প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কর্ণাটকের কোড়েকালে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেছেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে - জল জীবন মিশনের আওতায় ইয়াদগির মাল্টি-ভিলেজ জল প্রকল্প। তিনি পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণপুর লেফট ব্যাঙ্ক ক্যানাল জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এছাড়াও, ১৫০সি জাতীয় সড়কের বাডাডাল থেকে মারাদাগির এস আন্দোলা পর্যন্ত ছয় লেনবিশিষ্ট ৬৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রিনফিল্ড মহাসড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী কর্ণাটকের মানুষের ভালোবাসার কথা বলেন। ইতিহাস সমৃদ্ধ ইয়াদগিরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাত্তিহাল্লির পুরনো কেল্লা, আমাদের পূর্বপুরুষদের শৌর্য এবং অতীতের প্রতীক। এই এলাকায় রয়েছে - আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ধারা বহনকারী বহু এলাকা। মহান রাজা ভেঙ্কটাপ্পা নায়কা তাঁর স্বরাজ (স্ব-শাসন) এবং সুশাসনের ধারা দেশ জুড়ে খ্যাতিলাভ করেছেন। "এই ঐতিহ্য নিয়ে আমরা সকলেই গর্বিত।"
জল ও সড়ক ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির শিলান্যাস ও উদ্বোধন প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, ইয়াদগির কালাবুরাগি ও বিজয়াপুর জেলার লক্ষাধিক কৃষক নারায়ণপুর লেফট্ ব্যাঙ্ক ক্যানেলের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণে উপকৃত হবেন।
কর্ণাটকে সুরাট – চেন্নাই অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে, এই এলাকার সঙ্গে ইয়াদগির, রাইচূড়ে, কালাবুর্গির মানুষের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য আসবে। নানা উদ্যোগ গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থান কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। উত্তর কর্ণাটকের উন্নয়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলার প্রশংসা দাবি করে।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পূর্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আগামী ২৫ বছর নতুন সংকল্প পূরণ করার কথা বলেন। এই ২৫ বছর দেশের প্রত্যেকটি মানুষ ও প্রত্যেকটি রাজ্যের জন্য অমৃতকাল। এই অমৃতকালে আমাদের উন্নত ভারত গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক নাগরিক, প্রত্যেক পরিবার এবং দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য এই অভিযানে সামিল হলে তবেই দেশ উন্নতি করতে পারবে। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ, তা তিনি কৃষক বা শ্রমিক যেই হন না কেন, তাঁদের জীবনধারার মানোন্নয়নের মধ্য দিয়েই দেশ উন্নতি করতে পারে। মাঠে যদি ফসল ভালো হয়, কারখানা যদি সম্প্রসারিত হয় – তা হলেই দেশ উন্নতি করবে।
অতীতের দশকগুলির খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে যদি আমরা শিখতে পারি এবং তা পুনর্ব্যবহারের পথ পরিহার করতে পারলেই এই উন্নতি সম্ভব। উত্তর কর্ণাটকের ইয়াদগিরের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাজারো দক্ষতা সত্ত্বেও উন্নয়নের যাত্রাপথে এই এলাকা অনেক পিছিয়ে ছিল। অতীতের সরকার নতুন নতুন জেলা ঘোষণা করে তাদের দায়িত্ব সেরে ফেলেছেন। ইয়াদগির পিছিয়ে পড়া জেলা হিসাবে এর অন্যতম। এই এলাকা পিছিয়ে পড়ার কারণ কি, অতীতের সরকার তা কখনও ভাবার চেষ্টা করেনি। সমস্যা সমাধানের জন্য কঠোর পরিশ্রম তো দূরস্থান। সড়ক পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ, জল – এসব ক্ষেত্রে যখন বিনিয়োগের দরকার ছিল, সরকারে থাকা দলগুলি তখন ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছে।" দেশের একটি জেলাও যদি পিছিয়ে থাকে, তা হলে দেশ উন্নতি করতে পারবে না।" বর্তমান সরকার উচ্চাকাঙ্খা জেলা কর্মসূচি চালু করেছে। ইয়াদগির সহ আরও ১০০টির বেশি এরকম জেলা রয়েছে।
এইসব জেলাগুলির সুশাসনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্র ধরে কাজ হচ্ছে। আজ ইয়াদগিরের শিশুদের ১০০ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে এবং অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। সমস্ত গ্রামে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংযোগ সমস্ত ক্ষেত্রেই ইয়াদগির প্রথম সারির ১০টি উচ্চাকাঙ্খী জেলার মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে।
শ্রী মোদী একবিংশ শতাব্দীর ভারতের জল সুরক্ষা একটা বড় বিষয় বলে উল্লেখ করেন । ভারতকে যদি উন্নত করতে হয়, তা হলে তার সীমান্ত নিরাপত্তা, উপকূল নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং জল নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত চ্যালেঞ্জগুলিকে মোকাবিলা করতে হবে।
ডবল ইঞ্জিন সরকার স্বাচ্ছন্দ্য ও সঞ্চয়ের কথা মাথায় রেখে কাজ করে চলেছে। ২০১৪ সালে এখানে ৯৯টি সেচ প্রকল্প দশকের পর দশক ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় পড়ে ছিল। এখন এর মধ্যে ৫০টিরও বেশি তৈরি হয়ে গেছে এবং বাকি প্রকল্পগুলি কাজ চলছে।
কর্ণাটকে এরকম অনেকগুলি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। খরা প্রবণ অঞ্চলগুলির সঙ্গে নদী সংযোগ গড়ে তোলা হয়েছে। নারায়ণপুর লেফট ব্যাঙ্ক ক্যানেল সিস্টেমে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এই নতুন ব্যবস্থায় নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে সাড়ে চার লক্ষ হেক্টর জমিকে সেচের আওতায় আনা হবে। ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থায় প্রতিটি বিন্দুতে অধিক ফসল – দেশ জুড়ে এই জাতীয় অভূতপূর্ব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, গত ৬-৭ বছরে এই ক্ষুদ্রসেচের আওতায় ৭০ লক্ষ জমিকে আনা হয়েছে। কর্ণাটকেও ক্ষুদ্রসেচ বিস্তার লাভ করেছে এবং এর মাধ্যমে ৫ লক্ষ হেক্টর জমি উপকৃত হবে।
ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
সাড়ে তিন বছর আগে যখন জল জীবন মিশনের সূচনা করা হয়, তখন দেশের ১৮ কোটি গ্রামীণ বাড়ির মাত্র ৩ কোটি বাড়িতে নলবাহিত জলের সংযোগ ছিল। আজ দেশের ১১ কোটি গ্রামীণ পরিবারে নলবাহিত জল সংযোগ রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ৮ কোটি বাড়িতে নলবাহিত জলের সংযোগ পৌঁছেছে। এর মধ্যে রয়েছে – কর্ণাটকেরই ৩৫ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ভারতের এই জলজীবন মিশনের ফলে প্রত্যেক বছর ১ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি শিশুর জীবন রক্ষা হচ্ছে। প্রতি বছর ১ লক্ষ ২৫ হাজার শিশুকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাচ্ছে। ‘হর ঘর জল অভিযান’ ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডবল সুবিধার একটি দৃষ্টান্ত-স্বরূপ। ডবল ইঞ্জিন মানে ডবল কল্যাণ – ডবল উন্নয়ন। কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি যোজনায় প্রতি বছর কৃষকদের ৬ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। কর্ণাটক সরকার কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের সঙ্গে আরও ৪ হাজার টাকা দিচ্ছে। ফলে, কৃষকরা ডবল সুবিধা পাচ্ছেন। ইয়াদগিরে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার কৃষক পরিবার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধিতে ২৫০ কোটি টাকা পেয়েছে।
ডবল ইঞ্জিন সরকারের কর্মধারার আরেকটি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছে। একই সময়ে কর্ণাটক সরকারও বিদ্যা নিধি যোজনার মাধ্যমে গরীব পরিবারের শিশুদের সুশিক্ষা সুনিশ্চিত করেছে। সমস্ত রকম কেন্দ্রীয় সুবিধাগুলিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য সরকারও কর্ণাটককে দেশের মধ্যে লগ্নিকারীদের প্রথম পছন্দের জায়গা হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে। "কেন্দ্রীয় সরকার তন্তুবায়দের মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে আর্থিক ঋণদান সহায়তা প্রদান করেছে। একই সঙ্গে, কর্ণাটক সরকারও অতিমারীর সময় তাঁদের ঋণের টাকা মকুব করে তাঁদের সাহায্য করেছে।"
স্বাধীনতার এত বছর পরও কোনও ব্যক্তি, শ্রেণী বা অঞ্চল যদি বঞ্চিত থাকে, বর্তমান সরকার তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের দেশে কোটি কোটি ক্ষুদ্র চাষী দশকের পর দশক ধরে সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু, সরকারের নীতিতে তা নিরসন কখনও প্রতিফলিত হয়নি। আজ দেশের কৃষি নীতির সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকারই হ’ল – ক্ষুদ্র চাষী। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার কৃষকদের কৃষিযোগ্য যন্ত্রপাতি দিয়ে সাহায্য করছে। ড্রোনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি, ন্যানো ইউরিয়ার মতো আধুনিক মানের সার সরবরাহের পাশাপাশি প্রাকৃতিক চাষকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। আজ ক্ষুদ্র কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৌ পালনের মধ্য দিয়ে তাঁরা যাতে অতিরিক্ত আয় করতে পারেন সেটিও নিশ্চিত করা হচ্ছে।
স্থানীয় কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেন এই এলাকা হ’ল ডাল ভান্ডার। গত ৭ – ৮ বছরে ভারত ডালের ক্ষেত্রে বিদেশের উপর নির্ভরশীলরতাকে যে কমিয়ে আনতে পেরেছে, সেক্ষেত্রে উত্তর কর্ণাটকের কৃষকদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। গত ৭-৮ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ৮০ গুণেরও বেশি ডাল কিনেছে।
শ্রী মোদী জানান, ভারতের অনুরোধক্রমে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এই বছর আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছে। জোয়ার, বাজরা, রাগির মতো মোটা দানার শস্য কর্ণাটকে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। ডবল ইঞ্জিন সরকার এই পুষ্টিকর মোটা দানার শস্য উৎপাদন বাড়াতে সংকল্পবদ্ধ এবং বিশ্ব জুড়ে প্রসার ঘটাতে চায়। কর্ণাটকের কৃষকরা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেবেন বলে তিনি আশা করেন।
কর্ণাটকের যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়নে তাঁর সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি, শিল্প, পর্যটন – যাই হোক না কেনো, যোগাযোগ হ’ল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজ দেশ যখন সংযোগ-ভিত্তিক পরিকাঠামোর উপর গুরুত্ব আরোপ করছে, ডবল ইঞ্জিন সরকারের ফলে কর্ণাটক এর বাড়তি সুবিধা লাভ করছে। সুরাট – চেন্নাই অর্থনৈতিক করিডর উত্তর কর্ণাটকের বিস্তির্ণ এলাকার উন্নয়নে কাজে লেগেছে। এর ফলে, এখানকার যুবক-যুবতীদের জন্য অনেক কর্মসংস্থান ও স্বনিযুক্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
"পরিকাঠামো ও সংস্কারের উপর ডবল ইঞ্জিন সরকার জোর দেওয়ার ফলে কর্ণাটক বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।" বিশ্ব জুড়েই এখন ভারতে বিনিয়োগের উৎসাহ সঞ্চারিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে কর্ণাটকের রাজ্যপাল শ্রী থাওয়ারচাঁদ গেহলট, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বাসবরাজ বোম্মাই, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভগবন্ত খুবা, কর্ণাটক সরকারের মন্ত্রী সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেক্ষাপট
দেশে প্রত্যেকের বাড়িতে নলবাহিত পরিষ্কার পানীয় জল যথাযথ পরিমাণে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী যে অঙ্গীকার করেছেন তারই অঙ্গ হিসেবে জল জীবন মিশনের আওতায় ইয়াদগির জেলার কোড়েকালে ইয়াদগির মাল্টি-ভিলেজ পানীয় জল প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়।
ঐ অনুষ্ঠানে নারায়ণপুর লেফট ব্যাঙ্ক ক্যানাল এক্সটেনশনের সংস্কার ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে উপকৃত হবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ৩ লক্ষেরও বেশি কৃষিজীবী মানুষ। কর্ণাটকের দুটি গ্রিনফিল্ড মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন তিনি। এই দুটি প্রকল্প সুরাট-চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ের অন্তর্গত।
এই মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প তৈরির মাধ্যমে মহাসড়কের ১,৬০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যকে কমিয়ে ১,২৭০ কিলোমিটারে নিয়ে আসা হবে। এর ফলে ঐ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময়ের উল্লেখযোগ্য সাশ্রয় ঘটবে। এজন্য প্রকল্প খাতে ব্যয়ের মাত্রা দাঁড়াবে ২,১০০ কোটি টাকা।
देश अगले 25 वर्षों के नए संकल्पों को सिद्ध करने के लिए आगे बढ़ रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) January 19, 2023
ये 25 साल देश के प्रत्येक व्यक्ति के लिए अमृतकाल है, प्रत्येक राज्य के लिए अमृतकाल है। pic.twitter.com/lhQclYA4mC
जिन जिलों को पहले की सरकार ने पिछड़ा घोषित किया, उन जिलों में हमने विकास की आकांक्षा को प्रोत्साहित किया। pic.twitter.com/RjW19dOAwN
— PMO India (@PMOIndia) January 19, 2023
Water Security 21वीं सदी के भारत के विकास के लिए आवश्यक। pic.twitter.com/Fya1BT9zHN
— PMO India (@PMOIndia) January 19, 2023
डबल इंजन सरकार कैसे काम कर रही है, इसका बेहतरीन उदाहरण हर घर जल अभियान में दिखता है। pic.twitter.com/4la6XEmiDM
— PMO India (@PMOIndia) January 19, 2023
आज छोटा किसान देश की कृषि नीति की सबसे बड़ी प्राथमिकता है। pic.twitter.com/y5kAAniOsq
— PMO India (@PMOIndia) January 19, 2023