वैक्सीन्स भी पहुंचाईं। आज दुनिया, और जब दुनिया संकट में थी, तब भारत की ये भावना दुनिया के कोने-कोने तक पहुंची कि हमारे संस्कार क्या हैं, हमारा तौर-तरीका क्या है।
साथियों,
अतीत में दुनिया ने देखा है कि दूसरे विश्व युद्ध के बाद जब भी कोई वैश्विक संगठन बना, उसमें कुछ देशों की ही मोनोपोली रही। भारत ने मोनोपोली नहीं बल्कि मानवता को सर्वोपरि रखा। भारत ने, 21वीं सदी के ग्लोबल इंस्टीट्यूशन्स के गठन का रास्ता बनाया, और हमने ये ध्यान रखा कि सबकी भागीदारी हो, सबका योगदान हो। जैसे प्राकृतिक आपदाओं की चुनौती है। देश कोई भी हो, इन आपदाओं से इंफ्रास्ट्रक्चर को भारी नुकसान होता है। आज ही म्यांमार में जो भूकंप आया है, आप टीवी पर देखें तो बहुत बड़ी-बड़ी इमारतें ध्वस्त हो रही हैं, ब्रिज टूट रहे हैं। और इसलिए भारत ने Coalition for Disaster Resilient Infrastructure - CDRI नाम से एक वैश्विक नया संगठन बनाने की पहल की। ये सिर्फ एक संगठन नहीं, बल्कि दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं के लिए तैयार करने का संकल्प है। भारत का प्रयास है, प्राकृतिक आपदा से, पुल, सड़कें, बिल्डिंग्स, पावर ग्रिड, ऐसा हर इंफ्रास्ट्रक्चर सुरक्षित रहे, सुरक्षित निर्माण हो।
साथियों,
भविष्य की चुनौतियों से निपटने के लिए हर देश का मिलकर काम करना बहुत जरूरी है। ऐसी ही एक चुनौती है, हमारे एनर्जी रिसोर्सेस की। इसलिए पूरी दुनिया की चिंता करते हुए भारत ने International Solar Alliance (ISA) का समाधान दिया है। ताकि छोटे से छोटा देश भी सस्टेनबल एनर्जी का लाभ उठा सके। इससे क्लाइमेट पर तो पॉजिटिव असर होगा ही, ये ग्लोबल साउथ के देशों की एनर्जी नीड्स को भी सिक्योर करेगा। और आप सबको ये जानकर गर्व होगा कि भारत के इस प्रयास के साथ, आज दुनिया के सौ से अधिक देश जुड़ चुके हैं।
साथियों,
बीते कुछ समय से दुनिया, ग्लोबल ट्रेड में असंतुलन और लॉजिस्टिक्स से जुड़ी challenges का सामना कर रही है। इन चुनौतियों से निपटने के लिए भी भारत ने दुनिया के साथ मिलकर नए प्रयास शुरु किए हैं। India–Middle East–Europe Economic Corridor (IMEC), ऐसा ही एक महत्वाकांक्षी प्रोजेक्ट है। ये प्रोजेक्ट, कॉमर्स और कनेक्टिविटी के माध्यम से एशिया, यूरोप और मिडिल ईस्ट को जोड़ेगा। इससे आर्थिक संभावनाएं तो बढ़ेंगी ही, दुनिया को अल्टरनेटिव ट्रेड रूट्स भी मिलेंगे। इससे ग्लोबल सप्लाई चेन भी और मजबूत होगी।
|
साथियों,
ग्लोबल सिस्टम्स को, अधिक पार्टिसिपेटिव, अधिक डेमोक्रेटिक बनाने के लिए भी भारत ने अनेक कदम उठाए हैं। और यहीं, यहीं पर ही भारत मंडपम में जी-20 समिट हुई थी। उसमें अफ्रीकन यूनियन को जी-20 का परमानेंट मेंबर बनाया गया है। ये बहुत बड़ा ऐतिहासिक कदम था। इसकी मांग लंबे समय से हो रही थी, जो भारत की प्रेसीडेंसी में पूरी हुई। आज ग्लोबल डिसीजन मेकिंग इंस्टीट्यूशन्स में भारत, ग्लोबल साउथ के देशों की आवाज़ बन रहा है। International Yoga Day, WHO का ग्लोबल सेंटर फॉर ट्रेडिशनल मेडिसिन, आर्टिफिशियल इंटेलीजेंस के लिए ग्लोबल फ्रेमवर्क, ऐसे कितने ही क्षेत्रों में भारत के प्रयासों ने नए वर्ल्ड ऑर्डर में अपनी मजबूत उपस्थिति दर्ज कराई है, और ये तो अभी शुरूआत है, ग्लोबल प्लेटफॉर्म पर भारत का सामर्थ्य नई ऊंचाई की तरफ बढ़ रहा है।
