Augmenting the healthcare infrastructure is our priority, Initiatives relating to the sector launched today will make top-quality and affordable facilities available to the citizens:PM
It is a matter of happiness for all of us that today Ayurveda Day is being celebrated in more than 150 countries: PM
Government has set five pillars of health policy:PM
Now every senior citizen of the country above the age of 70 years will get free treatment in the hospital,Such elderly people will be given Ayushman Vaya Vandana Card:PM
Government is running Mission Indradhanush campaign to prevent deadly diseases: PM
Our government is saving the money of the countrymen by making maximum use of technology in the health sector: PM

ধন্বন্তরি জয়ন্তী এবং নবম আয়ুর্বেদ দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ-এ স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত প্রায় ১২,৮৫০ কোটি টাকার নানা প্রকল্পের সূচনা, উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।

উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ধন্বন্তরি জয়ন্তী এবং ধনতেরাস উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি সমস্ত ব্যবসায়ীকে এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিওয়ালি উপলক্ষে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উপলক্ষে সকলেই বাড়ির জন্য নতুন কিছু কেনেন। 

এই দীপাবলিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অযোধ্যায় প্রভু রামের মন্দির হাজার প্রদীপে উদ্ভাসিত হবে, যা এক কথায় অভূতপূর্ব। প্রভু রাম এ বছর দীপাবলিতে পুনরায় তাঁর নিজ গৃহে ফিরে আসবেন জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, ১৪ বছর নয়, ৫০০ বছর পর অবশেষে এই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।

 

এ বছর ধনতেরাস কেবল স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধিরই নয়, বরং ভারতের সংস্কৃতি এবং জীবন দর্শনের এক প্রতীকী সম্মেলন হতে চলেছে। স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাচীন এই ধারণা যোগ-এর মারফৎ সারা বিশ্বজুড়ে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে আজ আয়ুর্বেদ দিবস উদযাপিত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ুর্বেদকে ঘিরে উত্তরোত্তর আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই সুপ্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিশ্বে ভারতের অবদান স্বীকৃত হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত দশকে দেশে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ জ্ঞান এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির এক মেলবন্ধন ঘটেছে। অল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ এই পর্বে এক উল্লেখযোগ্য দিক হিসেবে চিহ্নিত হয়। তিনি বলেন, সাত বছর আগে আয়ুর্বেদ দিবসে এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম পর্যায় তিনি দেশকে উৎসর্গ করেছিলেন আর আজ ভগবান ধন্বন্তরির আশীর্বাদে এই প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন হল। তিনি বলেন এই প্রতিষ্ঠানে আয়ুর্বেদ এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে আধুনিক গবেষণার অগ্রগতির ফলে পঞ্চকর্ম-এর মতো প্রাচীন প্রয়োগ কৌশলের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটছে। এই অগ্রগতিতে শ্রী মোদী দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের উন্নতি প্রত্যক্ষভাবে দেশবাসীর স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারের অগ্রাধিকার স্বাস্থ্যনীতির পাঁচটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, প্রাথমিক রোগ নির্ণয়, নিখরচায় বা ব্যয়সাশ্রয়ী চিকিৎসা ও ওষুধ, ছোট শহরে ডাক্তারি চিকিৎসা পাওয়া এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারই হল এই পাঁচটি স্তম্ভ। শ্রী মোদী বলেন, ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে আয়ুষ চিকিৎসা প্রকল্পের অধীন চারটি অত্যাধুনিক কেন্দ্র তৈরি, ড্রোনের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবার প্রসার, ঋষিকেশের এইমস-এ হেলিকপ্টার পরিষেবা, নতুন দিল্লি ও বিলাসপুর  এইমস-এ নতুন পরিকাঠামো এবং দেশের আরও পাঁচটি এইমস-এ চিকিৎসা পরিষেবার প্রসার, মেডিকেল কলেজ তৈরি, নার্সিং কলেজগুলির জন্য ভূমিপুজো এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রের আরও নানা প্রকল্প এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। শ্রমিকদের জন্য অনেক হাসপাতাল গড়ে ওঠায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। ওষুধ প্রস্তুত কেন্দ্রগুলির উদ্বোধনের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক ওষুধ প্রস্তুত এবং উন্নতমানের স্টেন্ট ও প্রতিস্থাপনের ফলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতের প্রসার ঘটবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বেশিরভাগই এমন সব পরিবার থেকে এসেছি যেখানে কারোর রোগ হওয়া মানে পরিবারের ওপর বজ্রাঘাত বলেই গণ্য হয়, বিশেষ করে গরীব পরিবারের কোনো মানুষ যদি গুরুতর কোনো রোগে আক্রান্ত হন। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন চিকিৎসা করাতে গিয়ে মানুষকে বাড়ি, জমি, অলঙ্কার বিক্রি করতে হত কারণ চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের সামর্থ্য তাঁদের ছিল না। পরিবারের অন্যান্য অগ্রাধিকারের দিকে তাকিয়ে গরীব মানুষদের কাছে স্বাস্থ্য অবহেলিতই থেকে যেত। গরীব মানুষদের এই উদ্বেগ দূর করতে আমাদের সরকার আয়ুষ্মান ভারত যোজনা চালু করে যার মাধ্যমে গরীব মানুষেরা নিখরচায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে পারেন। দেশের প্রায় ৪ কোটি গরীব মানুষ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে সাক্ষাতে তাঁর মনে হয় যে এটা তাঁদের কাছে এক আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। 

