“In Indian history, Meerut has not just been a city but a significant center of culture and strength”
“For sports to thrive in the country, it is necessary that the youth should have faith in sports and should be encouraged to take up sports as a profession. This is my resolve, and my dream”
“With the advent of sporting infrastructure in villages and small towns, there are a rising number of sportspersons from these places”
“Emerging sporting eco-system with resources and new streams is creating new possibilities. This generates trust in the society that moving towards sports is the right decision”
“Meerut is not only vocal for local but is also turning local into global”
“Our goal is clear. The Youth should not only become role model but also recognize their role models”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশের মিরাটে মেজর ধ্যানচাঁদ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে উঠবে। এখানে কৃত্রিম হকি মাঠ, ফুটবল মাঠ, বাস্কেটবল/ ভলিবল/ হ্যান্ডবল/ কবাডি মাঠ, লন টেনিস কোর্ট, জিমনেসিয়াম সহ আধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামো থাকবে। এছাড়াও হল, সিন্থেটিক রানিং স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল, সাইকেল ভেলোড্রোমেরও ব্যবস্থা থাকছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্যুটিং, স্কোয়াশ, জিমন্যাস্টিকস, ভারোত্তোলন, তীরন্দাজি, নৌকাবাইচের জন্য অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকবে। এখানে ৫৪০ জন মহিলা ও ৫৪০ জন পুরুষ ক্রীড়াবিদ সহ মোট ১ হাজার ৮০ জন খেলোয়াড় প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
 
সমাবেশের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন ভারতে এক নতুন দিক নির্দেশের ক্ষেত্রে মিরাট এবং সংলগ্ন অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মানুষ দেশ রক্ষার জন্য সীমান্তে আত্ম বলিদান দিয়েছেন এবং খেলার মাঠে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। তিনি জানান, এই অঞ্চল দেশপ্রেমের শিখাতে সমুজ্জ্বল রয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, “ভারতীয় ইতিহাসে, মিরাট কেবল একটি শহর নয়, বরং সংস্কৃতি ও শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল”। স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর নির্মিত সংগ্রহশালা, অমর জওয়ান জ্যোতি এবং বাবা অঘর নাথজী’র মন্দিরের বিষয়ে তাঁর উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী ভাষণে মেজর ধ্যানচাঁদকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় সরকার এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের নামে দেশের বৃহত্তম ক্রীড়া পুরস্কারের নামকরণ করেছে। তাই মিরাটের এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় মেজর ধ্যানচাঁদের নামে উৎসর্গ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের নীতি পরিবর্তনের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আগে এখানে অপরাধী এবং মাফিয়াদের খেলা চলতো। তিনি পূর্বের অবৈধ দখলদারি, মেয়েদের হেনস্থা-হয়রানির কথাও স্মরণ করেন। শ্রী মোদী বলেন, আগে এখানকার মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। কিন্তু এখন সব কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি যোগী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন এই ধরনের অপরাধীদের মধ্যে আইনের ভয় ঢুকেছে। এই পরিবর্তন সারা দেশের জন্য সুখ্যাতি বয়ে এনেছে। মেয়েদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে বলেও তিনি জানান।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুব সম্প্রদায় হলো নতুন ভারতে ভিত্তি। যুব সমাজ নতুন ভারতের রূপকার। শ্রী মোদী বলেন, দেশের তরুণদের মধ্যে আজ পরম্পরাগত ঐতিহ্য রয়েছে, এবং আধুনিকতার বোধও রয়েছে। আর তাই তরুণরা যে দিকে এগোবে, ভারতও সেদিকে এগোবে। আর ভারত যেদিকে এগিয়ে যাবে, বিশ্বও সেদিকে এগোতে থাকবে।
 
