"ভারত আজ আধুনিক পরিকাঠামো অনুযায়ী ১০০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করার অভিপ্রায় নিয়ে এগিয়ে চলেছে, ভারতের নীতি হচ্ছে 'গতিশক্তি', দ্বিগুণ বা তিনগুণ দ্রুত কাজ করা"
"আমাদের পাহাড় কেবল বিশ্বাস ও সংস্কৃতির দুর্গই নয়, তারা আমাদের দেশের নিরাপত্তার দুর্গও, দেশের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রা আরো সহজতর করা"
"সরকার আজ বিশ্বের কোন দেশের চাপে পড়ে না, আমরা দেশবাসী যারা জাতির মন্ত্র আগে, সর্বদাই আগে অনুসরণ করি"
"আমরা যে প্রকল্পই নিয়ে আসি না কেন, কোন রকম বৈষম্য ছাড়াই সবার জন্য তা নিয়ে আসি, আমরা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে বিশ্বাস না করে জনগণের সেবাকে প্রাধান্য দিয়েছি, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি দেশকে শক্তিশালী করা"

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেরাদুনে আজ ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি দেরাদুন অর্থনৈতিক করিডোর, যেটি ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে জংশন থেকে দেরাদুন পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়াও রয়েছে, দিল্লি থেকে দেরাদুন অর্থনৈতিক করিডোর পর্যন্ত বিস্তৃত গ্রীনফিল্ড অ্যালাইনমেন্ট প্রজেক্ট। যা হালগোয়া'কে যুক্ত করেছে। এর পাশাপাশি রয়েছে সাহারানপুর থেকে ভদ্রাবাদ, হরিদ্বার, হরিদ্বার রিং রোড প্রকল্প, দেরাদুন- পাওটা সাহিব ( হিমাচল প্রদেশ ) সড়ক প্রকল্প, নাজিবাবাদ- কোটদ্বার সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং লক্ষণ ঝুলার পাশে গঙ্গা নদীর উপর একটি সেতু তৈরির প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী এদিন দেরাদুনে চাইল্ড ফ্রেন্ডলি সিটি প্রজেক্ট ছাড়াও দেরাদুনে পানীয় জল সরবরাহ, রাস্তাঘাট এবং ভূগর্ভস্থ ব্যবস্থার উন্নয়নে একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়াও তিনি বদ্রীনাথ ধাম এবং গঙ্গোত্রী যমুনোত্রী ধামের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়াও হরিদ্বার মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ এমন সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন যা এই অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী ভূমিধসের সমস্যার সমাধান করে পর্যটকদের ভ্রমণকে আরও নিরাপদ করে তুলবে। এর মধ্যে রয়েছে দেবপ্রয়াগ থেকে শ্রীকোট পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং ব্রহ্মপুরী থেকে কোদিয়ালা পর্যন্ত ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ। আর রয়েছে, যমুনা নদীর উপর নির্মিত ১২০ মেগাওয়াটের ভ্যাসি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। আর রয়েছে, দেরাদুনের হিমালয় কালচার সেন্টার এবং সেখানকার স্টেট অফ আর্ট পারফিউমারি ও অ্যারোমা ল্যাবরেটরি, সেন্টার ফর অ্যারোমেটিক প্লান্টস।
আজকের সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, উত্তরাখণ্ড কেবল বিশ্বাসের কেন্দ্র নয়, কঠোর পরিশ্রম এবং সংকল্প প্রতীক। তাই কেন্দ্র ও রাজ্যের 'ডাবল ইঞ্জিন সরকার'এর অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে রাজ্যের উন্নয়ন। তিনি বেশ জোরের সঙ্গে বলেন যে এই শতাব্দীর গোড়াতে অটলজী ভারতের বিভিন্ন স্থানে সংযোগ বাড়ানোর জন্য একটি প্রচার শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, পরবর্তী দশ বছর দেশে এমন একটা সরকার ছিল যা দেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মূল্যবান সময় নষ্ট করে দিয়েছে। তিনি আরোও বলেন যে, ওই "দশ বছর ধরে দেশে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের নামে কেবল কেলেঙ্কারি হয়েছে। দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে আমরা দ্বিগুণ পরিশ্রম করেছি এবং আজও করছি।" 
পরিবর্তিত ক্ষেত্রে কাজের বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত আজ আধুনিক পরিকাঠামো গত উন্নয়নের ক্ষেত্রে ১০০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করার অভিপ্রায় নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ভারতের নীতি হচ্ছে আজ 'গতিশক্তি',  দ্বিগুণ বা তিনগুণ দ্রুত কাজ করা।
যোগাযোগ স্থাপনের সুবিধার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেদারনাথ ট্রাজেডির আগে ২০১২ সালে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ তা দর্শন করেছিলেন। সে সময় এটা একটা রেকর্ড ছিল। সেখানে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে, ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কেদারনাথ দর্শন করতে গিয়েছিলেন। "কেদার ধাম-এর পুনর্নির্মাণ শুধুমাত্র দর্শনের জন্য আগত ভক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেনি, সেখানে মানুষের কর্মসংস্থান এবং আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি করেছে" বলে প্রধানমন্ত্রী অভিহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি- দেরাদুন অর্থনৈতিক করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, যখন এটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে তখন দিল্লি থেকে দেরাদুন যাত্রার সময় প্রায় অর্ধেক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের পাহাড় শুধু বিশ্বাস ও আমাদের সংস্কৃতি দুর্গ নয়, তারা আমাদের দেশের নিরাপত্তা দুর্গও।"দেশের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রা সহজতর করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, যারা কয়েক দশক ধরে সরকারে ছিলেন তাদের এই চিন্তা ও নীতি কোথাও ছিল না।
 
