প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এমপক্স পরিস্থিতির ওপর ক্রমাগত নজর রেখে চলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শ মতো প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব ডঃ পি কে মিশ্রের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দেশের এমপক্স পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পদক্ষেপ পর্যালোচনা করা হয়। আফ্রিকার বহু দেশে এমপক্স ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) একে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে। হু-র বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে বিশ্বের ১১৬টি দেশে ৯৯,১৭৬ জন এমপক্স-এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়। চলতি বছরে ১৫,৬০০ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতেও ২০২২ সাল থেকে এপর্যন্ত ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জানানো হয় যে, দেশে এই মুহূর্তে এমপক্সে আক্রান্ত কোন রোগী নেই। এছাড়া বড় ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনাও কম।
প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব জানান, এমপক্স সংক্রমণ ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীরা আরোগ্য লাভ করেন। দীর্ঘক্ষণ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শের থাকার কারণে এই রোগ সংক্রমিত হয়। স্বাস্থ্য সচিব জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দল মোতায়েন রাখা হয়েছে। আজ সকালে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত মহানির্দেশকের ডাকা এক ভিডিও কনফারেন্সে ২০০ জনের বেশি অংশগ্রহণকারী যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব ডঃ পি কে মিশ্র নজরদারি বাড়ানো এবং দ্রুত রোগ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। দ্রুত রোগ নির্ণয়ের জন্য ল্যাবগুলিকে তৈরি রাখার নির্দেশ দেন তিনি। বর্তমানে ৩২টি ল্যাবকে পরীক্ষার উপযোগী করে তৈরি রাখা হয়েছে।
বৈঠকে হাজির ছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে পল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব শ্রী অপূর্ব চন্দ্র, স্বাস্থ্য গবেষণা সচিব ডাঃ রাজীব বহল, জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব শ্রী কৃষ্ণ এস বৎস, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব শ্রী সঞ্জয় জাজু সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।