প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে নিউজ নাইন গ্লোবাল সামিটে বক্তব্য রেখেছেন। সামিটের মূল ভাবনা ছিল ‘ভারত : এক বিশাল লাফের জন্য প্রস্তুত’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিভি নাইন-এর সংবাদ বিভাগ ভারতের বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের বহু ভাষার সংবাদ প্ল্যাটফর্মগুলি টিভি নাইন-কে ভারতের প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের প্রতিনিধি করে তুলেছে।
সামিটের মূল ভাবনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশাল লাফ তখনই দেওয়া যায়, যখন কেউ আবেগ ও উদ্দীপনায় পরিপূর্ণ থাকেন। এই বিষয় ভাবনা ভারতের আত্মবিশ্বাস ও আকাঙ্খাকে তুলে ধরেছে। এর পিছনে রয়েছে গত ১০ বছর ধরে তৈরি করা লঞ্চপ্যাড। বিগত ১০ বছরে মানসিকতার পরিবর্তন, আত্মবিশ্বাস ও সুশাসনের মাধ্যমে এই রূপান্তর ঘটানো সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাগরিককেন্দ্রিকতাই হল ভারতের নিয়তি। পরাজয়ের মানসিকতা নিয়ে কখনই জেতা যায় না। সেজন্য মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন ছিল। তারই সুবাদে ভারত এই অবিশ্বাস্য লাফ দেওয়ার জায়গায় এসে পৌঁছেছে। অতীতের নেতৃত্বের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী, দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি, নীতিপঙ্গুত্ব ও পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতি দেশের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারত আজ বিশ্বের প্রথম পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। ভারত আজ আর ছোট মাপের কিছু ভাবে না। ভারত যাই করে, সেটা বিশাল মাপের এবং সেরা। সারা বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে তা দেখে। ভারতের সঙ্গে থাকার সুবিধা তারা অনুভব করে।
২০১৪ সালের আগের ১০ বছরের সঙ্গে গত ১০ বছরের তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ ৩০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৬৪০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ভারতে ডিজিটাল বিপ্লব দেখা দিয়েছে। সারা বিশ্ব ভারতের কোভিড টিকার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে। দেশে করদাতাদের সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বেড়েছে, যা সরকার এবং ব্যবস্থাপনার প্রতি সাধারণ মানুষের ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রতীক। ২০১৪ সালে যেখানে মিউচুয়াল ফান্ডে ৯ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল, সেখানে ২০১৪ সালে এই সংখ্যা উল্কার গতিতে বেড়ে ৫২ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর থেকে নাগরিকদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশ সামর্থের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। নিজের এবং সরকারের প্রতি ক্রমশ আস্থা বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঘুরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে সরকারের কর্মসংস্কৃতি ও শাসন ব্যবস্থা। সরকারি অফিসগুলি এখন আর ভোগান্তির জায়গা নয়, এগুলি এখন দেশের মানুষের বন্ধু হয়ে উঠছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই লাফ দেওয়ার জন্য গতির পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল। উত্তরপ্রদেশের সরযু ক্যানাল প্রকল্প, মহারাষ্ট্রে সর্দার সরোবর যোজনা, কৃষ্ণা কোয়েনা পরিযোজনা প্রভৃতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলি দশকের পর দশক ধরে অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল। তাঁর সরকার এগুলি সম্পূর্ণ করেছে। অটল টানেলের শিলান্যাস হয়েছিল ২০০২ সালে। কিন্তু ২০১৪ সালেও তা সম্পূর্ণ হয়নি। বর্তমান সরকার ২০২০ সালে এর কাজ সম্পূর্ণ করে তা চালু করেছে। অসমের বগিবিল ব্রিজের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এটি ১৯৯৮ সালে চালু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের ২০ বছর পর ২০১৮ সালে এটি সম্পূর্ণ হয়। একই ভাবে পূর্বাঞ্চলীয় পণ্য করিডোর চালু হওয়ার কথা ছিল ২০০৮ সালে কিন্তু এর কাজ শেষ হয়েছে ১৫ বছর পর ২০২৩ সালে। এমন আরও অসংখ্য প্রকল্পের কাজ বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর সম্পূর্ণ করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রগতি ব্যবস্থাপনার আওতায় বড় প্রকল্পগুলির কাজের ওপর নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ১০ বছরে এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ১৭ লক্ষ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে। অটল সেতু, সংসদ ভবন, জম্মু এইমস, রাজকোট এইমস, আইআইএম সম্বলপুর, ত্রিচি বিমানবন্দরের নতুন ভবন, আইআইটি ভিলাই, গোয়া বিমানবন্দর, লাক্ষ্মাদ্বীপ পর্যন্ত সমুদ্রের তলা দিয়ে কেবল লাইন, বারাণসীর বনস ডেয়ারি, দ্বারকার সুদর্শন সেতু প্রভৃতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলির শিলান্যাস তিনিই করেছিলেন, অতি দ্রুত এগুলির কাজ শেষ করে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইচ্ছাশক্তি এবং করদাতাদের অর্থের সদ্ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ থাকলে তবেই একটি জাতি এগোতে পারে এবং বড় মাপের লাফ দিতে প্রস্তুত হয়।
প্রধানমন্ত্রী মাত্র এক সপ্তাহের কর্মকান্ডের তালিকা তুলে ধরে জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি জম্মু থেকে আইআইটি, আইআইএম, আইআইআইটি-এর মতো ডজনখানেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সূচনা করা হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজকোট থেকে তিনি ৫টি এইমস জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। ২০০০-এরও বেশি প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০টি অমৃত স্টেশনের পুনরুন্নয়নের কাজও রয়েছে। আগামী ২ দিনে আরও ৩ রাজ্য সফরের সময় এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিপ্লবে আমরা পিছিয়ে ছিলাম, কিন্তু এবার চতুর্থ বিপ্লবে ভারতই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন দেশে গড়ে দুটি করে নতুন কলেজ, প্রতি সপ্তাহে একটি করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। প্রতিদিন ৫৫টি পেটেন্ট এবং ৬০০টি ট্রেডমার্ক অনুমোদন পাচ্ছে। প্রতিদিন দেড় লক্ষ মুদ্রা ঋণ মঞ্জুর করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৩৭টি স্টার্টআপ দিনের আলো দেখছে। প্রতিদিন ১৬,০০০ কোটি টাকার ইউপিআই লেনদেন হচ্ছে। প্রতিদিন ৩টি করে নতুন জনৌষদি কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৪ কিলোমিটার করে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০,০০০ রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রতি সেকেন্ডে একটি করে নলবাহিত জলের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ৭৫,০০০ মানুষ দারিদ্র্যের করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসছেন।
দেশের ভোগের ধরণ সম্পর্কিত একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের হার বর্তমানে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এক দশক আগের তুলনায় বর্তমানে মানুষের ভোগের পরিমাণ আড়াই গুণ বেড়েছে। মানুষ এখন বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবায় অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে পারছেন। গত ১০ বছরে শহরের তুলনায় গ্রামে ভোগের পরিমাণ বেড়েছে। এর অর্থ হল, গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বাড়ছে। তাঁদের হাতে খরচা করার মতো উদবৃত্ত অর্থ বেশি করে থাকছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গ্রামীণ মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে পরিকাঠামো উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছে। এর ফলে, সংযোগ আরও বাড়ছে, কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে এবং মহিলাদের উপার্জন বাড়ছে। সব মিলিয়ে গ্রামীণ ভারত শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রথম দেশে খাবারের জন্য খরচ, মোট খরচের ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। অর্থাৎ যেসব পরিবার আগে নিজেদের খাবার জোটাতে যাবতীয় সময় ও শক্তি ব্যয় করতো, তারা আজ অন্য ক্ষেত্রে খরচ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