साथियों,
21वीं सदी के 25 साल बीत चुके हैं। इन 25 सालों में 11 साल हमारी सरकार ने देश की सेवा की है। और जब हम What India Thinks Today उससे जुड़ा सवाल उठाते हैं, तो हमें ये भी देखना होगा कि Past में क्या सवाल थे, क्या जवाब थे। इससे TV9 के विशाल दर्शक समूह को भी अंदाजा होगा कि कैसे हम, निर्भरता से आत्मनिर्भरता तक, Aspirations से Achievement तक, Desperation से Development तक पहुंचे हैं। आप याद करिए, एक दशक पहले, गांव में जब टॉयलेट का सवाल आता था, तो माताओं-बहनों के पास रात ढलने के बाद और भोर होने से पहले का ही जवाब होता था। आज उसी सवाल का जवाब स्वच्छ भारत मिशन से मिलता है। 2013 में जब कोई इलाज की बात करता था, तो महंगे इलाज की चर्चा होती थी। आज उसी सवाल का समाधान आयुष्मान भारत में नजर आता है। 2013 में किसी गरीब की रसोई की बात होती थी, तो धुएं की तस्वीर सामने आती थी। आज उसी समस्या का समाधान उज्ज्वला योजना में दिखता है। 2013 में महिलाओं से बैंक खाते के बारे में पूछा जाता था, तो वो चुप्पी साध लेती थीं। आज जनधन योजना के कारण, 30 करोड़ से ज्यादा बहनों का अपना बैंक अकाउंट है। 2013 में पीने के पानी के लिए कुएं और तालाबों तक जाने की मजबूरी थी। आज उसी मजबूरी का हल हर घर नल से जल योजना में मिल रहा है। यानि सिर्फ दशक नहीं बदला, बल्कि लोगों की ज़िंदगी बदली है। और दुनिया भी इस बात को नोट कर रही है, भारत के डेवलपमेंट मॉडल को स्वीकार रही है। आज भारत सिर्फ Nation of Dreams नहीं, बल्कि Nation That Delivers भी है।
साथियों,
जब कोई देश, अपने नागरिकों की सुविधा और समय को महत्व देता है, तब उस देश का समय भी बदलता है। यही आज हम भारत में अनुभव कर रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। पहले पासपोर्ट बनवाना कितना बड़ा काम था, ये आप जानते हैं। लंबी वेटिंग, बहुत सारे कॉम्प्लेक्स डॉक्यूमेंटेशन का प्रोसेस, अक्सर राज्यों की राजधानी में ही पासपोर्ट केंद्र होते थे, छोटे शहरों के लोगों को पासपोर्ट बनवाना होता था, तो वो एक-दो दिन कहीं ठहरने का इंतजाम करके चलते थे, अब वो हालात पूरी तरह बदल गया है, एक आंकड़े पर आप ध्यान दीजिए, पहले देश में सिर्फ 77 पासपोर्ट सेवा केंद्र थे, आज इनकी संख्या 550 से ज्यादा हो गई है। पहले पासपोर्ट बनवाने में, और मैं 2013 के पहले की बात कर रहा हूं, मैं पिछले शताब्दी की बात नहीं कर रहा हूं, पासपोर्ट बनवाने में जो वेटिंग टाइम 50 दिन तक होता था, वो अब 5-6 दिन तक सिमट गया है।
साथियों,
