ইন্ডিয়ান অয়েলের এক বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে তৈরি ইউনিফর্ম চালু করেন
ইন্ডিয়ান অয়েলের ইন্ডোর সোলার কুকিং পদ্ধতির আওতায় উদ্ভাবিত কুক টপ মডেলটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন
ই-২০ জ্বালানির সূচনা করেন
গ্রিন মোবিলিটি র‍্যালির সূচনা করেন
“ভারতে শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রের জন্য অভূতপূর্ব সব সম্ভাবনার উদয় হচ্ছে, যা ক্রমোন্নতির পথে এগিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ”
“মহামারী এবং যুদ্ধের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও ভারত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উজ্জ্বল অর্থনৈতিক অবস্থানে রয়েছে”
“স্থিতিশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সরকার, সুদূরপ্রসারী ও টেকসই বেশ কিছু সংস্কার এবং তৃণমূল স্তরে আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ণ - ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার বেস”
“সংস্কার উচ্চাকাঙ্ক্ষী সমাজ তৈরি করছে”
“আমরা আমাদের পরিশোধন শিল্পোদ্যোগগুলিকে ক্রমাগত দেশীয়, অত্যাধুনিক এবং আগের তুলনায় উন্নত মানের করে তুলছি”
“২০৩০ সালের মধ্যে জ্বালানিতে প্রাকৃতিক জ্বালানি উৎসের ব্যবহার বাড়ানোর প্রচেষ্টা এখন জোরকদমে চলছে”

আজ বেঙ্গালুরুতে ভারতের জ্বালানি সপ্তাহ (আইইডব্লিউ), ২০২৩-এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ইন্ডিয়ান অয়েলের এক বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের পেট বোতলকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার মাধ্যমে তৈরি ইউনিফর্মও চালু করেন তিনি। এছাড়াও, ইন্ডিয়ান অয়েলের ইন্ডোর সোলার কুকিং পদ্ধতির আওতায় উদ্ভাবিত কুক টপ মডেলটিকেও বাণিজ্যিক বিপণনের জন্য জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে প্রধানমন্ত্রী ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলির ৮৪টি খুচরো বিপণন কেন্দ্রে ই-২০ জ্বালানিরও সূচনা করেন। এই জ্বালানিগুলি ইথানলের মিশ্রণে উদ্ভাবন করা হয়েছে। জ্বালানি সপ্তাহের আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ গ্রিন মোবিলিটি র‍্যালির সূচনাও করেন তিনি। পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করবে বিভিন্ন ধরনের যান। এর উদ্দেশ্য হল পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি সম্পর্কে জনসচেতনতার প্রসার।

এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই তুরস্ক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশে ভূকম্পনের ফলে প্রাণহানি এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। প্রয়োজনে সম্ভাব্য সকল রকম সাহায্যের জন্য ভারত প্রস্তুত বলেও ঘোষণা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেঙ্গালুরু মেধা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের এক বিশেষ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালে দেশে এই জ্বালানি সপ্তাহ উদযাপন বিশেষভাবে তাৎপর্যময় বলে বর্ণনা করেন তিনি।

একুশ শতকের বিশ্বের দিশা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে জ্বালানি শক্তির যে এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে - একথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, জ্বালানি শক্তির রূপান্তর প্রচেষ্টা এবং নতুন নতুন জ্বালানি সম্পদ উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারত এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। পৃথিবীর যেক’টি দেশ পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানির সপক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেছে, ভারত হল তার অন্যতম। এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে ভারতে এখন অভূতপূর্ব সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় এ হল এক নতুন সংযোজন।

প্রসঙ্গত, ভারত যে বর্তমানে দ্রুতগতিতে বিকাশশীল এক বৃহদায়তন অর্থনীতির দেশ রূপে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে, সেকথার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের পক্ষ থেকেও সম্প্রতি এই প্রচেষ্টার জন্য ভারতের বিশেষ প্রশংসা করা হয়েছে। অতিমারীর সঙ্কট ও সমস্যায় জর্জরিত বিশ্বে ভারত এক উজ্জ্বল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে তার নিরন্তর উন্নয়ন প্রচেষ্টার জন্য। ২০২২-এর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেও ভারত উন্নয়নের পথ থেকে কখনও বিচ্যুত হয়নি। ভারতবাসীর সংযম ও আত্মবিশ্বাসই যে জাতিকে সমস্ত রকম প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে সাহায্য করেছে, একথা বিশেষ জোর দিয়ে ব্যক্ত করেন তিনি।

ভারতের এই নিরন্তর উন্নয়ন প্রচেষ্টার মূলে অনেকগুলি বিষয়ই অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, প্রথমত এ দেশে রয়েছে একটি স্থিতিশীল সরকার যে প্রয়োজনে যে কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রস্তুত। দ্বিতীয়ত, নিরন্তর সংস্কার প্রচেষ্টা এবং তৃতীয়ত একেবারে নিচুতলার থেকেই আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টা ভারতকে তার উন্নয়নে শক্তি যুগিয়েছে। এই বিষয়টির অবতারণা প্রসঙ্গে ব্যাপক সামাজিক পরিকাঠামো গঠনের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাহায্যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রসার, নিরাপদ শৌচালয় ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, বাসস্থান নির্মাণ এবং পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সরকার গৃহীত এই সমস্ত পদক্ষেপ দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, কোটি কোটি ভারতবাসীর জীবনে এখন ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। একদিকে যেমন তাঁরা দারিদ্রসীমার বাইরে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন, অন্যদিকে তেমনই তাঁরা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন বা পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। দেশের প্রতিটি গ্রামে ইন্টারনেটের সুযোগ পৌঁছে দিতে দেশজুড়ে ৬ লক্ষ কিলোমিটারব্যাপী অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। গত ৯ বছরে যে উন্নয়নযজ্ঞ শুরু হয়েছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ গুণ। অন্যদিকে, ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুণের মতো। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, ভারত বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক একটি দেশ। ভারতবাসীর লক্ষ্য এখন উন্নততর পণ্য, উন্নততর পরিষেবা এবং উন্নততর পরিকাঠামোর সুযোগ গ্রহণ করা। ভারতীয় নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে জ্বালানির যে একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, সেকথা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

অদূর ভবিষ্যতে ভারতে জ্বালানির চাহিদা ও প্রয়োজন কতখানি তার আভাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে উন্নয়নের গতি যত দ্রুততর হবে, নতুন নতুন শহরাঞ্চলও সেই অনুপাতে বেড়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সমঝোতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান দশকে ভারতে জ্বালানির চাহিদা হবে সর্বোচ্চ মাত্রার যা একাধারে বিনিয়োগকারী ও অন্যান্যদের ক্ষেত্রে এক বিশেষ সুযোগ এনে দেবে। জ্বালানির জন্য ব্যবহার্য তেলের ক্ষেত্রে বিশ্বের মোট চাহিদার ৫ শতাংশ রয়েছে ভারতে। তবে, তা অদূর ভবিষ্যতে ১১ শতাংশে উন্নীত হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গ্যাসের চাহিদাও বৃদ্ধি পেতে চলেছে ৫০০ শতাংশের মতো। ভারতের জ্বালানি ক্ষেত্রটি যেভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে তাতে নির্দিধায় একথা বলা যায় যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে এ দেশে।

জ্বালানি ক্ষেত্রের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় চারটি প্রধান প্রধান বিষয় যুক্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একদিকে যেমন দেশে তেল অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই তার যোগানের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। আবার, জৈব জ্বালানি, ইথানল, কম্প্রেসড বায়ো-গ্যাস এবং সৌরশক্তির মতো জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যও নানাভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, বৈদ্যুতিক যান ও হাইড্রোজেন ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশকে কার্বনমুক্ত করে তোলারও জোরদার প্রচেষ্টা বর্তমানে চলছে। জ্বালানি শোধনের ক্ষেত্রে ভারত বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করেছে। তেল ও জ্বালানি শোধনের ক্ষেত্রে দেশীয় আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এইভাবে দেশের জ্বালানি চিত্রে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসার লক্ষ্যে প্রযুক্তি এবং স্টার্ট-আপ-এর উপযোগী পরিবেশ ও পরিস্থিতির সদ্ব্যবহারের জন্য শিল্পপতিদের উদ্দেশে আহ্বান জানান তিনি।

শ্রী মোদী জানান যে জ্বালানি ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করারও চেষ্টা করা হচ্ছে। জ্বালানিতে প্রাকৃতিক জ্বালানি উৎসের ব্যবহার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রচেষ্টাও এখন জোরকদমে চলছে। এক পরিসংখ্যানগত তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে দেশে ২০১৪ সালে গ্যাস পাইপলাইনের নেটওয়ার্কটি ছিল ১৪ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু তা বর্তমানে সম্প্রসারিত হয়েছে ২২ হাজার কিলোমিটারে। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে এর পরিধি ৩৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর ভাষণে দেশে জ্বালানির অনুসন্ধান ও উৎপাদন প্রচেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, এই অনুসন্ধান প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এমন কিছু কিছু অঞ্চলে যা এক সময় দুর্গম বলে চিহ্নিত ছিল। শুধু তাই নয়, ঐ এলাকাগুলিকে এই কারণে অনুসন্ধান প্রচেষ্টার বাইরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। দেশের যে ১০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলে এতদিন পর্যন্ত তেল ও জ্বালানি অনুসন্ধানের কোনও চেষ্টা করা হয়নি, সেখানেও এখন অনুসন্ধান প্রচেষ্টাকে জোরদার করে তোলা হয়েছে। সরকারি এই প্রচেষ্টার সুযোগ গ্রহণের জন্য সকল বিনিয়োগকারীদের কাছে আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী।

