প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী টমাস কাপ ও উবের কাপ জয়ী ভারতীয় দলের ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছেন। খেলোয়াড়রা খেলার নানা দিক এবং খেলার বাইরের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
একজন খেলোয়াড় যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বীকৃতি পান তখন তিনি কতটা গর্বিত বোধ করেন, তা নিয়ে বলেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় দলের অধিনায়কের কাছ থেকে তাঁর নেতৃত্বের ধরন এবং সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চান। শ্রীকান্ত বলেন, ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকেই ভালো খেলছিলেন, তাঁর কাজ ছিল টিম হিসেবে সেরাটা বের করে নেওয়া। বিশ্বের ১ নম্বর এবং টমাস কাপে সোনা জেতার অনুভূতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে শ্রীকান্ত বলেন, এই দুটি মাইলফলকই তাঁর কাছে স্বপ্ন ছিল। এগুলি অর্জন করতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেক দশক পর, ভারতের বিজয় পতাকা ওড়ানোর জন্য আমি সারা দেশের পক্ষ থেকে গোটা দলকে অভিনন্দন জানাই। এটা যথেষ্ট কৃতিত্বের কাজ”।
সাত্ত্বিক সাইরাজ রঙ্কিরেড্ডি গত ১০ দিনের পরিশ্রম ও উচ্ছ্বাসের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দল এখনও জয়ের মুহূর্তগুলির ঘোরে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।
চিরাগ শেট্টি তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেন। অলিম্পিক দলের সদস্য হিসেবে তিনি এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এসেছিলেন, তার স্মৃতিচারণ করেন চিরাগ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় হার আসে, কিন্তু হার শেষ কথা নয়। প্রত্যেকের জীবনে দৃঢ় সংকল্প ও আবেগ থাকা দরকার। যাদের এগুলি আছে, তারা স্বাভাবিকভাবেই জয়ী হবে। এখনও অনেক খেলা বাকি, এখনও অনেক সাফল্যও বাকি। নতুন ভারতকে আর পিছনে রাখা যাবে না। এই জয় ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।
টেলিফোনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘বাল মিঠাই’ আনার জন্য লক্ষ্য সেন-কে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। লক্ষ্য সেন বলেন, যুব অলিম্পিকে জেতার পরও তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এই ধরণের সাক্ষাৎ খেলোয়াড়দের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। টুর্নামেন্ট চলার সময় লক্ষ্য সেনের পেটের গন্ডগোল হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী তার উল্লেখ করে সেব্যাপারে খোঁজখবর নেন।
এইচ এস প্রণয় বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা জিততে পেরে তারা আরও বেশি গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী তাঁর দৃঢ় সংকল্প এবং জয়ের জন্য সর্বস্ব পণ করা মনোভাবের প্রশংসা করেন।
দলের কনিষ্ঠতম সদস্য উন্নতি হুডাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। হরিয়ানায় কীভাবে এত উঁচু মানের খেলোয়াড় তৈরি হয় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে উন্নতি বলেন, দুধ আর দই খাওয়ার জন্য এই ফলাফল। উপস্থিত সবাই তাতে হাসিতে ফেটে পড়েন।
ট্রিসা জলি তাঁর খেলাধুলার পেছনে পরিবারের সাফল্যের উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টমাস কাপ জিতে এই দল দেশে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি করেছে। সাত দশকের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। প্রতিটি ব্যাডমিন্টন প্রেমী যে স্বপ্ন দেখেছিলেন এই খেলোয়াড়রা তা পূরণ করেছেন।
উবের কাপের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদর মহিলা দলও বার বার তাদের নৈপুণ্য দেখিয়েছে। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা – এবার না হলেও পরের বার নিশ্চই আমরা জিতব।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এই সাফল্য প্রতিটি ভারতীয়কে গর্বিত করেছে। এখনও নতুন ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি হল ‘আমিও পারি’। চাপের শিকার না হয়ে চাপকে শক্তিতে পরিবর্তিত করে তা থেকে উৎসাহ পেতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
অলিম্পিক, প্যারালিম্পিক ও ডেফলিম্পিকের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৭-৮ বছরে আমাদের খেলোয়াড়রা নতুন নতুন নজির গড়ছেন। “ভারতের ক্রীড়া ইতিহাসে এ এক সোনালী অধ্যায়, আপনাদের মতো খেলোয়াড়রাই এর লেখক। আমাদের এই গতি আব্যাহত রাখতে হবে”। প্রধানমন্ত্রী দেশের খেলোয়াড়দের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
Interacted with our badminton champions, who shared their experiences from the Thomas Cup and Uber Cup. The players talked about different aspects of their game, life beyond badminton and more. India is proud of their accomplishments. https://t.co/sz1FrRTub8
— Narendra Modi (@narendramodi) May 22, 2022