মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচি ভারত ও বিশ্বের জন্য: প্রধানমন্ত্রী মোদী
আগামী পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্হার সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫,০০০ করে তোলার প্রচেষ্টা করছি আমরা: প্রধানমন্ত্রী মোদী
ভারতে প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে; এখানে চাহিদা, গণতন্ত্র এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্মৌতে একাদশ প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। ভারতের এই দ্বিবার্ষিক সামরিক প্রদর্শনী আয়োজনের উদ্দেশ্য হল, বিশ্বের অন্যতম প্রতিরক্ষা উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে দেশের সম্ভাবনাগুলিকে তুলে ধরা। প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী ২০২০ ভারতের অন্যতম বৃহৎ প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর মঞ্চ তথা বিশ্বের অন্যতম অগ্রণী প্রদর্শনী হয়ে উঠেছে। এবারের প্রদর্শনীতে সারা বিশ্ব থেকে ১ হাজারের বেশি প্রতিরক্ষা নির্মাতা এবং ১৫০টিরও বেশি সংস্হা অংশ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই নয় উত্তরপ্রদেশের সাংসদ হিসেবে একাদশতম প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে সকলকে স্বাগত জানিয়ে তিনি দ্বিগুন খুশি। তিনি বলেন, এই প্রদর্শনী ভারতের মানুষ তথা যুবাদের কাছে এক বড় সুযোগ। মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচি কেবল ভারতের নিরাপত্তা বাড়াবে না, সেইসঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কর্মসংস্হানেরও সুযোগ বাড়বে। ভবিষ্যতে প্রতিরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি বাড়াতেও এই প্রদর্শনী সাহায্য করবে।

ভারত কেবল একটি বাজার নয় বরং সমগ্র বিশ্বের কাছে বিপুল সুযোগ এনে দিয়েছে

আজকের এই প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী ভারতের ব্যাপক ব্যাপ্তি ও বিস্তৃতি ও বৈচিত্র্যকেই প্রতিফলিত করে। এটাই প্রমান করে যে ভারত নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এই প্রদর্শনী এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত শিল্পকেই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে ভারতের প্রতি বিশ্বের আস্হাকেই প্রতিফলিত করে। যাদের প্রতিরক্ষা ও অর্থ ব্যবস্হা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে, তারা এটা অবশ্যই জানেন যে ভারত কেবল একটি বাজার নয় ; সমগ্র বিশ্বের জন্যই ভারতে ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তরণ আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলিকে প্রতিফলিত করে

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর দ্বিতীয় বিষয়বস্তু ‘প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তরণ’ ভবিষ্যতের আশঙ্কা ও চ্যালেঞ্জগুলিকে প্রতিফলিত করে। জীবন ধীরে ধীরে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তাগত চ্যালেঞ্জ ও উদ্বেগগুলিও বাড়ছে। তাই এটা কেবল বর্তমানের নয়, ভবিষ্যতের ভাবনার বিষয়। বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলিকে নতুন ধরণের প্রযুক্তির উত্থান হচ্ছে। ভারতও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে। প্রচলিত বিভিন্ন ধরণের ধ্যান-ধারণায় অগ্রগতি ঘটছে। আগামী পাঁচ বছরে আমাদের লক্ষ্য হল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অন্তত ২৫টি সামগ্রীর উদ্ভাবন করা।

অটল বিহারী বাজপেয়ীর স্বপ্নপূরণ করা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্ণৌতে আয়োজিত এই প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী আরও একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের স্বপ্ন দেখতেন। এই লক্ষ্যেই তিনি একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

অটল বিহারী বাজপেয়ীর স্বপ্ন অনুসরণ করে আমরা একাধিক প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছি। আমরা ২০১৪ সালে ২১৭টি প্রতিরক্ষা লাইসেন্স অনুমোদন করেছি। বিগত পাঁচ বছরে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬০। ভারত আজ আর্টিলারি কামান, এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার উৎপাদন-সহ ফ্রিগেট ডুবোজাহাজও নির্মাণ করছে। বিশ্ব প্রতিরক্ষা সমাগ্রী রপ্তানি ক্ষেত্রে ভারতের অংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত দুই বছরে ভারত প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি করেছে। এখন আমাদের লক্ষ হল প্রতিরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া।

প্রতিরক্ষা গবেষনা ও উন্নয়ন রাষ্ট্রীয় নীতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ

আমাদের সরকার বিগত পাঁচ-ছ বছরে প্রতিরক্ষা গবেষনা ও উন্নয়নের বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয় নীতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ করে তুলেছে। প্রতিরক্ষা গবেষনা ও উন্নয়ন তথা উৎপাদন ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে লাল ফিতের ফাঁস দূর করার প্রয়াস ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, যাতে এই ক্ষেত্রের জন্য বিনিয়োগের অনুকূল ও উদ্ভাবন সহায়ক বাতাবরণ গড়ে তোলা যায়।

ব্যবহারকারী ও উৎপাদকদের মধ্যে অংশীদারিত্ব

প্রধানমন্ত্রী বলেন ব্যবহারকারী ও উৎপাদকদের মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্হাকে আরও মজবুত করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা উৎপাদন প্রক্রিয়া কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়, বরং বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গেও সমান অংশীদারিত্ব ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

নতুন ভারতের জন্য নতুন লক্ষ্য

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে দুটি বৃহদায়তন প্রতিরক্ষা উৎপাদন করিডর গড়ে তোলা হচ্ছে। এর একটি গড়ে তোলা হচ্ছে তামিলনাড়ুতে অন্যটি উত্তরপ্রদেশে। উত্তরপ্রদেশে গড়ে উঠতে চলা প্রতিরক্ষা করিডরের আওতায় লক্ষ্ণৌ সহ আলিগড়, আগ্রা, ঝাঁসি, চিত্রকূট ও কানপুরের মধ্যে সংযোগ স্হাপন করা হচ্ছে। দেশে প্রতিরক্ষা উৎপাদন ব্যবস্হাকে আরও গতিশীল করতে নতুন লক্ষ্য স্হির হয়েছে।

আমাদের উদ্দেশ্য হল, আগামী পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্হাগুলিকে যুক্ত করা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও ২০০টি স্টার্ট-আপ সংস্হা গড়ে তোলা। এই সমস্ত প্রয়াসের উদ্দেশ্যই হল অন্তত পক্ষে ৫০টি নতুন প্রযুক্তি ও সামগ্রী উদ্ভাবন করা। দেশের অগ্রণী শিল্পসংস্হাগুলি প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রে এমন এক অভিন্ন মঞ্চ গড়ে তুলুক যাতে তারা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অগ্রগতিগুলিকে গ্রহণ করতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
'India Delivers': UN Climate Chief Simon Stiell Hails India As A 'Solar Superpower'

Media Coverage

'India Delivers': UN Climate Chief Simon Stiell Hails India As A 'Solar Superpower'
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi condoles loss of lives due to stampede at New Delhi Railway Station
February 16, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled the loss of lives due to stampede at New Delhi Railway Station. Shri Modi also wished a speedy recovery for the injured.

In a X post, the Prime Minister said;

“Distressed by the stampede at New Delhi Railway Station. My thoughts are with all those who have lost their loved ones. I pray that the injured have a speedy recovery. The authorities are assisting all those who have been affected by this stampede.”