বারাণসী – নতুন দিল্লি বন্দেভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেছেন
স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় সমন্বিত পর্যটক পাস ব্যবস্থাপনার সূচনা করেছেন
“কাশীর নাগরিকদের কাজের যখন প্রশংসা হয়, আমি তখন গর্ব অনুভব করি”
“কাশীর উন্নতি হলে উত্তর প্রদেশের উন্নতি হবে এবং উত্তর প্রদেশ উন্নত হলেই দেশ উন্নত হবে”
“বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণে কাশী সহ সমগ্র দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”
“মোদীর গ্যারান্টির গাড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে, কারণ সরকার নাগরিকদের কাছে পৌঁছতে চাইছে”
“এ বছর বনস ডেয়ারী উত্তর প্রদেশের কৃষকদের ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রদান করেছে”
“পূর্বাঞ্চলের সমগ্র এলাকা দশকের পর দশক ধরে অবহেলিত ছিল, কিন্তু মহাদেবের আশীর্বাদে এখন মোদী আপনাদের সেবায় নিয়োজিত”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে ১৯ হাজার ১৫০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে – নিউ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় নগর – নিউ ভাউপুর ফ্রেট করিডর প্রকল্প, যা ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বারাণসী - নতুন দিল্লি বন্দেভারত এক্সপ্রেস ট্রেন, দোহরিঘাট – মৌ মেম্যু ট্রেন এবং নতুন ফ্রেট করিডরে এক জোড়া পণ্য পরিবাহী ট্রেনের যাত্রা সূচনা করেন। বেনারস লোকোমোটিভ ওয়ার্কস্ – এর তৈরি ১০ হাজারতম লোকমোটিভ-টিরও উদ্বোধন করেন তিনি। ৩৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রিনফিল্ড – শিবপুর – ফুলওয়াড়িয়া – লহরতারা সড়ক এবং দুটি আরওবি-র উদ্বোধনও করেন। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী অন্য যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে – ২০টি সড়ক, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালের আবাসিক ভবন, পুলিশ লাইন ও পিএসি ভুল্লানপুরে ২টি ২০০ এবং ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট বহুস্তরীয় ব্যারাক ভবন, স্মার্ট ভবন ও ৯টি স্থানে স্মার্ট বাস স্ট্যান্ড। স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় প্রধানমন্ত্রী সমন্বিত পর্যটক পাস ব্যবস্থাপনারও উদ্বোধন করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে – ৪ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি ব্যয়ে নির্মিত হতে চলা চিত্রকূট জেলার ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরপার্ক। এছাড়া, ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মির্জাপুরে তৈরি করা হবে নতুন পেট্রোলিয়াম টার্মিনাল। বারাণসী – ভাদোহি জাতীয় সড়ক ৭৩১বি – এর সম্প্রসারণ করা হবে ৯০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে। এছাড়াও, জল জীবন মিশনের আওতায় ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৯টি গ্রামীণ জল প্রকল্প গড়ে তোলা হবে।

অনুষ্ঠানে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দেব-দীপাবলির সময় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রদীপ জ্বেলে গিনেজ বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করায় বারাণসীর জনগণকে অভিনন্দন জানান। তিনি এই অভূতপূর্ব অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত না থাকলেও প্রতি মুহূর্তেই দর্শনার্থীদের কাছ থেকে এমনকি, বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকেও এই অনুষ্ঠানের এবং বারাণসীর জনগণের প্রশংসা শুনেছেন বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশীর জনগণের কোনও কাজ যখন প্রশংসিত হয়, আমি তখন গর্ব অনুভব করি”। তিনি বলেন, ভগবান মহাদেবের এই ভূমির পরিষেবা কখনোই সম্পূর্ণ হবে না। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উত্তর প্রদেশের উন্নয়ন তখনই হবে, যখন কাশীর উন্নতি হবে আর উত্তর প্রদেশ উন্নত হলে দেশ উন্নত হবে”। তিনি বলেন, বারাণসীর গ্রামগুলিতে জল সরবরাহের কাজ বিএইচিউ ট্রামা সেন্টারে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট গঠন, সড়ক, রেল, বিমান পথে যোগাযোগের মানোন্নয়ন, বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি এবং গঙ্গাঘাটের উন্নয়ন সহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজ এই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে জোয়ার আনবে। গত সন্ধ্যায় কাশী – কন্যাকুমারী তামিল সঙ্গমম্ ট্রেনের যাত্রার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও, বারাণসী – নতুন দিল্লি বন্দেভারত এক্সপ্রেস ও দোহরিঘাট – মৌ মেম্যু ট্রেনের যাত্রার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য সকলকে অভিনন্দন জানান। 

