প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের নবসারিতে আজ ৪৭ হাজার কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করেন। এই সব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন, রেল, সড়ক, বস্ত্র, শিক্ষা, জল সরবরাহ, যোগাযোগ এবং নগরোন্নয়ন।
তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাটে আজ এটি তাঁর তৃতীয় অনুষ্ঠান। এর আগে তিনি পশুপালক এবং ডেয়ারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ভদোদরা, নবসারি, ভারুচ এবং সুরাটে বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও নগরোন্নয়নে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী সেখানকার মানুষকে অভিনন্দন জানান।
মোদীর গ্যারান্টির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাটের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এর সঙ্গে পরিচিত। নবসারি পর্যন্ত বস্ত্র প্রকল্পের সম্প্রসারণের কথা জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, এই ক্ষেত্রে বৃহত্তম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা রয়েছে ভারতের। বস্ত্র উৎপাদনে সুরাটের অনন্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, পিএম মিত্র পার্ক বস্ত্র শিল্পে নতুন মাত্রা যুক্ত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, এই পার্কে কর্মীদের থাকা, পণ্য মজুত, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে।
তাপ্তি নদীর ওপর ৮০০ কোটি টাকার বেশি ব্যারেজ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প সুরাটে জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি প্রতিরোধেও সহায়ক হবে।
শিল্পোন্নয়ন এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুতের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০-২৫ বছর আগে গুজরাটে প্রায়ই বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিত। তিনি নিজে যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সঙ্কটের মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি সৌর ও বায়ু শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, যার ফলশ্রুতি হিসেবে গুজরাটে আজ প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
শক্তির ক্ষেত্রে পরমাণু বিদ্যুতের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। কাকরাপার আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩ ও ৪ নম্বর ইউনিট দুটি আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই পরমাণু চুল্লি দুটি আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং গুজরাটের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আধুনিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ গুজরাটের নজিরবিহীন অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পিএম সূর্যঘর প্রকল্প শুধুমাত্র মানুষের বিদ্যুতের বিলই কমাবে না, সেই সঙ্গে আয়েরও মাধ্যম হয়ে উঠবে। তিনি জানান, দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন এই অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাবে এবং দেশের বড় বড় শিল্প কেন্দ্রের সঙ্গে মুম্বই ও সুরাটকে যুক্ত করবে।
কৃষি ক্ষেত্রে নবসারি সহ গোটা পশ্চিম গুজরাটের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের কৃষকদের উন্নতিতে তাঁর সরকারের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, পিএম কিষান সম্মাননিধি প্রকল্পে কৃষকরা ৩৫০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। তরুণ, গরিব, কৃষক এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নে তাঁর গ্যারান্টির কথা ফের উল্লেখ করেন শ্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেখানে মানুষের আশা বিলীন হয়ে যায়, সেখান থেকেই মোদীর গ্যারান্টির সূচনা হয়।” গরিবদের জন্য পাকা বাড়ি, বিনামূল্যে রেশন, বিদ্যুৎ, নলবাহিত জল সংযোগ এবং গরিব, কৃষক, দোকানদার এবং শ্রমিকদের জন্য বিমা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আদিবাসী প্রভাবিত এলাকায় সিকেল সেল অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে জাতীয় স্তরে সরকারের গৃহীত প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আদিবাসী এলাকাগুলি থেকে এই রোগ পুরোপুরি নির্মূল করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গরিব বা মধ্যবিত্ত শ্রেণি, গ্রাম বা শহরাঞ্চল, যাই হোক না কেন, আমাদের সরকারের লক্ষ্য হল, দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।” তাঁর সরকারের আগে আর্থিক অচলাবস্থার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ২০১৪ সালের ১১ তম স্থান থেকে ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম আর্থিক শক্তির দেশ হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, ছোট ছোট শহরগুলির সঙ্গে বিমান যোগাযোগ গড়ে উঠেছে এবং ৪ কোটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।
ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সাফল্য ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গোটা দুনিয়া এখন ডিজিটাল ইন্ডিয়াকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।” তিনি বলেন, নতুন নতুন স্টার্টআপের মাধ্যমে ডিজিটাল ইন্ডিয়া দেশের ছোট ছোট শহরগুলিকে আমূল বদলে দিয়েছে। ছোট ছোট শহরগুলিতে নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শ্রেণিই ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আর্থিক শক্তির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পথ সুগম করবে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির উন্নয়নে তাঁর সরকারের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ গোটা বিশ্বে ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের কথা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের উন্নয়নে আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, “এই ২৫ বছরে আমরা বিকশিত গুজরাট এবং বিকশিত ভারত গড়ে তুলব।”
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সাংসদ শ্রী সি আর পাটিল সহ অনুষ্ঠানে গুজরাটের মন্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন।
आज देश के छोटे शहरों में भी कनेक्टिविटी का शानदार इंफ्रास्ट्रक्चर बन रहा है। pic.twitter.com/frEzoI1Tv6
— PMO India (@PMOIndia) February 22, 2024
आज डिजिटल इंडिया ने छोटे शहरों को ट्रांसफॉर्म कर दिया है।
— PMO India (@PMOIndia) February 22, 2024
इन छोटे शहरों में नए स्टार्ट अप्स बन रहे हैं, स्पोर्ट्स के क्षेत्र में नए युवा सामने आ रहे हैं: PM @narendramodi pic.twitter.com/YJESvZvSW1
आज पूरी दुनिया में भारत की समृद्ध विरासत की गूंज सुनाई दे रही है: PM @narendramodi pic.twitter.com/GpYbG3EJUy
— PMO India (@PMOIndia) February 22, 2024