সূচনা করলেন ‘ভারতীয় বস্ত্র এবং শিল্পকোষ’ শীর্ষক কারু শিল্পের একটি সংগ্রাহক পোর্টালের
“স্বদেশী নিয়ে দেশে এক নতুন বিপ্লব হয়েছে”
“ভোকাল ফর লোকালের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নাগরিকরা সর্বতোভাবে দেশীয় পণ্য কিনছেন, এটি এখন এক গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে”
“বিনামূল্যে রেশন, পাকা বাড়ি, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা – এটা হল মোদীর গ্যারান্টি”
“তাঁতশিল্পীদের কাজ সহজ করতে, তাঁদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং পণ্যের গুণমান ও ডিজাইন উন্নত করতে সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে”
“প্রতিটি রাজ্য এবং জেলার তৈরি তাঁত ও হস্তশিল্প সামগ্রীকে এক ছাদের তলায় এনে সেগুলির প্রচারের জন্য সরকার প্রতি রাজ্যের রাজধানীতে একতা মল তৈরি করছে”
“বিশ্বের বৃহত্তম বাজার যাতে তাঁতশিল্পীরা পান সেই লক্ষ্যে সরকার সুস্পষ্ট কৌশল নিয়ে কাজ করছে”
“যাঁরা আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন বোনেন এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে শক্তি যোগান, তাঁরা খাদিকে শুধু পোষাক নয়, অস্ত্র বলে মনে করেন”
“যখন ছাদে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়, তখন তা আমাদের ভেতরেও উড়তে থাকে”
আগামী দিনে রাখিবন্ধন, গণেশ উৎসব, দশেরা ও দীপাবলির মতো উৎসবে তাঁত ও হস্তশিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে স্বদেশী সংকল্প গ্রহণের আহ্বান ফের জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ জাতীয় তাঁত দিবস উপলক্ষ্যে নতুন দিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মন্ডপমে বক্তব্য রাখেন। ‘ভারতীয় বস্ত্র এবং শিল্পকোষ’ শীর্ষক কারু শিল্পের একটি সংগ্রাহক পোর্টালেরও সূচনা করেন তিনি। এটি তৈরি করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং তাঁতশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন।

ভারত মন্ডপম তৈরি হওয়ার আগে প্রগতি ময়দানে কিভাবে প্রদর্শকরা তাঁবু খাটিয়ে বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শন করতে বাধ্য হতেন, তার স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের তাঁত শিল্পের অবদানকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরনো ও নতুনের এই সঙ্গমই আজকের নতুন ভারতের সংজ্ঞা। আজকের ভারত শুধু ভোকাল ফর লোকাল নয়, একইসঙ্গে নিজের পণ্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক মঞ্চ বলে তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের আগে তাঁত শিল্পীদের সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী, আজকের অনুষ্ঠানে আসা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তাঁত সংক্রান্ত ক্লাস্টারের উল্লেখ করে তাঁদের স্বাগত জানান।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগস্ট হল বিপ্লবের মাস। ভারতের স্বাধীনতার জন্য যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন, তাঁদের স্মরণের এটাই প্রকৃষ্ট সময়। স্বদেশী আন্দোলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তা কেবল বিদেশী বস্ত্র বয়কটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, একইসঙ্গে ভারতের স্বাধীন অর্থনীতির জন্য অনুপ্রেরণার এক উৎসও ছিল। এই আন্দোলনে ভারতের সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁত শিল্পীদের সংযোগ ঘটেছিল, আর সেকথা মাথায় রেখে সরকার এই দিনটিকে জাতীয় তাঁত দিবস হিসেবে উদযাপন করছে। গত কয়েক বছরে তাঁত শিল্পের প্রসার এবং তাঁত শিল্পীদের কল্যাণে নজিরবিহীন কাজ হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশে এখন স্বদেশী নিয়ে এক নতুন বিপ্লব এসেছে। ভারতের তাঁত শিল্পীরা দেশকে যে সাফল্য এনে দিয়েছেন, সেজন্য তিনি গর্বিত।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজনের পোশাকের উপরেই তাঁর পরিচয় নির্ভর করে। এই অনুষ্ঠানে কত বিভিন্ন ধরনের পোশাক দেখা যাচ্ছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অনুষ্ঠান, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের পোশাকের বৈচিত্র্য উদযাপনের অনুষ্ঠানও বটে। ভারতে পোশাকের এক বর্ণময় রামধনু রয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যে আদিবাসী সম্প্রদায় বাস করে, তুষারাবৃত পার্বত্য অঞ্চলে যাঁদের ঘরবাড়ি, উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দা যাঁরা, মরুভূমিতে যাঁরা থাকেন – তাঁদের প্রত্যেকের পোশাক এবং বাজারগুলিতে যে পোশাক পাওয়া যায়, তার মধ্যে যে কত রকমের বৈচিত্র্য রয়েছে, তার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈচিত্র্যকে তালিকাভুক্ত করে এর সঙ্কলনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন আজ ভারতীয় বস্ত্র এবং শিল্পকোষের সূচনার মধ্য দিয়ে এই কাজ সম্পন্ন হল।