আয়ুষ্মান যোজনার প্রসারে সন্তোষ প্রকাশ করে শ্রী মোদী বলেন, প্রত্যেক প্রবীণ মানুষ এই প্রকল্পের দিকে তাকিয়েছিলেন তার কারণ, নির্বাচনে তাঁর গ্যারান্টি ছিল যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলে সত্তরোর্ধদের বিনা পয়সায় আয়ুষ্মান বয়ো বন্দনা কার্ডের মাধ্যমে নিখরচায় হাসপাতালে চিকিৎসা হবে। তিনি বলেন এই কার্ড আয় নির্বিশেষে সকলের জন্যই প্রযোজ্য। গরীব, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত – সব ধরনের মানুষই এর আওতায় আসবেন। বাড়ির প্রবীণ মানুষেরা এই সুবিধার আওতায় আসায় হিসাব বহির্ভূত খরচ বহুলাংশে হ্রাস পাবে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। দেশবাসীকে এই উপলক্ষে তিনি অভিনন্দন জানিয়ে বলেন যে দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প এখনও রূপায়িত হয়নি। 

চিকিৎসা খরচ কমিয়ে আনা সরকারের অগ্রাধিকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি কেন্দ্র স্থাপনের ফলে ৮০ শতাংশেরও কম মূল্যে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। এতে গরীব, মধ্যবিত্ত সকলেই উপকৃত হচ্ছেন। স্টেন্ট এবং হাঁটু প্রতিস্থাপনের সরঞ্জামের খরচও বহুলাংশে কমানো হয়েছে। ফলে, সাধারণ মানুষের ৮০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে তিনি জানান। নিখরচায় ডায়লিসিস প্রকল্প, প্রাণঘাতী রোগ, গর্ভবতী মহিলা এবং সদ্যোজাতদের জীবন রক্ষায় মিশন ইন্দ্রধনুষ যুগান্তকারী কাজ করছে। 

 

