প্রধানমন্ত্রী স্মৃতি বন স্মারকের উদ্বোধন করেন
“স্মৃতি বন স্মারক এবং বীর বাল স্মারক গুজরাটের কচ্ছ এবং সারা দেশের ক্ষত চিহ্নের প্রতীক”
“অনেকেই বলেছিলেন কচ্ছ কখনও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু আজ কচ্ছবাসী সম্পূর্ণ চিত্রটাই বদলে দিয়েছেন”
“মৃত্যু এবং ধ্বংসের মধ্যে দাঁড়িয়েও আমরা ২০০১ সালে কিছু প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলাম, আজ আপনারা তার বাস্তব রূপ দেখতে পাচ্ছেন। একইভাবে আজ আমরা যে সংকল্প গ্রহণ করছি ২০৪৭ সালে তা অবশ্যই পূরণ হবে”
“কচ্ছ কেবল নিজেকেই উত্তরণ করেছে তা নয়, সমগ্র গুজরাটকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে”
“গুজরাট যখন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করছিল তখন শুরু হয়েছিল অন্য এক ষড়যন্ত্র। বিশ্বের কাছে গুজরাটকে নিচু করার জন্য বন্ধ করা হয় বিনিয়োগ”
“ঢোলাভিরার প্রতিটি ইঁট আমাদের পূর্বপুরুষদের জ্ঞান ও দক্ষতার পরিচায়ক”
“কচ্ছ-এর উন্নয়ন সবকা প্রয়াসের সঙ্গে পরিবর্তনের যথাযথ উদাহরণ”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভুজ-এ প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। এর আগে তিনি ভুজ জেলায় স্মৃতি বন স্মারকেরও উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুজ-এ স্মৃতি বন স্মারক এবং আনজারে বীর বাল স্মারক, গুজরাটের কচ্ছ এবং সমগ্র দেশের কষ্টের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী ‘কর সেবা’ অর্থাৎ স্বেচ্ছায় কাজের মাধ্যমে এই আনজার স্মারক তৈরির যে সংকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল সেকথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এই স্মারকগুলি বিধ্বংসী ভূমিকম্পে নিহতদের স্মৃতিতে ব্যাথিত হৃদয়ে উৎসর্গ করা হচ্ছে। জনগণ আজ যেভাবে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন সেজন্য তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী অনেক স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, স্মৃতি বন স্মারক ৯/১১ স্মারক ও হিরোসিমা স্মারকের মতো সমান মর্যাদার। তিনি জনগণকে ও স্কুল পড়ুয়াদের এই স্মারক ঘুরে দেখার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পূর্ব সন্ধ্যার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “আমার মনে আছে ভূমিকম্পের দ্বিতীয় দিনে আমি এখানে এসেছিলাম। তখন আমি মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম না। ছিলাম একজন সাধারণ দলীয় কর্মী। আমি জানতাম না কিভাবে এবং কত জনকে আমি সাহায্য করতে পারবো। কিন্তু দুঃখের ওই সময়ে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিই। পরে আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হই তখন এই অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সাহায্য করে।” তিনি এই অঞ্চলের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ও গভীর যোগাযোগের কথাও স্মরণ করেন। সংকটের ওই প্রহরে তিনি যাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁদের কথা স্মরণ করেও শ্রদ্ধা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কচ্ছ-এর সবসময়ই একটা বিশেষত্ব রয়েছে যার কথা আমি সবসমই বলি। এখানে কোনো একজন ব্যক্তি যদি রাস্তা দিয়ে চলতে চলতেও কোনো স্বপ্ন দেখেন তাহলে সম্পূর্ণ কচ্ছ তাকে বটবৃক্ষে পরিণত করতে কাজ শুরু করে দেয়। কচ্ছ-এর এই ক্ষমতায় কচ্ছ সম্পর্কে সব ধারণাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দেয়। অনেকেই বলেছিলেন, কচ্ছ কখনই ফের নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু এখানকার জনগণ আজ এই ছবিটা সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন।” শ্রী মোদী স্মরণ করে বলেন, ভূমিকম্পের পর প্রথম দীপাবলিতে তিনি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা এখানকার মানুষকে সমবেদনা জানিয়ে কচ্ছতেই ছিলেন। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জের ওই সময়ে আমরা পণ করেছিলাম যে বিপর্যয়কে আমরা সম্ভাবনায় পরিণত করবো। “লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি যখন বলি ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে তখন আপনারা দেখতে পান যে বিপর্যয় ও মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও আমরা যে কার্য সম্পাদনের সংকল্প গ্রহণ করেছিলাম  তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। একইভাবে আমরা আজ যা পণ করছি ২০৪৭ সালে অবশ্যই সেগুলিকেও বাস্তবে পরিণত করবো।”