 

ভারতীয় বস্ত্র শিল্পের অতীত ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বস্ত্র শিল্পকে শক্তিশালী করার কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি খাদি শিল্পকেও মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। যাঁরা খাদি পরতেন তাঁদের খাটো করে দেখা হতো। ২০১৪ সালের পর সরকার এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে সচেষ্ট হয়। তিনি নিজে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে খাদির পোশাক পরতে নাগরিকদের অনুরোধ করেছিলেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে গত ৯ বছরে খাদির উৎপাদন ৩ গুণেরও বেশি বেড়েছে। খাদির বিক্রি বেড়েছে ৫ গুণ। বিদেশেও খাদির চাহিদা ক্রমবর্ধমান। প্রধানমন্ত্রী জানান, প্যারিস সফরের সময়ে তিনি একটি বড় ফ্যাশান ব্র্যান্ডের সিইও-র সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওই সিইও তাঁকে জানিয়েছিলেন, খাদি ও ভারতীয় তাঁত নিয়ে ফ্রান্সের মানুষের আগ্রহ ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী জানান, ৯ বছর আগে খাদি ও গ্রামোদ্যোগের ব্যবসার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার আশপাশে। বর্তমানে তা বেড়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, তাঁতের সঙ্গে জড়িত গ্রামীণ মানুষ ও আদিবাসীদের হাতে অতিরিক্ত ১ লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছে গেছে। নীতি আয়োগের একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁত শিল্পের ব্যবসা বাড়ায় গত ৫ বছরে সারে ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোকাল ফর লোকালের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নাগরিকরা সর্বতোভাবে দেশীয় পণ্য কিনছেন, এটি এখন এক গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে রাখিবন্ধন, গণেশ উৎসব, দশেরা ও দীপাবলির মতো উৎসবে তাঁত ও হস্তশিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে স্বদেশী সংকল্প গ্রহণের আহ্বান ফের জানান তিনি।

 

বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পগুলি সামাজিক ন্যায়ের এক প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠায় সন্তোষপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে গ্রাম ও শহরগুলিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এদের অধিকাংশই দলিত, অনগ্রসর, পাসমান্দা ও আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। সরকারের উদ্যোগে এই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বিপুলভাবে বেড়েছে, তাঁত শিল্পীদের উপার্জনও বেড়েছে। বিদ্যুৎ, জল, গ্যাস সংযোগ, স্বচ্ছ ভারত প্রভৃতি প্রকল্পের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এইসব কর্মসূচির সর্বাধিক সুফল এই মানুষেরাই পেয়েছেন। বিনামূল্যে রেশন, পাকা বাড়ি, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা – এটা হল মোদীর গ্যারান্টি। জীবনের ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা লাভের জন্য তাঁত শিল্পীরা দশকের পর দশক ধরে যে অপেক্ষা করে এসেছেন, তাঁর সরকার তার অবসান ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শুধু বস্ত্রশিল্পের ঐতিহ্য বজায় রাখার উপরেই গুরুত্ব দেয়নি, এই ক্ষেত্রকে নতুনভাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার উপরেও জোর দিয়েছে। সেজন্যই সরকার তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও উপার্জনের দিকে নজর দিয়েছে এবং তাঁত ও হস্তশিল্পীদের সন্তানদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুরণে মনোযোগী হয়েছে। তাঁত শিল্পীদের ছেলে মেয়েদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিতে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। শ্রী মোদী বলেন, গত ৯ বছরে ৬০০-রও বেশি তাঁত ক্লাস্টার গড়ে তোলা হয়েছে এবং হাজার হাজার তাঁত শিল্পীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাজ সহজ করতে, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং পণ্যের গুণমান ও ডিজাইন উন্নত করতে সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার তাঁত শিল্পীদের সস্তায় কাঁচামাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে, কাঁচামাল পরিবহণের খরচও সরকার বহন করছে। মুদ্রা যোজনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁত শিল্পীরা এখন গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ পেতে পারেন। 

 

গুজরাটের তাঁত শিল্পীদের সঙ্গে তাঁর সংযোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁত শিল্পে তাঁর সংসদীয় কেন্দ্র কাশী অঞ্চলেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, তাঁত শিল্পীরা তাঁদের পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে সরবরাহ শৃঙ্খল ও বাজারের নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। সেজন্যই সরকার দেশজুড়ে ভারত মন্ডপমের মতো বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনীর আয়োজন করে হাতে তৈরি নানা পণ্যের বিপণনে উদ্যোগী হয়েছে। এইসব প্রদর্শনীতে শিল্পী ও কারিগরদের বিনামূল্যে স্টল দেওয়ার পাশাপাশি দৈনিক ভাতা দেওয়া হয়। দেশের যুব সমাজ ও স্টার্ট-আপগুলির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এঁরা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং তাঁতের পদ্ধতি ও বিপণনে উদ্ভাবনের ছোঁয়া নিয়ে এসেছে। এর ভবিষ্যৎ যে উজ্জ্বল সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ‘এক জেলা এক পণ্য’ প্রকল্পের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আওতায় প্রতিটি জেলার বিশেষ পণ্যকে তুলে ধরা হচ্ছে। এইসব পণ্যের প্রসার ও বিক্রির জন্য দেশজুড়ে রেল স্টেশনগুলিতেও বিশেষ স্টল স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি রাজ্য এবং জেলার তৈরি তাঁত ও হস্তশিল্প সামগ্রীকে এক ছাদের তলায় এনে সেগুলির প্রচারের জন্য সরকার প্রতি রাজ্যের রাজধানীতে একতা মল তৈরি করছে। এতে পর্যটকরা ভারতের বৈচিত্র্যের স্বাদ যেমন পাবেন, তেমনি এক জায়গা থেকে সেই রাজ্যের বিশেষ পণ্যগুলি কিনতে পারবেন। 

 

বিদেশ সফরের সময়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তিনি ভারতের তাঁত ও হস্তশিল্প সামগ্রী উপহার দেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা এই উপহার পেয়ে শুধু এর প্রশংসাই করেন না, যাঁরা এগুলি তৈরি করেছেন তাঁদের সম্বন্ধে জানার পর এগুলি তাঁদের মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। 

 

