প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ স্টার্টআপ সংস্থা গুলির সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছেন ও স্টার্টআপ ইন্ডিয়া আন্তর্জাতিক সম্মেলন 'প্রারম্ভ'- এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দিয়েছেন। বিআইএমএসটিইসি- ভুক্ত দেশ গুলির মন্ত্রীরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর, শ্রী পীযূষ গোয়েল এবং শ্রী সোমপ্রকাশ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, স্টার্টআপ সংস্থাগুলি আজকের ব্যবসায় ডেমোগ্রাফিক বৈশিষ্ট্য গুলি পরিবর্তন করছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, ৪৪ শতাংশ স্বীকৃত স্টার্টআপ সংস্থাগুলিতে মহিলা পরিচালক রয়েছে এবং সেখানে মহিলাদের কাজ করার সংখ্যা খুব বেশি। একইভাবে ৪৫ শতাংশ স্টার্টআপ সংস্থাগুলি শহরগুলিতে স্থানীয় স্তরে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করে। প্রতিটি রাজ্য স্থানীয়ভাবে সম্ভাবনা অনুযায়ী স্টার্টআপ সংস্থা গুলিকে সমর্থন করেছে। দেশের ৮০ শতাংশ জেলা এখন স্টার্টআপ ইন্ডিয়া মিশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই ব্যবস্থায় যুবকরা তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে সম্যক ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনি কোন কাজ করেন না কেন, এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। আমাদের সামনে এখন রয়েছে স্টার্টআপ। কাজের জায়গা রয়েছে তাহলে কেন নিজের স্টার্টআপ তৈরি করবেন না।' তিনি বলেন, ২০১৪ সালে কেবল ৪ টি ভারতীয় স্টার্টআপ সংস্থা ' ইউনিকর্ন ক্লাব'-এর মধ্যে ছিল। বর্তমানে ৩০ টির বেশী স্টার্টআপ সংস্থা এক বিলিয়ন মার্ক করেছে।
করোনার সময় কালে ২০২০ সালে ১১ টি স্টার্টআপ সংস্থা ' ইউনিকর্ন ক্লাব'- এ প্রবেশ করার বিষয়টির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আত্মনির্ভরতাই সংকট কালে তাদের সবকিছু মোচন করেছে। স্যানিটাইজার, পিপিই কিট এবং ওই জাতীয় দ্রব্য সরবরাহের ক্ষেত্রে স্টার্টআপ সংস্থাগুলির বড় ভূমিকা ছিল। স্থানীয় সমস্যা নিরসনে যেমন, মুদিখানার দ্রব্য বা দোরগোড়ায় ওষুধ সরবরাহ কিংবা সামনের সারির শ্রমিকদের পরিবহন এবং অনলাইন স্টাডি মেটেরিয়াল এর মত স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতে স্টার্টআপ সংস্থাগুলি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রারম্ভ-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, বিআইএমএসটিইসি- ভুক্ত দেশগুলির এই প্রথম স্টার্টআপ কনক্লেভ-এর আয়োজন করা হয়েছে। স্টার্ট অফ ইন্ডিয়া মুভমেন্ট আজ তার পাঁচ বছর সফলভাবে পূর্ণ করেছে। আজ ভারত বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ দেশ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এই দিনটি দেশের যুবক, বিজ্ঞানী, উদ্যোগপতি এবং কঠোর পরিশ্রম কারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাক্ষী হিসেবে চিহ্নিত হয় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিআইএমএসটিইসি- ভুক্ত দেশগুলি যেমন বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে স্টার্টআপ সংস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই শতাব্দীতে ডিজিটাল বিপ্লব এবং আধুনিক যুগে নতুনত্বের এক শতাব্দী। এইসব অঞ্চলে উপযুক্ত প্রযুক্তি সহকারে উদ্যোগ পতিদের এগিয়ে আসা উচিত। এ বিষয়ে বিআইএমএসটিইসি- ভুক্ত দেশ গুলির অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী এদিন 'ইভোলিউশন অফ স্টার্টআপ ইন্ডিয়া'নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন। যেখানে গত পাঁচ বছরে স্টার্টআপ ক্ষেত্র সম্পর্কে উল্লেখিত রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ৪১ হাজার স্টার্টআপ রয়েছে। এরমধ্যে ৫৭০০ টি তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। এছাড়া ৩৬০০ টি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্র এবং ১৭০০ টি কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী উদাহরণ স্বরূপ ভীম ইউপিআই এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এই অ্যাপের মাধ্যমে কেবলমাত্র ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ৪ লক্ষ্ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন স্টার্ট আপ ইন্ডিয়ার জন্য এক হাজার কোটি টাকার প্রারম্ভিক মূলধনের কথা ঘোষণা করেন।