২০০১ সালের সম্পূর্ণ বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর কচ্ছতে যে বিশেষ কাজ হয়েছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৩ সালে এখানে ক্রান্তিগুরু শ্যামজি কৃষ্ণবর্মা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। এছাড়াও আরও ৩৫টির বেশি নতুন কলেজ খোলা হয়েছে। ভূমিকম্প রোধী জেলা হাসপাতাল এবং ২০০র বেশি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। প্রতি বাড়িতেই এখন পবিত্র নর্মদার স্বচ্ছ জল পৌঁছায়। এই অঞ্চলের জল নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা হয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, কচ্ছ বর্তমানে সমগ্র গুজরাটের মধ্যে ফল উৎপাদনে শীর্ষস্থানে রয়েছে। এইজন্য তিনি কচ্ছবাসীকে অভিনন্দন জানান। পশুপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ করার জন্য এখানকার জনগণের প্রশংসা করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, “কচ্ছ কেবল নিজেকে উত্তরণ করেছে তাই নয়, সমগ্র গুজরাটকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী সেই সময়ের কথা স্মরণ করেন যখন গুজরাটে একের পর এক সংকট ঘনিয়ে আসছিল। তিনি বলেন, “গুজরাট যখন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করছিল তখন শুরু হল এর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র। দেশ এবং গোটা বিশ্বের কাছে গুজরাটকে নিচু দেখাতে একের পর এক ষড়যন্ত্র তৈরি করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় বিনিয়োগ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পরিস্থিতিতেও গুজরাট বিপর্যয় মোকাবিলা আইন কার্যকর করা  প্রথম রাজ্য হয়ে ওঠে। এরপর “সারা দেশের জন্য তৈরি করা হয় এ ধরণের একটি আইন। এই আইনটি অতিমারী পরিস্থিতিতে সরকারের বিশেষ উপকারে আসে।” সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করেও গুজরাট শিল্পক্ষেত্রে নতুন দিশা নির্দেশ তৈরি করতে সমর্থ হয়।

শ্রী মোদী বলেন, বর্তমানে কচ্ছতে বিশ্বের বৃহত্তম সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। ওয়েল্ডিং পাইপ ম্যানুফ্যাকচারিং-এর ক্ষেত্রে বিশ্বে কচ্ছ-এর স্থান দ্বিতীয়। এখানেই আছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বস্ত্র কারখানা। কান্দলা এবং মুন্দ্রা বন্দর দেশের  ৩০ শতাংশ পণ্য সরবরাহ করে। এখানেই দেশের মোট উৎপাদনের ৩০ শতাংশ লবন তৈরি হয়। কচ্ছ-তে সৌর ও বায়ুশক্তি ব্যবহার করে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে যে গ্রীণ হাউস প্রচারাভিযান চলছে সেক্ষেত্রে গুজরাটের বড় ভূমিকা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ৫ প্রাণ বা পণের অন্যতম ঐতিহ্যের প্রতি গর্ব অনুভব করা এর উল্লেখ করে বলেন, কচ্ছ-এর উন্নয়ন এর পরিচায়ক। তিনি বলেন, “ধোলাভিরাকে গত বছর বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ধোলাভিরার প্রতিটি ইঁট আমাদের পূর্বপুরুষদের জ্ঞান ও দক্ষতার পরিচয় বহন করে।” প্রধানমন্ত্রী শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মার দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনার কথাও স্মরণ করেন। মান্ডভি স্মারক এবং স্ট্যাচু অফ ইউনিটিও ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে এক বড় পদক্ষেপ।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, কচ্ছ-এর উন্নয়ন 'সবকা প্রয়াস' এর সঙ্গে পরিবর্তনের এক যথাযথ উদাহরণ। তিনি বলেন, “কচ্ছ কেবল একটি স্থান নয়, এক উত্তরণের পরিচয় বহন করে এবং একটি সফল চিন্তা-ভাবনার পরিচায়ক। স্বাধীনতার অমৃতকালের স্বপ্ন পূরণের জন্য এই উদ্যম আমাদের পথ দেখাবে।”

