“তাদের কাজ এবং দক্ষতার মধ্যে দিয়ে সিবিআই দেশের সাধারণ মানুষের মনে আস্থার মনোভাব জাগিয়েছে”
“পেশাদারি এবং দক্ষ প্রতিষ্ঠান ছাড়া বিকশিত ভারত সম্ভব নয়”
“সিবিআই-এর মূল দায়িত্ব হল দেশকে দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করা”
“দুর্নীতি সাধারণ কোনো অপরাধ নয়। এটা গরিবের অধিকার কেড়ে নেয়, এটা অন্য অপরাধের জন্ম দেয়, দুর্নীতি, সুশাসন এবং গণতন্ত্রের পথে সব থেকে বড় বাধা”
“জেএএম ত্রিমূর্তি সুবিধাভোগীদের পূর্ণ সুবিধা সুনিশ্চিত করছে”
“দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পথে আজ আর কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই” “কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকেই ছাড়া হবে না। আমাদের এই প্রয়াসে কোথাও কোনো শৈথিল্য নেই। এটাই হল দেশের অভিপ্রায়, দেশের মানুষের অভিপ্রায়। দেশ, আইন এবং সংবিধান আপনার সঙ্গে রয়েছে”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আজ কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই-এর হীরক জয়ন্তী উদযাপনের সূচনা করেছেন। ১৯৬৩ সালের পয়লা এপ্রিল ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রস্তাবক্রমে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো গঠিত হয়।

অসামান্য সেবা কর্মের জন্য রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক এবং সিবিআই-এর শ্রেষ্ঠ তদন্তকারী আধিকারিকের জন্য স্বর্ণপদক প্রাপকদের সম্মাননা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার প্রাপকদের পদক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী শিলং, পুনে এবং নাগপুরে সিবিআই-এর নব নির্মিত কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেন। তিনি সিবিআই-এর হীরক জয়ন্তী বর্ষ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে স্মারক ডাক টিকিট এবং স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে তিনি সিবিআই-এর ট্যুইটার হ্যান্ডেল-ও আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী ব্যাঙ্ক জালিয়াতি এবং সিবিআই-এর বিভিন্ন মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে মামলার সমীক্ষা এবং তা থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত সিবিআই–এর সংশোধিত প্রশাসনিক ম্যানুয়াল প্রকাশ করেন এবং আন্তর্জাতিক পুলিশ সহযোগিতা নিয়ে একটি সিবিআই একটি হ্যান্ডবুকেরও আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন তিনি। 

 

সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সিবিআই-এর হীরক জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেশের এক অগ্রগণ্য প্রথম সারির তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে ৬০ বছরের যাত্রা পূর্ণ করেছে। বিগত এই ছয় দশক এই সংস্থার অনেক সাফল্যের সাক্ষ্য বহন করছে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সিবিআই সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ের যে সংকলন আজ প্রকাশিত হল তার মধ্যে দিয়ে সিবিআই-এর ইতিহাসকে পর্যালোকন করা যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েকটি শহরে এই নতুন কার্যালয়, ট্যুইটার হ্যান্ডেল অথবা অন্য যেসব সুযোগ-সুবিধার আজ সূচনা করা হল তা সিবিআইকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এক নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের কাজ এবং দক্ষতার মধ্যে দিয়ে সিবিআই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার মনোভাব জাগ্রত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে আজও যখন কোনো একটা মামলা কোনোভাবেই সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না তখন স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা দেখা দেয় ওই মামলাটি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হোক। উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো শহরে-তো এমনও দেখা দেয় যে সিবিআই-এর হাতে মামলা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন পর্যন্ত হচ্ছে। পঞ্চায়েত স্তরেও যখন এ রকম কোনো দুরতিক্রম্য বিষয় দেখা দিলে সাধারণ মানুষ দাবি করেন যে মামলাটি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হোক। সিবিআই-এর নাম প্রত্যেকের মুখে মুখে। এটা যেন ন্যায় এবং সত্যের এক তকমা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিবিআই-এর অসাধারণ নেপুন্য জনমানসে আস্থা অর্জন করেছে। ৬০ বছরের যাত্রাপথে সিবিআই-এর সঙ্গে জড়িত সকলকে প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানান।

