প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে আজ সপ্তদশ প্রবাসী ভারতীয় দিবস সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ‘সুরক্ষিত যায়, প্রশিক্ষিত যায়’ স্মারক ডাকটিকিটের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন তিনি এবং ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব - ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রবাসী ভারতীয়দের অবদান’ নিয়ে প্রথম ডিজিটাল প্রবাসী ভারতীয় দিবসেরও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তিনি।
ভারত সরকার আয়োজিত প্রবাসী ভারতীয় দিবস সম্মেলন এমন এক অনুষ্ঠান যার মধ্য দিয়ে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সংযোগ ঘটানো এবং পারস্পরিক আলোচনার মঞ্চ তৈরি হয়। এই সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল – ‘অমৃতকালে ভারতের অগ্রগতির নির্ভরযোগ্য সহযোগী হল প্রবাসী ভারতীয়রা’। বিশ্বের ৭০টি দেশের সাড়ে তিন হাজার প্রবাসী ভারতীয় এই সম্মেলনে নাম নথিভুক্ত করেন।
সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চার বছরের ব্যবধানে প্রবাসী ভারতীয় দিবস তার উজ্জ্বল উপস্থিতি নিয়ে আবার হাজির হয়েছে এবং ব্যক্তিগত আলোচনার মঞ্চ প্রস্তুত করেছে।
সাম্প্রতিক ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপনের ক্ষেত্রে প্রবাসী ভারতীয় দিবসের এক বিশেষ জায়গা রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর ওপর প্রথম ডিজিটাল প্রবাসী ভারতীয় দিবস প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যই হল গৌরবোজ্জ্বল সময়কালকে সামনে নিয়ে আসা। অমৃতকালের যাত্রাপথে আগামী ২৫ বছর প্রবাসী ভারতীয়দের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী ভারতের অনন্য বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন এবং বিশ্ব শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করতে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সমগ্র বিশ্বকে ‘এক দেশ’ হিসেবে দেখার ভারতীয় দর্শনের মাহাত্ম্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সমগ্র মানব সম্প্রদায়কে আমরা আমাদের ভাই-বোন হিসেবে মনে করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা ভারতের সংস্কৃতি প্রসারের ভিত্তি স্থাপন করে দিয়ে গেছেন। বিশ্বের সর্বত্র ভারতীয়রা ছড়িয়ে রয়েছেন, বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন ভাবধারার মধ্যে তাঁরা বসবাস করছেন। তা সত্ত্বেও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে তাঁরা সমৃদ্ধির দরজাকে উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন। প্রবাসী ভারতীয়দের ভারতের দূত হিসেবে আখ্যা দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘যোগ’, ‘আয়ুর্বেদ’, ‘ভারতের কুটীরশিল্প’ এবং ‘হস্তশিল্প’-এর সংস্কৃতির তাঁরাই হলেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি প্রত্যেককে অনুরোধ করেন তাঁরা যাতে কিছু না কিছু বাজরা পণ্য বাড়িতে নিয়ে যান।
এ বছর জি-২০-তে ভারতের সভাপতিত্বের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি ভারতের অতীত অভিজ্ঞতা এবং সুস্থায়ী ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পথে বিশ্বকে সচেতন করার এক বিরাট সুযোগ ভারতের সামনে নিয়ে এসেছে। শ্রী মোদী বলেন যে জি-২০ কেবলমাত্র একটি কূটনৈতিক ঘটনা নয়, জন-উপস্থিতির মধ্যে যেখানে ‘অতিথি দেব ভবঃ’ - এই ভাব ব্যক্ত হচ্ছে, তার মধ্যে এক ঐতিহাসিক রূপ দিতে হবে। জি-২০ শিখর সম্মেলনের অংশ হিসেবে ২০০-রও বেশি বৈঠক ভারতের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিবৃন্দের কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ জনসংযোগ গড়ে তোলার এক বিরাট সম্ভাবনার ক্ষেত্র তুলে ধরবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের জ্ঞানভাণ্ডার হিসেবে নয়, বিশ্বের দক্ষতার রাজধানী হিসেবে গড়ে ওঠারও এক বিরাট সুযোগ ভারতের সামনে উপস্থিত। ভারতীয় যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে দক্ষতা, মূল্যবোধ এবং কাজের প্রতি আনুগত্যের দিককে তিনি তুলে ধরেন। শ্রী মোদী বলেন, বিশ্বের অগ্রগতিতে এই দক্ষতার রাজধানী এক পরিপূরক ইঞ্জিনের ভূমিকা নেবে। তিনি আরও বলেন যে প্রত্যেক ভারতবাসী ভারতকে তাঁর নিজের অঙ্গীভূত করেছে। বিগত আট বছরে দেশ প্রবাসী ভারতীয়দের শক্তিশালী করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন আপনাদের স্বার্থ ও প্রত্যাশা চরিতার্থ করাই হচ্ছে আজ ভারতের দায়বদ্ধতার অংশ। প্রধানমন্ত্রী পরিশেষে গায়ানার রাষ্ট্রপতি ডঃ মোহামেদ ইরফান আলি এবং সুরিনামের রাষ্ট্রপতি মাননীয় শ্রী চন্দ্রিকাপেরসাদ সান্তোকিকে তাঁদের বক্তব্য ও মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গায়ানার রাষ্ট্রপতি মাননীয় ডঃ মোহামেদ ইরফান আলি, সুরিনামের রাষ্ট্রপতি মাননীয় শ্রী চন্দ্রিকাপেরসাদ সান্তোকি, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, রাজ্যপাল শ্রী মাঙ্গুভাই প্যাটেল, বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী মীনাক্ষী লেখি, শ্রী ভি মুরলীধরন এবং ডঃ রাজকুমার রঞ্জন সিং।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের জ্ঞানভাণ্ডার হিসেবে নয়, বিশ্বের দক্ষতার রাজধানী হিসেবে গড়ে ওঠারও এক বিরাট সুযোগ ভারতের সামনে উপস্থিত। ভারতীয় যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে দক্ষতা, মূল্যবোধ এবং কাজের প্রতি আনুগত্যের দিককে তিনি তুলে ধরেন। শ্রী মোদী বলেন, বিশ্বের অগ্রগতিতে এই দক্ষতার রাজধানী এক পরিপূরক ইঞ্জিনের ভূমিকা নেবে। তিনি আরও বলেন যে প্রত্যেক ভারতবাসী ভারতকে তাঁর নিজের অঙ্গীভূত করেছে। বিগত আট বছরে দেশ প্রবাসী ভারতীয়দের শক্তিশালী করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন আপনাদের স্বার্থ ও প্রত্যাশা চরিতার্থ করাই হচ্ছে আজ ভারতের দায়বদ্ধতার অংশ। প্রধানমন্ত্রী পরিশেষে গায়ানার রাষ্ট্রপতি ডঃ মোহামেদ ইরফান আলি এবং সুরিনামের রাষ্ট্রপতি মাননীয় শ্রী চন্দ্রিকাপেরসাদ সান্তোকিকে তাঁদের বক্তব্য ও মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গায়ানার রাষ্ট্রপতি মাননীয় ডঃ মোহামেদ ইরফান আলি, সুরিনামের রাষ্ট্রপতি মাননীয় শ্রী চন্দ্রিকাপেরসাদ সান্তোকি, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, রাজ্যপাল শ্রী মাঙ্গুভাই প্যাটেল, বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী মীনাক্ষী লেখি, শ্রী ভি মুরলীধরন এবং ডঃ রাজকুমার রঞ্জন সিং।
Our Pravasi Bharatiyas have a significant place in India's journey in the 'Amrit Kaal.' pic.twitter.com/OEcKLXvXm2
— PMO India (@PMOIndia) January 9, 2023
हमारे लिए पूरा संसार ही हमारा स्वदेश है। pic.twitter.com/QhD6yZfumn
— PMO India (@PMOIndia) January 9, 2023
प्रवासी भारतीयों को जब हम global map पर देखते हैं, तो कई तस्वीरें एक साथ उभरती हैं। pic.twitter.com/szb6SNPLNO
— PMO India (@PMOIndia) January 9, 2023
Indian diaspora are our 'Rashtradoots.' pic.twitter.com/vwJwLZyXbp
— PMO India (@PMOIndia) January 9, 2023
Today, India is being looked at with hope and curiosity. India's voice is being heard on global stage. pic.twitter.com/rv0CcqTQ0A
— PMO India (@PMOIndia) January 9, 2023
हमें G-20 केवल एक diplomatic event नहीं, बल्कि जन-भागीदारी का एक ऐतिहासिक आयोजन बनाना है। pic.twitter.com/Ai0bhW0ZUX
— PMO India (@PMOIndia) January 9, 2023
India's talented youth are the country's strength. pic.twitter.com/ZHxaBzyUzB
— PMO India (@PMOIndia) January 9, 2023