জৈব জ্বালানি প্রসঙ্গে শ্রী মোদী গত বছর আগস্টে প্রথম ২জি ইথানল বায়ো রিফাইনারি স্থাপনের কথা উল্লেখ করে বলেন যে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ১২টি ২জি ইথানল প্ল্যান্টের কাজ শুরু করার প্রস্তুতি বর্তমানে চলছে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য ডিজেল এবং বিমানে ব্যবহার্য জ্বালানির বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেও প্রচেষ্টা নিরন্তর রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী জানান যে এ বছরের বাজেটে ‘বর্জ্য থেকে সম্পদ’-এ রূপান্তর প্রচেষ্টার আওতায় ৫০০টি নতুন ‘গোবর্ধন’ প্রকল্প চালুর সংস্থান রাখা হয়েছে। এছাড়াও, ২০০টির মতো কম্প্রেসড বায়ো-গ্যাস প্ল্যান্ট এবং ৩০০টি কমিউনিটি-বেসড প্ল্যান্ট গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রাও রাখা হয়েছে সম্প্রতি ঘোষিত কেন্দ্রীয় বাজেটে।

প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে জাতীয় গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন একুশ শতকের ভারতবর্ষের এক নতুন দিশা নির্ণয় করতে চলেছে। এই দশকের শেষাশেষি ৫ এমএমটিপিএ গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে। এর হাত ধরে ৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। গ্রে হাইড্রোজনকে পরিহার করে গ্রিন হাইড্রোজেনের ব্যবহার ২৫ শতাংশ বৃদ্ধিরও লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈদ্যুতিক যানে ব্যবহারযোগ্য ব্যাটারির মূল্যের প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, একটি বৈদ্যুতিক যানের ক্রয় মূল্যের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ নেওয়া হয় শুধুমাত্র ব্যাটারির কারণে। এই কারণে সরকার এমন একটি পিএলআই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে উন্নতমানের ব্যাটারি উৎপাদন করা হবে যা ৫০ গিগাওয়াট ঘন্টা পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য। এই প্রকল্পে ১৮ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে বলে জানান তিনি।

পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি সাশ্রয়, জ্বালানির নিরন্তর যোগান এবং পরিবেশ অনুকূল প্রযুক্তি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে জ্বালানি রূপান্তর প্রচেষ্টা এবং পরিবেশকে কার্বনমুক্ত করার উদ্দেশ্যকে সফল করে তুলতে এবারের বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে মূলধনী বিনিয়োগ হিসেবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে গত ৯ বছরে পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারতের ক্ষমতা ৭০ গিগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ গিগাওয়াটে। সৌরশক্তির উৎপাদন ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে আগের তুলনায় ২০ গুণ। অন্যদিকে, বায়ুশক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে বিশ্বে ভারতের অবস্থান এখন চতুর্থ। এই দশকের শেষাশেষি দেশে পরিবেশ অনুকূল জ্বালানির ৫০ শতাংশই উৎপাদিত হবে অ-জীবাশ্ম জ্বালানির উৎস থেকে। জৈব জ্বালানি এবং ইথানল মিশ্রণের ক্ষেত্রেও দ্রুতগতিতে আমরা এগিয়ে চলেছি। গত ৯ বছরে পেট্রোলে ইথানল মিশ্রণের মাত্রা ১.৫ শতাংশ থেকে আমরা ১০ শতাংশে উন্নীত করতে পেরেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হল ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইথানল মিশ্রণের কাজকে সফল করে তোলা। ই-২০ চালু হওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে দেশের ১৫টি শহরে এটির আনুষ্ঠানিক সূচনা হলেও আগামী দু’বছরের মধ্যে তার সম্প্রসারণ ঘটবে সারা দেশজুড়ে।

এলইডি বাল্ব, সিএনজি এবং এলএনজি-র উৎপাদন ও ব্যবহার কিভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তারও একটি সার্বিক চিত্র ফুটে ওঠে প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে। প্লাস্টিক বোতলকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে ইউনিফর্মে রূপান্তর, ভারতের ‘মিশন এলআইএফই’ কর্মসূচিকে বিশেষ শক্তি যোগাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পরিশেষে, বিশ্বের বিনিয়োগ কর্তাদের উদ্দেশে এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারত বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে এমন একটি দেশ হয়ে ওঠার মর্যাদা লাভ করেছে যেখানে আপনাদের বিনিয়োগ প্রচেষ্টা কখনই বিফল হবে না।

এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের রাজ্যপাল শ্রী থাওয়ারচাঁদ গেহলট, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বাসবরাজ বোম্মাই, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী এবং ঐ দপ্তরেরই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামেশ্বর তেলি।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
When PM Modi Fulfilled A Special Request From 101-Year-Old IFS Officer’s Kin In Kuwait

Media Coverage

When PM Modi Fulfilled A Special Request From 101-Year-Old IFS Officer’s Kin In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Under Rozgar Mela, PM to distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits
December 22, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits on 23rd December at around 10:30 AM through video conferencing. He will also address the gathering on the occasion.

Rozgar Mela is a step towards fulfilment of the commitment of the Prime Minister to accord highest priority to employment generation. It will provide meaningful opportunities to the youth for their participation in nation building and self empowerment.

Rozgar Mela will be held at 45 locations across the country. The recruitments are taking place for various Ministries and Departments of the Central Government. The new recruits, selected from across the country will be joining various Ministries/Departments including Ministry of Home Affairs, Department of Posts, Department of Higher Education, Ministry of Health and Family Welfare, Department of Financial Services, among others.