প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির পুসায় ইন্ডিয়ান এগরিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে সশক্ত নারী–বিকশিত ভারত কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন এবং সাক্ষী থেকেছেন নমো ড্রোন দিদিদের কৃষি সংক্রান্ত ড্রোন প্রদর্শনীর। সারা দেশের ১০টি জায়গায় নমো ড্রোন দিদিরা একই সঙ্গে এই ড্রোন প্রদর্শনীতে অংশ নেন। কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার নমো ড্রোন দিদিদের হতে ড্রোন তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে প্রদান করেন প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ, ভর্তুকিযুক্ত সুদের হারে প্রতিটি জেলায় ব্যাঙ্কগুলির ব্যাঙ্ক সংযোগ শিবিরের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী স্বনির্ভরগোষ্ঠীগুলিকে মূলধনী সহায়ক তহবিল হিসেবে ২ হাজার কোটি টাকাও প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন সুবিধাপ্রাপকদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে এদিনের অনুষ্ঠানকে ঐতিহাসিক আখ্যা দেন, কারণ ড্রোন দিদি এবং লাখপতি দিদিরা সাফল্যের নতুন অধ্যায় রচনা করছেন। তিনি বলেন, এমন সফল মহিলাদের উদ্যোগীদের সঙ্গে কথাবার্তায় দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাঁর আত্মবিশ্বার বৃদ্ধি পায়। তিনি নারীশক্তির দৃঢ়তা এবং নিষ্ঠার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘৩ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করার যাত্রায় সওয়ারি হওয়ার আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন এর থেকে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো সমাজ অগ্রসর হতে পরে শুধুমাত্র নারীশক্তির সম্ভ্রম সুনিশ্চিত করে এবং তাঁদের জন্য সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, একটুখানি সাহায্য পেলেই নারীশক্তি সেই সহায়তা আবার দেন অন্যকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি লালকেল্লার প্রাকার থেকে মহিলাদের সশক্তিকরণের বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলেছেন, যেমন মহিলাদের জন্য শৌচাগার, স্যানিটারি প্যাড, অস্বস্তিকর ধোঁয়াভর্তি রান্নাঘর, মহিলাদের দৈনিক দুর্দশা থেকে রক্ষা করতে নলবাহিত জল, প্রত্যেক মহিলার জন্য জনধন অ্যাকাউন্ট, মহিলাদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক ভাষার বিরুদ্ধে এবং নারীশক্তির প্রতি যথাযথ আচরণ সম্পর্কে সন্তানদের শিক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘মোদীর অনুভব এবং মোদীর কর্মসূচি তৈরি হয়েছে প্রতিদিনের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে।’ অভিজ্ঞতা যা উঠে এসেছে বাস্তব জীবন থেকে, তার থেকেই তৈরি হয়েছে এই অনুভব এবং কর্মসূচি, বলে জানান তিনি। সেই কারণে এইসব কর্মসূচি দেশের মা-বোনেদের জীবন আরও সহজ করে তুলছে।
নারীশক্তিকে জীবনের প্রতিটি স্তরে যেসব অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয় তার মোকাবিলায় যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সেই নিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী। যেমন, ভ্রূণ হত্যা বন্ধ করতে, বেটি বাচাও বেটি পড়াও, সন্তান সম্ভবা মায়েদের জন্য ৬ হাজার টাকা, শিক্ষার সময়ে আর্থিক নিশ্চয়তা দিতে সুকন্যা সমৃদ্ধি, উদ্যোগের জগতে লাভজনক পদক্ষেপ রাখতে সাহায্য করার জন্য মুদ্রা যোজনা, মাতৃকালীন ছুটি বৃদ্ধি, বিনামূল্যে চিকিৎসা, সুলভে ওষুধ এবং মহিলাদের নামে পিএম আবাস বাড়ি নথিভুক্ত করার মাধ্যমে মালিকানা বৃদ্ধি – এই সবই পুরনো মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তিনি এও স্বীকার করেন যে, কৃষি ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির রূপান্তরকারী প্রভাবকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন দেশের মহিলারাই। ড্রোন দিদিদের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী উপার্জন, দক্ষতা এবং ড্রোন দিদিদের স্বীকৃতির মাধ্যমে ক্ষমতায়নের উপলব্ধির কথা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানান। প্রতিটি ক্ষেত্রে