Launches ‘PM Vishwakarma’ for traditional artisans and craftspeople on occasion of Vishwakarma Jayanti
Launches PM Vishwakarma Logo, Tagline ‘Samman Samarthya Samridhi’, and Portal
Releases Customized Stamp Sheet & Toolkit Booklet
Distributes Vishwakarma Certificates to 18 beneficiaries
“I dedicate ‘Yashobhoomi’ to every worker of the country, to every Vishwakarma”
“It is the need of the hour that Vishwakarmas are recognised and supported”
“The outsourced work should come to our Vishwakarma friends and they should become a critical part of the global supply chain”
“In these changing times, training, technology and tools are critical for Vishwakarma friends”
“Modi stands for those who have nobody to care about them”
“Vocal for Local is the responsibility of the entire country”
“The Viksit Bharat of today is crafting a new identity for itself in every sector”
“The message from Yashobhoomi is loud and clear. Any event that takes place here will attain success and fame”
“Bharat Mandapam and Yashobhoomi Center are going to make Delhi the biggest hub of conference tourism”
“Both Bharat Mandapam and Yasobhoomi are a confluence of Indian culture and state-of-the-art facilities, and these grand establishments express India’s story before the world”
“Our Vishwakarma colleagues are the pride of Make in India and this International Convention Center will become a medium to showcase this pride to the world”

নয়াদিল্লির দ্বারকায় ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপোর্ট সেন্টার ‘যশোভূমি’ আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘যশোভূমি’তে রয়েছে একটি সুন্দর ও সাজানো-গোছানো কনভেনশন সেন্টার বা সম্মেলন কেন্দ্র, অনেকগুলি প্রদর্শনী কক্ষ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এদিন বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে যে সমস্ত শিল্পী ও কারিগর তাঁদের উদ্ভাবন প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের জন্য ‘বিশ্বকর্মা কর্মসূচি’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচিরও তিনি সূচনা করেন। একইসঙ্গে, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা কর্মসূচি’র লোগো, ট্যাগলাইন এবং পোর্টালটিরও সূচনা করেন তিনি। এই উপলক্ষে একটি ‘স্ট্যাম্পশিট’, একটি ‘টুলকিট’, ‘ই-বুকলেট’ এবং ভিডিও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮ জন শিল্পী ও কারিগরকে তিনি ‘বিশ্বকর্মা শংসাপত্র’ দিয়েও সম্মানিত করেন। 

আজ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী ‘গুরু-শিষ্য পরম্পরা’ এবং ‘নতুন প্রযুক্তি’ নামের প্রদর্শনী দুটি ঘুরে দেখেন। ‘যশোভূমি’র থ্রিডি মডেলটিও পরিদর্শন করেন তিনি। এর আগে এদিন সকালে দ্বারকা সেক্টর-২১ থেকে ‘যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর-২৫’ পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত মেট্রো লাইনটিরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। 

আজ এই সমস্ত অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পী ও কারিগর, অর্থাৎ, যাঁরা ‘বিশ্বকর্মা’ নামে স্বীকৃত ও সম্মানিত, তাঁরা সমাজে সর্বদাই একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছেন। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমরা যতই এগিয়ে যাই না কেন, এইসব শিল্পী ও কারিগরদের অবদান আজও অনস্বীকার্য। শ্রী মোদী বলেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সমস্তরকমভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করার সময় এখন উপস্থিত।

প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, এই সমস্ত বিশ্বকর্মা তথা শিল্পী ও কারিগরদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাঁদের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, স্বর্ণশিল্পী, লৌহশিল্পী, ভাস্কর, মৃৎশিল্পী, চর্মশিল্পী, বয়নশিল্পী, রাজমিস্ত্রি, কেশশিল্পী, রজক ইত্যাদি শিল্পী ও কারিগরকেও ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা কর্মসূচি’র আওতায় নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই কর্মসূচি রূপায়ণে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।

 

আজ শিল্পী ও কারিগরদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেশ সফরের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত তাঁদের কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিদেশের বাজারে হাতে বোনা এবং হাতে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর যথেষ্ট কদর রয়েছে। এমনকি, বিশ্বের বড় বড় শিল্প সংস্থাগুলি তাদের কাজগুলি করিয়ে নেয় ছোটখাটো শিল্পী ও কারিগরদের দিয়ে। এইভাবে আমরাও আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ বিশ্বকর্মা বন্ধুদের মধ্যে ভাগ করে দিতে আগ্রহী যাতে তাঁরা যোগান শৃঙ্খলের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠতে পারেন। এই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে চলেছি। আমাদের কর্মসূচি সেই অর্থে আমার বিশ্বকর্মা বন্ধুদের আধুনিক যুগের তোরণদ্বারে পৌঁছে দেওয়ার এক বিশেষ প্রচেষ্টামাত্র। 

শ্রী মোদী বলেন, বর্তমান পরিবর্তনশীল সময়কালে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি এবং ছোটখাটো যন্ত্রপাতি ও কৃৎকৌশল বিশ্বকর্মা বন্ধুদের জন্য খুবই উপকারী। দক্ষ শিল্পী ও কারিগরদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা সম্পর্কেও আজ বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, প্রশিক্ষণকালে শিল্পী ও কারিগরদের প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে। এছাড়া, ১৫ হাজার টাকার আধুনিক সাজ-সরঞ্জামের একটি টুলকিটও তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রীর ব্র্যান্ডিং, প্যাকেজিং এবং বিপণনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। শিল্পী ও কারিগরদের জন্য টুলকিটগুলি ক্রয় ও সংগ্রহ করা হবে জিএসটি নথিভুক্ত বিপণন সংস্থাগুলি থেকে এবং তা অবশ্যই মেড ইন ইন্ডিয়া হওয়া দরকার। 

বিশ্বকর্মা বন্ধুদের বিনা শর্তে আর্থিক সহায়তাদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন তাঁদের জন্য কোনরকম গ্যারান্টির প্রয়োজন হবে, তা দেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত। কোনরকম শর্ত ছাড়াই বিশ্বকর্মা বন্ধুদের ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে ৩ লক্ষ টাকা করে এবং এই ঋণের সুদ নির্ধারিত হবে খুবই অল্প হারে। 

 

কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চিত ও অবহেলিতদের উন্নয়নের বিষয়টি সর্বদাই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করে – এই মন্তব্য করে শ্রী মোদী বলেন, ‘একটি জেলা, একটিই উৎপাদন’ – এই কর্মসূচিটি প্রতিটি জেলার অভিনব উৎপাদন প্রচেষ্টাকে বিশেষভাবে উৎসাহ জানিয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি কর্মসূচি’র আওতায় রাস্তার বিক্রেতাদের কাছে ব্যাঙ্ক ঋণের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া, বিশেষ সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে দিব্যাঙ্গদের জন্যও। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে যাঁদের দেখভালের কেউ নেই, তাঁদের জন্য মোদী রয়েছে। তিনি বলেন, শিল্পী ও কারিগরদের সেবা করে যাওয়ার জন্য এবং তাঁদের যথোপযুক্ত মর্যাদাদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মোদী সরকার কাজ করে চলেছে। সমস্তরকম পরিষেবাই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এবং হবে অবহেলিতদের কাছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জি-২০ ক্র্যাফট বাজারে ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রযুক্তির মেলবন্ধনের নিদর্শন লক্ষ্য করেছে বিশ্ববাসী। এমনকি, শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিবর্গকে দেওয়া উপহারগুলিও তৈরি করেছেন আমাদের বিশ্বকর্মা বন্ধুরা। এইভাবেই স্থানীয় ও আঞ্চলিক উৎপাদনের জন্য সরব ও সচেষ্ট হওয়ার বিষয়টি সারা দেশের দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রীর মতে, স্থানীয় ও আঞ্চলিক উৎপাদনগুলির জন্য আমাদের প্রথমেই সরব ও সচেষ্ট হতে হবে তবেই আমরা স্থানীয় উৎপাদনগুলিকে বিশ্ববাজারে পৌঁছে দিতে পারব।

আসন্ন গণেশ চতুর্থী, ধনতেরাস, দীপাবলী এবং অন্যান্য উৎসবগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিৎ স্থানীয় ও আঞ্চলিকভাবে উৎপাদিত সামগ্রী ক্রয় করা। বিশেষত, আমাদের বিশ্বকর্মা বন্ধুরা যে সমস্ত জিনিস নিজের হাতে শ্রমসাধ্য উপায়ে তৈরি করেন, সেগুলি আরও বিশেষভাবে সংগ্রহ করা উচিত। 

শ্রী মোদী বলেন, ‘বিকশিত ভারত’ বর্তমানে আমাদের কর্মপ্রচেষ্টার প্রতিটি ক্ষেত্রেই এক নতুন পরিচিতি এনে দিয়েছে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানকালে ‘ভারত মণ্ডপম’ যেভাবে বিশ্ববাসীর একটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল, ঠিক সেইভাবেই ‘যশোভূমি’ও যে আমাদের শিল্পী-কারিগরদের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারবে, সে সম্পর্কে তাঁর স্থির প্রত্যয়ের কথা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যশোভূমি’ থেকে এক সুস্পষ্ট ও সরব বার্তা পৌঁছে যাবে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে। এখানে যে ধরনের অনুষ্ঠানই অনুষ্ঠিত হোক না কেন, তা দেশকে খ্যাতি ও সাফল্য এনে দিতে বাধ্য। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের ভারতকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে ‘যশোভূমি’ হয়ে উঠবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক শক্তি এবং বাণিজ্যিক প্রসারের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে চলেছে এই ‘যশোভূমি’ কেন্দ্রটি। একইসঙ্গে, ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি কর্মসূচি’র আওতায় দেশের সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যেভাবে উন্নত হয়ে উঠেছে তারও কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন তিনি। ‘যশোভূমি’তে পৌঁছনোর জন্য একটি মেট্রো রেলের সংযোগ ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হল। এই উপলক্ষে আজ উদ্বোধন হল মেট্রো টার্মিনালটিরও। ‘যশোভূমি’কে ঘিরে যে কর্মব্যস্ততা গড়ে উঠবে তার ফলে লাভবান হবে পর্যটন, সংযোগ ও যোগাযোগ এবং আতিথেয়তা শিল্পও। 

সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের কয়েকটি নতুন ক্ষেত্রও যে তৈরি হতে চলেছে, একথা আজ বিশেষ জোর ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে আমরা যেভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রটি গড়ে তুলতে পেরেছি তা ছিল এক সময় কল্পনার অতীত। এমনকি, আজ থেকে মাত্র ৫০-৬০ বছর আগেও এই ধরনের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা আমরা চিন্তা করতে পারতাম না। শুধু তাই নয়, দেশের সমাজমাধ্যমগুলির কাছে ৩৫ বছর আগেও আমাদের রূপান্তর প্রচেষ্টা ছিল যেন কল্পিত একটি গল্প কাহিনী। ভবিষ্যতের কনফারেন্স ট্যুরিজম-এর একটি রূপরেখা এদিন প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে। তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রটির প্রসার ও অগ্রগতির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ভারতে এবং এই ক্ষেত্রটি থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বে প্রতি বছর ৩২ হাজারেরও বেশি সংখ্যক প্রদর্শনী ও এক্সপো আয়োজিত হয়। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কনফারেন্স ট্যুরিজমে অংশগ্রহণ করে মানুষ অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করে থাকেন সাধারণ পর্যটকদের তুলনায়। কিন্তু, বর্তমানে এই শিল্পক্ষেত্রটিতে ভারতের অংশগ্রহণ মাত্র ১ শতাংশের মতো। এর ফলে এ দেশের বড় বড় শিল্প সংস্থাগুলি বিদেশে পাড়ি দিতে বাধ্য হয় তাদের মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করার জন্য। কিন্তু, ভবিষ্যতে এ দেশেই কনফারেন্স ট্যুরিজম গড়ে তোলার জন্য ভারত এখন সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজনের প্রয়োজনীয় সহায়সম্পদ রয়েছে, সেখানেই কনফারেন্স ট্যুরিজম গড়ে ওঠা সম্ভব। ‘ভারত মণ্ডপম’ এবং ‘যশোভূমি’ হল দিল্লির কনফারেন্স ট্যুরিজমের দুটি বৃহত্তম কেন্দ্র। ভবিষ্যতে আমাদের এই প্রচেষ্টার হাত ধরে দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে বলেই আমরা মনে করি। ‘যশোভূমি’ হয়ে উঠতে চলেছে এমন একটি কেন্দ্র যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সমবেত হবেন আন্তর্জাতিক সম্মেলন, বৈঠক ও প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে।

প্রধানমন্ত্রী এদিন প্রসঙ্গত প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠানের উদ্যোগ-আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থাকে দিল্লিতে আসার জন্য আহ্বান ও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি প্রান্তের চলচ্চিত্র শিল্প ও টিভি সংস্থাগুলিকেও আমি এখানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। দেশের পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ – যেকোনও প্রান্তের মানুষই দিল্লিতে এসে আমাদের কর্মপ্রচেষ্টার সাফল্যকে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। আমি এই ধরনের সংস্থাগুলিকে আমন্ত্রণ জানাই যে আপনারা এখানে এসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করুন, চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করুন। এমনকি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকেও আমি ‘ভারত মণ্ডপম’ এবং ‘যশোভূমি’তে উপস্থিত থেকে আমাদের এই কর্মপ্রচেষ্টাকে প্রত্যক্ষ করার আমন্ত্রণ জানাই। 

 

‘ভারত মণ্ডপম’ এবং ‘যশোভূমি’ যে ভারতের আতিথেয়তার একটি প্রতীক হয়ে উঠতে চলেছে, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্থির বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ভারত মণ্ডপম’ এবং ‘যশোভূমি’ চমৎকারিত্ব এবং উদার ব্যবস্থাপনার এক বিশেষ অভিনব প্রচেষ্টা। কারণ, এদুটির মধ্যে সমন্বয় ঘটেছে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার। অন্য কথায় বলতে গেলে, ভারতীয় স্থাপত্যের কাহিনীকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারে আমাদের এই দুটি নির্মাণ প্রচেষ্টা। ‘ভারত মণ্ডপম’ এবং ‘যশোভূমি’কে নতুন ভারতের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বলেও বর্ণনা করেন তিনি। 

শ্রী মোদী বলেন, ভারতে এখন যে কর্মযজ্ঞের সূচনা হয়েছে তা অপ্রতিহত এবং অপ্রতিরোধ্য গতিতেই এগিয়ে চলবে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে দেশের নাগরিকদেরও। নতুন নতুন লক্ষ্য পূরণের পথে তাঁদের এখন পূর্ণোদ্যমে কাজ করে যাওয়া উচিত। এইভাবেই আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে আমরা একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে পারব।

 

পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে দেশের সকল নাগরিকেরই উচিত এখন সমষ্টিগতভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া। আমাদের বিশ্বকর্মা বন্ধুরা হলেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র গর্ব এবং আজকের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রটি ভারতের এই গর্বকেই তুলে ধরবে বিশ্ববাসীর সামনে। 

আজ এই উপলক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল, কেন্দ্রীয় শিক্ষা, দক্ষতা বিকাশ এবং শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী নারায়ণ রানে এবং কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভানুপ্রতাপ সিং ভার্মা।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।