প্রধানমন্ত্রী সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এর ফলে ঝুঁকি কমে এবং রোগজনিত বিভিন্ন অসুবিধা দূর হয়। ২ লক্ষেরও বেশি আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির আগাম রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে বলে তিনি জানান। ক্যান্সার, মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ প্রভৃতি রোগের আগাম নির্ণয়ের ফলে কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনের ফলে ই-সঞ্জীবনী প্রকল্পে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ অনলাইনে নিখরচায় ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে পারছেন। মহামারীর সময় Co-win মঞ্চের সাফল্য বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং ইউপিআই ব্যবস্থা সাফল্যের কীর্তি হিসেবে রচিত হয়েছে। ডিজিটাল জন-পরিকাঠামোর মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের এই সাফল্যকে ভারত তুলে ধরতে চায়। 

বিগত এক দশকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের প্রভূত অগ্রগতির ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের ৬-৭ দশকে যা সীমিত পরিমাণে হয়েছিল, গত দশ বছরে রেকর্ড সংখ্যক নতুন এইমস ও মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন হাসপাতালের উদ্বোধন হল। কর্ণাটকের বোম্মাসান্দ্রা এবং নারসাপুর, মধ্যপ্রদেশের পিথমপুর, অন্ধ্রপ্রদেশের অচিতাপুরম এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদে নতুন মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হল। সেইসঙ্গে, উত্তরপ্রদেশের মীরাটে নতুন ইএসআইসি হাসপাতালের কাজ শুরু হল। ইন্দোরে নতুন হাসপাতাল চালু করা হল। শ্রী মোদী বলেন, নতুন হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ মেডিকেল আসনের সংখ্যাও বৃদ্ধি। তিনি বলেন, কোনো গরীব সন্তানের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণ থাকবে না এবং মধ্যবিত্ত কোনো ছাত্রকে জোর করে বিদেশে পড়তে যেতে হবে না। তিনি বলেন, গত দশ বছরে প্রায় ১ লক্ষ নতুন এমবিবিএস ও এমডি আসন বেড়েছে। আগামী পাঁচ বছরে আরও ৭৫ হাজার আসন বাড়বে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। 

দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে আয়ুষ চিকিৎসক হিসেবে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এই প্রবণতা দেশে স্বাস্থ্য পর্যটনের প্রসার ঘটাবে। আয়ুষ চিকিৎসায় আরও বেশি করে যুব সম্প্রদায় যুক্ত হলে হৃদরোগ প্রতিরোধ, অস্থি সংক্রান্ত আয়ুর্বেদ চিকিৎসা এবং আয়ুর্বেদ পুনর্বাসন কেন্দ্র দেশ ও বিদেশে প্রসারিত হবে। 

একবিংশ শতাব্দীতে চিকিৎসাক্ষেত্রের দ্রুত অগ্রগতির ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে যে সমস্ত রোগ নিরাময়যোগ্য ছিল না, সেগুলির এখন নিরাময় হচ্ছে। সুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসায় ভারতের হাজার বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রকৃতি প্রশিক্ষণ অভিযান চালুর ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত জীবনশৈলী এবং আয়ুর্বেদ সূত্র মেনে ব্যক্তির জীবনে রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। বিশ্বজুড়ে ভারতের এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা স্বীকৃতি পাবে বলেও তিনি জানান। 

প্রথাগত ঔষধি হিসেবে অশ্বগন্ধা, হলুদ, গোলমরিচের গুরুত্ব ভেষজ বিজ্ঞান স্বীকৃত। আমাদের প্রথাগত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর জোর এই সমস্ত ঔষধিরও বাজারগত চাহিদা বাড়াবে। অশ্বগন্ধার চাহিদা এই দশকের শেষে ২৫০ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

 

