প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দয়া ও সেবার জন্য সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা প্রমিলা সিং এর প্রশংসা করে তাঁকে চিঠি লিখেছেন। করোনা লকডাউনের সময় অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক প্রমিলা সিং ও তাঁর বাবা শ্যামবীর সিং অসহায় ও দুর্দশাগ্রস্ত পশুদের দেখাশুনো করেছেন, তাদের যন্ত্রণা উপলব্ধি করে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। রাস্তায় ঘুরতে থাকা দুর্দশাগ্রস্ত পশুদের জন্য মেজর প্রমিলা ও তাঁর বাবা খাবার, এমনকি চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে পশুদের জন্য খরচ করেছেন। মেজর প্রমিলার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী এই প্রয়াসকে সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস বলে মন্তব্য করেছেন।
মেজর প্রমিলাকে পাঠানো চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন গত প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা এক অভাবনীয় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। জটিল এই পরিস্থিতিতে আমরা সহনশীলতা দেখিয়েছি। ঐতিহাসিক এরকম পরিস্থিতি সাধারণ মানুষ সারা জীবনেও ভুলবেন না। জটিল এই পরিস্থিতি কেবল মানুষের কাছেই নয়, বরং মানুষের কাছাকাছি থাকা প্রাণীদের কাছেও সমান কষ্টের হয়ে উঠেছে। এরকম পরিস্থিতিতে আপনি অসহায় ও নিঃসঙ্গ পশুদের প্রতি যে সমবেদনা দেখিয়েছেন, তা প্রশংসার যোগ্য। আপনি এধরণের পশুদের কল্যাণে ব্যক্তিগত ভাবে অভাবনীয় প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী চিঠিতে আরও লিখেছেন, কঠিন এই সময়ে এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যা মানুষ হিসেবে আমাদের গর্বিত করে। প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন মেজর প্রমিলা ও তাঁর বাবা সমাজে সচেতনতা গড়ে তুলে এরকম মহৎ কাজ চালিয়ে যাবেন এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন।
এর আগে, মেজর প্রমিলা সিং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, নিঃসঙ্গ ও অসহায় পশুদের কল্যাণে লকডাউনের সময় থেকে তিনি যে কাজ শুরু করেছেন তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। চিঠিতে মেজর প্রমিলা অসহায় পশুদের যন্ত্রণা প্রকাশ করে লেখেন, এধরণের কাজে মানুষকে আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে।