ভারত-ভুটান সম্পর্কের গভীরতা ও আন্তরিকতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দু’দেশেরই প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ থিম্পুতে এক সাক্ষাৎকারে মিলিত হলেন ভুটানরাজ জিগমে খেসর নামগিয়েল ওয়াংচুক-এর সঙ্গে। পারো থেকে থিম্পু পর্যন্ত যাত্রাপথে ভুটানবাসী তাঁকে যেভাবে স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তার জন্য শ্রী মোদী ধন্যবাদ জানান ভুটানরাজকে।
দু’দেশের মৈত্রী ও সহযোগিতার সম্পর্ক গঠনে এবং তা আরও নিবিড় করে তুলতে ড্রুক গিয়ালপো-র ভূমিকা ও অবদানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও এদিন প্রাধান্য পায় দুই বিশ্ব নেতার বৈঠকে।
ভুটানরাজের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনার এক বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। তাঁরা দু’জনেই স্বীকার করেন যে ভুটানের পাশে রয়েছে ভারত এবং ভারতের সঙ্গে রয়েছে ভুটান – পারস্পরিক এই বিশ্বাস ও তার বাস্তবতাকে কোনভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। দু’দেশের মধ্যে রূপান্তর প্রচেষ্টার মতো সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিতে আরও এগিয়ে যাওয়ার সপক্ষেও তাঁরা মত ব্যক্ত করেন। শক্তি ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, যুবকল্যাণ, শিক্ষা, শিল্প প্রচেষ্টা এবং দক্ষতা বিকাশের মতো ক্ষেত্রগুলিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসারকে আরও দ্রুত করে তোলার সম্ভাব্য উপায়গুলি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ‘গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি’ প্রকল্প সহ সংযোগ, যোগাযোগ এবং বিনিয়োগের মতো ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতির ধারাবাহিকতা সম্পর্কেও দুই বিশ্ব নেতা এদিন পর্যালোচনা করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত ও ভুটানের মৈত্রী ও সহযোগিতা সম্পর্ক এক কথায় সময়োত্তীর্ণ। কারণ, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস এবং সমঝোতার বাতাবরণ এই সম্পর্ককে আরও নিবিড় করে তুলেছে।