আয়ুষ-এ সাফল্য কেবলমাত্র স্বাস্থ্যক্ষেত্রেই নয়, অর্থনীতিতেও সদর্থক প্রভাব ফেলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ুষ ঔষধি প্রস্তুত ক্ষেত্র ২০১৪ সালের ৩০০ কোটি ডলার থেকে বর্তমানে প্রায় ২,৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, দশ বছরে এই বৃদ্ধি প্রায় আটগুণ। তিনি আরও বলেন, ভারতে ৯০০-রও বেশি আয়ুষ স্টার্ট-আপ এখন কাজ করছে। এর ফলে যুব সম্প্রদায়ের অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। আয়ুষজাত পণ্য ১৫০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ফলে, ভারতীয় কৃষকরা স্থানীয় ঔষধি চাষের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন এবং বিশ্ব বাজারে জায়গা করে নিচ্ছেন। নমামি গঙ্গে প্রকল্পের মতো উদ্যোগের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে প্রাকৃতিক চাষ প্রসার লাভ করছে এবং গঙ্গা নদীর তীর ধরে ঔষধি গাছের চাষ হচ্ছে। 

 

সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভারতের দায়বদ্ধতার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারতের জাতীয় চরিত্র এবং সামাজিক বিন্যাসের সঙ্গে তা জড়িত। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ - গত দশ বছর ধরে এই দর্শনের ভিত্তিতে দেশের নীতি নির্ণয়ে সরকার জোর দিয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। শ্রী মোদী তাঁর ভাষণ শেষে বলেন, আগামী ২৫ বছরে উন্নত ও স্বাস্থ্যকর ভারতের এক শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলবে এই প্রয়াস।

 

সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভারতের দায়বদ্ধতার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারতের জাতীয় চরিত্র এবং সামাজিক বিন্যাসের সঙ্গে তা জড়িত। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ - গত দশ বছর ধরে এই দর্শনের ভিত্তিতে দেশের নীতি নির্ণয়ে সরকার জোর দিয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। শ্রী মোদী তাঁর ভাষণ শেষে বলেন, আগামী ২৫ বছরে উন্নত ও স্বাস্থ্যকর ভারতের এক শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলবে এই প্রয়াস।

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং সার ও রসায়ন মন্ত্রী শ্রী জে পি নাড্ডা, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী ডঃ মনসুখ মাণ্ডব্য অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

 

Click here to read full text speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Ayushman driving big gains in cancer treatment: Lancet

Media Coverage

Ayushman driving big gains in cancer treatment: Lancet
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 23, 2024
It is a moment of pride that His Holiness Pope Francis has made His Eminence George Koovakad a Cardinal of the Holy Roman Catholic Church: PM
No matter where they are or what crisis they face, today's India sees it as its duty to bring its citizens to safety: PM
India prioritizes both national interest and human interest in its foreign policy: PM
Our youth have given us the confidence that the dream of a Viksit Bharat will surely be fulfilled: PM
Each one of us has an important role to play in the nation's future: PM

Respected Dignitaries…!

आप सभी को, सभी देशवासियों को और विशेषकर दुनिया भर में उपस्थित ईसाई समुदाय को क्रिसमस की बहुत-बहुत शुभकामनाएं, ‘Merry Christmas’ !!!

अभी तीन-चार दिन पहले मैं अपने साथी भारत सरकार में मंत्री जॉर्ज कुरियन जी के यहां क्रिसमस सेलीब्रेशन में गया था। अब आज आपके बीच उपस्थित होने का आनंद मिल रहा है। Catholic Bishops Conference of India- CBCI का ये आयोजन क्रिसमस की खुशियों में आप सबके साथ जुड़ने का ये अवसर, ये दिन हम सबके लिए यादगार रहने वाला है। ये अवसर इसलिए भी खास है, क्योंकि इसी वर्ष CBCI की स्थापना के 80 वर्ष पूरे हो रहे हैं। मैं इस अवसर पर CBCI और उससे जुड़े सभी लोगों को बहुत-बहुत बधाई देता हूँ।

