আজ নবি মুম্বইয়ে সেওরি নব সেবা 'অটল সেতু'র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এস্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী সমাজ মাধ্যমে এক বার্তায় বলেছেন:
"অটল সেতু উদ্বোধনের সুযোগ লাভ করে আমি আনন্দিত। দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তোলার লক্ষ্যে আমরা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, এই প্রকল্পটি হল তারই এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নব নির্মিত এই সেতুটি যাত্রাপথের সময় সাশ্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও আরও উন্নত করে তুলবে। ফলে, নিত্যদিনের যাত্রীরা আরও সুষ্ঠু ভাবে ভ্রমণের অনুভূতি লাভ করবেন।"
Delighted to inaugurate Atal Setu, a significant step forward in enhancing the ‘Ease of Living’ for our citizens. This bridge promises to reduce travel time and boost connectivity, making daily commutes smoother. pic.twitter.com/B77PSiGhMK
— Narendra Modi (@narendramodi) January 12, 2024
সেতুটির উদ্বোধনকালে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী রমেশ ব্যাস, ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও শ্রী অজিত পাওয়ার।
নগরাঞ্চলের পরিবহণ পরিকাঠামো তথা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর চিন্তাদর্শের মূলে রয়েছে নাগরিকদের সফর ও ভ্রমণের সুষ্ঠু ও মসৃণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে তোলা। তাঁর এই চিন্তাদর্শ অনুসরণ করেই মুম্বই ট্রান্স হার্বাল লিঙ্ক (এমটিএইচএল) অর্থাৎ 'অটল বিহারী বাজপেয়ী সেওরি - নব সেবা অটল সেতু'-টি নির্মিত হয়েছে। সেতুর শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ২০২৬-র ডিসেম্বর মাসে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেনের অটল সেতু নির্মাণে ব্যয়ের মাত্রা দাঁড়িয়েছে ১৭,৮৪০ কোটি টাকারও বেশি। সেতুটির ১৬.৫ কিলোমিটার পথ নির্মিত হয়েছে সমুদ্রের ওপর দিয়ে। বাকি ৫.৫ কিলোমিটার সেতু নির্মাণের জন্য স্থলভূমিকে কাজে লাগানো হয়েছে। এই সেতুটি ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতুই শুধু নয়, একই সঙ্গে তা দেশের দীর্ঘতম একটি সেতু। এই সেতু পথে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যাবে মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে নবি মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত। মুম্বই থেকে পুণে, গোয়া এবং দক্ষিণ ভারতে পৌঁছোতে সময় সাশ্রয় ঘটবে উল্লেখযোগ্য ভাবে। শুধু তাই নয়, মুম্বই বন্দরের সঙ্গে জওহরলাল নেহরু বন্দরের উন্নততর সংযোগ নিশ্চিত করে তোলার ক্ষেত্রেও এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ ছিল একটি তাৎপর্যময় পদক্ষেপ।