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সাংসদ শ্রী সি আর পাটিল ও শ্রী বিনোদ এল চাভদা, গুজরাট বিধানসভার অধ্যক্ষ ডঃ নিমাবেন আচার্য্য, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য কিরীটসিং বাঘেলা ও জিতুভাই চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ

প্রধানমন্ত্রী ভুজ জেলায় স্মৃতি বন স্মারকের উদ্বোধন করেছেন। ২০০১ সালে ভূমিকম্পে যে ১৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতিতে ৪৭০ একর জমির ওপর এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

স্মৃতি বন ভূমিকম্প সংগ্রহশালাকে ৭টি বিষয়ে ভাগ করা  হয়, সেগুলি হলো, পুনর্জন্ম, পুনর্গঠন, পুনর্বিচার, পুনরুদ্ধার, পুনর্চিন্তা, পুরনো স্মৃতি মন্থন এবং পুনর্নবীকরণ।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, কচ্ছ-এর উন্নয়ন 'সবকা প্রয়াস' এর সঙ্গে পরিবর্তনের এক যথাযথ উদাহরণ। তিনি বলেন, “কচ্ছ কেবল একটি স্থান নয়, এক উত্তরণের পরিচয় বহন করে এবং একটি সফল চিন্তা-ভাবনার পরিচায়ক। স্বাধীনতার অমৃতকালের স্বপ্ন পূরণের জন্য এই উদ্যম আমাদের পথ দেখাবে।”

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সাংসদ শ্রী সি আর পাটিল ও শ্রী বিনোদ এল চাভদা, গুজরাট বিধানসভার অধ্যক্ষ ডঃ নিমাবেন আচার্য্য, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য কিরীটসিং বাঘেলা ও জিতুভাই চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ

প্রধানমন্ত্রী ভুজ জেলায় স্মৃতি বন স্মারকের উদ্বোধন করেছেন। ২০০১ সালে ভূমিকম্পে যে ১৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতিতে ৪৭০ একর জমির ওপর এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

স্মৃতি বন ভূমিকম্প সংগ্রহশালাকে ৭টি বিষয়ে ভাগ করা  হয়, সেগুলি হলো, পুনর্জন্ম, পুনর্গঠন, পুনর্বিচার, পুনরুদ্ধার, পুনর্চিন্তা, পুরনো স্মৃতি মন্থন এবং পুনর্নবীকরণ।

প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। তিনি সর্দার সরোবর প্রকল্পের অন্তর্গত কচ্ছ শাখা ক্যানেলেরও উদ্বোধন করেন। এই ক্যানেলটি কচ্ছ-র ৯৪৮টি গ্রাম ও ১০টি শহরে সেচ ব্যবস্থা ও পানীয় জল সরবরাহে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু অন্যান্য প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে সরহদ ডেয়ারী প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া গান্ধীধামে ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকর কনভেনশন সেন্টার এবং আনজর-এ বীর বাল স্মারক রয়েছে।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi congratulates hockey team for winning Women's Asian Champions Trophy
November 21, 2024

The Prime Minister Shri Narendra Modi today congratulated the Indian Hockey team on winning the Women's Asian Champions Trophy.

Shri Modi said that their win will motivate upcoming athletes.

The Prime Minister posted on X:

"A phenomenal accomplishment!

Congratulations to our hockey team on winning the Women's Asian Champions Trophy. They played exceptionally well through the tournament. Their success will motivate many upcoming athletes."