পুরস্কার প্রাপকদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই তদন্ত ব্যুরোকে প্রতিনিয়ত তাদের আত্মোন্নতি করতে বলেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত চিন্তন শিবির অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে। অমৃতকালে এই স্মরণীয় সময়কে মনে রেখে কোটি কোটি ভারতবাসী শপথ নিয়েছে বিকশিত ভারতের সাফল্য অর্জনে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, পেশাদারি এবং দক্ষ প্রতিষ্ঠান ছাড়া বিকশিত ভারত সম্ভব নয় এবং তিনি সিবিআই-এর ওপরে অনেক দায়িত্বভার ন্যাস্ত করেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী বহুমুখী এবং বহু ক্ষেত্রীয় তদন্ত শাখা হিসেবে সিবিআই-এর সুনাম অর্জনে উল্লেখ করেন বলেন, এর কর্মক্ষেত্র আরও বেশি প্রসারিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জোরের সঙ্গে বলেন, সিবিআই-এর প্রধান দায়িত্ব হল দেশকে দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করা। দুর্নীতি সাধারণ কোনো অপরাধ নয়, এটা দরিদ্রের অধিকার কেড়ে নেয়। এটা আরও অনেক অপরাধের জন্ম দেয়। ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রের পথে এটা হল সর্ববৃহৎ প্রতিবন্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতি গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে এবং সেজন্য প্রথম মূল্য দিতে হয় তরুণের স্বপ্নকে। তার কারণ এর মধ্যে দিয়ে এমন এক পরিমন্ডলের জন্ম নেয় যা মেধার বিনাশ ঘটায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি স্বজনপোষনের জন্ম দেয় এবং বংশানুক্রমিক রাজ জাতীয় শক্তিকে বিপর্যস্ত করে যা সামগ্রিকভাবে ব্যহত করে উন্নয়নকে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নিদারুণ দুর্ভাগ্যের বিষয় যে ভারত স্বাধীনতার সময় থেকেই দুর্নীতির ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে আসছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই দুর্নীতির বিনাশ না ঘটিয়ে বরং কোনো কোনো মানুষ এটার আরও পৃষ্টপোষকতা করে যাচ্ছে। তিনি স্মরণ করেন যে কেবলমাত্র এক দশক পূর্বেও কেলেঙ্কারী এবং অপরাধ প্রবৃত্তির কথা। এই পরিস্থিতিতে দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থাকে প্রায় ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে এবং নীতিগত বৈকল্যের পরিবেশ উন্নয়নকে রুদ্ধ করে দিয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪র পর থেকে সরকারের মূলগত লক্ষ্যই ছিল শাসন ব্যবস্থার মধ্যে বিশ্বাসকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং এই কারণবশত কালো টাকা উদ্ধার এবং বেআইনী সম্পত্তির বিরুদ্ধে সরকার অভিযান চালিয়েছে এবং তা চালানো হয়েছে লক্ষ্য বেঁধে। যারফলে যারা দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দুর্নীতির মদতদাতা যারা তাদের ওপর সমূহ বিপর্যয় ঘটানো হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন সরকারি টেন্ডার ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে স্বচ্ছতাকে ফিরিয়ে আনার। এক্ষেত্রে তিনি ২জির সঙ্গে ৫জি স্পেকট্রাম বিতরণের বৈপরিত্যকে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, জেম (সরকার পরিচালিত ই বাজার) পোর্টাল কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত দপ্তরে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিয়ে এসেছে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং এবং ইউপিআই অতীতের ফোন ব্যাঙ্কিং অস্থিরতার সময় থেকে পূর্ণ বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বেশ কিছু পদক্ষেপ আরও বেশি স্বচ্ছতার জন্ম দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধ দমন আইনের ফলে পলাতক অপরাধীদের ২০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা গেছে।

সরকারি অর্থ ভান্ডার তছরুপে অতীতের দশকের দৃষ্টান্ত টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সুযোগ-সুবিধাগুলি পর্যন্ত এই দুর্নীতিগ্রস্তরা লুট করে নিত। তা সে রেশন, গৃহ, স্কলারশিপ, পেনশন বা অন্য যেকোন সরকারি প্রকল্পই হোক না কেন। প্রকৃত সুবিধাভোগী প্রত্যেক সময় বঞ্চিত হতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একজন প্রধানমন্ত্রী এক সময় বলেছিলেন গরিবদের জন্য বরাদ্দ প্রতিটা টাকার কেবলমাত্র ১৫ পয়সায় সেই গরিবের হাতে পৌঁছায়।” প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের দৃষ্টান্ত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এ পর্যন্ত ২৭ লক্ষ কোটি টাকা গরিবদের জন্য খরচ করেছে এবং এক্ষেত্রে তিনি প্রতি টাকার ১৫ পয়সার তত্ত্ব উল্লেখ করে বলেন, সে রকমটা হলে মাঝ পথেই ১৬ লক্ষ কোটি টাকা উড়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুবিধাভোগীরা জনধন, আধার এবং মোবাইলের এই ত্রিসংযোগ ঘটানোয় সুবিধাভোগীরা তাদের পূর্ণ অধিকার পাচ্ছেন এবং ৮ লক্ষ ভুয়ো সুবিধাভোগী এই ব্যবস্থার ফলে বাদ পড়েছেন। প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের ফলে প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা বেনামে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগে দুর্নীতির উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদে নিয়েগের ক্ষেত্রে কেন ইন্টারভিউ ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়েছে। ঠিক তেমনি ইউরিয়া সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি ইউরিয়ার মধ্যে নিমের কোটিং ব্যবহার করে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান স্বচ্ছতার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী এবং সেইসঙ্গে তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার ওপর গুরুত্ব দেন। 

