তিনি পুণে পুর নিগম দপ্তরে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের প্রতিকৃতির আবরণ উন্মোচন করেছেন
প্রধানমন্ত্রী একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং আর কে লক্ষ্মণ আর্ট গ্যালারি – সংগ্রহালয়ের উদ্বোধন করেছেন
“শিবাজী মহারাজ, যিনি আমাদের সকলের অন্তরে আছেন, তাঁর এই প্রতিকৃতি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম চেতনাকে জাগ্রত করবে”
“শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি এবং গাড়ি নির্মাণ শিল্পে পুণে তার পরিচিতিকে ক্রমশ শক্তিশালী করেছে। এই পরিস্থিতিতে পুণের জনসাধারণের জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন এবং পুণের জনসাধারণের এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমাদের সরকার কাজ করছে”
“পুণেতে এই মেট্রো প্রকল্প শুরু হওয়ার ফলে যাতায়াতের সুবিধা হবে, যানজট ও দূষণ থেকে রেহাই মিলবে, পুণের জনসাধারণের সহজ জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে”
“বর্তমানে দ্রুত উন্নয়নশীল ভারতে আমাদের কাজের গতি এবং পরিমাপের উপর অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর তাই আমাদের সরকার পিএম-গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে”
“নগর পরিকল্পনা ক্ষেত্রে আধুনিকতার পাশাপাশি, পুণের প্রাচীণ ঐতিহ্য এবং মহারাষ্ট্রের গৌরবকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ পুণে মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন এবং পুণেতে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী ভগৎ সিং কোশিয়ারি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অজিত পাওয়ার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী রামদাস আটওয়ালে, স্থানীয় সাংসদ শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর উপস্থিত ছিলেন।  

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা আন্দোলনে পুণের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি লোকমান্য তিলক, চাপেকর ভ্রাতৃদ্বয়, গোপাল গণেশ আগরকর, সেনাপতি বাপত, গোপালকৃষ্ণ দেশমুখ, আর জি ভান্ডারকর এবং মহাদেব গোবিন্দ রাণাডের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানান। তিনি রামভাউ মহালগি ও বাবাসাহেব পুরন্দরকেও প্রণাম জানান।  

প্রধানমন্ত্রী এর আগে পুণে পুর নিগম দপ্তরে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের প্রতিকৃতির আবরণ উন্মোচন করেন এবং এই মহান যোদ্ধা ও রাজাকে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, শিবাজী মহারাজ, যিনি আমাদের সকলের অন্তরে আছেন, তাঁর এই প্রতিকৃতি, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম চেতনাকে জাগ্রত করবে।

পুণে মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, আপনারা আমাকে পুণে মেট্রো রেলের শিলান্যাসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আর এখন আপনারা আমাকে এর উদ্বোধন করার সুযোগ দিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ যে শেষ হতে পারে - এর মাধ্যমে সেই বার্তাই পৌছে দেওয়া হল। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি এবং গাড়ি নির্মাণ শিল্পে পুণে তার পরিচিতিকে ক্রমশ শক্তিশালী করেছে। এই পরিস্থিতিতে পুণের জনসাধারণের জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন এবং পুণের জনসাধারণের এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমাদের সরকার কাজ করে চলেছে”।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সাল পর্যন্ত খুব কম শহরেই মেট্রো পরিষেবা চালু ছিল। আজ দু’ডজনেরও বেশি শহর মেট্রো প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে অথবা খুব শীঘ্রই পেতে চলেছে। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রও এই সম্প্রসারণে যথেষ্ট সুফল পেয়েছে। মুম্বাই, থানে, নাগপুর এবং পিম্প্রি চিঞ্চওয়াড় পুণেতে মেট্রো প্রকল্প চালু হয়েছে।  “পুণেতে এই মেট্রো প্রকল্প শুরু হওয়ার ফলে যাতায়াতের সুবিধা হবে, যানজট ও দূষণ থেকে রেহাই মিলবে, পুণের জনসাধারণের সহজ জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে”। তিনি পুণের জনসাধারণকে౼ বিশেষত, অবস্থাপন্ন নাগরিকদের মেট্রো এবং অন্যান্য জনপরিবহণ ব্যবস্থা ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান।   

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন সুযোগ যেমন তৈরি হয়, আবার নানা সমস্যাও দেখা দেয়। আমাদের শহরগুলিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের একমাত্র সমাধান উন্নত গণপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন। তিনি এ প্রসঙ্গে দেশে শহরের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সরকারের কিছু উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। বর্তমানে আরও বেশি পরিবেশ-বান্ধব পরিবহণ ব্যবস্থা,  বৈদ্যুতিক বাস, বৈদ্যুতিক মোটর গাড়ি এবং বৈদ্যুতিক মোটর সাইকেল ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেওয়ার  কথা শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। প্রত্যেক শহরে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে  একটি কার্ড ব্যবহার করে মানুষ যাতে সব ধরণের পরিবহণ ব্যবহারের সুযোগ পান, সে বিষয়ে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। এই ব্যবস্থাকে আরও স্মার্ট করে তোলার জন্য প্রত্যেক শহরে একটি সুসংহত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র গড়ে তোলা  প্রয়োজন। বৃত্তীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলতে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রত্যেক শহরে থাকতে হবে। শহরগুলিতে জলের যোগান নিশ্চিত করতে আধুনিক নিকাশি ব্যবস্থাপনা ছাড়াও জলের উৎসের সংরক্ষণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, এইসব শহরগুলিকে গোবরধন ও জৈব গ্যাস প্ল্যান্টের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে।  শহরগুলিতে এলইডি বাল্ব ব্যবহারের মধ্য দিয়ে জ্বালানী সাশ্রয় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অম্রুত মিশন এবং রেরা আইন শহরাঞ্চলকে আরো শক্তিশালী করে তুলছে। 