আগের সরকারগুলির ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির প্রবণতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে দুর্নীতির মূলোচ্ছেদ করে দেশের প্রতিটি প্রান্তে উন্নয়নের সুফল সমান ভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা পরিতৃপ্তির শাসনে বিশ্বাস করি, অভাবের রাজনীতিতে নয়। আমরা সন্তুষ্টিতে বিশ্বাসী, তুষ্টিকরণে নয়। গত এক দশকে সবকা সাথ সবকা বিকাশ-এর মন্ত্র নিয়ে তাঁর সরকার এগিয়ে চলেছে। ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিকে ফলাফলের রাজনীতিতে পাল্টে দেওয়া হয়েছে। মোদী কি গ্যারান্টি যানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আজ বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে। পরিতৃপ্তি যখন মিশন হয়ে ওঠে, তখন কোন ধরণের বৈষম্যের প্রয়োজন থাকে না বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার নেশন ফার্স্ট নীতি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। বিভিন্ন বকেয়া সমস্যার মোকাবিলায় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও সরকার পিছুপা হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে তিনি ৩৭০ ধারার বিলোপসাধন, রাম মন্দির নির্মাণ, তিন তালাক পদ্ধতির অবসান, নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম, এক Rank এক পেনশন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদ সৃষ্টি প্রভৃতির উল্লেখ করেন।
ভারতকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী করে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মহাকাশ থেকে সেমিকন্ডাকটার, ডিজিটাল থেকে ড্রোন, কৃত্রিম মেধা থেকে দূষণমুক্ত জ্বালানি, ফাইভ জি থেকে ফিনটেক – ভারত সর্বত্রই বিশ্বের প্রথম সারিতে রয়েছে। ভারতের ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ, অর্থপ্রযুক্তি সংস্থা বা ফিনটেক স্থাপনের হার, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে রোভারের অবতরণ, সৌরশক্তিতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ হওয়া, ফাইভ জি নেটওয়ার্কের বিস্তারে ইউরোপকে ছাপিয়ে যাওয়া, সেমিকন্ডাকটার ক্ষেত্রে দ্রুত বিকাশ, গ্রিন হাইড্রোজনের মতো ভবিষ্যৎমুখী জ্বালানির উন্নয়ন প্রভৃতির উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত আজ এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে। সবাই বলাবলি করছে, ভারতই হল ভবিষ্যৎ। আগামী ৫ বছরে তাঁর সরকারের তৃতীয় মেয়াদে ভারত আরও নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে এবং বিকশিত ভারতের লক্ষ্য পূরণ হবে বলে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
अगर आज दुनिया को लगता है कि भारत एक बड़ा लीप लेने के लिए तैयार है, तो उसके पीछे 10 साल का एक पावरफुल लॉन्चपैड है: PM @narendramodi pic.twitter.com/xISt7XKmsN
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024
आज 21वीं सदी के भारत ने छोटा सोचना छोड़ दिया है।
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024
आज हम जो करते हैं, वो Best और Biggest होता है: PM @narendramodi pic.twitter.com/taHqD35nVy
भारत के लोगों का सरकार और व्यवस्था पर भरोसा बढ़ रहा है: PM @narendramodi pic.twitter.com/VsdK9Cx6vc
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024
आज 21वीं सदी के भारत ने छोटा सोचना छोड़ दिया है।
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024
आज हम जो करते हैं, वो Best और Biggest होता है: PM @narendramodi pic.twitter.com/taHqD35nVy
भारत के लोगों का सरकार और व्यवस्था पर भरोसा बढ़ रहा है: PM @narendramodi pic.twitter.com/VsdK9Cx6vc
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024
सरकार के दफ्तर आज समस्या नहीं, देशवासियों के सहयोगी बन रहे हैं: PM @narendramodi pic.twitter.com/ldvBMG94Tc
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024
भ्रष्टाचार पर लगाम लगाकर हमने ये सुनिश्चित किया है कि विकास का लाभ भारत के हर क्षेत्र को समान रूप से दिया जाए: PM @narendramodi pic.twitter.com/F9bkkBXZP5
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024
भ्रष्टाचार पर लगाम लगाकर हमने ये सुनिश्चित किया है कि विकास का लाभ भारत के हर क्षेत्र को समान रूप से दिया जाए: PM @narendramodi pic.twitter.com/F9bkkBXZP5
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024
हमारी सरकार Nation First के सिद्धांत को सर्वोपरि रखते हुए आगे बढ़ रही है: PM @narendramodi pic.twitter.com/MFoADsERXM
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024
21वीं सदी के भारत को अपने आने वाले दशकों के लिए भी हमें आज ही तैयार करना होगा: PM @narendramodi pic.twitter.com/Nz5fmKvY5d
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024
India is the Future. pic.twitter.com/bmgfDu8T3M
— PMO India (@PMOIndia) February 26, 2024