साथियों,

पिछली बार आप सभी के साथ मुझे प्रधानमंत्री निवास पर क्रिसमस मनाने का अवसर मिला था। अब आज हम सभी CBCI के परिसर में इकट्ठा हुए हैं। मैं पहले भी ईस्टर के दौरान यहाँ Sacred Heart Cathedral Church आ चुका हूं। ये मेरा सौभाग्य है कि मुझे आप सबसे इतना अपनापन मिला है। इतना ही स्नेह मुझे His Holiness Pope Francis से भी मिलता है। इसी साल इटली में G7 समिट के दौरान मुझे His Holiness Pope Francis से मिलने का अवसर मिला था। पिछले 3 वर्षों में ये हमारी दूसरी मुलाकात थी। मैंने उन्हें भारत आने का निमंत्रण भी दिया है। इसी तरह, सितंबर में न्यूयॉर्क दौरे पर कार्डिनल पीट्रो पैरोलिन से भी मेरी मुलाकात हुई थी। ये आध्यात्मिक मुलाक़ात, ये spiritual talks, इनसे जो ऊर्जा मिलती है, वो सेवा के हमारे संकल्प को और मजबूत बनाती है।

साथियों,

अभी मुझे His Eminence Cardinal जॉर्ज कुवाकाड से मिलने का और उन्हें सम्मानित करने का अवसर मिला है। कुछ ही हफ्ते पहले, His Eminence Cardinal जॉर्ज कुवाकाड को His Holiness Pope Francis ने कार्डिनल की उपाधि से सम्मानित किया है। इस आयोजन में भारत सरकार ने केंद्रीय मंत्री जॉर्ज कुरियन के नेतृत्व में आधिकारिक रूप से एक हाई लेवल डेलिगेशन भी वहां भेजा था। जब भारत का कोई बेटा सफलता की इस ऊंचाई पर पहुंचता है, तो पूरे देश को गर्व होना स्वभाविक है। मैं Cardinal जॉर्ज कुवाकाड को फिर एक बार बधाई देता हूं, शुभकामनाएं देता हूं।

साथियों,

आज आपके बीच आया हूं तो कितना कुछ याद आ रहा है। मेरे लिए वो बहुत संतोष के क्षण थे, जब हम एक दशक पहले फादर एलेक्सिस प्रेम कुमार को युद्ध-ग्रस्त अफगानिस्तान से सुरक्षित बचाकर वापस लाए थे। वो 8 महीने तक वहां बड़ी विपत्ति में फंसे हुए थे, बंधक बने हुए थे। हमारी सरकार ने उन्हें वहां से निकालने के लिए हर संभव प्रयास किया। अफ़ग़ानिस्तान के उन हालातों में ये कितना मुश्किल रहा होगा, आप अंदाजा लगा सकते हैं। लेकिन, हमें इसमें सफलता मिली। उस समय मैंने उनसे और उनके परिवार के सदस्यों से बात भी की थी। उनकी बातचीत को, उनकी उस खुशी को मैं कभी भूल नहीं सकता। इसी तरह, हमारे फादर टॉम यमन में बंधक बना दिए गए थे। हमारी सरकार ने वहाँ भी पूरी ताकत लगाई, और हम उन्हें वापस घर लेकर आए। मैंने उन्हें भी अपने घर पर आमंत्रित किया था। जब गल्फ देशों में हमारी नर्स बहनें संकट से घिर गई थीं, तो भी पूरा देश उनकी चिंता कर रहा था। उन्हें भी घर वापस लाने का हमारा अथक प्रयास रंग लाया। हमारे लिए ये प्रयास केवल diplomatic missions नहीं थे। ये हमारे लिए एक इमोशनल कमिटमेंट था, ये अपने परिवार के किसी सदस्य को बचाकर लाने का मिशन था। भारत की संतान, दुनिया में कहीं भी हो, किसी भी विपत्ति में हो, आज का भारत, उन्हें हर संकट से बचाकर लाता है, इसे अपना कर्तव्य समझता है।

