“Role of newspapers is very important in the journey to Viksit Bharat in the next 25 years”
“The citizens of a country who gain confidence in their capabilities start achieving new heights of success. The same is happening in India today”
“INS has not only been a witness to the ups and downs of India’s journey but also lived it and communicated it to the people”
“A country’s global image directly affects its economy. Indian publications should enhance their global presence”

আজ মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে ইন্ডিয়ান নিউজপেপার সোসাইটি (আইএনএস)-র সচিবালয় পরিদর্শনের সময় সেখানে ঐ সংস্থার একটি টাওয়ারের (আইএনএস টাওয়ার) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নতুন ভবনটি আইএনএস-এর সদস্যদের চাহিদা ও প্রয়োজন মেটাতে বিশেষভাবে কাজে আসবে। কারণ, এই কার্যালয়টিতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা ছাড়াও দক্ষ পরিষেবা দেওয়ারও যাবতীয় বন্দোবস্ত থাকবে। শুধু তাই নয়, মুম্বাইয়ের সংবাদপত্র শিল্পের একটি মূল কেন্দ্র হিসেবেও এই নতুন ভবনটি কাজ করবে। 

এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে আইএনএস-এর সকল সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এই মর্মে আশা প্রকাশ করেন যে নতুন ভবনটিতে কাজকর্ম অনেকটাই সহজ হয়ে ওঠার ফলে ভারতীয় গণতন্ত্রের বনিয়াদ আরও শক্ত হয়ে উঠবে। প্রসঙ্গত তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে আইএনএস-এর প্রতিষ্ঠা প্রাক্‌-স্বাধীনতাকালে। সেই কারণে দেশের যাত্রাপথে নানা ধরনের উত্থান ও পতনের যাবতীয় সাক্ষ্য বহন করে চলেছে এই সংস্থা বা সংগঠনটি। কিন্তু, সংবাদপত্র ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সর্বদাই তা সংযোগ ও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এই কারণে আইএনএস-এর প্রাসঙ্গিক ভূমিকাটি আজ সমগ্র জাতির কাছেই সুস্পষ্ট।

 

শ্রী মোদী বলেন, জাতীয় জীবনের ধারাবাহিকতা পর্যালোচনা করার ক্ষেত্রে মিডিয়া কিন্তু নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করে না বরং, উদ্ভূত পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া যায় তারও দিকনির্দেশ করে। আগামী ২৫ বছরে ‘বিকশিত ভারত’-এর যাত্রাপথে ভারতীয় সংবাদপত্র ও সাময়িকীগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের নাগরিক সাধারণের অধিকার ও সম্ভাবনার দিকগুলি সম্পর্কে মিডিয়া জগৎ এক ধরনের সচেতনতা জাগিয়ে তোলে। ভারতীয় নাগরিকরা কতটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ডিজিটাল লেনদেন পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে তা সফল করে তুলেছে, সে কথারও আজ উল্লেখ ছিল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, জনসাধারণের জন্য যে ডিজিটাল পরিকাঠামো সৃষ্টি করা হয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে অন্যান্য বড় বড় দেশগুলিও আজ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। দেশের সাফল্যের এই খতিয়ানে মিডিয়া জগতের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের বিষয়টি তাই কোন কারণেই অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে মিডিয়া কিভাবে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ও সে সম্পর্কে সচেতনতার উদ্রেক করে সেই প্রসঙ্গেরও আজ অবতারণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মিডিয়ার কাজকর্মকে সহজ করে তুলতে সরকারি নীতিগুলির প্রভাব যথেষ্ট তাৎপর্যময়। জন ধন যোজনার মাধ্যমে যেভাবে দেশের ৫০ কোটি মানুষকে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে এবং তার মধ্য দিয়ে সাধারণ নাগরিকদের আর্থিক তথা অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির কাজ সফল হয়ে উঠেছে, তার দৃষ্টান্ত প্রসঙ্গক্রমে এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডিজিটাল ভারত গঠনের পথে এই কর্মসূচিটি আমাদের এক ধরনের বৃহত্তম পদক্ষেপ। একইভাবে, ‘স্বচ্ছ ভারত’ এবং ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি দুটি কোনভাবেই ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে রচিত হয়নি বরং, তা জাতীয় জীবনের মূলস্রোতের সঙ্গে আজ মিশে গেছে। এই কাজে মিডিয়ার সার্বিক কাজকর্ম সপ্রশংস উল্লেখের দাবি রাখে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএনএস-এর সিদ্ধান্তগুলি দেশের মিডিয়া জগতকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, সরকারি কোন কর্মসূচি কখনই শুধুমাত্র একটি সরকারি প্রচেষ্টার মধ্যেই আবদ্ধ থাকে না বরং, তা সর্বসাধারণের জন্য এক বিশেষ আন্দোলনের রূপ পরিগ্রহ করে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, ‘স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব’ এবং ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানের কথা এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।  তিনি বলেন, এগুলি সরকারি কর্মসূচি হলেও তাকে জাতীয় জীবনের মূলস্রোতের সঙ্গে মিশে যেতে সাহায্য করেছেন দেশের আপামর জনসাধারণ। একইভাবে, পরিবেশ সুরক্ষার সঙ্গে মানবতাবাদী একটি বিষয় সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে। তাই এই কর্মসূচিটি কোনভাবেই একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ হতে পারে না। এইভাবে ‘এক পেড় মা কে নাম’ (এক একটি বৃক্ষ হল এক ও অভিন্ন মায়ের এক একটি নাম মাত্র) অভিযানটি শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের সর্বত্রই আজ আলোড়ন তুলেছে। এমনকি, ভারত আয়োজিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের কাজকর্মেও বিশ্ব নেতৃবৃন্দ গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এই সমস্ত দিক বিবেচনা করে তরুণ প্রজন্মের উন্নততর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে মিডিয়া জগতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রচার তথা সংবাদমাধ্যমের উচিত এই ধরনের কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে যথাযথ প্রচারের আয়োজন ও সচেতনতা সৃষ্টি। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা উদযাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সংবিধানকে সম্মান জানিয়ে মিডিয়া জগতের উচিত দেশের নাগরিকদের মধ্যে স্বাধীনতা ও জাতীয় জীবন সম্পর্কে কর্তব্যবোধ ও সচেতনতা জাগিয়ে তোলা। 

