“In the Indian agricultural tradition, priority has been given to science and logic”
“India has a robust system of agriculture education and research based on its heritage”
“India is a food surplus country today”
“There was a time when India’s food security was a global concern, today India is providing solutions for global food and nutrition security”
“India is committed to global welfare as a ‘Vishwa Bandhu’”
“Challenges before sustainable agriculture and food systems can only be tackled under the holistic approach of ‘One Earth, One Family and One Future’”
“Small farmers are the biggest strength of India’s food security”

নয়াদিল্লির জাতীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে (এনএএসসি) আয়োজিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের আজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বছরের সম্মেলনের মূল থিমটি হল – ‘নিরন্তর কৃষি খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের লক্ষ্যে’। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয় ও ক্ষয়ক্ষতি, উৎপাদন মূল্য বৃদ্ধি এবং নানা ধরনের সংঘাত ও সংঘর্ষজনিত পরিস্থিতির মুখে কৃষি ব্যবস্থাকে কিভাবে নিরন্তর একটি উৎপাদন প্রচেষ্টায় রূপান্তরিত করা যায়, সেই লক্ষ্যেই আয়োজিত এবারের সম্মেলন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৭৫টি দেশের এক হাজার জনের মতো প্রতিনিধি এবারের সম্মেলন যোগ দিয়েছেন।

দীর্ঘ ৬৫ বছর পর এই প্রথমবার ভারতে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ১২০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে বিশ্ব প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন যে ভারতের কৃষি পরম্পরায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে যুক্ত করার বিষয়টি বিশেষভাবে অগ্রাধিকার পেয়েছে। খাদ্যের ওষধি গুণের পেছনে যে সার্বিকভাবে বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে, একথাও তিনি উল্লেখ করেন তাঁর এদিনের ভাষণে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার বছরের প্রাচীন দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গীকে অনুসরণ করে কৃষি ব্যবস্থা ক্রমশ গড়ে উঠেছে। এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রায় ২ হাজার বছরের প্রাচীন ‘কৃষি পরাশর’-এরও তিনি উল্লেখ করেন। ভারতে কৃষি-শিক্ষা ও গবেষণার যে ভালরকম ব্যবস্থা রয়েছে, একথাও এদিন স্পর্শ করে যায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদের আওতায় রয়েছে ১০০টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান যে কৃষি-শিক্ষার জন্য দেশে ৫০০টিরও বেশি কলেজ এবং ৭০০-রও বেশি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র রয়েছে।

 

ভারতে কৃষি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ছ’টি ভিন্ন ভিন্ন ঋতুর প্রাসঙ্গিকতার দিকটি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনের স্বার্থে ১৫টি কৃষি জলবায়ু অঞ্চল গড়ে উঠেছে। সমতলই হোক, হিমালয়ের মতো পার্বত্য অঞ্চলেই হোক কিংবা মরুভূমিতে, কৃষি বৈচিত্র্য সব সময়েই দেশের খাদ্য নিরাপত্তার পক্ষে একান্ত জরুরি একটি বিষয়। ভারতের এই অনুপম বৈশিষ্ট্যের ফলে আমাদের দেশ বিশ্বের কাছে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক আলোকবর্তিকা বিশেষ বললেও অত্যুক্তি হয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে এর আগে শেষ আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৬৫ বছর আগে। ভারত তখন ছিল একেবারে নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্ত একটি দেশ। সুতরাং ওই সময়টি ছিল ভারতের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার পক্ষে সমস্যাবহুল একটি সময়কাল। কিন্তু বর্তমানে খাদ্যোৎপাদনের দিক দিয়ে ভারত অনেকটাই এগিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, অনেক সময়েই আমাদের খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এছাড়াও দুধ, ডাল, মশলা ইত্যাদি উৎপাদনের দিক থেকেও ভারত রয়েছে প্রথম সারিতে। খাদ্যশস্য, ফলমূল, শাকসবজি, তুলো, চা, চিনি এবং মৎস্যচাষের দিক থেকেও ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক দেশ হিসেবে এক বিশেষ আসন দখল করে রয়েছে। ভারতে এক সময় খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি ছিল যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে উঠে ভারতই বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশকে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার সঠিক পথ দেখাতে পেরেছে। এই কারণে খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর প্রচেষ্টা সম্পর্কে আলোচনাকালে ভারতের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের বিষয়টি যথেষ্ট মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ। 

‘বিশ্ববন্ধু’ হিসেবে বিশ্ব কল্যাণে ভারত যে অঙ্গীকারবদ্ধ, একথাও এদিন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব কল্যাণের লক্ষ্যে ভারতের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সর্বদাই বিশ্বাস করে যে আমাদের রয়েছে ‘একটিমাত্র পৃথিবী, আমরা সকলে একই পরিবারভুক্ত এবং আমাদের সকলেরই ভবিষ্যৎ হল এক ও অভিন্ন’। ভারতের ‘মিশন লাইফ’ এবং ‘একটিই বিশ্ব সংসার, একই সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ – এই দুটি কর্মসূচির কথাও এদিন প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কারণে নিরন্তর কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতের ‘এক অভিন্ন বিশ্ব, এক অভিন্ন পরিবার এবং এক অভিন্ন ভবিষ্যৎ’ – এই আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে।

 

শ্রী মোদী বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে যে সমস্ত নীতি রচিত হয়েছে তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কৃষি তথা কৃষি ব্যবস্থা। ভারতের ৯০ শতাংশেরও বেশি ক্ষুদ্র কৃষকরাই হলেন খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে ভারতের বৃহত্তম শক্তি। এশিয়ার আরও কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশে ভারতের এই কৃষি নীতিকে অনুসরণ করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে রাসায়নিকমুক্ত প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির ইতিবাচক ফল আমরা ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করেছি। তাই, বর্তমান বছরের বাজেটে নিরন্তর এবং সকল রকমের জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থার ওপর আমরা গুরুত্ব আরোপ করেছি। যে কোনরকম আবহাওয়ায় শস্যের ফলন যাতে সম্ভব হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা জোর দিয়েছি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার ওপর। গত ১০ বছরে ১৯টিরও বেশি এমন খাদ্যশস্যের বীজ কৃষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে যেগুলির সাহায্যে যে কোন ধরনের আবহাওয়াতেই ফলন উৎপাদন সম্ভব। যেমন ভারতে এমন বেশ কিছু প্রজাতির ধান রয়েছে যার উৎপাদনে অন্যান্য প্রজাতির ধানের তুলনায় জলের প্রয়োজন পড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ কম। এইভাবেই আমরা উৎপাদন করতে পেরেছি ‘ব্ল্যাক রাইস’ যা ইতিমধ্যেই ‘সুপার ফুড’-এর তকমা লাভ করেছে। মণিপুর, আসাম এবং মেঘালয়ে উৎপাদিত ব্ল্যাক রাইস ভেষজ গুণসম্পন্ন হওয়ায় ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই কারণেই ভারত তার কৃষি অভিজ্ঞতা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করতে সর্বদাই আগ্রহী। 

ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থায় যেভাবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ সফল হয়ে উঠেছে, সে সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব প্রতিনিধিদের আজ অবহিত করেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পর্কিত কার্ড, সৌরশক্তির সাহায্যে কৃষি পদ্ধতি, ডিজিটাল কৃষি বিপণন ব্যবস্থা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান যে গত ১০ বছরে দেশের ৯০ লক্ষ হেক্টর জমিকে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইথানল ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের কৃষি পরিবেশ যেভাবে উন্নত হয়ে উঠেছে, তাও এক দৃষ্টান্ত বলে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

 

ভারতের কৃষি ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র কথা। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় ১০ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থ হস্তান্তর সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের শস্য সম্পর্কে সমীক্ষা চালানোর লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছে সরকারি ডিজিটাল পরিকাঠামো। এর মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্যের যোগান দেওয়া সম্ভব। ফলে, ভারতের কোটি কোটি কৃষিজীবী মানুষ তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও উন্নত করতে পেরেছেন। 

 

পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আজকের এই সম্মেলনে আমরা একদিকে যেমন একে অন্যের কাছে জ্ঞান ও শিক্ষালাভ করব, অন্যদিকে তেমনই পরস্পরকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে সাহায্য করব। 

 

আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষককল্যাণ মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ, সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক মাটিন কোয়েম এবং আইসিএআর-এর সেক্রেটারি তথা ডিজি ডঃ হিমাংশু পাঠক।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

 

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।