साथियों,

भारत अपनी विदेश नीति में भी National-interest के साथ-साथ Human-interest को प्राथमिकता देता है। कोरोना के समय पूरी दुनिया ने इसे देखा भी, और महसूस भी किया। कोरोना जैसी इतनी बड़ी pandemic आई, दुनिया के कई देश, जो human rights और मानवता की बड़ी-बड़ी बातें करते हैं, जो इन बातों को diplomatic weapon के रूप में इस्तेमाल करते हैं, जरूरत पड़ने पर वो गरीब और छोटे देशों की मदद से पीछे हट गए। उस समय उन्होंने केवल अपने हितों की चिंता की। लेकिन, भारत ने परमार्थ भाव से अपने सामर्थ्य से भी आगे जाकर कितने ही देशों की मदद की। हमने दुनिया के 150 से ज्यादा देशों में दवाइयाँ पहुंचाईं, कई देशों को वैक्सीन भेजी। इसका पूरी दुनिया पर एक बहुत सकारात्मक असर भी पड़ा। अभी हाल ही में, मैं गयाना दौरे पर गया था, कल मैं कुवैत में था। वहां ज्यादातर लोग भारत की बहुत प्रशंसा कर रहे थे। भारत ने वैक्सीन देकर उनकी मदद की थी, और वो इसका बहुत आभार जता रहे थे। भारत के लिए ऐसी भावना रखने वाला गयाना अकेला देश नहीं है। कई island nations, Pacific nations, Caribbean nations भारत की प्रशंसा करते हैं। भारत की ये भावना, मानवता के लिए हमारा ये समर्पण, ये ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच ही 21वीं सदी की दुनिया को नई ऊंचाई पर ले जाएगी।

Friends,

The teachings of Lord Christ celebrate love, harmony and brotherhood. It is important that we all work to make this spirit stronger. But, it pains my heart when there are attempts to spread violence and cause disruption in society. Just a few days ago, we saw what happened at a Christmas Market in Germany. During Easter in 2019, Churches in Sri Lanka were attacked. I went to Colombo to pay homage to those we lost in the Bombings. It is important to come together and fight such challenges.

Friends,

This Christmas is even more special as you begin the Jubilee Year, which you all know holds special significance. I wish all of you the very best for the various initiatives for the Jubilee Year. This time, for the Jubilee Year, you have picked a theme which revolves around hope. The Holy Bible sees hope as a source of strength and peace. It says: "There is surely a future hope for you, and your hope will not be cut off." We are also guided by hope and positivity. Hope for humanity, Hope for a better world and Hope for peace, progress and prosperity.

साथियों,

बीते 10 साल में हमारे देश में 25 करोड़ लोगों ने गरीबी को परास्त किया है। ये इसलिए हुआ क्योंकि गरीबों में एक उम्मीद जगी, की हां, गरीबी से जंग जीती जा सकती है। बीते 10 साल में भारत 10वें नंबर की इकोनॉमी से 5वें नंबर की इकोनॉमी बन गया। ये इसलिए हुआ क्योंकि हमने खुद पर भरोसा किया, हमने उम्मीद नहीं हारी और इस लक्ष्य को प्राप्त करके दिखाया। भारत की 10 साल की विकास यात्रा ने हमें आने वाले साल और हमारे भविष्य के लिए नई Hope दी है, ढेर सारी नई उम्मीदें दी हैं। 10 साल में हमारे यूथ को वो opportunities मिली हैं, जिनके कारण उनके लिए सफलता का नया रास्ता खुला है। Start-ups से लेकर science तक, sports से entrepreneurship तक आत्मविश्वास से भरे हमारे नौजवान देश को प्रगति के नए रास्ते पर ले जा रहे हैं। हमारे नौजवानों ने हमें ये Confidence दिया है, य़े Hope दी है कि विकसित भारत का सपना पूरा होकर रहेगा। बीते दस सालों में, देश की महिलाओं ने Empowerment की नई गाथाएं लिखी हैं। Entrepreneurship से drones तक, एरो-प्लेन उड़ाने से लेकर Armed Forces की जिम्मेदारियों तक, ऐसा कोई क्षेत्र नहीं, जहां महिलाओं ने अपना परचम ना लहराया हो। दुनिया का कोई भी देश, महिलाओं की तरक्की के बिना आगे नहीं बढ़ सकता। और इसलिए, आज जब हमारी श्रमशक्ति में, Labour Force में, वर्किंग प्रोफेशनल्स में Women Participation बढ़ रहा है, तो इससे भी हमें हमारे भविष्य को लेकर बहुत उम्मीदें मिलती हैं, नई Hope जगती है।