বৃত্তীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলতে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রত্যেক শহরে থাকতে হবে। শহরগুলিতে জলের যোগান নিশ্চিত করতে আধুনিক নিকাশি ব্যবস্থাপনা ছাড়াও জলের উৎসের সংরক্ষণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, এইসব শহরগুলিকে গোবরধন ও জৈব গ্যাস প্ল্যান্টের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে।  শহরগুলিতে এলইডি বাল্ব ব্যবহারের মধ্য দিয়ে জ্বালানী সাশ্রয় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অম্রুত মিশন এবং রেরা আইন শহরাঞ্চলকে আরো শক্তিশালী করে তুলছে।  

শ্রী মোদী নগর জীবনে নদীর গুরুত্বের কথা আবারও উল্লেখ করেন। নদীগুলির সংরক্ষণের জন্য মানুষকে সচেতন করে তুলবার উদ্দেশে তিনি  নদী কেন্দ্রীক  শহরে নদী উৎসব সূচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।   

দেশে পরিকাঠামোর সাহায্যে উন্নয়নের নতুন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে যে কোনও দেশে আধুনিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল – গতি ও পরিমাণ। কিন্তু, দশকের পর দশক ধরে আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলি শেষ হতে অনেক সময় লেগে যেত। এই ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য দেশের উন্নয়ন ব্যবহত হয়েছে”। “বর্তমানে দ্রুত উন্নয়নশীল ভারতে আমাদের কাজের গতি এবং পরিমাপের উপর অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর তাই আমাদের সরকার পিএম-গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে”। শ্রী মোদী বলেন, গতিশক্তি পরিকল্পনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ সব তথ্য ব্যবহার করে এবং যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে।  

প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “নগর পরিকল্পনা ক্ষেত্রে আধুনিকতার পাশাপাশি, পুণের প্রাচীণ ঐতিহ্য এবং মহারাষ্ট্রের গৌরবকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে”।

পুণে মেট্রো রেল প্রকল্প শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অত্যাধুনিক পরিকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ এনে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০১৬র ২৪শে ডিসেম্বর এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। আজ তিনি ৩২.২ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পের ১২ কিলোমিটার পথের উদ্বোধন করেছেন। সম্পূর্ণ প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হবে ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী গারওয়াড়ে মেট্রো স্টেশন উদ্বোধন করেন এবং সেখান থেকে আনন্দনগর পর্যন্ত মেট্রো রেলে ভ্রমণ করেন।

শ্রী মোদী মুলা-মুঠা নদী প্রকল্পের পুনরুজ্জীবন ও দূষণরোধ প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। এই প্রকল্পে ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীপথের পুনরুজ্জীবন ঘটানো হবে। এর জন্য নদীর পার বাঁধানো, বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনার সংস্কার, নৌকা বিহারের মতো নানা সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হবে। 

মুলা-মুঠা নদীর দূষণ রোধে ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ‘এক নগর, এক পরিচালন ব্যবস্থা’ ভাবনায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এখানে ১১টি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হবে, যেখানে ৪০০ এমএলডি বর্জ্য জলের পরিশোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ১৪০টি বৈদ্যুতিক বাসের যাত্রা সূচনা করেন এবং বানেরে বৈদ্যুতিক বাস ডিপো নির্মাণ কাজের সূচনা করেন।

 

 

 

 

শ্রী মোদী পুণের বালেওয়াড়িতে আর কে লক্ষ্মণ আর্ট গ্যালারি – সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছেন। এই সংগ্রহশালার প্রধান আকর্ষণ হল – মালগুড়ি গ্রামের একটি ছোট্ট সংস্করণ এখানে অডিও ভিস্যুয়াল মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। কার্টুনিস্ট আর কে লক্ষ্মণের আঁকা বিভিন্ন কার্টুনও এই সংগ্রহশালায় স্থান পেয়েছে।

এই অনুষ্ঠানের আগে প্রধানমন্ত্রী পুণে নগর নিগমে শ্রী ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের প্রতিকৃতির আবরণ উন্মোচন করেছেন। ৯.৫ ফুট দীর্ঘ এই প্রতিকৃতি নির্মাণে ১ হাজার ৮৫০ কেজি গান মেটাল ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Cabinet extends One-Time Special Package for DAP fertilisers to farmers

Media Coverage

Cabinet extends One-Time Special Package for DAP fertilisers to farmers
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister greets on the occasion of Urs of Khwaja Moinuddin Chishti
January 02, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi today greeted on the occasion of Urs of Khwaja Moinuddin Chishti.

Responding to a post by Shri Kiren Rijiju on X, Shri Modi wrote:

“Greetings on the Urs of Khwaja Moinuddin Chishti. May this occasion bring happiness and peace into everyone’s lives.