মৎস্য চাষ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার ফলে উপকৃত হবেন: প্রধানমন্ত্রী
আমাদের লক্ষ্য এটাই যে আগামী ৩-৪ বছরে মৎস্য রপ্তানিকে দ্বিগুণ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
পিএমএমএসওয়াই পুনর্নবীকরণ হোয়াইট বিপ্লব (দুগ্ধ ক্ষেত্র) এবং সুইট বিপ্লব (এপিকালচার ক্ষেত্র)-এর পথ সুগম করবে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিহারে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা, ই-গোপালা অ্যাপ সহ মৎস্য চাষ, ডেয়ারি, গবাদি পশু পালন এবং কৃষি ক্ষেত্রের অধ্যয়ন ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত একগুচ্ছ কর্মসূচির সূচনা করেছেন।

এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে সমস্ত কর্মসূচির সূচনা হয়েছে, তার উদ্দেশ্যই হ’ল – আমাদের গ্রামগুলির ক্ষমতায়ন এবং একবিংশ শতাব্দীতে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তোলা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই একই উদ্দেশ্য নিয়ে মৎস্য সম্পদ যোজনারও সূচনা করা হ’ল। তিনি আরও জানান, বিহার সহ ২১টি রাজ্যে এই কর্মসূচির সূচনা হচ্ছে। আগামী ৪-৫ বছরে এই কর্মসূচি খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে আজ যে সমস্ত প্রকল্পের সূচনা হয়েছে, তার জন্যই ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এই কর্মসূচির আওতায় রাজ্যের পাটনা, পূর্ণিয়া, সীতামারী, মাধেপুরা, কিষাণগঞ্জ ও সমস্তিপুরে একাধিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।

শ্রী মোদী আরও বলেন, মৎস্য সম্পদ কর্মসূচির মাধ্যমে মাছ চাষীদের জন্য নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। আধুনিক সরঞ্জামের সংস্থান হবে এবং মাছ উৎপাদকরা আরও বেশি নতুন বাজারের সুবিধা পাবেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম মৎস্য চাষ ক্ষেত্রের জন্য দেশে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির সূচনা হ’ল।

মৎস্য চাষ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে একটি পৃথক মন্ত্রক গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, এই মন্ত্রকের ফলে আমাদের মৎস্যজীবী ও তাঁদের সহযোগীদের জন্য মৎস্য চাষ ও বিক্রয়ে আরও সুবিধা পাওয়া যাবে।

আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে দেশ থেকে মাছের রপ্তানি দ্বিগুণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে কর্মসূচির সূচনা করা হ’ল বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন এই কর্মসূচিতে মৎস্য চাষ ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। মৎস্য চাষ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত আজ আমার বন্ধু মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে রপ্তানি ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য শীঘ্রই অর্জিত হবে বলে আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হ’ল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৎস্য চাষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল – স্বচ্ছ জলের যোগান। পরিচ্ছন্ন গঙ্গা মিশন এ ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, গঙ্গানদীতে পরিবহণ ব্যবস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে যে সমস্ত কর্মকান্ড রূপায়িত হচ্ছে, তা থেকেও মৎস্য ক্ষেত্র লাভবান হতে পারে। এ বছর ১৫ই অগাস্ট শুশুক সংরক্ষণ ও তার বংশ বৃদ্ধির জন্য যে অভিযানের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তা মৎস্য ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে বিহার সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময়ে এই রাজ্যে ৪-৫ বছরে কেবল ২ শতাংশ বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হ’ত। এখন রাজ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিহার সরকারের এই প্রয়াসকে আরও মদত যোগাতে কেন্দ্রীয় সরকারের জল জীবন মিশন সবরকম সহায়তা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা সঙ্কটের সময় বিহারে প্রায় ৬০ লক্ষ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। নিঃসন্দেহে এ এক বড় সাফল্য। করোনার সময়ে সমগ্র দেশ যখন একপ্রকায় গতিহীন হয়ে পড়েছিল, তখন আমাদের গ্রামগুলিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরন্তর কাজ হয়েছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয় আমাদের গ্রামগুলির সহজাত শক্তির। করোনার জটিল সময়েও গ্রাম থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য, ফলমূল, শাকসব্জি ও দুধ বাজারগুলিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে গেছে।

