বনস কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের উদ্বোধন
বানাসকাঁথা’র জেলার দিওদরে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নতুন ডেইরি কমপ্লেক্স এবং আলু প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হয়েছে
পালানপুরের বনস ডেইরি প্ল্যান্টে পনির সামগ্রী এবং ছানা তৈরির পাউডার উৎপাদনের জন্য সম্প্রসারিত সুবিধা
গুজরাটের দামাতে তৈরি হয়েছে জৈব সার ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট
খিমানা, রতনপুরা – ভিলদি, রাধনপুর এবং থাওয়ারে ১০০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি গোবর গ্যাস প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
“গত কয়েক বছরে, বনস ডেইরি স্থানীয় সম্প্রদায়, বিশেষ করে কৃষক ও মহিলাদের ক্ষমতায়ণের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে”
“বানাসকাঁথা যেভাবে কৃষি ক্ষেত্রে ছাপ ফেলেছে তা প্রশংসনীয়। কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে, জল সংরক্ষণের উপর নজর দিয়েছে এবং এর ফলাফল সকলের দেখার মতো”
“বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র গুজরাটের ৫৪ হাজার বিদ্যালয়, ৪.৫ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ১.৫ কোটি শিক্ষার্থীদের শক্তির একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র হয়ে উঠেছে”
“আমি অংশীদারের মতো আপনাদের পাশে থাকব”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বানাসকাঁথা জেলার দিওদরে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে একটি নতুন ডেইরি কমপ্লেক্স এবং আলু প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এই নতুন ডেইরি কমপ্লেক্সটি হল একটি গ্রীণ ফিল্ড প্রকল্প। এখানে প্রায় ৩০ লক্ষ লিটার দুধ প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে। দৈনিক প্রায় ৮০ টন মাখন, ১ লক্ষ লিটার আইসক্রিম, ২০ টন কনডেন্সড মিল্ক (খোয়া) এবং ৬ টন চকোলেট উৎপাদিত হবে। আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্টটি বিভিন্ন ধরণের প্রক্রিয়াজাত আলু পণ্য যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আলুর চিপস, আলু টিক্কি, প্যাটিস ইত্যাদি উৎপাদন করবে। এর মধ্যে অনেকগুলি পণ্যই অন্য দেশে রপ্তানি করা হবে। এই প্ল্যান্টটি স্থানীয় কৃষকদের ক্ষমতায়ণে সাহায্য করবে এবং এই অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। প্রধানমন্ত্রী বনস কমিউনিটি রেডিও স্টেশনটিও এদিন জাতির উদ্দেশে করেন।

এই কমিউনিটি রেডিও স্টেশনটি কৃষকদের কৃষি কাজ ও পশুপালন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে, রেডিও স্টেশনটি প্রায় ১ হাজার ৭০০ গ্রামের ৫ লক্ষেরও বেশি কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলবে। প্রধানমন্ত্রী পালানপুরের বনস ডেইরি প্ল্যান্টে পনির সামগ্রী এবং ছানা তৈরির পাউডার উৎপাদনের জন্য সম্প্রসারিত সুবিধা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এদিন গুজরাটের দামাতে তৈরি জৈব সার এবং বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। পাশাপাশি শ্রী মোদী খিমানা, রতনপুরা – ভিলদি, রাধনপুর এবং থাওয়ারে ১০০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি গোবর গ্যাস প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল। 

অনুষ্ঠানের আগে প্রধানমন্ত্রী বনস ডেইরির সঙ্গে তার যোগসূত্র সম্পর্কে ট্যুইট করেন এবং ২০১৩ ও ২০১৬ সালে তার সফরের ছবি শেয়ার করে নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত কয়েক বছরে, বনস ডেইরি স্থানীয় সম্প্রদায়, বিশেষ করে কৃষক ও মহিলাদের ক্ষমতায়ণে একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ডেইরির উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য আমি বিশেষ করে গর্বিত। এখানে তাদের বিভিন্ন ধরণের পণ্য উৎপাদন করতে দেখা যায়। মধু উৎপাদনের প্রতি তাদের নিরন্তর প্রয়াস প্রশংসনীয়।” শ্রী মোদী, বানাসকাঁথা’র মানুষের প্রচেষ্টা ও উৎসাহর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি বানাসকাঁথা’র মানুষকে তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং স্থিতিস্থাপকতা ক্ষেত্রে উৎসাহের জন্য সাধুবাদ জানাতে চাই। কৃষি ক্ষেত্রে এই জেলা যেভাবে ছাপ ফেলেছে তা প্রশংসনীয়। কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে, জল সংরক্ষণের উপর নজর দিয়েছে এবং এর ফলাফল সকলের দেখার মতো।”

