স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ ভারতের বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা ও পরিকল্পনা গড়ে তুলতে আজাদি কা মহোৎসব নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
শারীরিক, প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমান বিশ্বে কমে যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে আমাদের রপ্তানির প্রসার ঘটানোর নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
আমাদের অর্থনীতির আয়তন এবং তার সম্ভাবনাকে বিচার করে উৎপাদন ও পরিষেবা শিল্পকে ভিত্তি করে রপ্তানির প্রসার ঘটানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
আমাদের উৎপাদন ক্ষেত্রের আয়তন উৎসাহ-ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করছে, একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতেও তা সহায়ক হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
পুরনো কর ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ভারত যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার মাধ্যমে আমাদের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হচ্ছে, বিভিন্ন নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে এবং বিনিয়োগকারীদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে ভারত শুধু নতুন নতুন সম্ভাবনার দরজাই তাঁদের জন্য খুলে দিচ্ছে না, এ দেশের নির্ণায়ক সরকারের সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালনের ইচ্ছা রয়েছে :
আমাদের উৎপাদন ক্ষেত্রের আয়তন উৎসাহ-ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করছে, একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতেও তা সহায়ক হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
আমাদের অর্থনীতির আয়তন এবং তার সম্ভাবনাকে বিচার করে উৎপাদন ও পরিষেবা শিল্পকে ভিত্তি করে রপ্তানির প্রসার ঘটানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
শারীরিক, প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমান বিশ্বে কমে যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে আমাদের রপ্তানির প্রসার ঘটানোর নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশে ভারতীয় মিশনের প্রধানদের সঙ্গে এবং শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেছেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী ও বিদেশ মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। ২০টির বেশি দপ্তরের সচিব, বিভিন্ন রাজ্যের আধিকারিক, রপ্তানি উৎসাহ পরিষদের সদস্যরা এবং শিল্প ও বাণিজ্য মহলের প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনের এই সময়কালে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সাযুজ্য রেখে এখন নতুন সুযোগ গড়ে তোলার সময় এসেছে। বিদেশে আমাদের রপ্তানির চাহিদা বাড়াতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ শারীরিক, প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক যোগাযোগ সারা বিশ্বজুড়ে কমে আসছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের রপ্তানির প্রসার ঘটাতে পৃথিবীর সর্বত্র নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে হবে। এ কাজে সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্যোগের তিনি প্রশংসা করেন। রপ্তানির জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে তা পূরণে যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তিনি তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেন, অতীতে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের সর্বোচ্চ অংশীদারিত্বের কারণ ছিল শক্তিশালী ব্যবসা-বাণিজ্য এবং রপ্তানি। তিনি বিশ্ব অর্থনীতিতে আমাদের পুরনো অংশীদারিত্বকে আবারও ফিরে পেতে রপ্তানিকারকদের ভূমিকার ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী কোভিড-পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে যে পরিবর্তন এসেছে সেই সুযোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান। আমাদের অর্থনীতির আয়তন এবং সম্ভাবনা বিচার করে, উৎপাদন ও পরিষেবা শিল্পের সাহায্যে ভারতের রপ্তানির প্রসারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, যখন দেশ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের দিকে এগিয়ে চলেছে, তখন রপ্তানি বাণিজ্যে ভারতের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ যাতে আমরা পাই সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। শ্রী মোদী বলেন, আমাদের শিল্পকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার, উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব এবং গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে আমাদের অংশীদারিত্ব বাড়বে। প্রতিযোগিতা ও উৎকর্ষের বিষয়ে উৎসাহদানের পাশাপাশি প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হবে।