ऐसा ही ट्रांसफॉर्मेशन हमने बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर में भी देखा है। हमारे देश में 50-60 साल पहले बैंकों का नेशनलाइजेशन किया गया, ये कहकर कि इससे लोगों को बैंकिंग सुविधा सुलभ होगी। इस दावे की सच्चाई हम जानते हैं। हालत ये थी कि लाखों गांवों में बैंकिंग की कोई सुविधा ही नहीं थी। हमने इस स्थिति को भी बदला है। ऑनलाइन बैंकिंग तो हर घर में पहुंचाई है, आज देश के हर 5 किलोमीटर के दायरे में कोई न कोई बैंकिंग टच प्वाइंट जरूर है। और हमने सिर्फ बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर का ही दायरा नहीं बढ़ाया, बल्कि बैंकिंग सिस्टम को भी मजबूत किया। आज बैंकों का NPA बहुत कम हो गया है। आज बैंकों का प्रॉफिट, एक लाख 40 हज़ार करोड़ रुपए के नए रिकॉर्ड को पार कर चुका है। और इतना ही नहीं, जिन लोगों ने जनता को लूटा है, उनको भी अब लूटा हुआ धन लौटाना पड़ रहा है। जिस ED को दिन-रात गालियां दी जा रही है, ED ने 22 हज़ार करोड़ रुपए से अधिक वसूले हैं। ये पैसा, कानूनी तरीके से उन पीड़ितों तक वापिस पहुंचाया जा रहा है, जिनसे ये पैसा लूटा गया था।
साथियों,
Efficiency से गवर्नमेंट Effective होती है। कम समय में ज्यादा काम हो, कम रिसोर्सेज़ में अधिक काम हो, फिजूलखर्ची ना हो, रेड टेप के बजाय रेड कार्पेट पर बल हो, जब कोई सरकार ये करती है, तो समझिए कि वो देश के संसाधनों को रिस्पेक्ट दे रही है। और पिछले 11 साल से ये हमारी सरकार की बड़ी प्राथमिकता रहा है। मैं कुछ उदाहरणों के साथ अपनी बात बताऊंगा।
|
साथियों,
अतीत में हमने देखा है कि सरकारें कैसे ज्यादा से ज्यादा लोगों को मिनिस्ट्रीज में accommodate करने की कोशिश करती थीं। लेकिन हमारी सरकार ने अपने पहले कार्यकाल में ही कई मंत्रालयों का विलय कर दिया। आप सोचिए, Urban Development अलग मंत्रालय था और Housing and Urban Poverty Alleviation अलग मंत्रालय था, हमने दोनों को मर्ज करके Housing and Urban Affairs मंत्रालय बना दिया। इसी तरह, मिनिस्ट्री ऑफ ओवरसीज़ अफेयर्स अलग था, विदेश मंत्रालय अलग था, हमने इन दोनों को भी एक साथ जोड़ दिया, पहले जल संसाधन, नदी विकास मंत्रालय अलग था, और पेयजल मंत्रालय अलग था, हमने इन्हें भी जोड़कर जलशक्ति मंत्रालय बना दिया। हमने राजनीतिक मजबूरी के बजाय, देश की priorities और देश के resources को आगे रखा।
साथियों,
हमारी सरकार ने रूल्स और रेगुलेशन्स को भी कम किया, उन्हें आसान बनाया। करीब 1500 ऐसे कानून थे, जो समय के साथ अपना महत्व खो चुके थे। उनको हमारी सरकार ने खत्म किया। करीब 40 हज़ार, compliances को हटाया गया। ऐसे कदमों से दो फायदे हुए, एक तो जनता को harassment से मुक्ति मिली, और दूसरा, सरकारी मशीनरी की एनर्जी भी बची। एक और Example GST का है। 30 से ज्यादा टैक्सेज़ को मिलाकर एक टैक्स बना दिया गया है। इसको process के, documentation के हिसाब से देखें तो कितनी बड़ी बचत हुई है।
साथियों,
