Published By : Admin |
October 2, 2020 | 18:21 IST
Share
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বৈশ্বিক ভারতীয় বৈজ্ঞানিক (বৈভব) সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। ভার্চুয়াল এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশ – বিদেশের ভারতীয় গবেষক ও শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করছেন। সম্মেলনে উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি উৎসাহ তৈরি করতে এই সময়ের প্রয়োজন। একারণে আমাদের ইতিহাসের বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ইতিহাসের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণার দরকার।” শ্রী মোদী বলেছেন, “২০২০’র বৈভব সম্মেলন ভারত এবং বিশ্বের বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনকে উদযাপিত করছে। আমি এটিকে মহান চিন্তাবিদদের প্রকৃত মিলনস্থল বলে মনে করি। এই আয়োজনে আমরা একসঙ্গে বসে ভারতের ক্ষমতায়নের এবং আমাদের গ্রহের উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করব।”
শ্রী মোদী বলেছেন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে কেন্দ্র বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, কারণ আর্থসামাজিক পরিবর্তনের জন্য বিজ্ঞানের প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন রোগের টিকা উদ্ভাবন ও টিকাকরণ কর্মসূচীর বাস্তবায়নে ভারতের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, টিকা তৈরি করতে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করার অবসান হয়েছে। ২০১৪ সালে আমাদের টিকাকরণ কর্মসূচীতে ৪টি নতুন টিকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত রোটা টিকাও রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করার উচ্চাকাঙ্খী উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্ব থেকে এই রোগ ২০৩০ সালে দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে – অর্থাৎ ভারত, ৫ বছর আগেই লক্ষ্য পূরণ করবে।
শ্রী মোদী, ২০২০’র জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। দেশজুড়ে বিস্তারিতভাবে আলাপ-আলোচনার পর ৩ দশক বাদে নতুন একটি শিক্ষানীতি আনা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় গতি আনতে এবং বিজ্ঞানের প্রতি কৌতূহল বাড়াতে এই নীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তরুণ মেধাবীদের বিপুল কাজের পরিবেশ তৈরি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে ভারতে মহাকাশ ক্ষেত্রের সংস্কারের কথা উল্লেখ করেছেন। এই সংস্কার শিল্প সংস্থা ও শিক্ষা জগতের কাছে নতুন সুযোগ এনে দেবে।
লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্রাভিটেশনাল – ওয়েব অবজারভেটরি, সিইআরএন এবং ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমন্টাল রিয়েক্টর (আইটিইআর) সংস্থাগুলিতে ভারতের অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উন্নয়নের উদ্যোগে ক্ষেত্রে গুরুত্বের কথা বলেছেন।
শ্রী মোদী সুপার কম্পিউটিং ও সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেমস-এ ভারতের উদ্যোগের কথাও জানান। কৃত্রিম মেধা, রোবোটিক্স, সেনসার এবং বিগ ডেটা অ্যানালাইসিস –এর মতো ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা ও সেগুলির প্রয়োগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এর ফলে ভারতে নতুন উদ্যোগ এবং উৎপাদন শিল্পে জোয়ার আসবে।
তিনি জানান, ইতিমধ্যেই দেশে ২৫টি উদ্ভাবনী প্রযুক্তির হাব কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে কিভাবে নতুন উদ্যোগের গতি আসবে শ্রী মোদী তাঁর বক্তব্যে সেবিষয়টিও জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, কৃষকদের সাহায্য করার জন্য দেশ উন্নতগুণমান সম্পন্ন গবেষণায় উৎসাহী। ডাল শস্য এবং খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে তিনি ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যখন ভারতের উন্নতি হবে, তখন বিশ্বের প্রগতি আসবে।
শ্রী মোদী বলেছেন, বৈভব সকলের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলার একটি বড় সুযোগ গড়ে তুলেছে। যখন ভারতের সমৃদ্ধি হবে তখন বিশ্বেরও উন্নতি হবে। বৈভবকে উন্নত চিন্তা-ভাবনার সঙ্গম বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই উদ্যোগের ফলে আদর্শ গবেষণার পরিবেশ তৈরি হবে এবং সমৃদ্ধির জন্য ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটবে। এই আদান – প্রদানকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,এর ফলে শিক্ষা জগতের এবং গবেষণার মধ্যে যৌথ উদ্যোগ গড়ে উঠবে। একটি আদর্শ গবেষণা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বৈজ্ঞানিক এবং গবেষকদের উদ্যোগী হতে হবে।
বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের দেশের সর্বোৎকৃষ্ট রাষ্ট্রদূত বলে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী প্রজন্মে জন্য নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ-এর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এই সম্মেলন সাহায্য করবে। উন্নত বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে আমাদের কৃষকদের যাতে সুবিধে হয়, ভারত সেটি নিশ্চিত করতে চায়।
বৈভব সম্মেলনে ৫৫টি দেশের ৩০০০ এর বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিক্ষাবিদ এবং বৈজ্ঞানিক যোগ দেবেন। ভারতের ১০,০০০ শিক্ষাবিদ এবং বৈজ্ঞানিক এই সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করবেন। কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার নেতৃত্বে ২০০টি ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ৪০টি দেশের প্রায় ৭০০ আলোচনাকারী এবং দেশের শিক্ষা জগতের ৬২৯ জন শিক্ষাবিদ ১৮টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২১৩টি অধিবেশনে ৮০টি বিষয়ে আলোচনা করবেন।
তেসরা অক্টোবর থেকে ২৫শে অক্টোবর পর্যন্ত মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ২৮শে অক্টোবর সব আলোচনার ওপর ভিত্তি করে একটি সারাংশ তৈরি হবে। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মদিন ৩১শে অক্টোবর এই সম্মেলন শেষ হবে। দেশ – বিদেশের বিশেষজ্ঞরা এক মাস ধরে ওয়েবিনার এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বহু পাক্ষিক আলোচনা চালাবেন।
গণনা বিদ্যা, বৈদ্যুতিন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, কোয়ান্টাম টেকনোলজি, ফটোনিক্স, বিমান চলাচল সংক্রান্ত প্রযুক্তি, চিকিৎসা শাস্ত্র, জৈব প্রযুক্তি, কৃষি, প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি, উন্নত উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, ভূবিজ্ঞান, শক্তি, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং পরিচালন ব্যবস্থাপনা নিয়ে এই সম্মেলনে আলাপ – আলোচনা হবে।
সারা বিশ্বের উন্নতির জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় গবেষক এবং বিশেষজ্ঞরা এই সম্মেলনে একটি সর্বাঙ্গীন পরিকল্পনা রচনা করবেন। দেশ – বিদেশের শিক্ষাবিদ এবং বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে এই সম্মেলনে সহযোগিতার প্রতিফলন দেখা যাবে।
মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা অধ্যাপক কে. বিজয় রাঘবন এবং গণনা বিদ্যা এবং যোগাযোগ, সোনো কেমিস্ট্রি, উচ্চশক্তি সম্পন্ন পদার্থ বিদ্যা, উৎপাদন ক্ষেত্রের প্রযুক্তি, পরিচালনগত ব্যবস্থাপনা, ভূবিজ্ঞান, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রোবায়োলজি, তথ্য প্রযুক্তির নিরাপত্তা, ন্যানো মেটেরিয়ালস, স্মার্ট ভিলেজ এবং গণিত শাস্ত্র নিয়ে কাজ করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল এবং সুইজারল্যান্ডের ১৬জন বিশেষজ্ঞ উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
I would like to thank the scientists who offered their suggestions & ideas today.
You have brilliantly covered many subjects.
Most of you highlighted the importance of greater collaboration between Indian academic & research ecosystem with their foreign counterparts: PM