নবনির্মিত অযোধ্যা বিমান বন্দরটির আজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিমান বন্দরটি মহর্ষি বাল্মীকির নামে নামাঙ্কিত।
পরে, এই উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহর্ষি বাল্মীকি রচিত রামায়ণকে জ্ঞানের এক বিশেষ আকর বললেও অত্যুক্তি হয় না। কারণ, রামায়ণ পাঠের মধ্য দিয়ে আমরা মিলিত হতে পারি ভগবান শ্রী রামের সঙ্গে। সেই অর্থে মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি বর্তমান ভারতে আধুনিকতার সঙ্গে ঐশ্বরিকতার মিলন ঘটিয়েছে। কারণ, অযোধ্যায় এসে আমরা নতুন রাম মন্দিরের সান্নিধ্যে আধ্যাত্মিকতার নতুন বাতাবরণে নিজেদের আলোকিত করে তোলার সুযোগ লাভ করবো। প্রথম পর্যায়ে এই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি দিয়ে ১০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। তবে, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে যাতায়াত করার সুযোগ পাবেন ৬০ লক্ষের মতো যাত্রী।
এই বিমান বন্দরটির প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ করতে ব্যয়ের মাত্রা দাঁড়িয়েছে ১,৪৫০ কোটি টাকারও বেশি। ৬,৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে স্থাপিত বিমান বন্দরের টার্মিনাল ভবনটিকে ১০ লক্ষ যাত্রীর উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। টার্মিনাল ভবনটির নকশায় অযোধ্যা শ্রীরাম মন্দিরের নান্দনিক স্থাপত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, টার্মিনাল ভবনটির ভিতরে স্থানীয় শিল্পকলা, ভাস্কর্য এবং ম্যুরালের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভগবান শ্রীরামের জীবনচরিত।