 

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “কাশী সহ সমগ্র দেশ বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা দেশের হাজার হাজার গ্রামে পৌঁছেছে এবং কোটি কোটি জনগণ এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা বারাণসীতে শুরু হওয়ার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার গাড়িগুলিকে জনগণ ‘মোদীর গ্যারান্টির গাড়ি’ বলে অভিহিত করছেন। হাজার হাজার সুবিধাভোগী এতদিন বঞ্চিত ছিলেন। বারাণসীতেও বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার মাধ্যমে এ ধরনের বঞ্চিত জনগণকে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে অভিহিত করা হচ্ছে। আয়ুষ্মান কার্ড, বিনামূল্যে রেশন কার্ড, পাকা বাড়, নলবাহিত জল সংযোগ এবং উজ্জ্বলা গ্যাস সংযোগের মতো প্রকল্পগুলির উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জনগণের প্রতিশ্রুতি পালনে, যা বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠছে”। প্রধানমন্ত্রী অঙ্গনওয়াড়ি শিশুদের আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করেন এবং তাঁর বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা সফরের সময় শ্রীমতী ছন্দা দেবী ও লাখপতি দিদির সঙ্গে আলাপচারিতার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা জনগণের জন্য যাঁরা কাজ করেন তাঁদের জন্য চলমান বিশ্ববিদ্যালয়”। 

প্রধানমন্ত্রী শহরের সৌন্দর্যায়নের উপকারিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দিন দিন কাশীর সৌন্দর্য্য বাড়ছে। ফলে, এর পর্যটন ক্ষেত্রটি ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। পর্যটন ক্ষেত্রে নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সংস্কারের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৩ কোটিরও বেশি ভক্ত কাশী বিশ্বনাথ ধাম দর্শন করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, লালকেল্লার প্রাকার থেকে তাঁর ভাষণে দেশের জনগণকে বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার আগে দেশে অন্তত ১৫টি স্থান ঘুরে দেখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ঘরোয়া পর্যটনে বর্তমানে জনগণের উৎসাহ বাড়তে থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী সমন্বিত পর্যটক পাস ব্যবস্থাপনা সহ পর্যটক ওয়েবসাইট ‘কাশী’র কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গঙ্গাঘাট, আধুনিক বাস স্ট্যান্ড এবং বিমানবন্দর ও রেলওয়ে স্টেশনের মানোন্নয়নের কাজ ও সংস্কার চলছে। 

 

রেলের সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পগুলির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি পূর্ব ও পশ্চিম ফ্রেট করিডর জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। নিউ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় নগর থেকে নিউ ভাউপুর পর্যন্ত ফ্রেট করিডরটির সূচনার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় কারখানায় ১০ হাজারতম রেল ইঞ্জিন নির্মিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। সৌরবিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিশেষ পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, চিত্রকূটে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ পার্ক উত্তর প্রদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ। তিনি বলেন, দেউরাই ও মির্জাপুরে যে সুবিধাগুলি সৃষ্টি হচ্ছে, তা পেট্রোলিয়াম পণ্যের চাহিদা পূরণে সক্ষম। 

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, নারী শক্তি, যুব শক্তি, কৃষক ও দরিদ্রদের উন্নয়ন বিকশিত ভারতের অন্যতম লক্ষ্য। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, “এগুলি হ’ল আমার জন্য ৪টি জাত এবং এর উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করা আমার লক্ষ্য”। প্রধানমন্ত্রী কৃষক উন্নয়নে সরকার যে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, সেকথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি যোজনার আওতায় কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড – এর সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। জৈব চাষ ও প্রাকৃতিক কৃষি এবং কৃষি কাজে ড্রোনের ব্যবহারের উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নমো ড্রোন দিদি কর্মসূচিতেও অংশ নেন। এখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের ড্রোন চালানো সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। 

 

আধুনিক বনস ডেয়ারী প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বনস ডেয়ারী ৫০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে। এই ডেয়ারীটি কৃষকদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। লক্ষ্ণৌ ও কানপুরে ইতিমধ্যেই এই ডেয়ারীর কারখানা কাজ শুরু করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। উত্তর প্রদেশের ৪ হাজারেরও বেশি গ্রামের কৃষকদের এই বনস ডেয়ারী এবছর ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ডিভিডেন্ট বা লভ্যাংশ হিসেবে বনস ডেয়ারি উত্তর প্রদেশ ডেয়ারী কৃষকদের অ্যাকাউন্টে আজ এই অনুষ্ঠানে ১০০ কোটি টাকারও বেশি জমা করেছে।

পরিশেষে, প্রধানমন্ত্রী বারাণসীর উন্নয়ন যাত্রা সমগ্র অঞ্চলকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ধরে পূর্বাঞ্চল অবহেলিত থাকলেও মহাদেবের আশীর্বাদে মোদী এখন এর পরিষেবায় নিযুক্ত হয়েছেন। আগামী কয়েক মাস পরেই সাধারণ নির্বাচনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে শ্রী মোদী নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি যখন দেশকে আজ এই গ্যারান্টি দিচ্ছি, তখন তার পেছনে রয়েছেন আপনারা। আমার কাশীর পরিবারের সদস্যরা, আপনারা সর্বদাই আমার সঙ্গে রয়েছেন এবং আমার প্রতিশ্রুতি পূরণে সাহায্য করেছেন”। 

 

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং উত্তর প্রদেশ সরকারের অন্য মন্ত্রীরাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

প্রেক্ষাপট:  প্রধানমন্ত্রী বিগত ৯ বছরে বারাণসীর চালচ্চিত্র বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছেন। এখানকার জনগণের জীবনযাত্রা সরলীকরণে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই লক্ষ্য পূরণে প্রধানমন্ত্রী ১৯ হাজার ১৫০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ফ্রেট করিডর প্রকল্প, রেল প্রকল্প এবং পর্যটনের সুবিধার জন্য বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। ২০টি সড়ক সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। পণ্ডিত দীনদয়াল হাসপাতালে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক আবাসিক ভবন। কাইথি গ্রামে সঙ্গমঘাট সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ৩৭০ কোটি টাকারও ব্যয়ে গ্রিন ফিল্ড শিবপুর - ফুলওয়াড়িয়া – লহরতারা সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। 

 

পুলিশ কর্মীদের সুবিধার জন্য তৈরি হচ্ছে বহুস্তরীয় ৩৫০ শয্যাবিশিষ্ট ২টি ব্যারাক ভবন। পর্যটকদের জন্য একটি ওয়েবসাইট ও সমন্বিত পর্যটক পাস ব্যবস্থাপনা চালু করা হচ্ছে। এই পাসটি পর্যটকদের শ্রীকাশী বিশ্বনাথ ধাম, গঙ্গা ক্রুজ ও সারনাথের আলো ও ধ্বনির অনুষ্ঠান দেখার টিকিট দেবে। ওয়েবসাইট থেকে পর্যটকরা পাবেন কাশী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। 

প্রধানমন্ত্রী চিত্রকূট জেলায় ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর পার্কেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১ হাজার ৫০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে মির্জাপুরে নতুন পেট্রোলিয়াম তেল টার্মিনাল তৈরি করা হবে। 

 

জল জীবন মিশনের আওতায় ২৮০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী ৬৯টি গ্রামীণ পানীয় জল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। গঙ্গাঘাটের সংস্কার এবং বিএইচইউ ট্রমা সেন্টারে ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটও গড়ে তোলা হবে। 

 

Click here to read full text speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।