জেম পোর্টাল বা সরকারি ই-মার্কেট প্লেস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রান্তিকতম শিল্পী, কারিগর ও তাঁত শিল্পীরাও এর মাধ্যমে নিজের পণ্য সরাসরি সরকারকে বিক্রি করতে পারেন। তাঁত এবং হস্তশিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার সংগঠন বর্তমানে জেম পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত বলে তিনি জানান। তাঁত ক্ষেত্রের ভাই বোনেরা যাতে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সুফল পান তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম বাজার যাতে তাঁত শিল্পীরা পান সেই লক্ষ্যে সরকার সুস্পষ্ট কৌশল নিয়ে কাজ করছে। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলি এখন ভারতের তাঁত শিল্পী, কারিগর, কৃষক এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলির পণ্য নিতে আগ্রহী হচ্ছে বলে তিনি জানান। যেসব কোম্পানির বড় বড় দোকান, খুচরো বিপণী শৃঙ্খল, অনলাইন উপস্থিতি ও বিশ্বজুড়ে দোকান রয়েছে তেমন বহু কোম্পানির কর্তার সঙ্গে এব্যাপারে তাঁর কথা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। এই কোম্পানিগুলি এখন ভারতের স্থানীয় পণ্য বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পণ্যগুলি ভারতে তৈরি, বহুজাতিক সংস্থাগুলির সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবহার করে এগুলিকে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেবে।

বস্ত্রশিল্প এবং ফ্যাশান দুনিয়ার সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রথম তিনটি অর্থনীতির মধ্যে একটি হওয়ার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি তাঁদের ভাবনা চিন্তার পরিধি আরও বাড়াতে হবে। ভারতের তাঁত, খাদি ও বস্ত্রশিল্পকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রয়াসের উপর গুরুত্ব দেন। তাঁত শিল্পীদের দক্ষতাকে প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করার উপর জোর দেন তিনি। ভারতে নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যেকোনো পণ্যের জন্য বিপুল পরিমাণ তরুণ ক্রেতা সৃষ্টি হয়েছে। বস্ত্র কোম্পানিগুলির কাছে এ এক বিশাল সুযোগ। স্থানীয় সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করে তোলা এবং এতে বিনিয়োগ করা ওই কোম্পানিগুলির দায়িত্ব বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের সুবিধা নিতে হলে স্থানীয় সরবরাহ শৃঙ্খলে বিনিয়োগ করা অত্যাবশ্যক এবং এভাবেই উন্নত ভারত গড়ে তুলে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছনোর স্বপ্ন সার্থক করা সম্ভব। যাঁরা আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন বোনেন এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে শক্তি যোগান, তাঁরা খাদিকে শুধু পোষাক নয়, অস্ত্র বলে মনে করেন। 

 

৯ আগস্টের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দিনটি স্বাধীনতার বৃহত্তম আন্দোলন ‘ভারত ছাড়ো’র সঙ্গে যুক্ত। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে এদিন ব্রিটিশদের কাছে ভারত ছাড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে আজ ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তোলার সংকল্প নিতে হবে। শ্রী মোদী বলেন, সারা ভারত আজ সমস্বরে বলছে – দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, তোষণবাদ ভারত ছাড়ো। এইসব অপশক্তি আজ দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ খাড়া করে তুলেছে। দেশ এবং দেশের মানুষ এগুলিকে পর্যুদস্ত করে জয়ী হবেন বলে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

বক্তব্যের শেষপ্রান্তে এসে প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন মহিলার সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের কথা উল্লেখ করেন। সেই মহিলারা বছরের পর বছর ধরে জাতীয় পতাকা তৈরি করেন। প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের নিজেদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচি আবারও উদযাপনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যখন ছাদে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়, তখন তা আমাদের ভেতরেও উড়তে থাকে। 

কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল, বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী দর্শনা জরদোস, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী শ্রী নারায়ণ টাটু রানে প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Cabinet extends One-Time Special Package for DAP fertilisers to farmers

Media Coverage

Cabinet extends One-Time Special Package for DAP fertilisers to farmers
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 2 জানুয়ারি 2025
January 02, 2025

Citizens Appreciate India's Strategic Transformation under PM Modi: Economic, Technological, and Social Milestones