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রপ্তানির প্রসার ঘটানোর জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। আমাদের দেশে উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আর তাই, প্রতিযোগিতামূলক গুণমানের দিকটি বিবেচনা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, পরিবহণ এবং লজিস্টিকের বিভিন্ন সমস্যাকে দূর করার জন্য কেন্দ্র, রাজ্য ও বেসরকারি অংশীদারদের একযোগে কাজ করতে হবে। তৃতীয়ত, সরকারকে রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে। সর্বশেষে, ভারতীয় পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাজার বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, যখন এই চারটি বিষয় বাস্তবায়িত হবে, তখনই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র যে লক্ষ্য ধার্য হয়েছে তা পূরণ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশে সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে একযোগে এগিয়ে চলেছে। শিল্প-বাণিজ্যের চাহিদাগুলি বোঝার চেষ্টা করছে। অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে উৎসাহদানের জন্য সরকার কি কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আলোচনার সময় তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন নিয়মকানুন শিথিল করা হয়েছে এবং ৩ লক্ষ কোটি টাকার একটি জরুরিভিত্তিক মূলধন নিশ্চয়তা প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প আমাদের উৎপাদন শিল্পের প্রসারই ঘটাচ্ছে না, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরিতে উৎসাহ যোগাচ্ছে এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করছে। এর ফলে, আত্মনির্ভর ভারতের নতুন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। উৎপাদন এবং রপ্তানি শিল্পে দেশকে শ্রেষ্ঠ হতে হবে। কিভাবে উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প মোবাইল ফোন উৎপাদনে নতুন যুগের সূচনা করেছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। সাত বছর আগে আমরা ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের মোবাইল ফোন আমদানি করতাম। বর্তমানে তা কমে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সাত বছর আগে ভারত ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের মোবাইল ফোন রপ্তানি করত, এখন তা বেড়ে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্যের সরকার দেশে লজিস্টিকের সময় এবং ব্যয় কমাতে উদ্যোগী হয়েছে। এর জন্য বহুপাক্ষিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মহামারীর বিরূপ প্রভাব কমাতে সরকার প্রতি মুহূর্তে সচেষ্ট। ভাইরাসের সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। দেশে আজ টিকাকরণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশবাসীর এবং শিল্প সংস্থাগুলির সব সমস্যা পূরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদী জানান, আমাদের শিল্প ও বাণিজ্য জগৎ এই সময়ে নানা উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগ নিয়েছে যার মাধ্যমে তারা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার সময়ে শিল্প সংস্থাগুলি সাহায্য করছে। আজ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে নতুন নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর তাই আমাদের ওষুধ শিল্পের সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রও রপ্তানির জগতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে যা অর্থনীতির বিকাশে সহায়ক হবে। তাই বলা যায় রপ্তানির জন্য নতুন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে সেটি অর্জনের এটি ভালো সময়। সরকার এই লক্ষ্য অর্জনের প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের রপ্তানিকারকদের সাহায্যের জন্য ৮৮ হাজার কোটি টাকার বীমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইভাবে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি আমাদের রপ্তানি ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়াতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পুরনো কর ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ভারত যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার মাধ্যমে আমাদের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হচ্ছে, বিভিন্ন নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে এবং বিনিয়োগকারীদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে ভারত শুধু নতুন নতুন সম্ভাবনার দরজাই তাঁদের জন্য খুলে দিচ্ছে না, এ দেশের নির্ণায়ক সরকারের সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালনের ইচ্ছা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে, বিভিন্ন সংস্কারকে বাস্তবায়িত করতে, বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে, সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি করতে এবং দেশের সর্বত্র পরিকাঠামো গড়ে তুলতে রাজ্যগুলির ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন নিয়মের বাধ্যবাধকতা কমাতে কেন্দ্র রাজ্যগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে যাতে রপ্তানি এবং বিনিয়োগ দুই-ই বাড়ানো যায়। রাজ্যগুলির মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা গড়ে তুলতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে, রাজ্যগুলি রপ্তানির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। একটি জেলায় নির্দিষ্ট একটি পণ্য উৎপাদনে রাজ্যগুলিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি সর্বাঙ্গীণ ও বিস্তারিত পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে রপ্তানি ক্ষেত্রে আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। বর্তমানে যে পরিমাণ রপ্তানি হয় তার পরিমাণ আরও বাড়াতে, বিশ্বজুড়ে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে এবং নতুন নতুন পণ্যের জন্য নতুন গন্তব্য গড়ে তুলতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানিয়েছে। বর্তমানে আমাদের রপ্তানির প্রায় অর্ধেক মাত্র চারটি জায়গায় পৌঁছয়। একইভাবে, আমাদের রপ্তানির ৬০ শতাংশ হল ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী, রত্নালঙ্কার, পেট্রোপণ্য, রাসায়নিক পণ্য এবং পেট্রো-রাসায়নিক পণ্য। তিনি রপ্তানিকারকদের পরামর্শ দেন, নতুন নতুন গন্তব্য খুঁজে সেখানে নতুন নতুন সামগ্রী পৌঁছে দিতে। খনি, কয়লা, প্রতিরক্ষা, রেলশিল্পকে মুক্ত করে দেওয়ায় আমাদের শিল্পোদ্যোগীরা রপ্তানির আরও বেশি সুযোগ পাবেন।
রাষ্ট্রদূত, বিদেশ দপ্তরের আধিকারিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁরা যে দেশে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেখানকার চাহিদাগুলি ভালো করে বুঝতে। এর ফলে শিল্প-বাণিজ্যের সঙ্গে এইসব আধিকারিকরা সেতুবন্ধনের কাজ করবেন। বিভিন্ন দেশের ইন্ডিয়া হাউজগুলিকে ভারতের উৎপাদন শিল্পের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রককে শ্রী মোদী অনুরোধ করেছেন, আমাদের রপ্তানিকারক ও মিশনগুলির মধ্যে অবিরত যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রপ্তানি থেকেই আমাদের অর্থনীতি সবথেকে বেশি লাভবান হবে। তাই, দেশের মধ্যেও একটি উন্নতমানের সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তুলতে হবে। এ কারণে আমাদের নতুন নতুন সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব তৈরি করতে হবে। আমাদের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী, কৃষক, মৎস্যজীবীদের সঙ্গে রপ্তানিকারকদের অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি শ্রী মোদী দেশের নতুন উদ্যোগ বা স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির মানোন্নয়নে তাদের সাহায্য করার পরামর্শ দিয়েছেন।
গুণমান ও ভরসা নতুন ভারতের পরিচয় হয়ে উঠুক এই পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের উচ্চ গুণমানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রীর একটি চাহিদা পৃথিবীর সর্বত্র গড়ে তুলতে হবে। তিনি শিল্প সংস্থা ও রপ্তানিকারকদের আশ্বস্ত করে জানান, সরকার তাদের সব রকমের সহযোগিতা করবে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে অংশ নিয়ে শিল্প সংস্থাগুলিকে সমৃদ্ধশালী ভারত গড়ে তুলতে হবে।
বিদেশ মন্ত্রী শ্রী এস জয়শঙ্কর এই অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, স্থানীয় পণ্যকে বিশ্বের বাজারে পাঠানোর পাশাপাশি ভারতীয় মিশনগুলিকে আমাদের উৎপাদকদের বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করতে হবে যাতে নির্দিষ্ট দেশে নির্দিষ্ট পণ্যসামগ্রীর চাহিদা দেখা যায়। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, বিশ্ব পরিস্থিতি ভারতের পক্ষে এখন যথেষ্ট সুবিধাজনক আর আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক ও তুলনাত্মক বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে।
ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে বিভিন্ন দেশে ভারতীয় মিশনের প্রধানরা নানা পরামর্শ দিয়েছেন। নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক চাহিদার কথা উল্লেখ করে উন্নতমানের পণ্যসামগ্রী, সরবরাহ শৃঙ্খলের বৈচিত্র্য এবং নির্ভরযোগ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর তাঁরা জোর দিয়েছেন। একইসঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। নতুন নতুন বাজার খোঁজা, নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট পণ্যসামগ্রীর চাহিদা তৈরি করার পাশাপাশি যেখানে ভারত ভালো রপ্তানি করছে সেখানে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
25% of India under forest & tree cover: Government report

Media Coverage

25% of India under forest & tree cover: Government report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 ডিসেম্বর 2024
December 21, 2024

Inclusive Progress: Bridging Development, Infrastructure, and Opportunity under the leadership of PM Modi