बीते 10 सालों में देश बहुत सारे unexplored या under-explored sectors में आगे बढ़ा है। Mobile Manufacturing हो या semiconductor manufacturing हो, भारत तेजी से पूरे Manufacturing Landscape में अपनी जगह बना रहा है। चाहे टेक्लोलॉजी हो, या फिनटेक हो भारत ना सिर्फ इनसे गरीब को नई शक्ति दे रहा है, बल्कि खुद को दुनिया के Tech Hub के रूप में स्थापित भी कर रहा है। हमारा Infrastructure Building Pace भी अभूतपूर्व है। हम ना सिर्फ हजारों किलोमीटर एक्सप्रेसवे बना रहे हैं, बल्कि अपने गांवों को भी ग्रामीण सड़कों से जोड़ रहे हैं। अच्छे ट्रांसपोर्टेशन के लिए सैकड़ों किलोमीटर के मेट्रो रूट्स बन रहे हैं। भारत की ये सारी उपलब्धियां हमें ये Hope और Optimism देती हैं कि भारत अपने लक्ष्यों को बहुत तेजी से पूरा कर सकता है। और सिर्फ हम ही अपनी उपलब्धियों में इस आशा और विश्वास को नहीं देख रहे हैं, पूरा विश्व भी भारत को इसी Hope और Optimism के साथ देख रहा है।

साथियों,

बाइबल कहती है- Carry each other’s burdens. यानी, हम एक दूसरे की चिंता करें, एक दूसरे के कल्याण की भावना रखें। इसी सोच के साथ हमारे संस्थान और संगठन, समाज सेवा में एक बहुत बड़ी भूमिका निभाते हैं। शिक्षा के क्षेत्र में नए स्कूलों की स्थापना हो, हर वर्ग, हर समाज को शिक्षा के जरिए आगे बढ़ाने के प्रयास हों, स्वास्थ्य के क्षेत्र में सामान्य मानवी की सेवा के संकल्प हों, हम सब इन्हें अपनी ज़िम्मेदारी मानते हैं।

साथियों,

Jesus Christ ने दुनिया को करुणा और निस्वार्थ सेवा का रास्ता दिखाया है। हम क्रिसमस को सेलिब्रेट करते हैं और जीसस को याद करते हैं, ताकि हम इन मूल्यों को अपने जीवन में उतार सकें, अपने कर्तव्यों को हमेशा प्राथमिकता दें। मैं मानता हूँ, ये हमारी व्यक्तिगत ज़िम्मेदारी भी है, सामाजिक दायित्व भी है, और as a nation भी हमारी duty है। आज देश इसी भावना को, ‘सबका साथ, सबका विकास और सबका प्रयास’ के संकल्प के रूप में आगे बढ़ा रहा है। ऐसे कितने ही विषय थे, जिनके बारे में पहले कभी नहीं सोचा गया, लेकिन वो मानवीय दृष्टिकोण से सबसे ज्यादा जरूरी थे। हमने उन्हें हमारी प्राथमिकता बनाया। हमने सरकार को नियमों और औपचारिकताओं से बाहर निकाला। हमने संवेदनशीलता को एक पैरामीटर के रूप में सेट किया। हर गरीब को पक्का घर मिले, हर गाँव में बिजली पहुंचे, लोगों के जीवन से अंधेरा दूर हो, लोगों को पीने के लिए साफ पानी मिले, पैसे के अभाव में कोई इलाज से वंचित न रहे, हमने एक ऐसी संवेदनशील व्यवस्था बनाई जो इस तरह की सर्विस की, इस तरह की गवर्नेंस की गारंटी दे सके।

आप कल्पना कर सकते हैं, जब एक गरीब परिवार को ये गारंटी मिलती हैं तो उसके ऊपर से कितनी बड़ी चिंता का बोझ उतरता है। पीएम आवास योजना का घर जब परिवार की महिला के नाम पर बनाया जाता है, तो उससे महिलाओं को कितनी ताकत मिलती है। हमने तो महिलाओं के सशक्तिकरण के लिए नारीशक्ति वंदन अधिनियम लाकर संसद में भी उनकी ज्यादा भागीदारी सुनिश्चित की है। इसी तरह, आपने देखा होगा, पहले हमारे यहाँ दिव्यांग समाज को कैसी कठिनाइयों का सामना करना पड़ता था। उन्हें ऐसे नाम से बुलाया जाता था, जो हर तरह से मानवीय गरिमा के खिलाफ था। ये एक समाज के रूप में हमारे लिए अफसोस की बात थी। हमारी सरकार ने उस गलती को सुधारा। हमने उन्हें दिव्यांग, ये पहचान देकर के सम्मान का भाव प्रकट किया। आज देश पब्लिक इंफ्रास्ट्रक्चर से लेकर रोजगार तक हर क्षेत्र में दिव्यांगों को प्राथमिकता दे रहा है।

साथियों,

सरकार में संवेदनशीलता देश के आर्थिक विकास के लिए भी उतनी ही जरूरी होती है। जैसे कि, हमारे देश में करीब 3 करोड़ fishermen हैं और fish farmers हैं। लेकिन, इन करोड़ों लोगों के बारे में पहले कभी उस तरह से नहीं सोचा गया। हमने fisheries के लिए अलग से ministry बनाई। मछलीपालकों को किसान क्रेडिट कार्ड जैसी सुविधाएं देना शुरू किया। हमने मत्स्य सम्पदा योजना शुरू की। समंदर में मछलीपालकों की सुरक्षा के लिए कई आधुनिक प्रयास किए गए। इन प्रयासों से करोड़ों लोगों का जीवन भी बदला, और देश की अर्थव्यवस्था को भी बल मिला।

Friends,

From the ramparts of the Red Fort, I had spoken of Sabka Prayas. It means collective effort. Each one of us has an important role to play in the nation’s future. When people come together, we can do wonders. Today, socially conscious Indians are powering many mass movements. Swachh Bharat helped build a cleaner India. It also impacted health outcomes of women and children. Millets or Shree Anna grown by our farmers are being welcomed across our country and the world. People are becoming Vocal for Local, encouraging artisans and industries. एक पेड़ माँ के नाम, meaning ‘A Tree for Mother’ has also become popular among the people. This celebrates Mother Nature as well as our Mother. Many people from the Christian community are also active in these initiatives. I congratulate our youth, including those from the Christian community, for taking the lead in such initiatives. Such collective efforts are important to fulfil the goal of building a Developed India.

साथियों,

मुझे विश्वास है, हम सबके सामूहिक प्रयास हमारे देश को आगे बढ़ाएँगे। विकसित भारत, हम सभी का लक्ष्य है और हमें इसे मिलकर पाना है। ये आने वाली पीढ़ियों के प्रति हमारा दायित्व है कि हम उन्हें एक उज्ज्वल भारत देकर जाएं। मैं एक बार फिर आप सभी को क्रिसमस और जुबली ईयर की बहुत-बहुत बधाई देता हूं, शुभकामनाएं देता हूं।

बहुत-बहुत धन्यवाद।