কেবল তাই নয়, করোনার জটিল সময়ে ডেয়ারি শিল্প ক্ষেত্র রেকর্ড পরিমাণ অর্থে বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করেছে। এ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী জানান, কিষাণ সম্মাননিধি সূচনায় দেশের ১০ কোটিরও বেশি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিহারের প্রায় ৭৫ লক্ষ কৃষক এ থেকে লাভবান হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা সঙ্কট মোকাবিলার পাশাপাশি, বন্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বিহারের ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই সম্মিলিতভাবে দ্রুততার সঙ্গে ত্রাণকার্য পরিচালনা করেছে।

বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী এবং প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের সুযোগ-সুবিধা বিহারের দুস্থ প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বাইরে থেকে যে সমস্ত প্রবাসী শ্রমিকরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে এসেছেন, তাঁদের পরিবারগুলির কাছেও কর্মসূচির সুফল পৌঁছে দিতে হবে। এই লক্ষ্যে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী বন্টন কর্মসূচিকে জুন মাসের পর দীপাবলী ছট পূজা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সঙ্কটের দরুণ বিভিন্ন শহর ও রাজ্য থেকে যে সমস্ত প্রবাসী শ্রমিকরা নিজ নিজ গ্রামে ফিরেছেন, তাঁদের অধিকাংশই পশু পালনের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এদেরকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দেশের ডেয়ারি ক্ষেত্রের সম্প্রসারণে সরকার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন পণ্য সামগ্রী ও নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে কৃষক ও পশুপালকদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে, দেশের গবাদি পশুর জিনগত মানোন্নয়নেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যে দেশে ৫০ কোটিরও বেশি গবাদি পশুর গলগন্ড ও ব্রুসেলুসিস রোগ ঠেকাতে আজ থেকে এক টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা হচ্ছে। পশুপালকদের বিনামূল্যে এই টিকা সরবরাহ করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

শ্রী মোদী বলেন, গোকুল মিশনের উদ্দেশ্যই হ’ল – উৎকৃষ্ট জিনগত বৈশিষ্টসম্পন্ন দেশীয় প্রজাতির গবাদি পশুর বংশ বিস্তার ঘটানো। এই লক্ষ্যে এক বছর আগে গবাদি পশুর কৃত্রিম প্রজননের জন্য যে কর্মসূচির সূচনা হয়েছে, আজ তার প্রথম পর্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎকৃষ্ট জিনগত বৈশিষ্টসম্পন্ন দেশীয় প্রজাতির গবাদি পশুর সার্বিক বিকাশে বিহার দেশের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠছে। খুব শীঘ্রই এই রাজ্যটি ডেয়ারি ক্ষেত্রেও অগ্রগণ্য হয়ে উঠবে। এই লক্ষ্যে আজ জাতীয় গোকুল মিশনের আওতায় পূর্ণিয়া, পাটনা ও বারাউনিতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার সূচনা হয়েছে। পূর্ণিয়াতে যে কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছে, তা দেশের অন্যতম বৃহৎ কেন্দ্র। এর ফলে, বিহারই নয়, বরং পূর্ব ভারতের একটি বড় অংশই উপকৃত হবে। তিনি আরও জানান, পূর্ণিয়ার এই কেন্দ্রটি বিহারের দেশীয় প্রজাতির গবাদি পশু, যেমন – বাচৌর এবং রেড পূর্ণিয়ার জিনগত উপাদানের মানোন্নয়ন ও সংরক্ষণে বড় ভূমিকা নেবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণত একটি গাভি বছরে একটি বাচ্চার জন্ম দেয়। কিন্তু আইভিএফ প্রযুক্তির সাহায্যে বছরে একাধিক বাচ্চার জন্ম দেওয়া যেতে পারে। তাই আমাদের উদ্দেশ্যই হ’ল – এই প্রযুক্তিকে প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে দেওয়া। তিনি বলেন, উৎকৃষ্ট জিনগত বৈশিষ্টসম্পন্ন দেশীয় প্রজাতির গবাদি পশুর পাশাপাশি, গবাদি পশুর সঠিক পরিচর্চার জন্য উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজ যে ই-গোপালা অ্যাপটির সূচনা হয়েছে, তার মাধ্যমে গোপালকরা অনলাইনে গবাদি পশুর উপযুক্ত সংরক্ষণে যাবতীয় তথ্য পাবেন। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে, উৎপাদনশীলতা বাড়বে এবং গবাদি পশুর সুস্বাস্থ্য ও সুষম আহার বজায় রাখা সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামগুলিতে কৃষি, গবাদি পশুপালন ও মৎস্য চাষ ক্ষেত্রের জন্য দ্রুতগতিতে আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ সহ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বনের আশু প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই বিহার কৃষি শিক্ষা ও গবেষনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে রয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, দিল্লির পুসা ইন্সটিটিউটের কথা উঠলেই কিছু এমন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা বিহারের সমস্তিপুরের কাছে পুসা শহরের কথা স্মরণ করেন। ঔপনিবেশিক শাসনের সময় সমস্তিপুরের পুসায় জাতীয় স্তরের একটি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল। স্বাধীনতার পর রাজ্যের এই ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য শ্রী মোদী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং জননায়ক কর্পুরি ঠাকুরের অবদানের কথা স্মরণ করেন।

