Lays foundation stone for Maa Kamakhya Divya Lok Pariyojana
Lays foundation stone for multiple road upgradation projects worth over Rs 3400 crores
Lays foundation stone for projects to boost the sports and medical infrastructure
“Assam will become the gateway to tourism in the North East with an increase in the footfall of devotees for Maa Kamakhya’s darshan”
“Our pilgrimages, temples and places of faith are indelible marks of our civilization's journey of thousands of years”
“Ease of living is the priority of the present government”
“Central government to initiate new schemes for the development of places of historical relevance”
“Modi’s guarantee means the guarantee of fulfillment”
“Government has pledged to spend Rs 11 lakh crore on infrastructure this year”
“Modi has the resolve to work day and night and fulfill the guarantees he provides”
“The goal is to create a happy and prosperous life for India and Indians, to make India the third largest economic power in the world, and to transform India into Viksit Bharat by 2047”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আসামের গুয়াহাটিতে ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। মূলত, রাজ্যের ক্রীড়া ও চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং সড়ক সংযোগ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। 

এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী মাতা কামাক্ষ্যার আর্শীবাদধন্য হয়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রকল্পগুলির সূচনা তথা শিলান্যাস পর্বে উপস্থিত থাকার সুযোগ লাভ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যগুলির সঙ্গে আসামের সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। এছাড়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও যোগাযোগের মাত্রা আরও উন্নত হয়ে উঠবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলির সুবাদে রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রটি আরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে এবং ক্রীড়া প্রতিভার স্ফূরণ ও বিকাশ ঘটবে। এছাড়াও, উন্মুক্ত হবে কর্মসংস্থান ও রুজি-রোজগারের বিশেষ সুযোগ। রাজ্যের চিকিৎসা-শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলির আরও প্রসার ঘটবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলির জন্য আসাম সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীদের অভিনন্দিত করেন তিনি। 

 

মাতা কামাক্ষ্যা দিব্যলোক পরিযোজনার শিলান্যাস অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে এটির কাজ সম্পূর্ণ হলে পূণ্যার্থী সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধাও সম্প্রসারিত হবে।

শ্রী মোদী বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে পর্যটনের প্রবেশ তোরণ হয়ে উঠতে চলেছে আসাম। কারণ, মাতা কামাক্ষ্যা দর্শনের জন্য লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থীর সমাগম ঘটে এই রাজ্যটিতে।

প্রধানমন্ত্রীর মতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মন্দির ও ধর্মীয় স্থানগুলি আমাদের সহস্রাব্দ প্রাচীন সভ্যতারই এক বিশেষ প্রতীকচিহ্ন। দীর্ঘকালযাবৎ প্রতিটি সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলা করে ভারতের সভ্যতা ও ঐতিহ্য আজও অটুট ও অমলিন। একদা যে সভ্যতা ছিল সমৃদ্ধির স্তম্ভবিশেষ, তা পরবর্তীকালে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়। স্বাধীনতা-উত্তরকালের শাসন ব্যবস্থায় ভারতের ধর্মীয় স্থানগুলির উন্নয়নে যথাযথভাবে নজর দেওয়া হয়নি। ফলে, দেশের ধর্মীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অবহেলিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। ভারতের ধর্মীয় এবং পবিত্র স্থানগুলির গুরুত্বকে আবার নতুন করে তুলে ধরা হচ্ছে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের কর্মপ্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হল দেশের উন্নয়নের সঙ্গে ঐতিহ্য তথা পরম্পরার সমন্বয়সাধন। আসামের ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক স্থানগুলিতে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটানো হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় স্থানের ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি উন্নয়নের প্রচেষ্টা নিরন্তরভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। অতীতে দেশের বড় বড় শহরগুলিতেই আইআইটি এবং আইআইএম-এর মতো বিশেষ বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হত, কিন্তু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থান ও অঞ্চলে এগুলি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আসামে এক সময় মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬টি। কিন্তু সেই সংখ্যা এখন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। এই রাজ্যটি ভবিষ্যতে উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি প্রধান ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র রূপে গড়ে উঠতে চলেছে বলে ঘোষণা করেন তিনি। 

দেশের নাগরিকদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনকে সহজতর করে তোলার ওপর বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে কেন্দ্রের বর্তমান সরকার - এই মন্তব্য করে শ্রী মোদী বলেন, দেশের দরিদ্র মানুষদের জন্য ৪ কোটিরও বেশি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়িগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। আবার, ‘উজ্জ্বলা যোজনা’র আওতায় দেওয়া হয়েছে রান্নার গ্যাসের সংযোগ। ‘স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি’র আওতায় প্রতিটি বাড়িতে নির্মিত হয়েছে শৌচাগার। 

 

উন্নয়নের সঙ্গে ঐতিহ্যকে যুক্ত করার ফলে দেশের তরুণ ও যুব সমাজ বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে ধর্মীয় স্থানগুলিতে পূণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। ফলে, দেশের পর্যটন ক্ষেত্রও বিশেষ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। কাশী করিডর স্থাপিত হওয়ার পর থেকে বারাণসীতে যে রেকর্ড সংখ্যক পূণ্যার্থী সমাগম ঘটেছে, একথাও প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধুমাত্র গত বছরই ৮.৫ কোটিরও বেশি মানুষ কাশী পর্যটনে এসেছিলেন। আবার, উজ্জয়িনীর মহাকাল লোক পরিদর্শন করেছেন ৫ কোটিরও বেশি পর্যটক ও পূণ্যার্থী। কেদারধাম দর্শন করে এসেছেন ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত ১২ দিনে সেখানে পূণ্যার্থী সমাগম ঘটেছে ৪০ লক্ষেরও বেশি। মা কামাক্ষ্যার দিব্যলোক পরিযোজনার পর এই ধরনের ঘটনার আমরা সাক্ষী থাকব আসামেও।

রিকশা-চালক, ট্যাক্সি ড্রাইভার, হোটেল মালিক এবং রাস্তার হকার ও বিক্রেতারা তীর্থ-পর্যটনের সুবাদে যে নানাভাবে উপকৃত হচ্ছেন, একথা আজ তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পূণ্যার্থী সমাগমের সুযোগে দরিদ্রতম মানুষটিও আজ রুজি-রোজগার ও জীবিকার্জনের বিশেষ সুযোগ লাভ করেছেন। এই কারণে এ বছরের বাজেটে সরকার বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে পর্যটনের প্রসার ও উন্নয়নে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন নতুন কর্মসূচি চালু করতে চলেছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিও এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে গত ১০ বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ও সমাবেশ ঘটেছে। অতীতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকা সত্ত্বেও হিংসা ও অস্থিরতার পরিবেশে পর্যটকরা এখানে আসতে উৎসাহবোধ করতেন না। তাছাড়া, ঐ সময় রেল, সড়ক ও বিমান সংযোগ ছিল নানাভাবে অবহেলিত। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে এই পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে আসাম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের সার্বিক বিকাশে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। 

 

শ্রী মোদী জানান যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন খাতে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যয় ও বিনিয়োগের মাত্রা চারগুণ বৃদ্ধি করেছে। ২০১৪-র আগে এবং তার পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতির তুলনামূলক বিচার করে তিনি বলেন, আগের তুলনায় রেলপথের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১,৯০০ কিলোমিটারেরও বেশি। রেলের উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত সড়ক পথ নির্মিত হয়েছিল মাত্র ১০ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু, তার পরবর্তী সময়ে, মাত্র ১০ বছর সময়কালের মধ্যেই নতুন নতুন জাতীয় মহাসড়ক গড়ে উঠেছে ৬ হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। আজ যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন ও শিলান্যাস পর্ব অনুষ্ঠিত হল তা ইটানগর পর্যন্ত সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে তিনি মনে করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মোদীর গ্যারান্টি’ – এই কথাটির অর্থ হল কাজ সম্পূর্ণ করার গ্যারান্টি বা প্রতিশ্রুতি। দরিদ্র সাধারণ মানুষ, মহিলা, যুবক ও তরুণ এবং কৃষকদের কাছে জীবনযাপনের তথা জীবনধারণের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে তিনি কৃতসঙ্কল্প। প্রসঙ্গত তিনি ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’ এবং ‘মোদীর গ্যারান্টি যান’ কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে এর মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে এযাবৎকাল বঞ্চিত সাধারণ মানুষের কাছে সরকার খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারছে। ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’য় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হয়েছেন দেশের প্রায় ২০ কোটি মানুষ। আসাম রাজ্যটিরও বহু সংখ্যক মানুষ তাতে উপকৃত হয়েছেন। 

কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গীর একটি চিত্র তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন যে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এ বছরের বাজেট ঘোষণাতেও এই অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটেছে। এ বছর পরিকাঠামো উন্নয়নে ১১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ের সঙ্কল্প গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন এমন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সরকার সচেষ্ট হয়েছে, যা উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টিকেও নিশ্চিত করবে। শুধুমাত্র আসামের জন্যই গত ১০ বছরে পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগের মাত্রা দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ কোটি টাকা। 

প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজেও গত ১০ বছরে সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে। রুফটপ সোলার কর্মসূচির আওতায় বিদ্যুৎ খাতে বিলের অঙ্ক শূন্যে নামিয়ে আনতে তাঁর সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যার প্রতিফলন ঘটেছে এ বছরের বাজেট ঘোষণায়। এই ব্যবস্থায় অতি সাধারণ পরিবারগুলি বাড়িতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ লাভ করবে। ফলে, বিদ্যুৎ খাতে তাদের বিলের অঙ্ক নেমে আসবে শূন্যে।

 

দেশে আগামীদিনে ২ কোটি ‘লাখপতি দিদি’ তৈরির কর্মসূচি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে গত বছরই ১ কোটির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে। এখন লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট হয়েছে মোট ৩ কোটি ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি করার। আসাম রাজ্যটির লক্ষ লক্ষ মহিলাও এর ফলে উপকৃত হতে চলেছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের কাছে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতেও তাঁর সরকার বিশেষভাবে সচেষ্ট বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আয়ুষ্মান কর্মসূচির আওতায় অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীদেরও নিয়ে আসা হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে ‘মোদীর গ্যারান্টি’ বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে তিনি দিন-রাত কাজ করে যেতেও কখনই পিছপা হবেন না। তিনি এটাও জানেন যে উত্তর-পূর্ব ভারতের অধিবাসীদের বিশেষ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে তাঁর এই গ্যারান্টির ওপর। আসাম একদা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল হিংসা ও তাণ্ডবের বিভিন্ন ঘটনায়। কিন্তু সেখানে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই অঞ্চলে ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়েছে ১০টি প্রধান প্রধান শান্তি চুক্তি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাজার হাজার তরুণ ও যুবক হিংসার পথ ত্যাগ করে দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সামিল হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র আসাম রাজ্যটিরই ৭ হাজার তরুণ ও যুবক অস্ত্র সমর্পণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ার সঙ্কল্প গ্রহণ করেছেন। দেশের বহু জেলায় ‘আফস্পা’ তুলে নেওয়া হয়েছে কারণ, হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলিতে এখন উন্নয়নের আলো পৌঁছে গেছে। 

 

পূর্ব এশিয়ার মতো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকেও নতুন করে গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের – একথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর এবং পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগ ও যোগাযোগের মাত্রাকে আরও উন্নত ও প্রসারিত করা হবে। দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় আসামের বহু সড়ক পথকেই আরও উন্নত করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এর সুবাদে উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে উঠবে একটি বিশেষ বাণিজ্য কেন্দ্র। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের এই উন্নয়ন প্রচেষ্টার মূলে রয়েছে এক সুখী ও সমৃদ্ধ ভারত গঠনের স্বপ্ন। কারণ, ভারতকে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে চলেছি। আমাদের ‘বিকশিত ভারত’-এর সঙ্কল্প রয়েছে আগামী ২০৪৭ সালের দিকে লক্ষ্য রেখে। সরকারের এই প্রচেষ্টায় একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে আসাম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি। 

আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসামের রাজ্যপাল শ্রী গুলাব চাঁদ কাটারাই, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ তথা আয়ুষ দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

 

Click here to read full text speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Mutual fund industry on a high, asset surges Rs 17 trillion in 2024

Media Coverage

Mutual fund industry on a high, asset surges Rs 17 trillion in 2024
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 25 ডিসেম্বর 2024
December 25, 2024

PM Modi’s Governance Reimagined Towards Viksit Bharat: From Digital to Healthcare