প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভুটানের রাজা জিগমে খেশর নামগেল ওয়াংচুক এবং রাণী জেটসুন পমা ওয়াংচুককে আজ নতুন দিল্লিতে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী রাজা ও রাণীকে শুভেচ্ছা জানান এবং ২০২৪ –এর মার্চে সেদেশের তাঁর রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটান সরকারের আতিথেয়তা এবং সেদেশের মানুষের ভালোবাসার কথা স্মরণ করেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা বিষয়ে অসাধারণ অগ্রগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজার সন্তোষ প্রকাশ করেন। দু-দেশের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল, উন্নয়নমূলক সহযোগিতা, স্বচ্ছ জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, মহাকাশ ও প্রযুক্তি এবং দু-দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যাবতীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারে তাঁরা দুজনেই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রসারের অগ্রগতি দিকটি নিয়েও তাঁরা পর্যালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে গেলফু মাইন্ডফুলনেস সিটি উদ্যোগের মতো দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রকল্পের বিষয়েও তাঁরা মত বিনিময় করেন। ভুটান-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির সঙ্গে উন্নয়ন এবং যোগাযোগ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা নিয়ে ভুটান রাজের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এই উদ্যোগ বিশেষ প্রশংসনীয়।
ভুটানের সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কের ব্যাপারে ভারতের গভীর দায়বদ্ধতার কথা প্রধানমন্ত্রী পুনরায় ব্যক্ত করে বলেছেন, সেইসঙ্গে ত্রয়োদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়কালে ভুটানে ভারতের উন্নয়নমূলক সহযোগিতা দ্বিগুণ করার বিষয়টির ওপরও আলোকপাত করেন তিনি। ভুটানের অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারতের সুদৃঢ় সমর্থনের বিষয়ে ভুটান রাজ প্রধানমন্ত্রী প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এরপর ভুটানের রাজা এবং রাণীর সম্মানে প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন তাঁরা।
পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা এবং দু-দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে সদিচ্ছার মনোভাব এই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়। ভারত এবং ভুটানের মধ্যে নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনার এটা একটা প্রথাগত দিক হয়ে উঠেছে।