উন্নয়নের গতি কথা তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, ২০০৭ থেকে ২০১৪- কেন্দ্রীয় সরকার এই সাত বছরের উত্তরাখণ্ডে মাত্র ২৮৮ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরি করেছে। যেখানে বর্তমান সরকার সাত বছরে উত্তরাখণ্ডের ২ হাজার কিলোমিটারের বেশি জাতীয় সড়ক তৈরি করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেশ দুঃখ প্রকাশ করেই বলেন যে, পূর্ববর্তী সরকারগুলি সীমান্তে পার্বত্য এলাকার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য যতটা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করা উচিত ছিল সেভাবে কাজ করেনি।  সীমান্তের কাছে রাস্তা তৈরি করতে হবে, সেতু তৈরি করতে হবে। এসব দিকে আগে মনোযোগ দেওয়া হয়নি।
 
শ্রীমোদী বলেন, এক রেঙ্ক, এক পেনশন এবং আধুনিক অস্ত্রের সম্ভার এই বিষয় গুলি আগে সন্ত্রাসবাদীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার মতো ছিল না। ফলে সেনাবাহিনীকে প্রতিটি স্তরে হতাশ করেছে। "আজকে যে সরকার রয়েছে তা বিশ্বের কোন দেশের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনা। আমরা এমন মানুষ যারা আগে জাতির মন্ত্র অনুসরণ করি, তা সবার আগে।" বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
 
দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ধর্ম ও বৈষম্যের রাজনীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক বিকৃতি মানুষকে কখনোই শক্তিশালী হতে দেয় না। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের চিন্তা ধারাকে তুলে ধরে বলেন যে, এটি একটি ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছে। "এটি কঠিন পথ, খুবই কঠিন, কিন্তু এটা দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে, এটাই হচ্ছে, সবকা সাথ সবকা বিকাশ। আমরা বলেছি, আমরা যেই প্রকল্প নিয়ে আসবো তা বৈষম্য ছাড়া সকলের জন্য নিয়ে আসবো। আমরা ভোটব্যাংকের রাজনীতিতে বিশ্বাস না করে জনগনের সেবাকে প্রাধান্য দিয়েছি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে দেশকে শক্তিশালী করা।"বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
 
প্রধানমন্ত্রী এই আশ্বাস দিয়ে তাঁর ভাষণের সমাপ্তিতে উল্লেখ করেন যে, " অমৃত কালের সময়ে দেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা থামবে না বা শিথিল হবে না, বরং আমরা আরও বিশ্বাস ও সুদৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাব।"
একটি রোমাঞ্চকর কবিতার মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে শেষ করেন।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
When PM Modi Fulfilled A Special Request From 101-Year-Old IFS Officer’s Kin In Kuwait

Media Coverage

When PM Modi Fulfilled A Special Request From 101-Year-Old IFS Officer’s Kin In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Under Rozgar Mela, PM to distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits
December 22, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits on 23rd December at around 10:30 AM through video conferencing. He will also address the gathering on the occasion.

Rozgar Mela is a step towards fulfilment of the commitment of the Prime Minister to accord highest priority to employment generation. It will provide meaningful opportunities to the youth for their participation in nation building and self empowerment.

Rozgar Mela will be held at 45 locations across the country. The recruitments are taking place for various Ministries and Departments of the Central Government. The new recruits, selected from across the country will be joining various Ministries/Departments including Ministry of Home Affairs, Department of Posts, Department of Higher Education, Ministry of Health and Family Welfare, Department of Financial Services, among others.