सरकारी खरीद में पहले कितनी फिजूलखर्ची होती थी, कितना करप्शन होता था, ये मीडिया के आप लोग आए दिन रिपोर्ट करते थे। हमने, GeM यानि गवर्नमेंट ई-मार्केटप्लेस प्लेटफॉर्म बनाया। अब सरकारी डिपार्टमेंट, इस प्लेटफॉर्म पर अपनी जरूरतें बताते हैं, इसी पर वेंडर बोली लगाते हैं और फिर ऑर्डर दिया जाता है। इसके कारण, भ्रष्टाचार की गुंजाइश कम हुई है, और सरकार को एक लाख करोड़ रुपए से अधिक की बचत भी हुई है। डायरेक्ट बेनिफिट ट्रांसफर- DBT की जो व्यवस्था भारत ने बनाई है, उसकी तो दुनिया में चर्चा है। DBT की वजह से टैक्स पेयर्स के 3 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा, गलत हाथों में जाने से बचे हैं। 10 करोड़ से ज्यादा फर्ज़ी लाभार्थी, जिनका जन्म भी नहीं हुआ था, जो सरकारी योजनाओं का फायदा ले रहे थे, ऐसे फर्जी नामों को भी हमने कागजों से हटाया है।
साथियों,
हमारी सरकार टैक्स की पाई-पाई का ईमानदारी से उपयोग करती है, और टैक्सपेयर का भी सम्मान करती है, सरकार ने टैक्स सिस्टम को टैक्सपेयर फ्रेंडली बनाया है। आज ITR फाइलिंग का प्रोसेस पहले से कहीं ज्यादा सरल और तेज़ है। पहले सीए की मदद के बिना, ITR फाइल करना मुश्किल होता था। आज आप कुछ ही समय के भीतर खुद ही ऑनलाइन ITR फाइल कर पा रहे हैं। और रिटर्न फाइल करने के कुछ ही दिनों में रिफंड आपके अकाउंट में भी आ जाता है। फेसलेस असेसमेंट स्कीम भी टैक्सपेयर्स को परेशानियों से बचा रही है। गवर्नेंस में efficiency से जुड़े ऐसे अनेक रिफॉर्म्स ने दुनिया को एक नया गवर्नेंस मॉडल दिया है।
साथियों,
पिछले 10-11 साल में भारत हर सेक्टर में बदला है, हर क्षेत्र में आगे बढ़ा है। और एक बड़ा बदलाव सोच का आया है। आज़ादी के बाद के अनेक दशकों तक, भारत में ऐसी सोच को बढ़ावा दिया गया, जिसमें सिर्फ विदेशी को ही बेहतर माना गया। दुकान में भी कुछ खरीदने जाओ, तो दुकानदार के पहले बोल यही होते थे – भाई साहब लीजिए ना, ये तो इंपोर्टेड है ! आज स्थिति बदल गई है। आज लोग सामने से पूछते हैं- भाई, मेड इन इंडिया है या नहीं है?
साथियों,
आज हम भारत की मैन्युफैक्चरिंग एक्सीलेंस का एक नया रूप देख रहे हैं। अभी 3-4 दिन पहले ही एक न्यूज आई है कि भारत ने अपनी पहली MRI मशीन बना ली है। अब सोचिए, इतने दशकों तक हमारे यहां स्वदेशी MRI मशीन ही नहीं थी। अब मेड इन इंडिया MRI मशीन होगी तो जांच की कीमत भी बहुत कम हो जाएगी।
|
साथियों,
आत्मनिर्भर भारत और मेक इन इंडिया अभियान ने, देश के मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को एक नई ऊर्जा दी है। पहले दुनिया भारत को ग्लोबल मार्केट कहती थी, आज वही दुनिया, भारत को एक बड़े Manufacturing Hub के रूप में देख रही है। ये सक्सेस कितनी बड़ी है, इसके उदाहरण आपको हर सेक्टर में मिलेंगे। जैसे हमारी मोबाइल फोन इंडस्ट्री है। 