পর্যটনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রও যে বিপণন জগতে আলোড়ন তুলতে পেরেছে তাতে স্পষ্টতঃই আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোন একটি রাজ্যের পর্যটনকে উৎসাহ দিতে সংবাদপত্রগুলি প্রতি মাসে এই বিষয়টিকে বেছে নিতে পারে। এর ফলে, প্রতিটি রাজ্যের মধ্যে এক ধরনের পারস্পরিক সমঝোতার বাতাবরণ সৃষ্টি হবে। ভারতীয় সংবাদপত্রগুলিকে বিশ্বের আঙিনায় আরও বেশি করে প্রবেশ করার বিষয়টি একান্ত জরুরি বলে এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির একটি দেশ হয়ে উঠতে চলেছে। সেই কারণে, মিডিয়া জগতের দায়িত্ব হল ভারতের এই সাফল্যকে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে বহন করে নিয়ে যাওয়া। কারণ আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন যে বিশ্বে কোনো একটি দেশের সম্পর্কে ভাবমূর্তি যদি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তা প্রত্যক্ষভাবে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলে। বিশ্বের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে প্রবাসী ভারতীয়দের অবদানের কথাও এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ স্বীকৃত সবক’টি ভাষাতেই ভারতীয় সংবাদপত্রগুলির প্রচার ও প্রসার একান্ত জরুরি। প্রয়োজনে ওয়েবসাইট, মাইক্রোসাইট অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রসঙ্ঘ স্বীকৃত ভাষাগুলিতে ভারতীয় সংবাদপত্রগুলির প্রকাশ ও প্রচার প্রয়োজন। এই কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যে বিশেষভাবে উপকারে আসবে, একথাও আজ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

পরিশেষে শ্রী মোদী প্রতিটি সংবাদপত্রের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, মুদ্রিত সংস্করণ এবং ডিজিটাল সংস্করণের মধ্যে বিষয়গত দিক থেকে কোনরকম পার্থক্য থাকতে পারে না। ভারতীয় গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করে তোলার লক্ষ্যে তাঁর এই প্রস্তাবগুলি আইএনএস গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আইএনএস-এর সদস্যরা যত বেশি মানসিক বলিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করে যাবেন, ততই উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ঘটবে বর্তমান ভারতের।

 

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী রমেশ ব্যাস, ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডে, রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং শ্রী অজিত পাওয়ার যোগ দেন এদিনের অনুষ্ঠানে। আইএনএস-এর সভাপতি শ্রী রাকেশ শর্মাও এদিন উপস্থিত ছিলেন এই উপলক্ষে। 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage