Lays foundation stone for Thane Borivali Twin Tunnel Project and Tunnel Work at Goregaon Mulund Link Road Project
Lay foundation stone for Kalyan Yard Remodelling and Gati Shakti MultiModal Cargo Terminal at Navi Mumbai
Dedicates to nation new platforms at Lokmanya Tilak Terminus and extension of platforms 10 and 11 at Chhatrapati Shivaji Maharaj Terminus Station
Launches Mukhyamantri Yuva Karya Prashikshan Yojana with outlay of around Rs 5600 crores
“Investors have enthusiastically welcomed the third term of the government”
“I aim to use the power of Maharashtra to transform it into an economic powerhouse of the world; Make Mumbai the fintech capital of the world”
“The people of the country want continuous rapid development and want to make India developed in the next 25 years”
“Skill development and employment in large numbers is India’s need of the hour”
“The development model of the NDA government has been to give priority to the deprived”
“Maharashtra has propagated cultural, social and national consciousness in India”

মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে আজ ২৯,৪০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পাশাপাশি কয়েকটি প্রকল্প তিনি উৎসর্গ করেন জাতির উদ্দেশেও। ঐ রাজ্যের রেল, সড়ক এবং বন্দর উন্নয়ন খাতে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে মহারাষ্ট্রের তরুণ ও যুবকদের দক্ষতা বিকাশের জন্য যে অর্থ কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে, তার সাহায্যে ঐ রাজ্যে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি বাধাবন বন্দর প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে। ৭৬ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ১০ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

 

গত এক মাস ধরে মুম্বাইয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে তাতে স্পষ্টতই খুশি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে ক্ষুদ্র ও বড় ধরনের বিনিয়োগকারীরা কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদকালটিকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। এই স্থায়ী সরকারের কাজের গতি যে এই মেয়াদকালে তিনগুণ বেশি বৃদ্ধি পাবে তাও আজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন মহারাষ্ট্রের এক গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে বর্তমানের শক্তি ও ভবিষ্যতের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির এক বিশাল স্বপ্ন। ভারতকে এক উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কৃষি, শিল্প এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মুম্বাই সারা ভারতের অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার এক বিশেষ কেন্দ্র রূপে দ্রুতগতিতে বেড়ে উঠছে। শুধু তাই নয়, আগামীদিনে মহারাষ্ট্র বিশ্বের এক বিশেষ অর্থনৈতিক শক্তি রূপেও নিজেকে তুলে ধরতে চলেছে। সেই অর্থে মুম্বাই হয়ে উঠবে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক নগরী। 

শিবাজী মহারাজের সুন্দর সুন্দর দুর্গ, কোঙ্কন উপকূলরেখা এবং সহ্যাদ্রি পর্বতমালার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মহারাষ্ট্রের পর্যটন ক্ষেত্রের সম্ভাবনার দিকগুলি এদিন তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে। এমনকি, চিকিৎসা পর্যটন এবং সম্মেলন পর্যটনের দিক থেকেও মহারাষ্ট্রের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে মহারাষ্ট্রে ভারতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির এক নতুন অধ্যায় রচিত হচ্ছে। এই লক্ষ্যে তাঁর সরকারের অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি পালনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হল আজকের এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলির শিলান্যাস।

 

একুশ শতকে ভারতীয় নাগরিকদের বিশেষ আশা-আকাঙ্ক্ষার দিকগুলি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ বছরে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক জাতীয় সঙ্কল্পে দেশ উদ্বুদ্ধ। আমাদের এই যাত্রাপথে মুম্বাই তথা সমগ্র মহারাষ্ট্রেরও এক উজ্জ্বল অবদান রয়েছে। তাই, মুম্বাই সহ এই রাজ্যের প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার মান যাতে উন্নত হয়ে ওঠে তা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য। মুম্বাইয়ের সন্নিহিত এলাকা ও অঞ্চলগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসার ঘটাতেও তাঁর সরকার উদ্যোগী বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, উপকূল বরাবর সড়ক ও অটল সেতু নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার বিষয়টিও এদিন তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন প্রায় ২০ হাজার যানবাহন এখন প্রতিদিন অটল সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে। এর ফলে জ্বালানির সাশ্রয় ঘটছে প্রায় ২০-২৫ লক্ষ টাকার মতো। অন্যদিকে, মুম্বাইয়ে মেট্রোয় যাতায়াত ব্যবস্থাও এখন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। মাত্র ১০ বছর আগে এই শহরে মেট্রো লাইনের দৈর্ঘ্য ছিল ৮ কিলোমিটারের মতো, কিন্তু বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ কিলোমিটার। আগামীদিনে তা ২০০ কিলোমিটারে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে জোরকদমে কাজ চলছে বলে প্রসঙ্গত জানালেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় রেলের রূপান্তর প্রচেষ্টা মুম্বাই তথা মহারাষ্ট্রের পক্ষে খুবই কল্যাণকর হয়েছে। ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস এবং নাগপুর স্টেশনকেও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাসের নতুন প্ল্যাটফর্মগুলি আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও, লোকমান্য তিলক স্টেশন দিয়ে ২৪ কোচের গাড়ি চলাচলের একটি প্রকল্পেরও তিনি আজ সূচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান যে গত ১০ বছরে মহারাষ্ট্রে জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিনগুণ। থানে-বোরিভালি ট্যুইন টানেলটি থানে এবং বোরিভালির মধ্যে যাতায়াতের দূরত্ব কমিয়ে আনবে। এইভাবে যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ ও সহজতর করে তোলার পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানগুলির উন্নয়নে যে তাঁর সরকার নিরন্তরভাবে কাজ করে চলেছে একথাও আজ প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শ্রী মোদী বলেন যে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্প একদিকে যেমন কৃষি, পর্যটন ও শিল্প প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করছে, অন্যদিকে তেমনই কর্মসংস্থানের প্রসার সহ মহিলাদের জীবনযাত্রার মানকেও আরও সহজ করে তুলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সমস্ত কর্মপ্রচেষ্টা দরিদ্র, কৃষক, মহিলা এবং তরুণ ও যুবকদের ক্ষমতায়ন ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষতা বিকাশ এবং কর্মসংস্থানের ব্যাপক প্রসার বর্তমানে ভারতের পক্ষে একান্ত জরুরি দুটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা লক্ষ্য ও উপলব্ধি করে তাঁর সরকার গত ৪-৫ বছরে দেশে রেকর্ড সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এমনকি, কোভিড অতিমারীর কারণেও সরকারি এই প্রচেষ্টা কোনভাবেই ব্যহত হয়নি। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় শীর্ষ ব্যাঙ্কের একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনের দিকেও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শীর্ষ ব্যাঙ্কের ঐ প্রতিবেদনে গত ৩-৪ বছরে দেশে ৮ কোটির মতো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে বিরূপ সমালোচকরাও এখন নীরব হয়ে গেছেন। ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে নেতিবাচক যে সমস্ত প্রচার করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকার আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেতু নির্মাণ, রেলপথ তৈরি, সড়ক নির্মাণ এবং লোকাল ট্রেন তৈরির বিভিন্ন প্রকল্পে হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এইভাবে পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির এক ব্যাপক যোগসূত্র গড়ে উঠেছে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনডিএ সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টার লক্ষ্য হল দেশের বঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের প্রয়োজনের বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকারদান। তাঁর সরকারের প্রথম সিদ্ধান্তই হল দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য ৩ কোটির মতো বাসস্থান নির্মাণ। এর আগে ৪ কোটি পরিবারকে নির্মিত আবাসনগুলিতে স্থান করে দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ দলিত ও বঞ্চিত মানুষও এই আবাস যোজনার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। এমনকি, শহরাঞ্চলে বসবাসকারী সকল দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ যাতে নিজস্ব একটি করে বাড়ি পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে তাঁর সরকার কাজ করে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রাস্তার ভেন্ডার ও খুচরো বিক্রেতাদের মর্যাদাদানের উদ্দেশ্যে সরকারি প্রচেষ্টায় রূপায়িত ‘স্বনিধি’ কর্মসূচিটির কথাও এদিন স্পর্শ করে যায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় ৯০ লক্ষের মতো ঋণের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে মহারাষ্ট্রের ১৩ লক্ষ এবং মুম্বাইয়ের ১ লক্ষ ৫ হাজারের মতো রাস্তার হকার ও খুচরো বিক্রেতাও রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জানান যে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় প্রকাশ যে সরকারি এই কর্মসূচির আওতায় রাস্তার হকার ও খুচরো বিক্রেতাদের মাসিক রুজি-রোজগারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে গড়ে ২ হাজার টাকার মতো। সেই অর্থে এই প্রকল্পটি দরিদ্র সাধারণ মানুষের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধির কাজে সহায়ক হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

মহারাষ্ট্র সারা দেশে সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং জাতীয় বিবেক জাগ্রত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ, বাবাসাহেব আম্বেদকর, মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে, সাবিত্রীবাঈ ফুলে, আন্নাভাও শাঠে, লোকমান্য তিলক এবং বীর সাভারকারের মতো মানুষদের ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে মহারাষ্ট্র রাজ্যটি। তাঁদের স্বপ্ন ও জীবন দর্শনকে বাস্তবায়িত করতে মহারাষ্ট্রবাসীকে একযোগে কাজ করে যেতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাঁদের এই প্রচেষ্টা এক বলিষ্ঠ ভারত, এক শক্তিশালী ভারত গঠনের কাজে অনেকটাই সাহায্য করবে। পরিশেষে দেশের সকল নাগরিককে দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে পরস্পরের মধ্যে প্রীতি ও সম্প্রীতি রক্ষা করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী রমেশ ব্যাস, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডে, দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও শ্রী অজিত পাওয়ার, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল এবং কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামদাস আতাওয়ালে।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।