প্রধানমন্ত্রী গত কয়েক বছরে ক্রীড়া ক্ষেত্রে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার ভারতীয় খেলোয়াড়দের চারটি বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দয়েছে। এগুলি হলো - অর্থ উপার্জনের উপায়, প্রশিক্ষণের জন্য আধুনিক সুবিধা, আন্তর্জাতিক পরিচিত এবং খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, দেশে ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা রাখতেই হবে। তিনি বলেন, খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। শ্রী মোদী বলেন, “এটা আমার সংকল্প এবং আমার স্বপ্নও ! আমি চাই আমাদের তরুণরা খেলাধুলাকে অন্যান্য পেশার মতো দেখুক”। সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রকে কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। টার্গেট অলিম্পিক পডিয়াম-এর মতো প্রকল্পগুলি শীর্ষ ক্রীড়াবিদদের সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য সমস্তরকমের সহায়তা প্রদান করেছে। খেলো ইন্ডিয়া অভিযান খুব তাড়াতাড়ি প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে পারদর্শী হয়ে ওঠার জন্য সমস্তরকমের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। অলিম্পিক এবং প্যারা-অলিম্পিকে ভারতের সাম্প্রতিক ক্রীড়া দক্ষতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, খেলাধুলার ক্ষেত্রে এ এক নতুন ভারতের উত্থান। গ্রাম এবং ছোট শহরগুলিতে ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি শহরেও ক্রীড়াবিদদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে খেলাধুলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ক্রীড়াক্ষেত্রকে এখন বিজ্ঞান, বাণিজ্য বা অন্যান্য পড়াশোনার মতো একই বিভাগে রাখা হয়েছে। আগে খেলাধুলাকে পাঠ্যক্রম বহির্ভূত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হতো, কিন্তু এখন বিদ্যালয়ে এটি পাঠ্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা, ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা, ক্রীড়া মনোবিজ্ঞান ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত ক্রীড়া ইকো ব্যবস্থাপনা নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এটি সমাজের বিশ্বাস তৈরি করেছে যে, খেলাধুলার দিকে অগ্রসর হওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত। মিরাটের ক্রীড়া সংস্কৃতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, এই শহরটি ১০০টিরও বেশি দেশে ক্রীড়া সামগ্রী রপ্তানি করে থাকে। তিনি বলেন, মিটার শুধুমাত্র ‘ভোকাল ফর লোকাল’ নয়, বিশ্ব পর্যায়ে দেশের নাম তুলে ধরেছে। তিনি ক্রীড়া ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, উত্তরপ্রদেশে ডাবল ইঞ্জিন সরকার অনেকগুলি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। গোরখপুরের মহাযোগী গুরু গোরক্ষনাথ আয়ুষ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রয়াগরাজের ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ আইন বিশ্ববিদ্যালয়, লক্ষ্ণৌয়ের স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ ফরেন্সিক সায়েন্সেস, আলিগড়ে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়, সাহারানপুরের মা শকুম্বরী বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিরাটের মেজর ধ্যানচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাও তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, “আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার। তরুণদের শুধু রোল মডেল হওয়া উচিত নয়, তাদের রোল মডেলকেও চিনতে হবে”। 
 
প্রধানমন্ত্রী জানান যে, স্বামীত্ব প্রকল্পের আওতায় উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ২৩ লক্ষেরও বেশি মানুষকে জমির অধিকার দেওয়া হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি’-এর আওতায় রাজ্যের কৃষকরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন। আখ চাষীদের রেকর্ড অর্থ প্রদানের ফলে রাজ্যের কৃষকরাও উপকৃত হয়েছেন। শ্রী মোদী বলেন, একইভাবে উত্তরপ্রদেশ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার ইথানল কেনা হয়েছে।
সরকারের ভূমিকা অভিভাবকের মতো বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। যুবদের জন্য রেকর্ড সংখ্যক সরকারি চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইটিআই থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া হাজার হাজার যুবক এখন বড় বড় সংস্থায় চাকরি করছেন। তিনি আরও জানান যে, লক্ষ লক্ষ যুবক জাতীয় শিক্ষানবিশ প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা থেকে উপকৃত হয়েছেন। গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে, রিজিওনাল ব়্যাপিড রেল ট্রানজিট সিস্টেম এবং মেট্রো সংযোগের মাধ্যমে মিরাট এখন যোগাযোগ ক্ষেত্রে হাব হয়ে উঠেছে বলেও তিনি জানান।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage