প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ মোদী আজ পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেছেন। তিনি সুলতানপুর জেলার এক্সপ্রেসওয়েতে নির্মিত ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এয়ারস্ট্রিপের এয়ারশোও প্রত্যক্ষ করেছেন।
সমাবেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন বছর আগে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় তিনি কল্পনাও করেননি যে একদিন এই এক্সপ্রেসওয়েতে অবতরণ করতে পারবেন। তিনি বলেন, “এই এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত গতিতে একটি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে, এই এক্সপ্রেসওয়ে উওর প্রদেশের উন্নয়নের দিশারি, এই এক্সপ্রেসওয়ে একটি নতুন উত্তরপ্রদেশ গড়ে তুলবে, এই এক্সপ্রেসওয়ে হল উওর প্রদেশের-তে আধুনিক সুবিধার প্রতিফলন, তারই প্রমাণ। এটি উত্তরপ্রদেশর গর্ব ও বিস্ময়।"
দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য উন্নয়নে ভারসাম্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। কিছু এলাকা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, আর কিছু এলাকা কয়েক দশক ধরে পিছিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, এই বৈষম্য কোনো দেশের জন্যই ভালো নয়। তিনি বলেন যে ভারতের পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের এত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, দেশে যে উন্নয়ন ঘটছে তার থেকে খুব বেশি সুবিধা পায়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের সরকার যেভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল, তারা উত্তরপ্রদেশর সার্বিক উন্নয়নে দৃষ্টি দেয়নি। তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন যে, পূর্ব উত্তর প্রদেশে আজ উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায় লেখা হতে চলেছে।
পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, তাঁর দল এবং উত্তরপ্রদেশের জনগণের প্রশংসা করেছেন। এই প্রকল্পের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি। শ্রী মোদী এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশংসা করেন।
সমৃদ্ধির মতো দেশের নিরাপত্তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সময় যুদ্ধবিমানের জন্য জরুরি অবতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন এই বিমানগুলির গর্জন হবে তাদের জন্য, যারা কয়েক দশক ধরে দেশের প্রতিরক্ষা পরিকাঠামোকে উপেক্ষা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন যে, গঙ্গা এবং অন্যান্য নদীর আশীর্বাদধন্য এত বিশাল এলাকা থাকা সত্ত্বেও, ৭-৮ বছর আগে পর্যন্ত এখানে কোনও উন্নয়ন হয়নি। শ্রী মোদী বলেন, ২০১৪ সালে দেশ তাকে দেশ সেবা করার সুযোগ দিলে, তিনি উওর প্রদেশের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি গরিবদের পাকা ঘর, দরিদ্র ও মহিলাদের জন্য শৌচালয় এবং প্রত্যেকের বাড়িতে বিদ্যুৎ ও নানান ধরনের কর্মসংস্থানের বিষয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন। বিগত সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন ইউপিএ সরকার এই সুযোগ-সুবিধা প্রদানে তাকে সমর্থন না করায় তিনি গভীরভাবে ব্যথিত। তিনি বলেন যে "উওর প্রদেশের জনগণ সরকারকের কাছে জবাব চেয়েছিল এবং সেখানকার জনগণের সঙ্গে অন্যায় আচরণ, উন্নয়নে বৈষম্য এবং তৎকালীন সরকার যেভাবে তাদের পরিবারের স্বার্থ রক্ষা করেছিল তার জন্য সেই সরকারকে অপসারণ করেছিলেন।"
প্রধানমন্ত্রী জানতে চান উওর প্রদেশে আগে কি ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি ছিল এবং চিকিৎসার সুবিধার কি অবস্থায় ছিল, তা কে ভুলতে পারে। তিনি বলেন, গত সাড়ে চার বছরে পূর্ব হোক বা পশ্চিম, হাজার হাজার গ্রাম নতুন রাস্তা দিয়ে যুক্ত হয়েছে এবং হাজার হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে এখানে উন্নয়নের স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান। নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হচ্ছে, এইমস তৈরি হচ্ছে, আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন এটিও সত্য যে, উওর প্রদেশের মতো এক বিশাল রাজ্যের বিভিন্ন অংশগুলি আগে একে অপরের থেকে অনেকাংশে বিচ্ছিন্ন ছিল। মানুষ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেতেন কিন্তু সংযোগের অভাবে তারা সমস্যায় পড়েতেন। পূর্ব উত্তর প্রদেশের লোকদের জন্য লক্ষ্ণৌ পৌঁছানো বেশ কঠিন ছিল। তিনি বলেন “আগের মুখ্যমন্ত্রীদের জন্য যেখানে তাঁদের বাড়ি ছিল, সেখানেই উন্নয়ন সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আজ, পূর্বাঞ্চলের দাবিগুলিকে পশ্চিমের দাবির মতোই সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে”। তিনি বলেন এই এক্সপ্রেসওয়ে শহরগুলিকে লক্ষ্ণৌএর সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে উত্তরপ্রদেশের শিল্প ক্ষেত্রে বিকাশের জন্য ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজন। তিনি বলেন, উওর প্রদেশে যেমন এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হচ্ছে, শিল্প করিডোরের কাজও শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের চারপাশে নতুন শিল্প আসতে শুরু করবে। আগামী দিনে, এই এক্সপ্রেসওয়ের ধারে অবস্থিত শহরগুলিতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, দুধ, হিমঘর, ফল ও শাকসবজির স্টোরেজ, শস্য, পশুপালন এবং অন্যান্য কৃষি পণ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্যগুলির কাজ দ্রুত বাড়তে চলেছে। তিনি বলেন, এখানে শিল্পায়নের জন্য দক্ষ কর্মী অপরিহার্য। তাই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। এই শহরগুলিতে আইটিআই এবং অন্যান্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং মেডিকেল প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে।
তিনি বলেন যে উওর প্রদেশে নির্মিত প্রতিরক্ষা করিডোর এখানে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে আসতে চলেছে। শ্রী মোদী বলেন, এমনসব পরিকাঠামোর কাজ চলছে যা ভবিষ্যতের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন মানুষ বাড়ি নির্মাণ করলেও প্রথমে রাস্তাঘাট নিয়ে চিন্তা করেন, মাটি পরীক্ষা করেন এবং অন্যান্য দিক বিবেচনা করেন। কিন্তু উওর প্রদেশে, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে এমন সরকার দেখেছি, যারা যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা না করে শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। ফলে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকায় এখানে অবস্থিত অনেক কারখানায় তালা ঝুলছে। এই পরিস্থিতিতে এটাও দুর্ভাগ্যজনক যে দিল্লি এবং লক্ষ্ণৌ উভয় স্থানে রাজবংশের আধিপত্য ছিল। কিন্ত বছরের পর বছর ধরে, পরিবারের সদস্যদের এই অংশীদারিত্ব উওর প্রদেশের আশা-আকাঙ্খাকে চূর্ণ করতে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ এখানে ডাবল ইঞ্জিন সরকার সাধারণ মানুষ ও তাদের পরিবারের কথা ভেবে কাজ করছে। নতুন কারখানা তৈরির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, এই দশকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সমৃদ্ধ উত্তরপ্রদেশ গড়তে পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।
করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ সরকারের চমৎকার কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীও প্রশংসা করেন। তিনি ভারতে তৈরি টিকার বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক প্রচার করতে না দেওয়ার জন্য এখানকার জনগণের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার উওর প্রদেশের সার্বিক উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে চলেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পরিকাঠামোকেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, মাত্র ২ বছরে, উওর প্রদেশের সরকার প্রায় ৩০ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারকে পাইপযুক্ত পানীয় জলের সংযোগ প্রদান করেছে এবং এই বছরে ডাবল ইঞ্জিন সরকার লক্ষ লক্ষ বোনকে তাদের বাড়িতে পাইপযুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, সেবার মনোভাব নিয়ে দেশ গঠনে নিয়োজিত থাকা আমাদের কর্তব্য, আমরা তাই করব।
हमारे जिन किसान भाई-बहनों की भूमि इसमें लगी है, जिन श्रमिकों का पसीना इसमें लगा है, जिन इंजीनियरों का कौशल इसमें लगा है, उनका भी मैं बहुत-बहुत अभिनंदन करता हूं: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 16, 2021
मैं यूपी के ऊर्जावान मुख्यमंत्री योगी आदित्यनाथ जी, उनकी टीम और यूपी के लोगों को पूर्वांचल एक्सप्रेसवे की बहुत-बहुत बधाई देता हूं: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 16, 2021
मुझे मालूम था कि जिस तरह तब की सरकार ने यूपी के लोगों के साथ नाइंसाफी की जा रही है, विकास में भेदभाव किया जा रहा है, जिस तरह सिर्फ अपने परिवार का हित साधा जा रहा है, यूपी के लोग ऐसा करने वाली सरकार को हमेशा-हमेशा के लिए यूपी के विकास के रास्ते से हटा देंगे: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 16, 2021
गरीबों को पक्के घर मिलें, गरीबों के घर में शौचालय हों, महिलाओं को खुले में शौच के लिए बाहर ना जाना पड़े, सबके घर में बिजली हो, ऐसे कितने ही काम थे, जो यहां किए जाने जरूरी थे।
— PMO India (@PMOIndia) November 16, 2021
लेकिन मुझे बहुत पीड़ा है, कि तब यूपी में जो सरकार थी, उसने मेरा साथ नहीं दिया: PM @narendramodi
कौन भूल सकता है कि पहले यूपी में पहले कितनी बिजली कटौती होती थी।
— PMO India (@PMOIndia) November 16, 2021
कौन भूल सकता है कि यूपी में कानून व्यवस्था की क्या हालत थी।
कौन भूल सकता है कि यूपी में मेडिकल सुविधाओं की क्या स्थिति थी।
यूपी में तो हालात ऐसे बना दिये थे कि यहाँ सड़कों पर राह नहीं होती थी, राहजनी होती थी: PM
पिछले मुख्यमंत्रियों के लिए विकास वहीं तक सीमित था जहां उनका घर था।
— PMO India (@PMOIndia) November 16, 2021
लेकिन आज जितनी पश्चिम की पूछ है, उतनी ही पूर्वांचल के लिए भी प्राथमिकता है।
पूर्वांचल एक्सप्रेसवे आज यूपी की इस खाई को पाट रहा है, यूपी को आपस में जोड़ रहा है: PM @narendramodi
ये भी एक सच्चाई थी कि यूपी जैसा विशाल प्रदेश, पहले एक दूसरे से काफी हद तक कटा हुआ था।
— PMO India (@PMOIndia) November 16, 2021
अलग अलग हिस्सों में लोग जाते तो थे लेकिन एक दूसरे से कनेक्टिविटी ना होने की वजह से परेशान रहते थे।
पूरब के लोगों के लिए लखनऊ पहुँचना भी महाभारत जीतने जैसा होता था: PM @narendramodi
परिणाम ये हुआ कि ज़रूरी सुविधाओं के अभाव में यहां लगे अनेक कारखानों में ताले लग गए।
— PMO India (@PMOIndia) November 16, 2021
इन परिस्थितियों में ये भी दुर्भाग्य रहा कि दिल्ली और लखनऊ, दोनों ही स्थानों पर परिवारवादियों का ही दबदबा रहा।
सालों-साल तक परिवारवादियों की यही पार्टनरशिप, यूपी की आकांक्षाओं को कुचलती रही: PM
एक व्यक्ति घर भी बनाता है तो पहले रास्तों की चिंता करता है, मिट्टी की जांच करता है, दूसरे पहलुओं पर विचार करता है।
— PMO India (@PMOIndia) November 16, 2021
लेकिन यूपी में हमने लंबा दौर, ऐसी सरकारों का देखा है जिन्होंने कनेक्टिविटी की चिंता किए बिना ही औद्योगीकरण के सपने दिखाए: PM @narendramodi