প্রধানমন্ত্রী তদন্তে বিলম্ব হওয়ায় অপরাধী শাস্তি এবং নিরাপরাধ ব্যক্তির হয়রানির বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি এই প্রক্রিয়াকে দ্রুত সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্ব দেন এবং এক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা এবং আধিকারিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরেও গুরুত্ব দিয়ে বলেন, পেশাগত নৈপুণ্য এমন জায়গায় পৌঁছানো উচিত যাতে অপরাধী শনাক্তকরণের পদ্ধতি দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।

 

প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলেন, দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে এখন আর কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই। তিনি আধিকারিকদের বলেন, কোনোরকম ইতস্তত না করে, কে কত শক্তমান তা না দেখে দুর্নীতিগ্রস্তের বিরুদ্ধে যাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, অতীতে দুর্নীতিগ্রস্তদের ক্ষমতা যা এই তদন্তকারী সংস্থার পরিমন্ডলকে সম্পূর্ণ কালিমালিপ্ত করার ব্যবহার করা হয়েছিল তাতে যেন তারা কোনোরকমভাবে বিচলিত না হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সমস্ত লোকেরা সব সময় আপনাদেরকে পিছনে টানার চেষ্টা করবে কিন্তু আপনাদেরকে কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হতে হবে। কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির রেহাই নেই। আমাদের ক্ষেত্রে প্রচেষ্টায় কোনো রকম শৈথিল্য হবে না। এটাই দেশের আশা, দেশবাসীর আশা। দেশ, আইন এবং সংবিধান আপনাদের সঙ্গে রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও উন্নত ফলাফলের জন্য বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে ভেদাভেদ সম্পূর্ণ দূর হওয়া দরকার। তিনি বলেন, পারস্পরিক আস্থার মনোভাব থাকলেই যৌথ এবং বহুস্তরীয় তদন্ত হওয়া সম্ভব। ভূপ্রাকৃতিক সীমানার বাইরে আন্তর্জাতিক লেনদন এবং মানুষ, পণ্য এবং পরিষেবার চলাচলের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের সংখ্যা অনুরূপভাবে বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভারতের সামাজিক পরিকাঠামো তার ঐক্য এবং সৌভাতৃত্ব, তার আর্থিক ক্ষেত্র এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর আক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। দুর্নীতির টাকা এক্ষেত্রে খরচ হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অপরাধ এবং দূর্নীতির বহুজাতিক প্রকৃতিকে প্রকৃতভাবে বুঝতে হবে এবং অধ্যায়ন করতে হব। তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেন্সিক বিজ্ঞানের ব্যবহার বৃদ্ধির প্রয়োজনের ওপরে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও অপরাধ প্রযুক্তিগত কারণের আন্তর্জাতিক জায়গা নিচ্ছে এবং এখানেই এর সমাধান সূত্র লুকিয়ে রয়েছে। 

 

প্রধানমন্ত্রী সাইবার অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি প্রস্তাব করেন প্রযুক্ত সক্ষম উদ্যোগপতি এবং তরুণদের এ কাজে যুক্ত করতে এবং দপ্তরের প্রযুক্তিমুখী তরুণ আধিকারিকদের আরও বেশি করে ব্যবহার করতে। তিনি সিবিআই-কে এই তদন্ত ব্যুরোতে ৭৫টি প্রক্রিয়া এবং ব্যবস্থার যার অবলুপ্তি ঘটানো সম্ভব তা চিহ্নিত করার জন্য সাধুবাদ জানান এবং একেবারে সময় ধরে সেই কাজ করতে বলেন। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের উত্তোরণের প্রক্রিয়া নিরলস ব্যবস্থার মতো এগিয়ে চলুক। 

কেন্দ্রীয় কর্মী, জনঅভিযোগ এবং পেনশন মন্ত্রী শ্রী জীতেন্দ্র সিং, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী অজিত দোভাল, ক্যাবিনেট সচিব শ্রী রাজীব গৌবা, সিবিআই-এর অধিকর্তা সুবোধ কুমার জয়সওয়াল অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Ray Dalio: Why India is at a ‘Wonderful Arc’ in history—And the 5 forces redefining global power

Media Coverage

Ray Dalio: Why India is at a ‘Wonderful Arc’ in history—And the 5 forces redefining global power
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister pays tributes to Shri Atal Bihari Vajpayee ji at ‘Sadaiv Atal’
December 25, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi paid tributes at ‘Sadaiv Atal’, the memorial site of former Prime Minister, Atal Bihari Vajpayee ji, on his birth anniversary, today. Shri Modi stated that Atal ji's life was dedicated to public service and national service and he will always continue to inspire the people of the country.

The Prime Minister posted on X:

"पूर्व प्रधानमंत्री श्रद्धेय अटल बिहारी वाजपेयी जी की जयंती पर आज दिल्ली में उनके स्मृति स्थल ‘सदैव अटल’ जाकर उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करने का सौभाग्य मिला। जनसेवा और राष्ट्रसेवा को समर्पित उनका जीवन देशवासियों को हमेशा प्रेरित करता रहेगा।"