প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে দেশে টিকা প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। টিকা প্রস্তুতকারকদের সাফল্য এবং পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেছেন, আমাদের টিকা শিল্পের বৃহত্তম শক্তি হল – সামর্থ, সংশোধন ও সেবা ভাব। এর ফলে, তাঁরা বিশ্বে টিকা উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
আমাদের টিকা প্রস্তুতকারকদের ক্ষমতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রী মোদী বলেছেন, সরকার তাঁদের প্রতি আস্থাশীল, আর তাই পয়লা মে প্রত্যেক সাবালক নাগরিক কোভিডের টিকা পাবেন। আমাদের জনসাধারণ যাতে খুব কম সময়ের মধ্যে টিকা পান, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী টিকা প্রস্তুতকারকদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে অনুরোধ করেছেন। নতুন টিকা উদ্ভাবনে আমাদের বৈজ্ঞানিকদের উদ্যোগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার তিনি প্রশংসা করেছেন।
রেকর্ড সময়ে টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদন করার কৃতিত্ব তাঁদের। শ্রী মোদী বলেছেন, এর ফলে ভারতে যে টিকা তৈরি হচ্ছে তা সবথেকে সস্তা। বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি বর্তমানে ভারতে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদনের এই প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মিশন কোভিড সুরক্ষা’-র আওতায় দেশে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বে কাজ করা হচ্ছে। সমস্ত টিকা প্রস্তুতকারকরা যাতে সব ধরণের সহযোগিতা পান, সরকার তা নিশ্চিত করেছে। টিকার অনুমোদন দ্রুততার সঙ্গে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করা হয়েছে। যে সব টিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে রয়েছে, সেগুলির উদ্ভাবকদের সব ধরণের সহযোগিতা ও অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের বেসরকারি ক্ষেত্র স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। আগামী দিনে টিকাকরণ অভিযানে বেসরকারি উদ্যোগ আরও সক্রিয় ভূমিকা নেবে। এর জন্য হাসপাতাল ও শিল্প সংস্থার মধ্যে আরও উন্নত সমন্বয়ের প্রয়োজন।
টিকা প্রস্তুতকারকরা ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তে এবং সরকার থেকে যে সমস্ত উৎসাহব্যাঞ্জক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়াতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্র যে সহযোগিতা করেছে, তাঁরা তারও প্রশংসা করেছেন। টিকার উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন টিকা নিয়ে গবেষণার বিষয়ে তাঁদের পরিকল্পনা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।