প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সুবিধাপ্রাপকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে সমাবেশে ভাষণও দিয়েছেন।
সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার কয়েক হাজার সুবিধাপ্রাপক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক এবং স্থানীয় স্তরের প্রতিনিধিগণ।
মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস-এর রুবিনা খান একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে আছেন যার সঙ্গে জড়িত ১.৩ লক্ষ মহিলা। তিনি স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে ঋণ নিয়ে কাপড় বিক্রির ছোট ব্যবসা শুরু করেন। ছেড়ে দেন মজুরের জীবন। এর পরে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড মারুতি ভ্যান কেনেন পণ্য বিক্রি করার জন্য। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঠাট্টা করে বলেন, “আমার কাছে তো সাইকেলও নেই।” রুবিনা এরপর দেওয়াস-এ একটি দোকান করেন এবং রাজ্য থেকেও কাজ পেতে শুরু করেন।
অতিমারীর সময় তাঁরা মাস্ক, পিপিপি কিট এবং স্যানিটাইজার তৈরি করে দেশকে সাহায্য করেন। ক্লাস্টার রিসোর্স পার্সন (সিআরপি) হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি, যে কীভাবে মহিলাদের উদ্যোগপতি হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ৪০টি গ্রামে গোষ্ঠী তৈরি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন যে, তাঁর উদ্দেশ্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে অন্তত ২ কোটি দিদিকে “লাখপতি” তৈরি করা। রুবিনা প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নের অংশীদার হওয়ার আশ্বাস দেন এবং বলেন, “আমার ইচ্ছা প্রত্যেক দিদি যেন লাখপতি হয়।” উপস্থিত সকল মহিলা হাত তুলে প্রত্যেক দিদিকে লাখপতি করার স্বপ্নে অংশ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁদের আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের মা বোনদের আত্মবিশ্বাস দেশকে আত্মনির্ভর করে তুলবে”। শ্রীমতী খানের উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি মহিলাদের আত্মনির্ভর এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার মাধ্যম হিসেবে কাজ করার প্রমাণ দিচ্ছে। এই বিষয়টি তাঁকে অন্তত ২ কোটি দিদিকে লাখপতি বানাতে আরও কঠোর পরিশ্রম করার প্রেরণা জোগাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রুবিনা খানকে সন্তানদের শিক্ষিত করে তোলার পরামর্শ দেন। জবাবে ওই মহিলা জানান, তাঁর গোটা গ্রামটিই উন্নত হয়ে উঠেছে।