“ভারত ১৫০ কোটি টিকার ডোজ দেওয়ার ঐতিহাসিক মাইলফলক অতিক্রম করতে চলেছে – ১৫০ কোটি টিকার ডোজ বছরের প্রথম মাসের প্রথম সপ্তাহে”
“এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৫০ কোটি ডোজ প্রদান একটি তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য এবং দেশের ইচ্ছাশক্তির নতুন প্রতীক”
“ব্যয় সাশ্রয়ী ও সর্বাত্মক স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে”
পিএম-জেএওয়াই এর আওতায় ২ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি রোগী দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কলকাতায় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মান্ডভিয়া, ডাঃ সুভাষ সরকার, শ্রী শান্তনু ঠাকুর, শ্রী জন বার্লা এবং শ্রী নিশীথ প্রামাণিক অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
 
এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন ক্যাম্পাসটি আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষদের স্বল্প মূল্যে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেবে।দেশের প্রতিটি নাগরিককে  “সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা পরিষেবা দেবার যে অঙ্গীকার করা হয়েছে তারই আরেক ধাপ আমরা এগোলাম”। 
 
প্রধানমন্ত্রী জানান, এ বছরে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। একই সময়ে ভারত ১৫০ কোটি টিকার ডোজ বছরের প্রথম মাসের প্রথম সপ্তাহে দেবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের মধ্য দিয়ে আরেকটি ঐতিহাসিক মাইলফলক অতিক্রম করতে চলেছে। এক বছরেরও কম সময়ে ১৫০ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া একটি তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য, যা দেশের ইচ্ছাশক্তির প্রতীক। দেশের নতুন আস্থা, আত্মনির্ভরতা ও গৌরব এর মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হবে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জন্য সংক্রমণ হার বৃদ্ধি পেলেও ১৫০ কোটি টিকার ডোজ প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। মাত্র ৫ দিনে দেড় কোটি শিশু টিকার ডোজ নিয়েছে। তিনি এই সাফল্যকে সারা দেশ ও প্রতিটি রাজ্য সরকারের প্রতি উৎসর্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এই সাফল্যের জন্য দেশের বৈজ্ঞানিক, টিকা প্রস্তুতকারক এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
 
শ্রী মোদী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গকে বিনামূল্যে প্রায় ১১ কোটি করোনা টিকার ডোজ পাঠিয়েছে। দেড় হাজারেরও বেশি ভেন্টিলেটর, ৯ হাজারেরও বেশি নতুন অক্সিজেন সিলিন্ডার পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪৯টি নতুন পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্ট রাজ্যে উৎপাদন শুরু করেছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে রোগ-প্রতিরোধী ব্যবস্থাপনা, স্বল্প মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম দ্রুত পাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রোগ-প্রতিরোধী ব্যবস্থার অঙ্গ হিসাবে যোগ, আয়ুর্বেদ, ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট, সর্বজনীন টিকাকরণকে শক্তিশালী করা হয়েছে। একইভাবে, স্বচ্ছ ভারত মিশন ও হর ঘর জল প্রকল্পের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা হচ্ছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের কাছে আর্থিক কারণে ক্যান্সার একটি আতঙ্ক। এই আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ব্যয় সাশ্রয়ী চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি, ক্যান্সারে ব্যবহৃত ওষুধের দাম বিগত কয়েক বছরে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমানো হয়েছে। ৮ হাজার জনঔষধি কেন্দ্রে স্বল্প মূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে ৫০টিরও বেশি ক্যান্সারের ওষুধ স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায়।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোগীদের চাহিদার কথা সরকার সবসময়েই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে থাকে। ৫০০টিরও বেশি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করার ফলে বছরে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হয়েছে। হৃদরোগীরা করোনারি স্টেন্টের দাম কমার ফলে উপকৃত হচ্ছেন। এর ফলে, বছরে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। হাঁটু প্রতিস্থাপনের খরচও কমেছে। প্রবীণ নাগরিকরা এর সুফল পাচ্ছেন। বর্তমানে বছরে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। প্রাইম মিনিস্টার ন্যাশনাল ডায়ালিসিস প্রোগ্রামের আওতায় বছরের ১২ লক্ষ দরিদ্র রোগী বিনামূল্যে ডায়ালিসিস করাতে পাচ্ছেন।
 
প্রধানমন্ত্রী জানান, ব্যয় সাশ্রয়ী ও সর্বাত্মক চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প আজ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আলোচিত হচ্ছে। পিএমজেএওয়াই – এর আওতায় দেশ জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ২ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন। এই প্রকল্প না থাকলে রোগীদের ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হ’ত। ১৭ লক্ষ ক্যান্সার রোগী আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিল অসুখ এই প্রকল্পের আওতায় দ্রুত শনাক্ত হওয়ার ফলে চিকিৎসা করতে সুবিধা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশে বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের ৫ হাজার কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। ওরাল, সার্ভাইকাল এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৫ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসা পাচ্ছেন।
 
শ্রী মোদী বলেন, ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ডাক্তারি পাঠক্রমের আসন সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার। মাত্র ৭ বছরে আরও ৬০ হাজার নতুন আসন বেড়েছে। ২০১৪ সালে দেশে মাত্র ৬টি এইমস্‌ হাসপাতাল ছিল। আজ তা বেড়ে হয়েছে ২২। দেশের প্রতিটি জেলায় অন্তত ১টি মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার কাজ চলছে। রাজ্যস্তরে ১৯টি ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। ৩০টি প্রতিষ্ঠানে ক্যান্সারের জন্য ২০টি টার্সিয়ারি কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। একইভাবে, দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের জন্য আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল হেলথ মিশন এবং আয়ুষ্মান ভারত ইনফ্রাস্ট্রাকচার মিশন সহায়ক হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শেষে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চলার আবেদন জানান।
 
প্রধানমন্ত্রী দেশ জুড়ে উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য যে উদ্যোগত নিয়েছেন, তারই অঙ্গ হিসাবে সিএমসিআই – এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি গড়ে তোলা হ’ল। সিএমসিআই – এর পুরনো ক্যাম্পাসে রোগীর ভিড় ছিল যথেষ্ট। তাই, এই কেন্দ্রের সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেই চাহিদা মেটাবে।
 
৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি নির্মাণে কেন্দ্র দিয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। পুরো ক্যাম্পাস নির্মাণে কেন্দ্র ও রাজ্যের ব্যয়ের অনুপাত ছিল ৭৫:২৫। ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট এই ক্যাম্পাসে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও রোগীদের শুশ্রুষার জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে নিউক্লিয়ার মেডিসিন (পিইটি), ৩.০ টেলসা এমআরআই, ১২৮ স্লাইস সিটি স্ক্যানার, রেডিও নিউক্লাইড থেরাপি ইউনিট, এন্ডোস্কপি স্যুট, আধুনিক রেডিও নিউক্লাইড থেরাপি ইউনিটের মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকছে। এই ক্যাম্পাসটি একটি উন্নত ক্যান্সার গবেষণা সুবিধা কেন্দ্র হিসাবেও কাজ করবে এবং দেশের, বিশেষ করে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্যান্সার রোগীদের সর্বাঙ্গীণ চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করে থাকবে।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season

Media Coverage

Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 ডিসেম্বর 2024
December 21, 2024

Inclusive Progress: Bridging Development, Infrastructure, and Opportunity under the leadership of PM Modi