2014-15 में हमारा एक्सपोर्ट, वन बिलियन डॉलर तक भी नहीं था। लेकिन एक दशक में, हम ट्वेंटी बिलियन डॉलर के फिगर से भी आगे निकल चुके हैं। आज भारत ग्लोबल टेलिकॉम और नेटवर्किंग इंडस्ट्री का एक पावर सेंटर बनता जा रहा है। Automotive Sector की Success से भी आप अच्छी तरह परिचित हैं। इससे जुड़े Components के एक्सपोर्ट में भी भारत एक नई पहचान बना रहा है। पहले हम बहुत बड़ी मात्रा में मोटर-साइकल पार्ट्स इंपोर्ट करते थे। लेकिन आज भारत में बने पार्ट्स UAE और जर्मनी जैसे अनेक देशों तक पहुंच रहे हैं। सोलर एनर्जी सेक्टर ने भी सफलता के नए आयाम गढ़े हैं। हमारे सोलर सेल्स, सोलर मॉड्यूल का इंपोर्ट कम हो रहा है और एक्सपोर्ट्स 23 गुना तक बढ़ गए हैं। बीते एक दशक में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट भी 21 गुना बढ़ा है। ये सारी अचीवमेंट्स, देश की मैन्युफैक्चरिंग इकोनॉमी की ताकत को दिखाती है। ये दिखाती है कि भारत में कैसे हर सेक्टर में नई जॉब्स भी क्रिएट हो रही हैं।
साथियों,
TV9 की इस समिट में, विस्तार से चर्चा होगी, अनेक विषयों पर मंथन होगा। आज हम जो भी सोचेंगे, जिस भी विजन पर आगे बढ़ेंगे, वो हमारे आने वाले कल को, देश के भविष्य को डिजाइन करेगा। पिछली शताब्दी के इसी दशक में, भारत ने एक नई ऊर्जा के साथ आजादी के लिए नई यात्रा शुरू की थी। और हमने 1947 में आजादी हासिल करके भी दिखाई। अब इस दशक में हम विकसित भारत के लक्ष्य के लिए चल रहे हैं। और हमें 2047 तक विकसित भारत का सपना जरूर पूरा करना है। और जैसा मैंने लाल किले से कहा है, इसमें सबका प्रयास आवश्यक है। इस समिट का आयोजन कर, TV9 ने भी अपनी तरफ से एक positive initiative लिया है। एक बार फिर आप सभी को इस समिट की सफलता के लिए मेरी ढेर सारी शुभकामनाएं हैं।
मैं TV9 को विशेष रूप से बधाई दूंगा, क्योंकि पहले भी मीडिया हाउस समिट करते रहे हैं, लेकिन ज्यादातर एक छोटे से फाइव स्टार होटल के कमरे में, वो समिट होती थी और बोलने वाले भी वही, सुनने वाले भी वही, कमरा भी वही। TV9 ने इस परंपरा को तोड़ा और ये जो मॉडल प्लेस किया है, 2 साल के भीतर-भीतर देख लेना, सभी मीडिया हाउस को यही करना पड़ेगा। यानी TV9 Thinks Today वो बाकियों के लिए रास्ता खोल देगा। मैं इस प्रयास के लिए बहुत-बहुत अभिनंदन करता हूं, आपकी पूरी टीम को, और सबसे बड़ी खुशी की बात है कि आपने इस इवेंट को एक मीडिया हाउस की भलाई के लिए नहीं, देश की भलाई के लिए आपने उसकी रचना की। 50,000 से ज्यादा नौजवानों के साथ एक मिशन मोड में बातचीत करना, उनको जोड़ना, उनको मिशन के साथ जोड़ना और उसमें से जो बच्चे सिलेक्ट होकर के आए, उनकी आगे की ट्रेनिंग की चिंता करना, ये अपने आप में बहुत अद्भुत काम है। मैं आपको बहुत बधाई देता हूं। जिन नौजवानों से मुझे यहां फोटो निकलवाने का मौका मिला है, मुझे भी खुशी हुई कि देश के होनहार लोगों के साथ, मैं अपनी फोटो निकलवा पाया। मैं इसे अपना सौभाग्य मानता हूं दोस्तों कि आपके साथ मेरी फोटो आज निकली है। और मुझे पक्का विश्वास है कि सारी युवा पीढ़ी, जो मुझे दिख रही है, 2047 में जब देश विकसित भारत बनेगा, सबसे ज्यादा बेनिफिशियरी आप लोग हैं, क्योंकि आप उम्र के उस पड़ाव पर होंगे, जब भारत विकसित होगा, आपके लिए मौज ही मौज है। आपको बहुत-बहुत शुभकामनाएं।