বিহারের এই প্রয়াসগুলি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৬’তে রাজ্যের ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় স্তরের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতিদানের পর বিশ্ববিদ্যালয় ও তার শাখা কলেজগুলিতে কোর্সের সম্প্রসারণ ঘটেছে। তিনি আরও জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই স্কুল অফ এগ্রি বিজনেস এবং রুরাল ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নতুন ভবন চালু করা হয়েছে। এছাড়াও, নতুন হস্টেল, স্টেডিয়াম ও অতিথি নিবাস গড়ে তোলা হয়েছে।

কৃষি ক্ষেত্রের আধুনিক চাহিদার বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে দেশে নতুন তিনটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। বিহারে প্রতি বছর বন্যার কবল থেকে কৃষি কাজের সুরক্ষায় মহাত্মা গান্ধী রিসার্চ সেন্টার চালু করা হয়েছে। একইভাবে, রাজ্যের মতিপুরে মৎস্য ক্ষেত্র সম্পর্কিত আঞ্চলিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হয়েছে। এই মতিপুরে পশুপালন ও ডেয়ারি উন্নয়ন কেন্দ্র চালু হয়েছে। একইভাবে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষি ক্ষেত্রের যোগসূত্র গড়ে তুলতে এ ধরনের একাধিক কেন্দ্র চালু করা হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। শ্রী মোদী আরও বলেন, গ্রামগুলিতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও গবেষণা কেন্দ্রের ক্লাস্টার গড়ে তোলা হবে। এর ফলে, ‘জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান এবং জয় অনুসন্ধান’ কর্মসূচির উদ্দেশ্য পূরণ করা যাবে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

শ্রী মোদী বলেন, কৃষি পণ্যের গুদামঘর, হিমঘর ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার জন্য কৃষক উৎপাদক সংগঠন ও সমবায় সমিতিগুলিকে বিশেষ পরিকাঠামো নির্মাণে সহায়তা দিতে ১ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে।

এখন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। এমনকি, গত ৬ বছরে স্বনির্ভর গোষ্ঠির মহিলাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা ৩২ গুণ বাড়ানো হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।

শ্রী মোদী বলেন, দেশের বিকাশের চালিকাশক্তি হিসাবে সমস্ত গ্রামকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার এক সর্বাত্মক প্রয়াস শুরু হয়েছে, যাতে তারা ভারতকে স্বনির্ভর করে তুলতে সবরকম সহায়তা যোগাতে পারে। 

Click here to read full text speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।