অনুষ্ঠানের ভাষণের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মা অম্বা জির পবিত্র ভূমিকে প্রণাম জানান। তিনি বনসের নারীদের আশীর্বাদের কথা উল্লেখ করেছেন এবং তাদের অদম্য উৎসাহের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, এখানে যেকেউ সরাসরি অনুভব করতে পারেন যে, কীভাবে গ্রামের অর্থনীতি এবং দেশের মা ও বোনেদের ক্ষমতায়ণ শক্তিশালী করা হয়েছে এবং কীভাবে সমবায় আন্দোলন স্বনির্ভর ভারত অভিযানকে শক্তি জুগিয়েছে। কাশীর সাংসদ সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতেও একটি কমপ্লেক্স তৈরির জন্য বনস ডেইরি এবং বানাসকাঁথা’র মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। 

বনস ডেইরির কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বনস ডেইরি কমপ্লেক্স, পনির ও ছানা তৈরির পাউডার প্ল্যান্ট দুগ্ধ ক্ষেত্রের সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ পালন করবে। তিনি বলেন, “বনস ডেইরি প্রমাণ করেছে যে, স্থানীয় কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে অন্য সম্পদ ব্যবহার করা যেতে পারে।” শ্রী মোদী আরও জানান, আলু, মধু উৎপাদন সহ আনুষাঙ্গিক পণ্য কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিচ্ছে। এটি স্থানীয়দের জন্য ভোকাল ফর লোকালের প্রচার চালাচ্ছে। গোবর্ধন ক্ষেত্রে ডেইরি প্রকল্পের প্রশংসা করেন তিনি। সারা দেশে এই ধরণের প্ল্যান্ট তৈরি করে বর্জ্য থেকে সম্পদ রূপান্তরে সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য ডেইরি প্রকল্পগুলির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই প্ল্যান্ট গ্রামগুলিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখবে, গোবর থেকে কৃষকদের আয় হবে, বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে এবং প্রাকৃতিক সারের ব্যবহারে ধরিত্রী রক্ষা পাবে। শ্রী মোদী বলেন, এই ধরণের প্রয়াস আমাদের গ্রাম ও নারীদের শক্তিশালী এবং মাতৃভূমিকে রক্ষা করবে।

গুজরাটের অগ্রগতির জন্য গর্ব প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই কেন্দ্রটি এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আজ এই কেন্দ্র গুজরাটের ৫৪ হাজার বিদ্যালয়, ৪.৫ লক্ষ শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং ১.৫ কোটি শিক্ষার্থীর শক্তির একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এবং বৃহত্তর তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গৃহীত ব্যবস্থার ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরণের প্রকল্পগুলি দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে সুদূর প্রসারী পরিবর্তন আনতে পারে এবং শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট পক্ষ, আধিকারিক ও অন্য রাজ্যগুলিকে এই ধরণের সুবিধাযুক্ত পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান। 

প্রধানমন্ত্রী গুজরাটি ভাষায় বক্তব্য রাখেন। তিনি ফের বনস ডেইরির অগ্রগতির জন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বানাসকাঁথা’র নারীদের প্রতি প্রণাম জানান তিনি। তারা গবাদি পশুকে তাদের সন্তানের মতো দেখাশোনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বানাসকাঁথা’র মানুষের প্রতি তার ভালোবাসার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। শ্রী মোদী বলেন, তিনি যেখানেই যাবেন, তাদের সঙ্গে সবসময় যুক্ত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি অংশীদারের মতো আপনাদের পাশে থাকব।”

তিনি বলেন, বনস ডেইরি দেশে একটি নতুন অর্থনৈতিক শক্তি তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বনস ডেইরি আন্দোলন উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, ওড়িশা, (সোমনাথ থেকে জগন্নাথ), অন্ধ্র প্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে কৃষক ও গবাদি পশু পালকদের বিশেষ সাহায্য করেছে। ডেইরি আজ কৃষকদের আয়ের ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। তিনি বলেন, ৮.৫ লক্ষ কোটি টাকার দুধ উৎপাদন প্রথাগত খাদ্যশস্যের তুলনায় দুগ্ধ চাষীদের আয়ের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি সুবিধা হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সুবিধাভোগীদের কাছে সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে। পূর্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, আগে ১ টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ পয়সা সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে যেতো। 

প্রাকৃতিক চাষের ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বানাসকাঁথা’র জল সংরক্ষণ এবং সেচের জল নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করার কথা স্মরণ করেন। জলকে ‘প্রসাদ’ এবং সোনা হিসেবে বিবেচনা করে ২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের বছরে ৭৫টি প্রধান সরোবর নির্মাণের জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানান তিনি।

 

 

 

 

 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।