Quote১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী
Quoteপঞ্চায়েত স্তরে জনপ্রক্রিয়াকরণের জন্য সুসংহত ই-গ্রাম স্বরাজ এবং জেম পোর্টালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী
Quote৩৫ লক্ষেরও বেশি স্বামিত্ব সম্পত্তি কার্ড প্রদান
Quoteপিএমএওয়াই-জি এর আওতায় ৪ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগী ‘গৃহ প্রবেশ’ – এ যোগ দেন
Quote২ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন রেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন
Quoteজল জীবন মিশন – এর আওতায় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
Quote“গণতন্ত্রের ভাবধারার প্রসারের পাশাপাশি, পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠানগুলি আমাদের নাগরিকদের উন্নয়নের চাহিদাগুলি পূরণ করে”
Quoteপ্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন।
Quote৩৫ লক্ষ স্বামিত্ব সম্পত্তি কার্ড প্রদান এবং মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নে ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি রেল, আবাসন, জল, কর্মসংস্থান প্রভৃতি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
Quoteতিনি জানান, ৭০টিরও কম গ্রাম পঞ্চায়েতকে অপ্টিকাল ফাইবারে যুক্ত করা হয়েছিল, যেখানে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে অপ্টিকাল ফাইবার সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
Quoteগ্রাম পঞ্চায়েত বিকাশ যোজনা পঞ্চায়েতগুলিকে সুচারুভাবে কাজ করতে সাহায্য করছে।
Quoteতিনি বলেন, স্বাধীনতার পর গ্রামীণ এলাকার প্রয়োজনীয় চাহিদাকে উপেক্ষা করে ক্ষমতাসীন সরকার গ্রামীণ মানুষের আস্থা ভঙ্গ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় আজ জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন।

সমাবেশে ভাষণের শুরুতেই তিনি এই বীরভূমিতে মা বিদ্যাশ্বিনীকে প্রণাম জানান। এই এলাকায় তাঁর পূর্ব সফর এবং সাধারণ মানুষের ভালোবাসার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩০ লক্ষেরও বেশি পঞ্চায়েত প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, দেশের গণতন্ত্রের এক বলিষ্ঠ চিত্র প্রস্ফুটিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উপস্থিত প্রত্যেকের কর্মপরিধি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু, দেশ সেবার মাধ্যমে নাগরিক সেবাই তাঁদের সকলের অভিন্ন লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘গাঁও অউর গরীব’ অর্থাৎ ‘গ্রাম ও দরিদ্র’ – এর জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প পঞ্চায়েতগুলি পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে রূপায়ণ করছে। পঞ্চায়েত স্তরে জনপ্রক্রিয়াকরণের জন্য ই-গ্রাম স্বরাজ এবং জেম পোর্টালের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে পঞ্চায়েতের কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। ৩৫ লক্ষ স্বামিত্ব সম্পত্তি কার্ড প্রদান এবং মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নে ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি রেল, আবাসন, জল, কর্মসংস্থান প্রভৃতি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

 

|

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার অমৃতকালে প্রত্যেক নাগরিক পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছেন। ভারতের গ্রামগুলিতে সামাজিক ব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে এক উন্নত রাষ্ট্র গড়ে উঠবে এবং বর্তমান সরকার এই বিপুল ব্যবস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং এর পরিধি বিস্তারের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছে। এই কাজ অতীতের সরকারগুলির মতো নয়, যাঁরা পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিলেন। ২০১৪’র পূর্বে অতীতের সরকারগুলির কাজের দৈন্যতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থ কমিশন ৭০ হাজার কোটি টাকার কম এক্ষেত্রে মঞ্জুর করেছিল। দেশের যে বিরাট পরিসর, সেই তুলনায় এটা যৎসামান্য মনে হতেই পারে। তবে, ২০১৪ সালের পর এই বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের এক দশক আগেও কেবলমাত্র ৬ হাজার পঞ্চায়েত ভবন তৈরি হয়েছিল, যেখনে গত ৮ বছরে বর্তমান সরকার ৩০ হাজারেরও বেশি পঞ্চায়েত ভবন তৈরি করেছে। তিনি জানান, ৭০টিরও কম গ্রাম পঞ্চায়েতকে অপ্টিকাল ফাইবারে যুক্ত করা হয়েছিল, যেখানে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে অপ্টিকাল ফাইবার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, স্বাধীনতার পর বিগত সরকারগুলি পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থায় আস্থার অভাব প্রকট ছিল। মহাত্মা গান্ধীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত গ্রামে বাস করে’ তা সত্ত্বেও অতীতের সরকারগুলি তাঁর আদর্শের প্রতি উদাসীন ছিল। ফলস্বরূপ, দশকের পর দশক ধরে পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা অবহেলিত থেকে গেছে। তিনি বলেন, আজ পঞ্চায়েত পুনরায় ভারতের উন্নয়নে পূর্ণ শক্তি হয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত বিকাশ যোজনা পঞ্চায়েতগুলিকে সুচারুভাবে কাজ করতে সাহায্য করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, সরকার গ্রাম ও শহরের মধ্যে দূরত্ব ঘোচাতে নিরলস কাজ করে চলেছে। ডিজিটাল বিপ্লবের এই সময়কালে পঞ্চায়েতগুলিকে উন্নত করে তোলা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী অমৃত সরোবরের দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন, এলাকা নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রকল্প সম্পূর্ণ হওয়া প্রযুক্তি-বান্ধব পদ্ধতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত স্তরে জনপ্রক্রিয়াকরণে জেম পোর্টাল পঞ্চায়েত স্তরে প্রক্রিয়াকরণকে সহজ ও সরল করে তুলেছে। স্থানীয় কুটির শিল্পগুলি তাদের পণ্য বিপণনে এক সক্ষম মাধ্যম খুঁজে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

|

প্রধানমন্ত্রী স্বামিত্ব প্রকল্পে প্রযুক্তির সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, এই প্রকল্প গ্রামে সম্পত্তির অধিকার চিত্রকেই বদলে দিচ্ছে এবং বিবাদ ও মামলাও হ্রাস পচ্ছে। সম্পত্তির তথ্যপঞ্জি সুনিশ্চিত করতে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারে কোনও রকম বৈষম্য করা হচ্ছে না। তিনি জানান, দেশের ৭৫ হাজার গ্রামে সম্পত্তি কার্ডের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ সরকারকে এই লক্ষ্যে ভালো কাজ করার জন্য প্রশংসা করেন তিনি।

ছিন্দওয়াড়ায় উন্নয়নে উদাসীনতা নিয়ে তিনি কয়েকটি রজনৈতিক দলের চিন্তাভাবনাকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর গ্রামীণ এলাকার প্রয়োজনীয় চাহিদাকে উপেক্ষা করে ক্ষমতাসীন সরকার গ্রামীণ মানুষের আস্থা ভঙ্গ করেছে।

 

|

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি যেখানে গ্রামে বাস করেন, সেখানে দাঁড়িয়ে গ্রামের সঙ্গে বৈষম্য করে দেশ কখনও এগিয়ে যেতে পারে না। তিনি বলেন, ২০১৪’র পর গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং গ্রামে বসবাসকারী মানুষদের স্বার্থ পূরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, উজ্জ্বলা এবং পিএম আবাস প্রকল্প গ্রামে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, সাড়ে চার কোটি গৃহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৩ কোটি গৃহ গ্রামাঞ্চলেই নির্মিত হয়েছে এবং এগুলির বেশিরভাগই মহিলাদের নামে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ১ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের কোটি কোটি মহিলাদের জীবনে রূপান্তর ঘটিয়েছেন তাঁদের ‘লাখোপতি দিদি (লক্ষপতি)’ বানিয়ে। তিনি জানান, ৪ লক্ষেরও বেশি পরিবার পাকা গৃহে আজ ‘গৃহ প্রবেশ’ অনুষ্ঠান করেছেন। যে সমস্ত বোনেরা আজ গৃহকত্রী হলেন তাঁদের তিনি অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে আড়াই কোটি গৃহ বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে, সেগুলির বেশিরভাগই গ্রামীণ এলাকায় এবং হর ঘর জল যোজনায় ৯ কোটিরও বেশি গ্রামীণ গৃহ নলবাহিত জল সংযোগ পেয়েছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশে প্রায় ৬০ লক্ষ বাড়িতে এখন নলবাহিত জল সংযোগ রয়েছে। অতীতে এই সংখ্যা ছিল ১৩ লক্ষ।

 

|

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাঙ্কের সুবিধাগুলি পাওয়ার উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে গ্রামীণ জনসংখ্যার বেশিরভাগই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ছিল না ফলে ব্যাঙ্কের সুবিধাগুলি থেকেও তাঁরা বঞ্চিত থাকতেন। ফলস্বরূপ, সুবিধভোগীদের টাকা তাঁদের কাছে পৌঁছনোর আগেই লুঠ হয়ে যেত। জন ধন যোজনার উপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামে ৪০ কোটিরও বেশি বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ভারতীয় ডাকবিভাগের মাধ্যমে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্কের দ্বারা ব্যাঙ্কিং এই সুবিধা প্রসারিত হয়েছে। ব্যাঙ্ক মিত্র এবং প্রশিক্ষিত ব্যাঙ্ক সখীর দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন, তাঁরা গ্রামের মানুষদেরকে সর্বত্রই সাহায্য করছে, তা সে চাষের কাজেই হোক আর ব্যবসার কাজেই হোক।

অতীতে সরকারগুলি গ্রামগুলির প্রতি নিদারুণ অন্যায়ের উপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামে টাকা খরচ করা হ’ত না, কারণ অতীতের সরকারগুলি গ্রামকে ভোট ব্যাঙ্ক বলে মনে করতো না। প্রধানমন্ত্রী জানান, হর ঘর জল যোজনায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি খরচ করে বর্তমান সরকার গ্রামে উন্নয়নের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। লক্ষ – কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। দশকের পর দশক ধরে পড়ে থাকা সেচ প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করতে ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক অভিযানে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। কিষাণ সম্মান নিধি’তে সরকার আড়াই লক্ষ কোটি টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ৯০ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পেয়েছেন। রেওয়ার কৃষকরা এই তহবিল থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা পেয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির অতিরিক্ত গ্রামগুলিতে হাজার হাজার কোটি টাকা পৌঁছে গেছে। করোনা অতিমারী সময়ে সরকার গত তিন বছর ধরে গরীবদেরকে বিনা পয়সার রেশন দিয়েছে, এর মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা।

 

|

মুদ্রা যোজনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামগুলিতে কর্মসংস্থান এবং স্বনিযুক্তির সুবিধা প্রসারে কেবলমাত্র গত কয়েক বছরে ২৪ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে। এর ফলে, গ্রামগুলিতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এতে সবচেয়ে বেশি সুবিধা লাভ করেছেন গ্রামের মেয়েরা। প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ৯ বছরে ৯ কোটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে এই সংখ্যা ৫০ লক্ষেরও বেশি। প্রত্যেক স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে সরকার কোনও রকম ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই ২০ লক্ষ টাকা ঋণদানে সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র শিল্পের চালিকাশক্তি এখন মেয়েদের হাতেই। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রতিটি জেলায় রাজ্য সরকারের ‘দিদি ক্যাফে’ গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেন। মধ্যপ্রদেশের মহিলা শক্তিকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৭ হাজার মহিলা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ সমাবেশি অভিযান – এর সূচনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবকা বিকাশ’ – এর মধ্য দিয়ে বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জনে এটা এক বলিষ্ঠ উদ্যোগ। প্রত্যেক পঞ্চায়েত, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেক প্রতিনিধি এবং দেশের প্রত্যেক নাগরিককে উন্নত ভারতের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা তখনই সম্ভব, যখন প্রত্যেক ন্যূনতম সুবিধা শতকরা ১০০ ভাগই সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছবে কোনও রকম বৈষম্য ছাড়াই।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, নতুন কৃষি পদ্ধতি নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ পঞ্চায়েতের। প্রাকৃতিক উপায়ে চাষের প্রয়োজনকে প্রচারের মধ্য দিয়ে তুলে ধরার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র চাষী, মৎস্যজীবী, পশুপালন প্রভৃতি ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, “প্রতিটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সঙ্গে আপনারা যুক্ত হলে সম্মিলিত প্রয়াস যে শক্তি লাভ করবে, অমৃতকালে উন্নত ভারত গড়ে তুলতে তা সহায়ক হবে”।

আজকের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছিন্দওয়াড়া – নৈনপুর -মান্ডলা ফোর্ট রেল লাইনের বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে এই এলাকা দিল্লি – চেন্নাই এবং হাওড়া – মুম্বাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর ফলে, এই এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হওয়ার পাশাপাশি, আদিবাসী মানুষরাও উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, ছিন্দওয়াড়া – নৈনপুরের জন্য নতুন ট্রেনগুলির যাত্রা সূচনা হওয়ার অনেক শহর ও গ্রাম জেলা সদর চিন্দওয়াড়া, সিওনির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হবে। এছাড়াও, নাগপুর ও জব্বলপুর যাতায়াত অনেক সহজ হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, এই এলাকা সমৃদ্ধ বন্যপ্রাণীর জন্য পরিচিত। উন্নত যোগাযোগের ফলে পর্যটন প্রসারিত হবে এবং নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রী একে ডবল ইঞ্জিন সরকারের কৃতিত্ব বলে উল্লেখ করেন।

 

 

|

পরিশেষে, প্রধানমন্ত্রী মন কি বাত অনুষ্ঠানে সকলের সহায়তা ও ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ জানান। আগামী রবিবার মন কি বাত – এর ১০০তম পর্ব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। মন কি বাত – এর অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রদেশের মানুষের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরার কথা উল্লেখ করে তিনি সকলকে ১০০তম পর্বটি শুনতে অনুরোধ করেন।

মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী ফগগ্‌ন কুলস্তে, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, শ্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল, সাংসদগণ এবং মধ্যপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীরা অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

  • Ramakant upadhyay April 29, 2023

    jai shri ram
  • Hitesh R Kalkani April 26, 2023

    Jay javan
  • varshaba parmar April 26, 2023

    Jay shree ram
  • Dr j s yadav April 26, 2023

    वन्दे मातरम्
  • April 25, 2023

    🙏🙏Well come to vijiyanagar hospet🙏🙏 Sir i want to meet you big fan i am in vijiyanagar hospet my number 7204459992
  • Bibekananda Mahanta April 25, 2023

    Jay Shree Ram
  • Vidhansabha Yamuna Nagar April 25, 2023

    जय हो
  • Asha Sahu April 25, 2023

    नमो नमो हर हर मोदी जी घर घर मोदी जी जय हो मोदी जी हमें आप पर बहुत ही गर्व है मोदी जी जय हिंद भारत माता की जय।🙏🏻🙏🏻🌷🌷👏👏🙏🏻🙏🏻
  • Anil Mishra Shyam April 25, 2023

    Ram Ram 🙏🙏 g
  • Nagendra Kumar Voruganty April 25, 2023

    JAYAHO MODIJI AND BJP
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India Doubles GDP In 10 Years, Outpacing Major Economies: IMF Data

Media Coverage

India Doubles GDP In 10 Years, Outpacing Major Economies: IMF Data
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 23 মার্চ 2025
March 23, 2025

Appreciation for PM Modi’s Effort in Driving Progressive Reforms towards Viksit Bharat