প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আসামের গুয়হাটির সারুসাজাই স্টেডিয়ামে আজ ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে – ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর পলাশবাড়ি ও সুয়ালকুচির মধ্যে সংযোগকারী সেতু এবং শিবসাগরের রঙঘরে সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের শিলান্যাস, নামরূপে ৫০০ টিপিডি মেনথল প্ল্যান্টের উদ্বোধন এবং ৫টি রেল প্রকল্পের উৎসর্গীকরণ। ১০ হাজারেরও বেশি বিহু নৃত্যশিল্পীদের অনন্য অনুষ্ঠানেরও সাক্ষী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
একটি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর জীবনে এ ধরনের অনুষ্ঠান তিনি আগে কখনও প্রত্যক্ষ করেননি। তিনি বলেন, “এটি অকল্পনীয় ও অভূতপূর্ব। আজ আসামের হাজার হাজার শিল্পীর এই সুন্দর অনুষ্ঠান সারা দেশ তথা বিশ্বের মানুষ প্রত্যক্ষ করছেন – যা অত্যন্ত গর্বের”। বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাঁর আসাম সফরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ ফর আসাম। অবশেষে, আসাম একটি ‘এ-ওয়ান’ রাজ্য হতে চলেছে। বিহু উপলক্ষে আসামের মানুষ এবং দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাঞ্জাব সহ উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে বৈশাখী উদযাপন করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বাংলার মানুষ পয়লা বৈশাখ উদযাপন করছেন। কেরলে বিশু উদযাপিত হবে। এই উৎসবগুলির মধ্য দিয়ে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর চেতনা এবং ‘সবকা প্রয়াস’ – এর সঙ্গে ‘বিকাশিত ভারত’ – এর অঙ্গীকার প্রতিফলিত হচ্ছে”। এইমস্, ৩টি মেডিকেল কলেজ, বিভিন্ন রেল প্রকল্প, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতু নির্মাণ এবং মিথানল প্ল্যান্টের উদ্বোধন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
আসামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের উৎসবগুলি শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক কার্যকলাপই নয়, এগুলি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি মাধ্যম এবং একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা”।
ভারতের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি প্রত্যেক ভারতবাসীকে হাজার হাজার বছর ধরে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতা এবং শাসকের পরিবর্তন হলেও ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
বিশিষ্ট লেখক এবং সিনেমা – ব্যক্তিত্ব জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালের লেখা ‘বিশ্ব বিজয় নওজওয়ান’ গানটির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই গানটি আসাম তথা গোটা দেশের তরুণদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, “পরাধীন ভারতে বড় স্বপ্ন নিয়ে এই গানটি লেখা হয়েছিল। আজ আমরা স্বাধীন, এখন বিকশিত ভারতই আমাদের বড় স্বপ্ন”।
দেশের মানুষের সঙ্গে তাঁর কথপোকথনে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৪০ কোটি মানুষ এখন বিকশিত ভারতের কথাই বিশ্বাস করেন। দেশবাসীর এগিয়ে চলার পথে যেসব বাধাবিঘ্ন আসছে, সরকার অত্যন্ত সততার সঙ্গে তা দূর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে চতুর্মুখী উদ্যোগের (মহাযজ্ঞ) কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যোগাযোগের এই এই চারটি দিক হ’ল – ডিজিটাল সংযোগ, সামাজিক সংযোগ, মানুষে মানুষে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ।
শ্রী মোদী বলেন, আজকের যোগাযোগ হ’ল - সকলের চিন্তাভাবনা ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন। তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাম্প্রতিক মাধবপুর মেলা পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, কৃষ্ণ-রুক্মিনীর এই বন্ধন উত্তর-পূর্বের সঙ্গে পশ্চিম ভারতের যোগাযোগের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
পর্যটনের মাধ্যমে গোটা ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র টাকা খরচের জন্য পর্যটকরা এইসব জায়গায় আসেন না, তাঁরা এই সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠেন। গত ৯ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণে সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বের সমস্ত গ্রামের সঙ্গেই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। নতুন বিমানবন্দর চালু হয়েছে এবং এই প্রথম বাণিজ্যিক উড়ানও চালু হ’ল। মণিপুর ও ত্রিপুরার মধ্যে সংযোগকারী ব্রডগেজ লাইন তৈরি হয়েছে। উত্তর-পূর্বে আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি গতিতে রেললাইন বসানো হচ্ছে এবং আগের তুলনায় ১০ গুণ বেশি গতিতে ডবল রেল লাইনের কাজ চলছে। আজ উদ্বোধন করা ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি রেল প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, আসাম সহ গোটা এলাকার উন্নয়ন এর ফলে ত্বরান্বিত হবে। নতুন এই রেল লাইনের ফলে আসামের সঙ্গে মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডের রেল যাত্রা অনেক সহজ হয়ে উঠবে।
গত ৯ বছরে ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাজকর্মের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশন দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামে পৌঁছে গেছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কোটি কোটি দেশবাসীকে গৃহ প্রদান করা হচ্ছে, সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ, উজ্জ্বলা যোজনায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ এবং জল জীবন মিশনের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। এগুলিই ভারতের শক্তি এবং উন্নত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রী মোদী বলেন, “আমাদের সরকারের প্রয়াসের ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সর্বত্র স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অনেক তরুণ হিংসার পথ পরিহার করেছেন এবং উন্নয়ন যাত্রায় শরিক হয়েছেন। উত্তর-পূর্বে অবিশ্বাসের বাতাবরণ সরে যাচ্ছে, মানুষের অন্তরের দূরত্ব কমছে”। পরিশেষে তিনি বলেন, “দেশের স্বাধীনতার অমৃতকালে আমাদের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস’ – এই মন্ত্রকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে”।
অনুষ্ঠানে আসামের রাজ্যপাল শ্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া, আসামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ, কেন্দ্রীয় জাহজ, বন্দর ও জলপথ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামেশ্বর তেলি এবং আসাম সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ যে ৫টি রেল প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন, সেগুলি হ’ল – দিগারু – লামডিং শাখা; গৌরীপুর – অভয়াপুরী শাখা; নিউ বঙ্গাইগাঁও – ধুপ ধারা ডবল লাইন; রানীনগর – জলপাইগুড়ি – গুয়াহাটি শাখার বৈদ্যুতিকীকরণ; সেনচোয়া – সিলঘাট টাউন এবং সেনচোয়া – মৈনাবাড়ি শাখার বৈদ্যুতিকীকরণ।
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল
बीहू को सिर्फ शाब्दिक अर्थ से नहीं समझा जा सकता।
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2023
बल्कि इसे समझने के लिए भावनाओं की, ऐहसास की आवश्यकता होती है। pic.twitter.com/UiRMl1rdsW
भारत की विशेषता ही यही है, कि हमारी संस्कृति, हमारी परंपराएं हज़ारों-हज़ार वर्षों से हर भारतवासी को जोड़ती आई हैं। pic.twitter.com/yISbOsluDG
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2023
आज भारत आजाद है और आज विकसित भारत का निर्माण, हम सभी का सबसे बड़ा सपना है।
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2023
हमें देश के लिए जीने का सौभाग्य मिला है। pic.twitter.com/bMajpvGHvy
आज हमारे लिए कनेक्टिविटी, चार दिशाओ में एक साथ काम करने वाला महायज्ञ है। pic.twitter.com/fH4TA5YfYZ
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2023
नॉर्थ ईस्ट में अविश्वास का माहौल दूर हो रहा है, दिलों की दूरी मिट रही है। pic.twitter.com/SVhoyqNIyS
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2023