মহিলাদের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার পূর্ণ বিশ্বাস, ‘নারীশক্তি দেশের প্রযুক্তিগত বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে’। দুধ এবং শাকসব্জি বাজারে নিয়ে যাওয়ার মতো ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতে ড্রোন দিদিদের সামনে নতুন পথ খুলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘গত এক দশকে ভারতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রসার ঘটেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এই গোষ্ঠীগুলি দেশে মহিলাদের ক্ষমতায়নের কাহিনী নতুন করে লিখেছে’। স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে মহিলাদের প্রধান ভূমিকা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রত্যেক বোনকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। তাঁদের কঠোর পরিশ্রম এই গোষ্ঠীগুলিকে দেশ গঠনে নেতৃত্বের ভূমিকায় এনে দিয়েছে’। প্রধানমন্ত্রী স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে মহিলাদের অংশগ্রহণের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘বর্তমানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে মহিলাদের সংখ্যা ১০ কোটি পেরিয়ে গেছে’। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করতে সরকারের প্রয়াসের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ‘গত ১০ বছরে আমাদের সরকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর শুধু প্রসার ঘটিয়েছে তাই নয়, এই গোষ্ঠীর ৯৮ শতাংশের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেছে’। এই ধরনের গোষ্ঠীকে সহায়তার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা এবং ৮ লক্ষ কোটির বেশি টাকা এইসব গোষ্ঠীগুলির অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক পরিকাঠামো বৃদ্ধির কারণে এইসব স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির আয় তিনগুণ বেড়েছে।
অর্থনৈতিক সক্ষমতা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সামাজিক প্রভাবের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই গোষ্ঠীগুলি গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নয়নে এবং গ্রাম সমাজের সার্বিক উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে’। প্রধানমন্ত্রী ব্যাঙ্ক সখী, কৃষি সখী, পশু সখী এবং মৎস্য সখীদের ভূমিকা এবং পরিষেবাকে স্বীকৃতি দিয়ে বলেন, ‘এই দিদিরা দেশের জাতীয় অভিযানে স্বাস্থ্য থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন গতি যোগ করেছেন। যাঁরা প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ডিজিটাল সাক্ষরতা অভিযান পরিচালনা করেন তাঁদের ৫০ শতাংশের বেশি মহিলা এবং সুবিধাপ্রাপকদেরও ৫০ শতাংশের বেশি মহিলা। এই সাফল্যের ধারা নারীশক্তিতে আমার আস্থা আরও শক্তিশালী করছে’।
প্রধানমন্ত্রী পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা রূপায়ণে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা এই উদ্যোগ নেবে, তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এই কর্মসূচিতে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা, ডঃ মনসুখ মান্ডভিয়া এবং শ্রী গিরিরাজ সিং অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
कोई भी देश हो, कोई भी समाज हो, वो नारीशक्ति की गरिमा बढ़ाते हुए, उनके लिए नए अवसर बनाते हुए ही आगे बढ़ सकता है: PM @narendramodi pic.twitter.com/RS5a296wCg
— PMO India (@PMOIndia) March 11, 2024
हमारी बहनें देश को सिखाएंगी कि ड्रोन से आधुनिक खेती कैसे होती है: PM @narendramodi pic.twitter.com/eJ4HsFbiVf
— PMO India (@PMOIndia) March 11, 2024
मेरा विश्वास है, देश की नारीशक्ति, 21वीं सदी के भारत की तकनीकी क्रांति को नेतृत्व दे सकती है: PM @narendramodi pic.twitter.com/x3l8LXpqRA
— PMO India (@PMOIndia) March 11, 2024
बीते 10 वर्षों में जिस तरह भारत में महिला स्वयं सहायता समूहों का विस्तार हुआ है, वो अपने आप में अध्ययन का विषय है: PM @narendramodi pic.twitter.com/PvyeStwybk
— PMO India (@PMOIndia) March 11, 2024